মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য যুগে যুগে বহু নবী-রাসূল প্রেরন করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সমস্ত বিশ্বজগতের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে প্ররিত হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি সকল জীন- ইনসান, আরবী, অনারবী, সাদা-কালো সবার জন্য নবী ও রাসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছে। আজ আমরা রাসূলুল্লাহ মুহাম্মদ (সা.) এর মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআন মাজীদ ও সহিহ হাদিসের আলোকে জানার চেষ্টা করবো- ইনশাআল্লাহ।
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
মুহাম্মদ (সা.) এর সম্মান ও মর্যাদা স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করেছেন। তাই ইচ্ছা করলেও তাঁর মর্যাদা কেউ বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা রাখে না । তারা রাসূল (সা.)কে নিয়ে যতই কটূক্তি এবং অবমাননা করেছে আল্লাহ ততই তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আর আমরা আপনার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।” (সুরা ইনশিরাহ : ৪)
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে মুহাম্মদ (সা.) নাম উচ্চারিত হয়ে চলছে। এমনকি বিশ্বে এমন একটা মুহুর্তও খুজে পাওয়া যাবে না যখন তাঁর নাম উচ্চারিত না হয়। সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ লক্ষ মসজিদে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মুয়াজ্জিন ঘোষণা দিচ্ছে, “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল।”
মহা উত্তম চরিত্র ও মাধুর্যপূর্ণ আচরণের প্রতিক হলেন আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর চরিত্র ও আদর্শ নিয়ে মক্কার কাফির মুশরিকরা পর্যন্ত প্রশংসা করতে দিধাবোধ করতো না।
রাসূল (সা.) এর আদর্শ ও চরিত্র সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই প্রশংসা করে বলেন, “আর অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত।” (সুরা কালাম : ৪)
অনুরূপভাবে হরযত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে বলেন, “নিশ্চয় আমি মহৎ চারিত্রিক গুণাবলীর পূর্ণতা দান করার উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছি।” (বায়হাকী)
রাসূল (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহ বিশেষ রহমত স্বরুপ প্রেরিত হয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টিকুলের জন্যই রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে কেবল রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।” (সুরা আম্বিয়া:১০৭)
জাহিলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত আরব জাতিকে তিনি এনে দিয়েছিলের আলোর দিশা। যে সমাজে নারী জাতির ছিলনা কোনো সম্মান ও মর্যাদা। কন্যা শিশুকে দেওয়া হতো জীবন্ত করব৷ এমন কোনো জাহিলিয়াত যা তখন ছিল না। সেই জাতিকে তিনি বিশ্বের বুকে সবচেয়ে আদর্শ মানুষে পরিনত করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল ইসলামের দীপ্তবানী।নিঃসন্দেহে একমাত্র মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত ছাড়া যা একজন ব্যক্তির দ্বারা কল্পনা করাও ছিল অসম্ভব।
মুহাম্মদ (সা.) এর বৈশিষ্ট্যের অন্যতম একটি দিক হচ্ছে, তিনি হচ্ছেন নবী পরস্পরা পরিসমাপ্তকারী-শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল । তাঁরপরে আর কোনো নবী বা রাসূল পৃথিবীতে আর আসবে না।
কুরআন মাজীদে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, “মুহাম্মদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসুল এবং শেষ নবী। আর আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ।” (সুরা আহযাব :৪০)
“মক্কার কাফির ও মুশরিক দলের তাঁর বিরুদ্ধে তাদের প্রথম অভিযোগ ছিল-তিনি নিজের পুত্রবধূকে বিয়ে করেন অথচ তাঁর নিজের শরীয়াতেও পুত্রের স্ত্রী পিতার জন্য হারাম৷ এর জবাবে বলা হয়েছে ‘মুহাম্মাদ তোমাদের পুরুষদের কারো পিতা নন।’ অর্থাৎ যে ব্যক্তির তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করা হয়েছে তিনি মুহাম্মদ (সা.) এর পুত্রই ছিলেন না, কাজেই তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম হবে কেন? তোমরা নিজেরাই জানো মুহাম্মদ (সাঃ) এর আদতে কোন পুত্র সন্তানই নেই৷
তাদের দ্বিতীয় আপত্তি ছিল- ঠিক আছে, পালক পুত্র যদি আসল পুত্র না হয়ে থাকে তাহলেও তার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে বিয়ে করা বড় জোর বৈধই হতে পারতো কিন্তু তাকে বিয়ে করার এমন কি প্রয়োজন ছিল?
