ইলুমিনাতি নিয়ে অনলাইন বা সোশ্যাল মিডিয়া জগতে সবার আগ্রহের যেন একটি বিশেষ দৃষ্টি লক্ষ্য করা যায়। ইন্টারনেট কিংবা অনলাইন মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বহু ভিডিও, অডিও ও প্রবন্ধ রচনা হয়েছে। ফলে কমবেশি সবাই এখন ইলুমিনাতি সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন। তাই ইলুমিনাতির ইতিহাস বা কাহিনি এখানে বিস্তারিত বর্ণনা করতে অনিচ্ছা পোষন করছি। কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে আপনার কাছে এমন একটি গুপ্ত সংগঠনের ভিত্তি কেমন হওয়া উচিত ছিল? ইলুমিনাতি সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি কি হতে পারে? এ বিষয়ে কি এখন আমাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন নয়?
তাই আলোচ্য প্রবন্ধে ইলুমিনাতি সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। ইলুমিনাতি বা গুপ্ত সংঘঠনের যে নাম আমরা আজ ব্যাপক ভাবে শুনতে পাচ্ছি, এর সঠিক অস্তিত্ব নিয়ে এখনও গবেষণা হচ্ছে। তাই আহরিত তথ্য, বিচার, বুদ্ধি, বিবেচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে এরকম একটি গোপনীয় সংগঠনের অস্তিত্বের সত্যতা বা সঠিকতা যাচাই করা বেশ কঠিন। আর অস্তিত্ব থাকুক বা না থাকুক এদের মত সকল দলের গোপন কার্যক্রম থেকে আপনি, আমি কি সতর্ক থাকবো না? তবে চলুন সবাই একজন মুসলিম হিসেবে এ বিষয়ে আমাদের বিশ্বাস, দায়িত্ব ও সতর্কতা বুঝে নেওয়া যাক, ইংশাআল্লাহ্।
ইংরেজিতে Illuminati বাংলা উচ্চারণ ইলুমিনাতি। বিশ্বে এটি একটি গুপ্ত সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ধারণা করা হয়, ১ মে ১৭৭৬ সালে, ইঙ্গলস্ট্যাডে (উচ্চ বাভারিয়া) এটি প্রতিষ্ঠা করেন খ্রিস্ট ধর্মে দীক্ষিত অ্যাডাম ওয়েইশপ্ট। যিনি ছিলেন ইঙ্গলস্ট্যাড বিশ্ববিদ্যালয়ের “ক্যাথলিক গির্জা আইন” বিভাগের প্রথম অধ্যাপক। তবে তিনি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন বলে জানা যায় না। ইলুমিনাতি নামক এই সংগঠনটির সর্বপ্রথম সদস্য ছিলেন ওয়েইশপ্ট নিজে এবং তার ৪ জন ছাত্র। “আউল অব মিনার্ভা” ছিলো তখন সংগঠনটির প্রতীক। [ইউকিপিডিয়া]
ধীরে ধীরে এই গুপ্ত সংগঠনের মাঝে অনেক পরিবর্তন আনা হয় এবং তাদের মতাদর্শের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে ইলুমিনাতির প্রতীক বা চিহ্ন হিসেবে পিড়ামিড, ত্রিভুজের মাঝে একচোখ, রক সাইন এসব ব্যবহার করা হয়। এখন প্রশ্ন হলো, এই ইলুমিনাতির লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কি?
