মহান আল্লাহ তায়া’লা যা কিছু আমাদের জন্য হালাল করেছেন, তা নিয়ে কোনো মুমিন ব্যক্তি কখনোই সন্দেহ পোষণ করতে পারে না৷ নিঃসন্দেহে এর মাঝে রয়েছে কোনো না কোনো বিশেষ কল্যান নিহিত, যা আপনি আমি বুঝতে পারি বা না পারি। অনেক সময় কিছু নাস্তিকতাবাদী মানুষ এ প্রশ্ন তুলে থাকে ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা কিভাবে জায়েজ ঘোষণা করা হলো? তাদের মন্তব্য, এটি কি মানুষের প্রতি আল্লাহর অবিচার নয়? আসতাগফিরুল্লাহ, মহান আল্লাহর স্বীকৃতির উপর তাদের কি মারাত্মক ধরনের অভিযোগ একটু চিন্তা করে দেখুন!
আমার বক্তব্য- দূর্বল মানবীয় এই চিন্তা-চেতনা নিয়ে যদি কেউ আল্লাহর সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল ধরার চেষ্টা অহরহ করেই যায়, তাহলে নাস্তিক ছাড়া তাকে অন্য কিছু বলায় ভাষা আর থাকতে পারে না। যাই হোক, চলুন তবে এই বিষয়টি নিয়ে পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে একটু পর্যালোচনা করে দেখা যাক। তবে আগেই বলে রাখছি, মহান আল্লাহর সিদ্ধান্ত অতি সুক্ষ্ম ও নিখুত। আর মানবীয় চিন্তা চেতনা, সিদ্ধান্ত বড়ই দূর্বল। তাই প্রত্যেক মুসলিমের চাই ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও বিশুদ্ধ জ্ঞান।
কোনো প্রকার লজ্জা ও আপত্তি ছাড়াই আমরা মুসলিমরা এটি স্বীকার করি যে, ইসলামে দাসপ্রথা হারাম নয়। বরং শরিয়তে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ইসলামে দাসপ্রথা অবশ্যই হালাল অর্থাৎ জায়েজ। বিশেষ করে জিহাদের সময় মুসলিম মুজাহিদগণ যখন কাফিরদের কোনো অঞ্চল জয় করে নেয়, তখন সেখানকার যুদ্ধবন্দী এবং তাদের নারী ও শিশুদেরকে দাস-দাসী হিসেবে মুজাহিদদের মাঝে বণ্টন করা ইসলামে জায়েজ রয়েছে।
এ সম্পর্কে শাইখ আশ শানকীতি (রহ.) বলেন-
“দাসত্বের কারণ হলো কুফর এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। মুসলিম মুজাহিদীন তাঁদের জীবন ও সম্পদ সঁপে দিয়ে আল্লাহর পথে সর্বস্ব ও সর্বশক্তি দিয়ে আল্লাহর কালামকে সমুন্নত করতে যুদ্ধ করেন। আল্লাহ যখন তাঁদেরকে কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেন, তখন তাদেরকে দাসত্বের মাধ্যমে তাঁদের অধীন করে দেন, যদি না মুসলিমদের বৃহত্তর কল্যাণার্থে শাসক তাদেরকে মুক্তিপণের বিনিময়ে অথবা মুক্তিপণ ছাড়াই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।” [আদওয়া আল বায়ান, ৩/৩৮৭]
আর কাফিরদের জন্যও এটি উপকারী যে, তারা এর মাধ্যমে ইসলামি পরিবেশে চলে আসতে পারে। ফলে ইসলামের বিরুদ্ধে তার কর্মকাণ্ডের সুযোগ অনেক সীমিত হয়ে যায়। আর তারা ইসলামকে কাছ থেকে দেখতে ও শিখতে পারে। ফলে আল্লাহ তাদের অন্তরকে ইসলামের দিক ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আর এর মাধ্যমে তাদের আখিরাতে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথও খুলে যায়।
যেমন, বনু মুস্তালিকের যুদ্ধে যুদ্ধবন্দীদের মধ্য হতে একজন নারীকে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা.) বিবাহ করে নেন। ফলে তাঁর মর্যাদা অনেক উন্নত হয়ে যায়। অর্থাৎ উম্মাহাতুল মুমিনীন বা মুমিনদের মাতাগণের মধ্যে তিনি একজন হিসেবে পরিগণিত হন। তাঁর নাম ছিল জুয়াইরিয়া বিনতে হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা।
ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা মূলত যুদ্ধ নির্ভর। জাহিলিয়াত বা অন্য কোনো জাতির মত বাজারে মানুষ ক্রয়-বিক্রয়ের সাদৃশ্য নয়, যা সাধারণত ক্রীতদাস-দাসী হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ইসলাম যুদ্ধ বা জিহাদের পর গণিমত হিসেবে লাভ করা দাস-দাসীর কথা বলেছে। আর এভাবে লাভ করা দাসীর সাথে মনিবের বিবাহ ছাড়াই সহবাস হালাল করেছেন। কেননা এর মাধ্যমে তারা কিছুটা স্ত্রীরমত মর্যাদা পেয়ে যায়। তবে দাসী কখনোই স্বাধীন স্ত্রীরমত নয়, কেননা স্বাধীন স্ত্রী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তুলে আনা কোনো অপরাধী বা বন্দী নন। তাই তাঁর মর্যদা দাসীর চেয়ে অবশ্যই বেশি।
তবে মহিলা মনিবের সাথে দাসের সহবাস জায়েজ বা হালাল নয়। সে (দাস) বিভিন্ন কাজে মালিকের সেবক হিসেবে কর্মরত থাকবে। কেননা একজন স্ত্রীর একাধিক পুরুষের সাথে মিলন বা সহবাস হতে পারে না। পুরুষের জন্য ব্যাপারটি ঠিক বিপরীত, আর এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যেহেতু মুজাহিদ তাঁর গণিমতের অংশ হিসেবে দাসীকে পেয়ে থাকেন, তাই তার সাথে বিবাহিত হওয়া জরুরি নয়। তিনি মনিব হওয়ার অধিকারের মাধ্যমেই দাসীর সাথে স্ত্রীর মত আচরণ অর্থাৎ ইচ্ছে করলে সহবাস করতে পারেন। তবে নারীটি গর্ভবতী নয় এমনটি নিশ্চিত হওয়ার পর তার সাথে মনিব সহবাস করতে পারবেন।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়া’লা বলেন-
“আর যাঁরা তাদের নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজতকারী, তবে তাদের স্ত্রী ও তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে তারা (অর্থাৎ দাসী) ছাড়া। নিশ্চয়ই এতে তাঁরা নিন্দিত হবে না।” [সূরা মুমিনুন: ৫-৬]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাসির (রহ.) বলেন-
অতঃপর মুমিনদের আরেকটি বিশেষণ বর্ণনা করা হচ্ছে যে, যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, নিজেদের স্ত্রী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত। অর্থাৎ যারা ব্যভিচার, লাওয়াতাত ইত্যাদি দুষ্কর্ম থেকে বেঁচে থাকে। তবে যে স্ত্রীদেরকে আল্লাহ তায়া’লা তাদের জন্য বৈধ করেছেন এবং জিহাদের মাধ্যমে যে দাসী লাভ করা হয়েছে, যা মহান আল্লাহ তাঁদের জন্য হালাল করেছেন। তাই তাদের সাথে মিলনে কোন দোষ নেই।” [তাফসীর ইবনে কাসির, উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]
অনেক নাস্তিক্যবাদীরা মারাত্মক অভিযোগ করে থাকে ইসলামে দাস-দাসীর প্রথাকে চালু করে নারীকে নাকি অনেক অবমাননা করা হয়েছে। এটা তাদের চরম মূর্খতা ও নির্বুদ্ধিতার কথা। কেননা ইসলাম এ দাস প্রথার মাধ্যমে কাফিরদের ইসলামের সাথে পরিচিত হওয়ার এবং হেদায়েতের পথে চলার এক সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। তাই অনেক দাস-দাসী যখন ইসলামের বার্তা গ্রহণ করেছিল, তখন তাদের সবাইকে স্বাধীন বা মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। তবে কোন মুজাহিদরা কখনোই তাদের জোর করে ইসলামগ্রহণ করতে বাধ্য করেননি। কেননা জোর করে ধর্মগ্রহণ এটা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বরং তারা মুজাহিদদের (মনিব) মাধ্যমে ইসলামের আদর্শ ও সৌন্দর্য দেখে মুসলিম হয়ে গিয়েছিল।
