বর্তমান বিশ্বে, একটি চিত্র আমরা প্রায়শই দেখতে পাচ্ছি- বিশ্বের বিভিন্ন প্রন্তে থাকা কিছু উগ্রতাবাদী, মানবতাবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী ব্যক্তিরা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই উগ্র-সন্ত্রাসবাদী নাস্তিকেরা জানে না এর পরিণাম কতটা ভয়াবহ!!
তাই এ বিষয়ে আমাদের সকলের সঠিক জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি। আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা, হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার পরিণাম ও শাস্তি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।
বিশ্বের বুকে মানবতার মুক্তির দূত হিসেবে মহান আল্লাহ্ তায়ালা যে মানুষটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন তিনি ছিলেন মুহাম্মদ (সা.)। দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় জাহানে তাঁকে দেওয়া হয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ মাকামে মাহমুদ৷
উভয় জাহানের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে ভালোবাসার তো অগণিত কারণ রয়েছে। কিন্তু তাঁকে ভালোবাসার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, তাঁর মাধ্যমেই আমরা আল্লাহর হিদায়াতের বানী পেয়েছি।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তায়া’লা বলেন-
“অবশ্যই আল্লাহ্ মুমিনদের উপর অনুগ্রহ করেছেন, যখন তিনি তাদের মধ্য থেকে তাদের প্রতি একজন রাসুল পাঠিয়েছেন, যে তাদের কাছে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করে আর তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে ছিল।” (সুরা আলে ইমরান:১৬৪)
সুতরাং এটি দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে, রাসূল (সা.) আমাদের সকল প্রকার ভ্রান্তি থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছেন। সমগ্র সৃষ্টি জগৎকে তিনি অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন এবং তাঁর মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হিকমা, প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ জীবনবিধান আল-কুরআন।
সুতরাং সেই শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে আমাদের জীবনের চেয়েও আমরা বেশি ভালোবাসি। তাই মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার চেষ্টা, কোনো মুমিন ব্যক্তি কখনোই সহ্য করতে পারে না৷
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর অবমাননা এবং তাঁকে বিদ্রূপ করার অধিকার কোনো জীন-মানবজাতি কিন্বা সৃষ্টি জগতের কারো নেই। যারা রাসূলকে অবমাননা এবং তাঁর নামে বিদ্রূপ করবে নিঃসন্দেহে তাদের পরিণাম হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করলে, সে মুরতাদ বা ধর্মত্যাগি এবং কাফির হিসেবে বিবেচিত হবে।
এ বিষয়ে কুরআন মাজীদে বলা হয়েছেঃ
“আর আপনি তাদেরকে প্রশ্ন করলে অবশ্যই তারা বলবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেলা-তামাশা করছিলাম। বলুন,‘তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে বিদ্রূপ করছিলে তোমরা ওজর পেশ করো না।তোমরা তোমরা ঈমান আনার পর কুফরী করেছ। আমরা তোমাদের মধ্যে কোন দলকে ক্ষমা করলেও অন্য দলকে শাস্তি দেব-কারণ তারা অপরাধী।” [সুরা তাওবাহঃ ৬৪-৬৬]
সুতরাং এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই, যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার চেষ্টা করবে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে। তাদের কাফের বা মুরতাদ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