বলা হয়ে থাকে, এই গুপ্ত সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য হলো পৃথিবী থেকে ধর্মের প্রভাব দূর করা এবং মানব রচিত আইন প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ পৃথিবীতে যে সকল ধর্মীয় অনুশাসন রয়েছে, সে সকল অনুশাসন ধ্বংস করে দেওয়া বা ধর্মের আইন-কানুন পরিবর্তন করে মানব রচিত আইন ও মতাদর্শের মাধ্যমে ধর্মকে পরিচালিত করা, এককথায় মানব রচিত নতুনধর্ম প্রতিষ্ঠা করা।
ইসলাম একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন-বিধান। মহান আল্লাহ তায়া’লার কাছে একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম হলো ইসলাম৷ তাই ইসলামের প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত পরিস্কার বা সুস্পষ্ট। উপযুক্ত তথ্য ও বিশুদ্ধ দলিলের আলোকে এই জীবনবিধান পরিচালিত। তাই অস্পষ্টতার কোনো স্থান ইসলামের কোথাও নেই। ইসলাম যেমন কোন গুপ্ত বিষয় নয়। তেমনি কোনো গুপ্ত বিষয়কে আশ্রয় বা প্রশ্রয়ও দেয় না৷ তাই যেকোনো গুপ্ত সংগঠন নিয়ে ইসলামের বিধান স্পষ্টভাবেই অগ্রহণযোগ্য।
আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা ইলুমিনাতি নিয়ে আলোচনা করছি। যেহেতু আমরা ইলুমিনাতি বলতে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি গুপ্ত সংগঠনকেই বুঝি। কেননা প্রকাশ্যে কখনোই আজ পর্যন্ত এদের দেখা গিয়েছে বলে জানতে পারিনি। তবে আহরিত তথ্যের সাহায্যে আমরা এদের সম্পর্কে যা কিছু জানতে পারি নিঃসন্দেহে এ সকল কর্মকান্ড চরম ইসলাম পরিপন্থী ও ইসলাম বিদ্বেষী৷
যেমন বলা হয়ে থাকে, এদের অন্যতম প্রধান কাজ হলো বিশ্বে অশ্লীলতার প্রসার, উত্তেজিত গান-বাজনা, সমকামিতা, অবাদ যৌনচার, পরকিয়া, আত্মহত্যা কে বৈধতা প্রদান এবং এমন সব ব্যাকিং ব্যবস্থার প্রচল করা যেখানে সুদের মাধ্যমে লেনদেন করা হবে। কিংবা অতিরিক্ত মাত্রায় অর্থ-সম্পদ বা সুদের প্রতি লোভের প্রসার ঘটানো। এককথায় এ সকল বিষয়কে মানুষের মাঝে এমন ভাবে উপস্থাপন করা, যেন এসকল বিষয় প্রত্যাহিক জীবন অতি সাধারণ অংশবিশেষ মাত্র! এর কোনো প্রভাব বা ভয়াবহতা দুনিয়া বা পরকালে নেই! আর এমন মনোভাব সৃষ্টিকরা বা প্রকাশ করাই হচ্ছে ইলুমিনাতির মূল লক্ষ্য।
কেননা এসকল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই তাঁরা মানুষদের ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। এক একসময় ধর্মীয় কোনো ভয়ভীতি তার মাঝে আর কাজ করে না, ফলে সে হয়ে যায় পথভ্রষ্ট। নির্দিষ্ট করে ইলুমিনাতি সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে কিছু জানা যায় না। কেননা পবিত্র কুরআন ও হাদিসের কোথাও ইলুমিনাতি শব্দটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এটি শুধুমাত্র একটি মানব রচিত গুপ্ত সংগঠন হতে পারে, যারা হলো শয়তানের পদার্পণকারী।
যেহেতু নির্দিষ্ট করে ইসলাম থেকে ইলুমিনাতি শব্দের কোনো ব্যাখ্যা জানা যায় না। তবে আমরা এই গুপ্ত সংগঠনের সকলপ্রকার কর্মকান্ড ইসলামি শরী’আতের আলোকে ব্যাখ্যা করতে পারি। এককথায় তাদের এক একটি অপকর্মের পরিনাম বা ভয়াবহতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। প্রবন্ধের সংকীর্ণতার খাতিরে আমরা এখানে শুধু মূল বক্তব্যটি তুলে ধরতে চাই। আপনারা নিজেরাও এ বিষয়ে ঘৃন্যতা প্রকাশ করবেন। কারণ তাদের সকল কর্মকান্ডই জঘন্য এবং মানুষকে তা ভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যায়৷
তবে একটি কথা! আমরা শুধুমাত্র কেন ইলুমিনাতি নামক একটি গুপ্ত সংগঠনকে নিয়ে বিশ্লেষণ করছি? যারা, যে সকল অপকর্মের মাধ্যমে পৃথিবীকে সভ্যতার অন্তরালে জাহিলিয়াত বা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট করে ইলুমিনাতি নয় বরং ইসলাম বিদ্বেষী সকল দল, উপদল, ধারা এদের দলভুক্ত বা সামিল। আচ্ছা আপনি একটু ভেবে দেখুন! আজ আমরা ইহুদি-নাসারাদের দ্বারা কতটা বেশি প্রভাবিত?