এমন একটি প্রমাণও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে, মুসলিমরা তাদের অধিনস্থ দাস-দাসীদের জোর করে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করিয়েছিলেন!! আবার নারীদের (দাসী) ক্ষেত্রেও একই বিধান দেখতে পাবেন৷ ইমানদার সকল দাসীকে মুক্ত করে দেওয়া হতো, নতুবা বিয়ে করে স্ত্রীর সমমর্যাদা দেওয়া হতো।
এখনে একটি প্রশ্ন জোর করে বলা হয়, কেন তাদের বন্দী করা হতো এবং দাস-দাসী বানানো হতো? প্রথমত: তারা ছিল কাফিরদের স্ত্রী, ফলে তারাও কাফির ছিল এবং কাফিররা আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ায় মহাপাপী হিসেবেগণ্য হয়েছে। তাই অপরাধী হিসেবে তাদের বন্দী করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত: যুদ্ধে অনেক কাফির নিহত হওয়ায়, তাদের স্ত্রীদের জন্য নিরাপদ কোনো আশ্রয় আর রইল না। ফলে তারা বিভিন্ন অন্যায় বা অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়ার তীব্র সম্ভবনা রয়েছে।
তাই বরং উত্তম পন্থায় তাদের শাস্তি হিসেবে দাসী করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে তাদেরকে একজনের অধীনস্ত করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেই দাসীর সকল ভরনপোষণ মনিবের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে গেল। এমনকি তাকে স্ত্রীর কাছাকাছি মর্যাদাও দেওয়া হয়েছে। এরপর কখনো যদি সেই দাস বা দাসী ইমান আনে, তখন তাকে আর দাসী হিসেবে গণ্য করা হয় না। সে হয় মুক্তি পেয়ে যায়, না হয় স্ত্রীর সমমর্যাদা পায়। প্রকৃত অর্থে এটিই ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা ও বিধান।
আল্লাহ তায়া’লার পবিত্র কুরআন ও রাসূল (সা.)-এর সহীহ হাদিসে দাস-দাসী মুক্ত করার প্রতি মুমিনদেরকে বিশেষ উৎসাহিত করা হয়েছে। যেমন, কোন কারণ ছাড়া এমনিই কোন দাস মুক্ত করা বিরাট সাওয়াবের কাজ। তাই অনেক আর্থিক সামর্থ্যবান ও সামর্থ্যবতী সাহাবাগণ, অন্য মনিবের দাস-দাসী ক্রয় করতেন মুক্ত করে দেওয়ার জন্য।
এমনকি ইসলামে যাকাত ফান্ডের একটি বড় অংশ দাস-দাসী মুক্ত করার জন্য বরাদ্দ থাকে। আবার বিভিন্ন রকম বড় কবীরা গুনাহের কাফফারা হিসেবে দাসমুক্ত করার আদেশ ইসলামে করা হয়েছে। যেমন, অনিচ্ছাকৃত হত্যা, যিহার (জাহিলি যুগে চর্চিত এক প্রকার তালাক), ওয়াদা বা কসম ভঙ্গ করা এবং রমজান মাসে দিনে সহবাস করার গুনাহের কাফফারা হিসেবে দাস-দাসী মুক্ত করার বিধান ইসলামে রয়েছে।
ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা বা বিধানে দাস-দাসীদের প্রতি মনিবের যথাযথ উত্তম আচার-আচরণ করতে বলা হয়েছে। এমনকি মনিবের সাথে দাস-দাসীদের বিশেষ অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। যেমন তাদের জন্য মনিবের অনুরূপ খাদ্য ও পোশাকের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
এক হাদিসে আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন-