যে বা যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করবে। দুনিয়াতে তারা আল্লাহর লানৎ প্রাপ্ত এবং আখিরাতে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে৷
এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে-
“নিশ্চয় যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ্ তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখিরাতে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।” [সুরা আহযাব: ৫৭]
রাসুলুল্লাহ্ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার চেষ্টা এবং তাঁর নামে বিদ্রূপ করার মাধ্যমে, তাঁকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেওয়া হয়। এ বিষয়ে হাদীসে ভয়ানক এক ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন-
“এক ব্যক্তি নাসারা (খ্রিস্টান) ছিল সে ইসলাম গ্রহণ করল এবং সুরা আল-বাকারা ও আল ইমরান শিখে নিল। সে রাসূল (সা.)-এর নিকট কেরানীর কাজ করত। কিন্তু সে পুনরায় নাসারা হয়ে গেল এবং বলতে লাগল মোহাম্মদ আমি যা লিখি তাই বলে, এর বাহিরে সে আর কিছুই জানে না।
এরপর সে মারা গেল, তখন তার সঙ্গীরা তাকে দাফন করল, সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে৷ তখন নাসারারা বলতে লাগল, মোহাম্মদের সঙ্গীরা এই কাজ করেছে; কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করেছিল।
তখন তারা আরো গভীর করে কবর খনন করে তাকে আবার দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে। তখন তারা বলল, এটা মোহাম্মদ এবং তার সঙ্গীদের কাজ, কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে এসেছিল।
তারা আবার আরো গভীর করে কবর খনন করল এবং তাকে দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ আবার বাইরে পড়ে আছে, তখন তারা বুঝল, এটা কোনো মানুষের কাজ নয়, তখন তারা তার লাশ বাইরেই পড়ে থাকতে দিল।” [বুখারী ও মুসলিম]
অবমাননাকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। যদি কোনো ব্যক্তি বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, যে কেউ মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করেছে। তবে তাকে মুরতাদ হিসেবে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। এ বিষয়ে উম্মাতের সকল আলেম একমত হয়েছেন।
রাসুল (সা.) বলেছেন-
“যে ব্যক্তি তার দ্বীন (ইসলামকে) পরিবর্তন করলো তাকে তোমরা হত্যা কর।” [বুখারী, তিরমিযী ]
রাসূল, মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা বা তাঁকে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রূপ করার কারণে একজন সাহাবী (রাঃ) তাঁর নিজ দাসীকেও হত্যা করেছিল এবং রাসুল (সা.) তা জেনে খুশি হয়েছেন। যেমনটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন-
“একজন অন্ধ ব্যক্তির একটি উম্মে ওয়ালাদ (যে দাসীর গর্ভে মালিকের সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে) দাসী ছিল। ঐ দাসী মোহাম্মদ (সা.) কে অযথা কটূক্তি করতো। অন্ধ ব্যক্তি তাকে বিরত থাকার নির্দেশ দিতেন ও নিবৃত করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু দাসী কিছুতেই বিরত হতো না। এক রাতে ঐ দাসী রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি ও গালি-গালাজ করতে লাগলো। তখন লোকটি একটি কোদাল দিয়ে তার পেটে আঘাত করলো এবং তাকে হত্যা করলো। এ অবস্থায় তার একটি সন্তান তার দু’পায়ের মাঝখানে পড়ে গেল এবং রক্তে ভিজে গেল।
