আমরা যারা বই পড়তে ভালবাসি তাদের কাছে থ্রিলার মানেই বিদেশি লেখকদের বইয়ের অনুবাদ কিংবা সরাসরি ইংরেজি বই। কিন্তু আমরা কি জানি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলা মৌলিক থ্রিলার এর কথা? বেশকিছু লেখকের চমকপ্রদ কিছু মৌলিক থ্রিলার রয়েছে যা বর্তমানে পাঠকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে।
এখন আসা যাক থ্রিলার কি? সামাজিক উপন্যাসের বিশেষ এক ধরনের স্টাইল হলো থ্রিলার। উপন্যাস স্বাভাবিক দৃষ্টিকোন না লিখে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে লিখলে সেটা হবে থ্রিলার। থ্রিলারে সাধারণ উপন্যাসের কাহিনীর সাথে চোখের আড়ালের এ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
বাংলায় মৌলিক থ্রিলার লেখার ইতিহাস বেশিদিন আগের নয়। ২০০০ সালের পর থেকে আলোচিত হতে থাকে বেশকিছু বই। ২০১২ সালে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করা হয় শরীফুল হাসানের লেখা মৌলিক থ্রিলার ‘সাম্ভালা’।
পরের বছরই মাশুদুল হকের রচিত ‘ভেন্ট্রিলোকুইস্ট’ পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। একজন ভেন্ট্রিলোকুইস্ট থেকে কাহিনী শুরু করে ধর্মীয় আদর্শ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নির্যাতনের ইতিহাস অবধি বইটির বিস্তৃতি।
পাঠকরা বুঝতে পারে বাংলা মৌলিক থ্রিলারও যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক হতে পারে। এরপর থেকে প্রায় প্রতিবছরই মৌলিক থ্রিলার প্রকাশিত হচ্ছে।
জনপ্রিয় অনুবাদক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নাম আমরা প্রায় সবাই জানি। তিনি ড্যান ব্রাউনের থ্রিলার বইগুলো অনুবাদে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন যা তাকে বাংলাদেশের পাঠকদের মাঝে পরিচিতি এনে দেয়। ২৬টিরও বেশি বই অনুবাদের পাশাপাশি তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে তিনি বাতিঘর প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক। জনপ্রিয় বিদেশি থ্রিলার অনুবাদের পর তিনি নিজেই থ্রিলার লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
তার লেখা প্রথম থ্রিলার ‘নেমেসিস’ যা ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা লাভ করে। বইটির সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি পরপর এর ৪টি সিকুয়েল প্রকাশ করেন। তার রচিত ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ ওপার বাংলায়ও সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করে। কলকাতার বিখ্যাত প্রকাশনী ‘অভিযান পাবলিশার্স’ তার বেশিকিছু বই প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ একটি আত্মহত্যা ও কয়েকটি জীবনের যবনিকাপাত
সাম্ভালা – শরীফুল হাসান
ভেন্ট্রিলোকুইস্ট – মাশুদুল হক
মিনিমালিস্ট – মাশুদুল হক
নেমেসিস – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
কন্ট্রাক্ট – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
নেক্সাস – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
কনফেশন – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
করাচি – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
১৯৫২ নিছক কোনো সংখ্যা নয় – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও আসেননি – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
অক্টারিন – তানজীম রহমান
ফিনিক্স – জাহিদ হোসেন
২৫ শে মার্চ – রবিন জামান খান
ঈশ্বরের মুখোশ – জাহিদ হোসেন
ঋভু – শরীফুল হাসান
ফোরটিএইট আওয়ার্স – রবিন জামান খান
জাল – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
পেন্ডুলাম – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
ভবিষ্যতেও বাংলা মৌলিক থ্রিলার রচনার ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের দেশের পাঠকদের বিদেশি লেখকদের উপর আর নির্ভর করে থাকতে হবে না। আমরা সবাই আশা করি বাংলায় আরও বৃহৎ পরিসরে আকর্ষণীয় থ্রিলার বই রচিত হোক।
খুব ভালো লিখেছেন
I have been reading Faria’s writings for some time. Although I don’t know her personally. But she writes amazingly about literature.
Thanks. It means a lot!!
বইয়ের লিস্ট সংগ্রহ করছি। তারজন্যে ধন্যবাদ।