“তারা তোমাদের-ই ভাই যাদেরকে আল্লাহ তোমাদের অধীনস্থ করেছেন। তাই যার ভাইকে আল্লাহ তাঁর অধীন করেছেন, সে যেন তাকে তা-ই খাওয়ায় যা সে নিজে খায়। তাকে যেন তা-ই পরায় যা সে নিজে পরে। তার উপর যেন অতিরিক্ত কাজের বোঝা না চাপায়। আর যদি অতিরিক্ত কাজ দিয়ে থাকে তাহলে যেন তাকে সাহায্য করে।”[সহীহ বুখারী: ৬০৫০]
সুবহানাল্লাহ, এই বিধান দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দেয় যুদ্ধের গণিমত হিসেবে ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা বা বিধান কতটা যৌক্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ। তারা অপরাধী এবং দাস-দাসী হওয়া সত্যেও ইসলাম তাদের সাথে কতটা বেশি সৌহার্দপূর্ণ আদর্শ দেখিয়েছে। অথচ যারা নাস্তিক্যবাদী তারা এসব কিছু দেখতে পায় না, মূলত তারা অন্ধ ও বধির তাই দিনের আলোও তাদের কাছে রাতের মত অন্ধকার।
যদিও তারা অপরাধী বা কাফির, কিন্তু যখন তারা দাস-দাসী হিসেবে ইসলামি সমাজে এসে পড়েছে৷ তাই তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্ব ইসলামের অন্যতম অংশ হয়ে গিয়েছে৷ মানুষ হিসেবে তাদের সম্মান রক্ষা করা ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য।
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছিঃ
“যে তার দাসকে নিরপরাধ হওয়া সত্ত্বেও অপরাধের ব্যাপারে অভিযুক্ত করে, তাকে কিয়ামাতের দিন প্রহার করা হবে।”[সহীহ বুখারী: ৬৮৫৮]
অন্য এক সহীহ হাদিসে এসেছে-
হযরত ইবনে উমার (রা.) একটি দাসকে মুক্ত করলেন। তারপর একটি লাঠি বা এমন কিছু তুলে নিয়ে বললেন, এ কাজে এর চেয়ে বেশি সাওয়াব নেই। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছিঃ যে তার দাসকে চড় মারে বা প্রহার করে তার কাফফারা হলো তাকে মুক্ত করে দেওয়া। [সহীহ মুসলিম:১৬৫৭]
ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা বা বিধানগুলো আমাকে খুবই আশ্চর্য করে, তারা দাস হিসেবে থাকা সত্ত্বেও ইসলাম তাদের কতটা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে!!! সর্বদা তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে বলা হয়েছে। সাহাবীদের আলোকে কয়েকটি বাস্তব প্রমাণ দেখুন-
(১) একবার উসমান (রা.) একবার এক দাসের কান মলে দেন। পরে তাকে বলেন প্রতিশোধ হিসেবে যেন সেও তাঁর কান মলে দেয়। দাসটি রাজি না হওয়ায় তিনি বারবার বলতে থাকেন। পরে সেই দাস হালকাভাবে তাঁর কান মললে তিনি বলেন যেন জোরে মলে দেয়, কারণ তিনি আখিরাতে শাস্তির ভয় করেন।
(২) আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রা.)-কে তাঁর দাসের থেকে পার্থক্য করা যেত না। কারণ তিনি দাসের চেয়ে আগে বেড়ে হাঁটতেন না, আর তার চেয়ে ভালো কাপড়ও পরতেন না।
(৩) হযরত উমার (রা.) একবার একদল লোকের পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলেন তারা খাওয়া-দাওয়া করছে অথচ তাদের দাস তাঁদের সাথে খাচ্ছে না। তিনি তাঁদের কড়া ভাষায় তিরস্কার করেন। ফলে তাঁরা তাঁদের দাসকে তাঁদের সাথে খেতে বসিয়েছিল।
(৪) হযরত সালমান (রা.) গভর্নর থাকা অবস্থায় একদিন ময়দা পিষছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন যে, তাঁর দাস একটি সংবাদ প্রেরণের কাজে গেছে। তিনি (রা.) বলেন, তাকে একই সাথে দুটি কাজ দেওয়া আমি সঠিক মনে করি না।
ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা বা বিধানের অন্যতম একটি দিক হলো, কোনো দাস বা দাসী তার মালিকের কাছ থেকে নিজের মুক্তি কিনে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে দাস-দাসীদের সাথে তাদের মনিবের নিজস্ব চুক্তিপত্রও হতে পারে। এটিকে মুক্তির চুক্তিপত্র বা মুকাতাবাও বলা হয়। আর এ চুক্তিপত্র তাদের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে হতে পারে। যেমন অর্থ-কড়ি, সম্পদ বা দাসীর কাছ থেকে সন্তান লাভের মাধ্যমেও হতে পারে।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“…তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায় তাদের সাথে লিখিত চুক্তি করো, যদি জানো যে তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকেও তাদেরকে দান করো…।” [সূরা আন-নুর: ৩৩]
মহান আল্লাহ প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত সুক্ষ্ম বিচার করেছেন। তাই ইসলামের প্রতিটা বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা না নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা নিছক অজ্ঞতা বা মূর্খতার নামান্তর। ইতিহাসে বহু মানুষ ইসলাম নিয়ে তাদের ভুল ধারণা সংশোধন করে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছিল, কেননা ভুল ধরতে গিয়ে পরবর্তীতে তারা কুরআন নিয়ে গবেষণা করেছিল আর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিল।
আর যারা-ই কুরআন ও হাদিসের বিশুদ্ধ জ্ঞান রাখে না, তারা মুসলিম হলেও ইসলাম নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে চরম মূর্খতার পরিচয় দিয়ে থাকে।মনাবঅধিকারের নামে এরকম অনেককে দেখতে পাবেন। যা ইসলামের অনেক বিধান নিয়ে অভিযোগ তুলে রাখে। আফসোস তাদের জন্য!
আমরা ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা বা বিধানের এ বিষয়টি নিয়ে প্রথমে-ই কিছুটা আলোকপাত করেছিলাম। তারপরও হয়তো বিষয়টি নিয়ে অনেকের মাঝে কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে। আর এটা অনেকের জাহিলিয়াতের অংশ বলতে পারি। কেননা মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে যোখানে এটি স্পষ্ট করে জায়েজ বলেছেন। সেখানে কোনো মুমিন ব্যক্তি কখনোই বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করতে পারে না।
এককথায়, যেহেতু তাদের গণিমতের সম্পদ হিসেবে দাসী করা হয়েছে৷ তাই মনিব তাঁর সম্পত্তি (দাসী) হালাল উপায়ে নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করার অধিকার রাখে৷ দাসী কাফির থাকা সত্যেও যেহেতু সে এখন একজন মুসলিমের অধীনস্হ হয়েছে, তাই এটা তার অন্যতম সৌভাগ্য ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার৷ এখানে একটি প্রশ্ন হয়, কাফির হলেও অনেক নারী তাদের সতীত্ব অটুট রাখতে চায়। এখন ঐ দাসী যদি তার মনিবকে সহবাসের অধিকার দিতে না চায়, মনিব জোর করে সহবাস করে তাহলে এটা কি ঐ দাসীর জন্য অপমানের নয়? আসতাগফিরুল্লহ্। মূলত এখানে একটি সুক্ষ্ম বিষয় রয়েছে, যা আমরা বুঝতে ভুল করছি!