সকাল বেলা মোহাম্মদ (সা.) এর কাছে বিষয়টি জানানো হলে, রাসূল (সা.) লোকজন জড়ো করলেন এবং ঘোষণা দিলেন, আল্লাহর কসম! যে ব্যক্তি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করেছে সে যেন অবশ্যই দাঁড়ায়। তার প্রতি আমারও একটি হক রয়েছে। তখন অন্ধ লোকটি কাঁপতে কাঁপতে মানুষের কাঁতার ভেদ করে রাসুল (সা.) এর কাছে গিয়ে বসে পড়লো। অতঃপর লোকটি বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ঐ ঘটনার ব্যক্তিটি আমি। আমার দাসীটি আপনাকে গালি-গালাজ করতো এবং অযথা তর্কে লিপ্ত হতো। আমি তাকে বারণ করলেও সে বারণ হতো না। তার থেকে আমার মুক্তোর মতো দু’টি ছেলে রয়েছে।
তার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু গতরাতে সে যখন আপনাকে গালমন্দ করতে লাগলো আমি তখন তাকে একটি কোদাল নিয়ে তার পেটে আঘাত করি এবং তাকে হত্যা করি। রাসুল (সা.) উপস্থিত লোকদের বললেন, তোমরা সাক্ষি থাক! তার রক্ত মূল্যহীন ঘোষণা করা হলো (তাকে হত্যা করার জন্য হত্যাকারী অন্যায়কারী হিসেবে বিবেচিত হবে না)।” [আবু দাউদ, ত্বাবারানী]
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননা করার পর, যদি সামর্থ্য থাকার পরও শাস্তি না দেওয়া হয়, তবে গোটা জাতি আল্লাহর গযবে পতিত হবে।
পবিত্র কুরআনের বলা হয়েছ-
“অতএব যারা তার নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে।” [সুরা আন-নূর:৬৩]
বহু নবী ও রাসূলগনের দাওয়াত অবহেলা করার কারনে, অনেক জাতি নিজের ধংস ডেকে এনেছিল। তারা শুধু নবীদের দাওয়াত অস্বীকারই করেনি বরং নবী ও রাসূলগনের প্রতি করেছিল নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকান্ড৷ ফলে অনেক নবী ও রাসূলগনের জাতিতে আল্লাহ্ তায়া’লা ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।
হযরত নুহ (আ.) এবং হযরত লুত (আ.) এর কথা হয়তো আপনাদের মনে থাকবে। সেই ইতিহাস আজও আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, নবীদের অবমাননা করায়, কি ভয়াবহ পরিনামেই না সেই জাতিরা পতিত হয়েছিল। আফসোস, তবুও মানুষ তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে না।
যারা মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার কাজে জড়িত থাকবে তাদের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। আল্লাহ তায়া’লা বলেন-
“আর যে তোমাদের মধ্য থেকে তার দ্বীন থেকে ফিরে যাবে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করবে। বস্তুত এদের আমলসমূহ দুনিয়া ও আখিরাতে বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং তারাই আগুনের অধিবাসী।” [সুরা বাকারা:২১৭]
“আমরা জানি, মক্কার কাফেরেরা রাসূল (সা.) কে বিভিন্ন ভাবে কষ্ট দিত। এরা বাড়িতেও রাসূলুল্লাহ (সা.) কে নিশ্চিন্তে থাকতে দিত না। তিনি যখন নামাজ পড়তেন, এরা তখন ওপর থেকে ছাগলের নাড়িভূড়ি তাঁর গায়ে নিক্ষেপ করতো। কখনো তাঁর বাড়ির আঙিনায় যখন রান্নাবান্না হতো, এরা রান্নার হাড়ির মধ্যে ময়লা ছুঁড়ে দিতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) বাইরে এসে তাদেরকে বলতেন, হে বনী আবদে মান্নাফ! এ কেমন প্রতিবেশীসূলভ আচরণ?
আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মে জামীল (আবু সুফিয়ানের বোন) প্রতি রাতে নবী (সা.)-এর ঘরের দরজার সামনে কাঁটাগাছের ডাল-পালা ছড়িয়ে রেখে দিতো। এটা ছিল তার প্রতিদিনের স্থায়ী আচরণ। যেন রাসূল (সা.) বা তাঁর শিশু সন্তানরা বাইরে বের হলে, তাদের পায়ে কাঁটা বিঁধে যায়।” [বায়হাকী, ইবন আবী হাতেম, ইবনে জারীর ও ইবনে হিশাম]