আরও পড়ুনঃ এলিয়েন সম্পর্কে ইসলাম: পবিত্র কুরআনের আলোকে এলিয়েনের অস্তিত্ব!
আপনি হয়তো ভাবছেন! এরা তো গোপনে কাজ করে বা গোপনে ধর্মীয় অনুশাসন ধ্বংসের কাজ করে যাচ্ছে৷ হ্যা, এটা আমিও ভাবছি! কিন্তু নির্দিষ্ট করে একটি মাত্র গুপ্ত দলকে নিয়েই কেন ভাবছেন? আমাদের আশে পাশে প্রকাশ্যে হাজারও অশ্লীলতা বা অপকর্ম ঘটছে, যা আপনি প্রত্যহ শুনতে ও দেখতে পাচ্ছেন। নির্দিষ্ট করে কখনো কি তার প্রতিবাদ করেছেন? অথচ গুপ্ত বিষয়কে নিয়ে কতটা বেশি আমাদের আগ্রহ! মূলত এসবকিছুই আমাদের প্রকাশ্যে হাসিল হচ্ছে। কিন্তু আমরা আজ তাদের দাসত্বে পরিনত হয়ে গেছি। তাই এই চক্ষু দিয়ে আমরা এসব দেখতে বা উপলব্ধি করতে পারছি না।
আপনি হয়তো এখন বলবেন এর পিছনেও ইলুমিনাতির হাত রয়েছে!! কিন্তু ভাই, এভাবে যদি ভাবেন, তবে দেখবেন আমাদের সবাইকে আজ ইলুমিনাতি তাদের দখলে নিয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যেই। কেননা তাদের এ সকল চক্রান্ত, অশ্লীলতা ও অপকর্ম এখন আর আমাদের কাছে অপরিচিত কিছু মনে হয় না বরং এটাই যেন এখন প্রত্যাহিক জীবনের অংশ ও আধুনিক সভ্যতা। আসতাগফিরুল্লাহ্।
মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেছেন-
“আর ইয়াহুদী ও নাসারারা আপনার প্রতি কখনো সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ না আপনি তাদের মিল্লাতের অনুসরণ করেন।”[ সূরা বাকারাহ: ১২০]
আমাদের এই ধারণা নিতান্তই মারাত্মক ভুল যে, ইলুমিনাতির আসল লক্ষ্য পৃথিবীতে সকল ধর্মের প্রভাব ধ্বংস করে মানব রচিত আইন প্রতিষ্ঠা করা ও সবাইকে ভোগবিলাসীতা এবং দুনিয়ামূখী করা! আমরা কি ভুলে গেলাম ইলুমিনাতির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা নিজেই একজন ক্যাথলিক ধর্ম যাজক। তাহলে কোথা থেকে সকল ধর্মের প্রভাব কমানের চিন্তা আসতে পারে?
একমাত্র ইসলাম পৃথিবীতে মহান স্রষ্টার মনোনীত ধর্ম৷ ইসলাম ব্যতীত সকল ধর্মের মধ্যে মানব রচিত আইন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে ১৪৪০ বছর আগেই। তাই একমাত্র ইসলাম ধর্ম ব্যতিত পৃথিবীর সকল ধর্মই মানব রচিত আইনের উপর দাঁড়িয়ে আছে। তাহলে ধর্মের প্রভাব দূর করার অর্থ কি একমাত্র ইসলাম ধর্ম থেকে মানুষদের পথভ্রষ্ট করার লক্ষ্য নয়?