লক্ষ্য করুণ, দাসীর সাথে মনিবের সহবাস করার অধিকার রয়েছে অর্থাৎ এটাকে হরাম বলার সুযোগ নেই। কেননা দাসী হলো মনিবের কাছে স্ত্রীর মত। তাই এটা মনিবের চাওয়া বা না চাওয়ার অধিকার। তবে দাসীর প্রতি মনিবের অধিকার থাকা সত্ত্বেও দাসীর দূর্বলতা ও অসুবিধার প্রতি মনিবের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। তাই দাসীর শারীরিক ক্ষতি হয় এমন আশংকা থাকলে মনিবের কর্তব্য ধৈর্য্য ধারণ করা (যেমনটি সে তার স্ত্রীর সাথে করে থাকে) এবং পারস্পরিক সমঝোতা এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে কোন মনিব যদি তার দাসী দিয়ে ব্যভিচার করিয়ে উপার্জন করার চেষ্টা করে, তখন সে বড় ধরনের পাপী বা অপরাধী হয়ে যাবে। আর দাসী যদি তার লজ্জা স্থানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য ব্যভিচারের অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও মনিব জোর করে তাকে এ কাজে বাধ্য করে। তবে ঐ দাসীর পবিত্রার সম্মান ও পুরস্কার হিসেবে আল্লাহ রেখেছেন তার প্রতি দয়া ও ক্ষমাশীলতা। আর মনিবের জন্য রয়েছে আল্লাহর কঠিন শাস্তি। কেননা দাসী দিয়ে ব্যভিচার করানো ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বা হারাম। আর এটি জাহিলিয়াতের বৈশিষ্ট্য ও চরম নিকৃষ্টতার অংশ। জাহেলি যুগে ক্রীতদাস-দাসী দিয়ে ব্যভিচারের ব্যবস্যা ছিল। ইসলাম এসব জঘন্য সবকিছু চরমভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ করেছে এবং বিয়ে করায় উৎসাহিত করেছে।
মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেন-
“আর তোমাদের দাসীরা লজ্জাস্থানের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ধন-লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। আর যারা তাদেরকে বাধ্য করবে, নিশ্চয় তাদেরকে বাধ্য করার পর আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [ সূরা আন-নুর: ৩৩]
এ আয়াতে বর্ণিত, “আর তোমাদের দাসীরা লজ্জাস্থানের পবিত্ৰতা রক্ষা করতে চাইলে দুনিয়ার জীবনের ধন-লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না।” এখানে “লজ্জাস্থানের পবিত্ৰতা রক্ষা করতে চাইলে” কথাটি শর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি। বরং সাধারণ নিয়মের কথাই বলা হয়েছে। কারণ, সাধারণতঃ পবিত্ৰা মেয়েদেরকে জোর জবরদস্তি ছাড়া অন্যায় কাজে প্রবৃত্ত করা যায় না। [ফাতহুল কাদীর]
আয়াতে পরবর্তীতে বলা হয়েছে, “আর যারা তাদেরকে বাধ্য করবে, নিশ্চয় তাদেরকে বাধ্য করার পর আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” এখানেও এ মেয়েদেরকে ক্ষমা করার কথা বলা হয়েছে। যবরদস্তিকারীদেরকে নয়। যবরদস্তিকারীদের গোনাহ অবশ্যই হবে। তবে যাদের উপর যবরদস্তি করা হয়েছে আল্লাহ্ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল। [ফাতহুল কাদীর]
ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা বা বিধান অত্যন্ত স্পষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ। যা জাহিলি যুগের মত নিকৃষ্ট নয় এবং ইসলামে এ বিষয়ে একটি সুশৃঙ্খল বিধান রয়েছে। জাহিলি যুগে তো বাজারে পণ্যের মত মানুষ বেচাকেনা করা হতো এবং তাদের ( ক্রীতদাস-দাসী) দ্বারা কঠোর পরিশ্রম করানো হতো। এককথায় তাদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো না বরং তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হতো, কাজের কঠোর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হতো। দাসীদের মাধ্যমে জিনা ব্যভিচার করিয়ে মনিবরা ব্যবস্যা করতো, নারীদের কোন মূল্যই তখন দেওয়া হত না। ইসলাম এসকল কিছুকে স্পষ্ট হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রকে করেছে সর্বোত্তম সুশৃঙ্খল।
আর ইসলামের ছায়া তলে থাকার কারনে রাসূল (সা.)-এর সকল সাহাবীরা জাহিলিয়াতের এসকল নোংরামি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র ছিলেন। তাই তখন তাঁদের উত্তর আদর্শ ও বৈশিষ্ট্য দেখে দাস-দাসীরা দলে দলে ইসলামের ছায়া তলে দীক্ষিত হয়েছিল। সুবহানাল্লাহ।