এর জবাবে বলা হয়েছে, ‘কিন্তু তিনি আল্লাহর রসূল৷’ অর্থাৎ রাসূল হবার কারনে তাঁর ওপর এ দায়িত্ব ও কর্তব্য আরোপিত হয়েছিল যে তোমাদের রসম-রেওআজ যে হালাল জিনিসটিকে অযথা হারাম গণ্য করে রেখেছে সে ব্যাপারে সকল রকমের স্বার্থপ্রীতির তিনি অবসান ঘটিয়ে দেবেন এবং তার হালাল হাবার ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশই আর রাখবে না৷”( তাফসিরে তাফিমুল কুরআন)
আর একটি বিষয় লক্ষনীয়, যেহেতু তাঁর কোনো পুত্র সন্তান জীবিত ছিল না। অর্থাৎ সবাই শিশুকালেই মৃত্যু বরন করেন৷ তাই তাঁর উত্তরসূরীদের কেউ নবুয়তের দাবিও করতে পারবে না। কেননা নবীর ছেলের কেউ না কেউ নবী হতেন এটাই ছিল ধারাবাহিকতা।
যুগে যুগে যেসব নবী ও রাসূল আগমন করেছেন তাঁদের সবার উপর রাসূল (সা.) কে এমন কিছু শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা হয়েছ।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, “ছয়টি দিক থেকে সকল নবীদের উপর আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে।
(০১) আমাকে জাওয়ামিউল কালিম তথা ব্যাপক অর্থবোধক সংক্ষিপ্ত বাক্য বলার যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে।
(০২) আমাকে ভীতি (শত্রুর অন্তরে আমার ব্যাপারে ভয়ের সঞ্চার করা) দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।
(০৩) গনীমতের মাল (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) আমার জন্যে বৈধ করা হয়েছে।
(০৪) আমার জন্যে সকল ভূমিকে পবিত্র ও সিজদার উপযুক্ত করা হয়েছে।
(০৫) আমি সকল মানুষের তরে প্রেরিত হয়েছি।
(০৬) এবং আমার মাধ্যমে নবুওয়ত পরস্পরা শেষ করা হয়েছে।”
হাদিসটি “সহিহ মুসলিম” শরীফে বর্ণিত হয়েছে ।
রাসূলুল্লাহ (সা.) কে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসা ঈমানের দাবি। যে ব্যক্তির মধ্যে রাসূলের ভালবাসা থাকবে না, সে কোনো দিন মুমিন হতে পারবে না। এমনকি নিজের জীবন থেকেও তাঁর প্রতি বেশি ভালবাসা থাকতে হবে।
পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “নবী, মুমিনদের কাছে তাদের নিজদের চেয়ে ঘনিষ্ঠতর।” (সুরা আহযাব: ৬)।
সহিহ হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার সন্তান, পিতা ও সমগ্র মানুষ হতে প্রিয়তম হবো অর্থাৎ সবার চেয়ে তাঁকে বেশি ভালবাসতে হবে।” (সহীহ বুখারী)।
মুহাম্মদ (সা.) কে শাফাআত (সুপারিশ) কারার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর শাফায়েত কবুল হবে কিয়ামাতের কঠিন মুসিবতের দিনে। মহান আল্লাহ তায়ালার অনুমতিক্রমে তিনি গুনাহগার উম্মাতের জন্য সেদিন শাফাআত করবেন।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, “কিয়ামতের দিন আমি সকল আদম সন্তানের নেতা। এতে কোনো গর্ব-অহঙ্কার নেই। সেদিন আমার হাতে প্রশংসার ঝাণ্ডা থাকবে তাতে কোনো গর্ব-অহঙ্কার নেই। আদম থেকে নিয়ে যত নবী-রাসুল আছেন সকলেই আমার ঝাণ্ডার নীচে থাকবেন। আমি হচ্ছি প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার সুপারিশই সর্বপ্রথম কবুল করা হবে। এতে কোনো গর্ব-অহঙ্কার নেই।” (ইবন মাজাহ)।
মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তি। তাকেই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “জান্নাতের দরজায় আমিই সর্বপ্রথম করাঘাত করব, তখন খাযেন (প্রহরী) জিজ্ঞেস করবে, কে আপনি? আমি বলব, মুহাম্মদ। সে বলবে, আপনার জন্যেই খোলার ব্যাপারে নির্দেশিত হয়েছি,আপনার পূর্বে কারো জন্যে খুলব না।” (সহিহ মুসলিম)।
যা প্রত্যেক উম্মতে মুহাম্মদ (সা.) এর মুমিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি স্পেশাল মর্যাদা।
তাঁর আদর্শই সর্বোত্তম আদর্শ। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি, জান্নাতের আশা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রত্যাশা করে, তিনি হলেন তাদের সকলের জন্যে উত্তম আদর্শ।
কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন, “যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে রাসুলর মাঝেই রয়েছে উত্তম আদর্শ।” (সুরা আহযাব:২১)।
সকল ক্ষেত্রে মুহাম্মদ (সা.) কে অনুসরণ ঈমানদার হওয়ার শর্ত, তিনি যেসব ক্ষেত্রে আদেশ করেছেন তা পালন করা এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা তাও ঈমানদার হওয়ার শর্ত।
কুরআনে মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর রাসুল তোমাদের জন্য যা দিয়েছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও।” (সুরা হাশর:০৭)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) বলেছেন, “তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমাদের প্রবৃত্তি আমার অনুসরণ করে।” (আল- হাদিস)।
মুহাম্মদ (সা.) এর নাম শুনলে দুরুদ ও সালাম প্রদান করা ওয়াজিব। মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর মর্যাদাকে সমুন্নত করার জন্য দুরুদ ও সালাম পাঠের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
পবিত্র কোরআন বলা হয়েছে, “হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” (সুরা আহযাবেরঃ ৫৬)।
অনুরূপভাবে হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী রাসূূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাকে দশবার দুরুদ পাঠ করেন, দশটি গুনাহ মুছে দেবেন এবং দশটি মর্যাদায় ভূষিত করবেন।” (সুনানে নাসাঈ)।
মহান আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে মানবতার হিদায়াতের জন্য যেসব কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তার মধ্যে পবিত্র আল-কুরআন হলো সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব। যা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে।
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে। আর তা তাদের রবের পক্ষ হতে (প্রেরিত) সত্য, তিনি তাদের থেকে তাদের মন্দ কাজগুলো দূর করে দেবেন এবং তিনি তাদের অবস্থা সংশোধন করে দেবেন।” (সুরা মুহাম্মদ:০২)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবন ছিল আল-কুরআনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা। তাঁর চরিত্রের বর্ণনা দিতে গিয়ে হযরত আয়েশা (রা.) কতইনা সুন্দর কথা বলেছেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চরিত্রেরই পূর্ণ ব্যাখ্যা হলাে আল-কুরআন।” (সহিহ বুখারী)।
তাই আমাদের পবিত্র কোরআন মাজীদের ব্যাখ্যা একমাত্র রাসূল (সা.) এর জীবন থেকেই গ্রহন করতে হবে। কেননা তাঁর ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন।
মুহাম্মদ (সা.) এর সম্মান মর্যাদা ও সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ এতো সংক্ষেপে প্রকাশ করা সম্ভব নয়৷ পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে তাঁর সম্মান ও মর্যাদার সীমা অসীম৷ স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁকে মহান কিতাব আল-কোরআনের প্রতিচ্ছবি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন । তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সম্মান ও মর্যাদা সম্পর্কে ভালো জানতে হলে আল কোরআন, সহিহ হাদিস এবং তাফসীর অধ্যায়ন করার বিকল্প কিছু নেই৷
আমরা এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত করে সামান্য কিছু জানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। (আলহামদুলিল্লাহ)
অনুগ্রহ করে আমাদের লেখার ভুলগুলো মার্জনা করবেন এবং অবশ্যই সহিহ তথ্য যাচাই করে কৃতজ্ঞ করবেন। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শের উপর পথ চলার তৌফিক দান করুক৷ আমিন।
ছবিঃ সংগ্রহীত
[তথ্যসুত্রঃ পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিস ]
মন্তব্য লিখুন