মহান আল্লাহ তায়া’লার উক্ত আয়াতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়, আপনাকে তারা ধর্মথেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেখবেন আপনি তাদের পদার্পণ অনুসরণ করুন, তাহলে আপনি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত, স্মাট ও আধুনিক। নতুবা আপনি তাদের মত আধুনিক হতে পারেন নি। এর বাস্তবিক প্রমাণ আপনার আশেপাশে থাকা বন্ধু-বান্ধব থেকেই পেয়ে যাবেন, শুধু একটু ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখবেন তবেই হবে।
আমরা বলতে চাই, ইলুমিনাতি নতুন করে নির্দিষ্ট কোন দল বা উপদল নয়। বরং শয়তানের অনুসারী বা পথভ্রষ্ট সকল দলগোষ্ঠীরা ইসলামের জন্মথেকেই মুসলিম যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরীদের পথভ্রষ্ট করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। তাই শুধু ইলুমিনাতি নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা করার কিছু নেই।
দেখুন আজ আমরা ইলুমিনাতি কি? ইলুমিনাতি কারা? দাজ্জালের এক চোখ, তাই ইলুমিনাতির প্রতীক বা চিহ্নে এক চোখ রয়েছে!! শয়তানের শিং তাদের প্রতীক!! এসবের বাস্তবিক কোনো দলিল নেই। বরং সকলপ্রকার গুপ্ত সংগঠন বা ইলুমিনাতি সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট।
তবুও শয়তান, দাজ্জাল ও ইলুমিনাতির মধ্যে সম্পর্ক কি? এ সকল বিষয় নিয়ে আমরা আজ ব্যাপক ভাবে অনলাইনে গবেষণা শুধু করে দিয়েছি। অথচ পবিত্র কুরআন ও রাসূল (সা.) এর হাদিস ভালো করে অধ্যায়ন করলে দেখবেন এ সকল বিভ্রান্তির উত্তর ও সমাধান ১৪০০ বছর আগেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা আজ ধর্মীয় কিতাব পড়ার সময় পাচ্ছি না।
ইলুমিনাতি বা গুপ্ত সংগঠনের কার্যক্রম নতুন কিছু নয়। তাই যদি আলাদা করে কোনো মানুষকে ইলুমিনাতির সদস্য ভেবে থাকেন তবে ভুল করবেন? কেননা ইসলামের জন্ম থেকেই লোভ, নেশা, আসক্তি, অশ্লীলতা ও অপকর্মের মাধ্যমে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা চলছে। দেখবেন, তারা আপনার জন্য এমন কিছু উপহার দিবে যা আপনাকে সাময়িক ভাবে আনন্দ বা খুশি করবে। কিন্তু কেড়ে নিবে ইমান, আমল ও আকিদা।
আপনি আমি হয়তো এখন ইলুমিনাতি নিয়ে গবেষণা করছি, অথচ নিজের ধর্মীয় কিতাব নিয়ে গবেষণা করার মত সমান্য সময় অনেকেই পাচ্ছি না। তাহলে এই বিষয়টি কি আপনার ধর্মীয় বিষয়ের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পেল না? এককথায় এসকল বিষয় নিয়ে আপনার অতিরিক্ত গবেষণাটাও সময়ের মারাক্তক অপচয় ও কর্মবিমুখতা। প্রত্যেক মু্মিন মুসলমানের জীবনে সময়ের মূল্যটা কিন্তু অনেক বেশি৷
তাই ইলুমিনাতি কি বা কারা? এ নিয়ে না ভেবে আসুন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে অশ্লীলতা ও অপকর্ম দূর করার চেষ্টা করি। সতর্ক থাকি, প্রয়োজনে মূল্যবান সময় অপচয়ের সকল প্রকার মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেই। ইমানের আলোয় দীপ্ত করি মন ও মস্তিষ্ক।দেখবেন সকল প্রকার শয়তানি কুমন্ত্রণা এবং ইহুদী-নাসারারা বা কথিত ইলুমিনাতি কখনোই আপনার নাগাল পাবে না৷
আমরা কথিত ইলুমিনাতি সম্পর্কে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধারা চেষ্টা করেছি। তাই এখন বলছি ইলুমিনাতি কি? ইলুমিনাতি কারা? এদের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কি? শয়তান, দাজ্জালের সাথে এদের সম্পর্ক কি? এসব নিয়ে ভেবে আর সময় নষ্ট করবেন না প্লিজ। এই সময়টা ভালো কিছুতে দিন, পড়ুন বা জানুন। কেননা এসকল কিছু অস্পষ্ট, বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য। তাই নিজেকে সকল প্রকার ফিতনা থেকে মুক্তি দিতে স্রষ্টাকে নিয়ে ভাবুন, স্রষ্টার সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করুন পবিত্র কুরআন, সহিহ হাদিসের আলোকে।
[ বি.দ্রঃ ইসলামি দৃষ্টিকোন থেকে প্রবন্ধটি আমার একান্তই নিজস্ব বিশ্লেষণ। উপযুক্ত তথ্য বা প্রমাণ অথবা উন্নত গবেষনায় প্রবন্ধটি অবশ্যই সংস্কারণের দাবি রাখে ]
মন্তব্য লিখুন