এককথায়, দাস-দাসীর প্রতি ইসলামের বিধান হলো উত্তম আদর্শিক আচারণ করা, সদয় হওয়া এবং পরস্পর সাহোযোগী হওয়া। দাস বা দাসীর অসুস্থতায় মনিবের দায়িত্ব তাকে সেবা ও উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাই এ বিষয়টি নিয়ে যারা ইসলামের সমালোচনা করে থাকে, ভুল ধরার ধান্দায় থাকে, নিঃসন্দেহে তারাই চরম অজ্ঞতা ও জাহিলিয়াতে নিমজ্জিত।
ইসলামে কোনো ভুলের আশ্রয় নেই। ইসলাম সকল প্রকার ভুলের উর্ধ্বে। মহান আল্লাহর মনোনীত মুহাম্মদ (সা.)-এর ধর্ম ইসলাম পৃথিবীর সকল ধর্ম ও প্রথা থেকে পবিত্র এবং নির্ভুল স্বয়ংসম্পূর্ণ এক জীবনবিধান। তাই একমাত্র ইসলাম-ই পৃথিবীতে প্রশান্তির বার্তা ও আলো দিয়ে সভ্যতার প্রকৃত ভিত্তি স্থাপন করেছে।
প্রিয়পাঠক, ইসলামে দাস-দাসীর প্রথা ও বিধান অনেক ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। জ্ঞানের সল্পতা ও সংকীর্ণতায় আমরা অতি সংক্ষেপে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। তাই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পবিত্র কুরআনের বিশুদ্ধ তাফসীর এবং প্রসিদ্ধ ইসলামি স্কলারদের লিখিত কিতাব গুলো পাঠের অনুরোধ জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ তায়া’লা আমাদের কে দ্বীনের সহিহ জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করুক, আমিন।
তথ্য সহায়তাঃ
ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি এবং মিথ্যাচার ছড়াবেন না কারণ আপনার তথ্যের উপর ভিত্তি করে কেউ যদি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় তার দায়-দায়িত্ব আপনার এবং আপনাদের উপর বর্তাবে।
জেনে রাখুন
ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক হারাম।
যুদ্ধবন্দী অথবা পূর্বে ক্রয় কৃত দাস দাসীদের সাথে স্ত্রী সুলভ আচরণ করতে হলে তাদেরকে মুক্ত করে বিবাহ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের মোহরানা মুক্তিপণ এর বিনিময় আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু যারা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের দাস-দাসীদের সাথে তারা অবশ্যই জেনা কারীর অন্তর্ভুক্ত হবে।
একজন দাস-দাসী কিংবা যুদ্ধবন্দী তার মুক্তিপণ প্রদান করে নিজেকে মুক্ত করে নিতে পারে অতএব তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌন আচরণ অত্যাচার এবং অসদাচরণ হিসেবে পরিগণিত হবে যা অবশ্যই একটি বড় গুনাহের কাজ।
আলহামদুলিল্লাহ, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ৷ প্রিয় ভাই, আপনাকে আর্টিকেলটি আরও একবার ভালো করে পড়ার অনুরোধ রইল।
ইসলাম সুশৃঙ্খলা সর্বোত্তম জীবনব্যবস্থা। দাস-দাসীর এই বিধানবর্তমানে প্রযোজ্য কিনা, কোথাও রয়েছে কিনা বা কেউ ইচ্ছে করলে এ বিধানের আলোকে দাস-দাসী এখন রাখতে পারবে কিনা এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ! আর এর উপর বিদগ্ধ আলিমদের অনেক লেকচার রয়েছে, ফতোয়া রয়েছে শুনে দেখবেন আশা করি।
আর একটি কথা মানবিক দূর্বলতা নিয়ে স্রষ্টার বিধানকে নিজের মত করে চিন্তা করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় এবং অযৌক্তিক। অবশ্যই আপনাকে ইসলামের নীতিমালার উপর নির্ভর করে চিন্তা ও গবেষণা করতে হবে।
দাস-দাসীর বিধান নিয়ে আমার এ ছোট্ট রচনাটি এ বিষয় সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানাতে সক্ষম নয়। আমি জাস্ট সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি বিশুদ্ধ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বিস্তারিত জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে বিদগ্ধ আলিমদের লেখা তাফসির ও বইগুলো অধ্যয়ন করতে হবে।
আর বলছি, আপনার অভিযোগের বেশ দূর্বলতা রয়েছে। তবে ইসলামের প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রশংসনীয়। কিন্তু ইসলামের নীতিমালা সম্পর্কে আপনার আমার মানবিক জ্ঞান দূর্বলতা গ্রহণযোজ্য নয়। জিনা ব্যভিচার আর দাস-দাসীর প্রথা একে অপরের মাঝে বিশাল দূরত্ব রয়েছে। একটি হারাম অন্যটি হালাল!