আমরা জানি, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননা করায় আবু লাহাবের ছেলের কি করুন মৃত্যুই না হয়েছিল। ইতিহাসে তা এভাবে বর্ণিত হয়েছে-
“নবুওয়াত লাভের পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দুই মেয়েকে আবু লাহাবের দুই ছেলে উতবা ও উতাইবার সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। নবুওয়াতের পরে যখন রাসূল (সা.) ইসলামের দিকে দাওয়াত দিতে শুরু করেন। তখন আবু লাহাব তারা দুই ছেলেকে বলে, তোমরা মুহাম্মাদের (সাঃ)-এর মেয়েদের তালাক না দিলে, আমার পক্ষে তোমাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত হারাম হয়ে যাবে। কাজেই দু’জনেই তাদের স্ত্রীদের তালাক দেয়।
উতাইবা জাহেলিয়াতের মধ্যে খুব বেশি অগ্রসর হয়ে যায়। সে একদিন রাসূল (সা.) সামনে এসে বলে, আমি তোমাকে অস্বীকার করছি। একথা বলে, সে তাঁর দিকে থুথু নিক্ষেপ করে। কিন্তু থুথু তাঁর গায়ে লাগেনি। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, হে আল্লাহ! তোমার কুকুরদের মধ্য থেকে একটি কুকুর এর ওপর চাপিয়ে দাও। এরপর উতাইবা তার পিতার সঙ্গে সিরিয়া সফরে রওয়ানা হয়।
সফরকালে রাতে তাদের কাফেলা এক জায়গায় অবস্থান করে। স্থানীয় লোকেরা জানায়, সেখানে রাতে হিংস্র জানোয়ারদের আনাগোনা হয়। আবু লাহাব তার কুরাইশী সাথীদের বলে, আমার ছেলের হেফাজতের ভালো ব্যবস্থা করো। কারণ আমি মুহাম্মাদের (সা.) বদ দোয়ার ভয় করছি।
একথায় কাফেলার লোকেরা উতাইবার চারদিকে নিজেদের উটগুলোকে বসিয়ে দেয় এবং তারা নিজেরা ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে একটি বাঘ আসে। উটদের বেষ্টনী ভেদ করে উতাইবাকে ধরে এবং সেখানেই তাকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে খেয়ে ফেলে।” [আল ইসতিআব লি ইবনে আবদিল বার, আল ইসাবা লি ইবনে হাজার]
আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাসুলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার শাস্তি খুবই কঠিন ও নিশ্চিত হবেই৷ মহান আল্লাহ যাঁর সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন, তাঁর মর্যাদা ও সম্মান কখনোই ছোট বা খাট করা সম্ভব নয়।
হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা ও রাসূল। তাঁকে দান করা হয়েছে, দুনিয়া ও পরকাল উভয় জাহানের শ্রেষ্ঠত্ব। যারা তাঁর রাসূলের শানে বেয়াদবি করেছে, মহান আল্লাহ তায়ালা যুগের পর যুগ তাদের কঠিন শাস্তি দিয়ে নমুনা দেখিয়েছেন।
তারপরও নাস্তিক কাফেরা থেমে নেই৷ প্রকৃত অর্থে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কেই এদের সমান্যতম ধারনা নেই৷ এদের চোখ, কান ও মস্তিষ্কের সাথে জাহিলিয়াতের কোনো পার্থক্য আছে বলে, আমি মনে করি না। বরং আমার তো মনে হয়, এরা তার চেয়েও অতিনিকৃষ্ট।
প্রিয় পাঠকগণ সবশেষ বলতে চাই, আমাদের জীবনের চেয়ে বেশি প্রিয় হলেন রাসুলুল্লাহ (সা.)। সুতরাং যারা হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করেছে বা করার চেষ্টা করেছে। আমরা তাদের কঠোর ভাবে ঘৃনা ও নিন্দা জানাই এবং বিচার চাই৷ রাষ্ট্রীয় ভাবে এদের মৃত্যুদন্ডের কঠোর আবেদন জানাচ্ছি। কেননা, রাষ্ট্রের উপর তাদের বিচার করা, ওয়াজিব।
এদের জন্য মহান আল্লাহ কাছে একটি প্রার্থনা করতে পারি, হয় তিনি তাদের হেদায়েত দান করুক, হেদায়েত কপালে না থাকলে, শতাব্দীর পর শতাব্দীর নিদর্শন হিসেবে ধংস করে দিক৷ আমিন।
লাখো কোটি দরুদ ও সালাম রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি।
তথ্য সহায়তাঃ
মন্তব্য লিখুন