আপনি হয়তো যেনে থাকবেন রাসূল (সা.) এর নিজেরও দুজন দাসী ছিল। বহু সাহাবাদের দাস-দাসী ছিল। কিন্তু এর মানে এই নয় প্রাচীন দাস-দাসীর প্রথা আর ইসলামের দেওয়া বিধানে এ প্রথা একই ছিল।আপনাকে সে বিষয়ে জানার জন্য কুরআনে বর্ণিত আয়তগুলোর তাফসির পাঠ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রচীন সেই জগন্য দাস-দাসীর প্রথা কখনোই ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়। বরং ইসলাম এখানে অনেক বেশি উদারতা দেখিয়েছে। আর ইসলামে এ বিধানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণও রয়েছে। যা সম্পর্কে আপনি হয়তো অবহিত নন।
এরপরও বলছি এই আর্টিকেলে আমি যদি কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকি সেটা ছিল আমার জ্ঞান দূর্বলতা। তবে আমার বিশ্বাস আমি রেফারেন্স সহ আলোচনা করেছি। নিজের মনমত কোন কথা লিখিনি।
আপনি পড়ুন ও জানুন। অনুগ্রহ করে নিজের মত করে ভাববেন না। আপনার স্রষ্টা যে বিধান দিয়েছেন, সৃষ্ট হয়ে তাঁর ভুল খুঁজে বের করা সম্ভব কি?
এ বিষয়ে বিদগ্ধ আলিমদের লেখা বই বা আর্টিকেল পড়ার অনুরোধ রইল।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।
আপনার লেখার মাধ্যমে আপনার সৃজনশীলতা, প্রতিভা,ইসলামের বিভিন্ন হাদিস,আকিদা ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান প্রতিফলিত হয়।আপনার লেখাগুলো খুবই মানসম্মত। যাদের ইসলামিক জ্ঞান খুব একটা নেই বা বিভিন্ন বিষয়ে যারা ইসলামের দৃষ্টি থেকে সমাধান খুজতে চায় তাদের জন্য আপনার কন্টেন্টগুলো খুবই সহায়ক।আল্লাহ আপনাকে পবিত্র ধর্ম ইসলামের আলো সর্বসাধারণের মাঝে ছড়িয়ে দেবার তৌফিক দান করুক, আমিন।
আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আরও উত্তম বিশেষণে সম্মানিত করুক, যা দিয়ে আপনি আমাকে সম্পাদনা করলেন। জ্ঞান গর্বে আমি অতি নগন্য, তবে চেষ্টা করি যতটুকু আল্লাহ দয়া করেন। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
জাযাকাল্লাহ খাইরান
আসসালামু আলাইকুম ভাই। আপনার সাথে যোগাযোগ করার উপায় কি? কোন ফেসবুক আইডি?
আমি এই বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম আর আপনার লেখা পড়ে আমি মনে হয় সঠিকটা বুঝতে পেরেছি।
জাযাকাল্লাহ খাইরান