নিজেকে যুগোপযোগী অর্থাৎ যুগের সাথে মানিয়ে নিতে প্রথমেই মস্তিষ্ককে ইংরেজি বলা ও বুঝার যথেষ্ট ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে। কিন্ত বর্তমান প্রেক্ষাপট একটু তলিয়ে দেখলেই বোঝার আর অবকাশ রইবে না যে আসলেই আমরা যুগের সাথে তাল মিলাতে পারছি কিনা? আমাদের দেশের অধিকাংশ শীক্ষার্থীর মনেই ইংরেজি নিয়ে ভীতির সঞ্চার হয় এবং ক্রমশ হয়েই চলছে। কিন্তু ইংরজি কি আসলেই ভীতিকর? না, এ কথার সাথে একমত হওয়াটা নিতান্তই নির্বুদ্ধিতার পরিচয়। ইংরেজি যেহেতু আমাদের আন্তর্জাতিক ভাষা তাই এ ভাষা শেখা কঠিন হলেও আমাদের কিছু কৌশল আরোপ করে ইংরেজি ভয় কে জয় করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
প্রথমত যা দরকার তা হলো ইংরেজি যে ভীতিকর, ইংরেজি কঠিন এসব চিন্তাধারা থেকে নিজেকে বের করে আনতে হবে এবং একজন শিক্ষার্থীর মনে কখনোই এই নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করা যাবেনা। শুধু ইংরেজি কেন, যে কোন বিষয়ে ভালো করার মূলমন্ত্র হলো সে বিষয়ের গোড়া থেকে জানা অর্থাৎ কোন বিষয়ের মৌলিক বা প্রাথমিক ধারনা খুব ভাল করে আয়ত্ব করা।
ইংরেজির ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। একজন শিক্ষার্থী সে যে কোন ক্লাসের হোক না কেন, ইংরেজি সম্পর্কে জ্ঞান বাড়াতে হলে তাকে অবশ্যই প্রাথমিক ধারনা নিয়েই শুরু করতে হবে। ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি অধ্যায় মনোযোগ সহকারে শেষ করতে হবে এবং যথাসম্ভব অনুশীলন করে বারবার নিজেকে যাচাই করে নেওয়াটাও খুব জরুরি। এতে করে একজন শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়বে, নিজের মনের সংশয়, সংকোচ দূর হবে।
এরপরে একজন শিক্ষার্থীর যে বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে তা হলো সে ব্যাকরন এর দিক থেকে কতটা এগিয়ে? ব্যকরন না ঠিক এটাকে শুদ্ধ ব্যাকরণ বলা যায়। ইংরেজিতে যাকে গ্রামার বলে থাকি। একটি বাক্য লেখায় গ্রামার বা ব্যাকরণ কতটুকু শুদ্ধ বা সঠিক হচ্ছে তা জানাটা খুবি জরুরি। তাই একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয় থেকে ধারণা নিয়ে তা সম্পর্কে নিজের মত করে লিখতে পারে যেটাকে ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং বলা হয়৷ এবং এর পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থী অবশ্যই একজন দিক নির্দেশক বা শিক্ষকের সাহায্য নিতে পারেন , যিনি ওই শিক্ষার্থীর ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে তাকে সংশোধিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
একজন শিক্ষার্থী নিজেকে আরও মানানসই করে তুলতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপায়ে ইংরেজি শিখতে পারে। যেমন বর্তমানে প্রায় সব শিক্ষার্থীই ইন্টারনেট এর সাথে পরিচিত এবং প্রায় অনেকেই ইন্টারনেট ব্যাবহার করে। এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন পরিচিত মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল ইত্যাদির সহযোগিতা নিয়েও নিজের ইংরেজি নিয়ে দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারে। এখন ফেসবুকে হাজার হাজার ইংরেজি শিক্ষার গ্রুপ রয়েছে, ইউটিউবে ইংরেজি শেখার অনেক চ্যানেলে অনেক সহজ ও সাবলীল ভিডিও প্রকাশ করা রয়েছে। চাইলেই সেগুলোর মাধ্যমেও নিজেকে ইংরেজি ভীতি থেকে মুক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী নিজেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আওতাভুক্ত করতে পারে এবং তার শিক্ষা কার্যক্রম ও চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই বর্তমান সময়ে এটি খুবি ভাল উপায়।
আরও পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন -ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার
ইংরেজি লিখতে পারাটাই যথেষ্ট কি? না, সেরকম ভাবার কোন কারণ নেই৷ কেননা আমরা ইংরেজি কতটুকু আয়ত্ত করতে পেরেছি তা নির্ভর করে আমাদের ইংরেজি বলার দক্ষতার উপর। একজন শিক্ষার্থীর এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। যথাযথ ভাবে এবং সাবলীল ভাবে ইংরেজি বলতে পারা অবশ্যই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই এর জন্য চর্চা চালয়ে যেতে হবে। যেমন একজন শিক্ষার্থী তার দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম নিয়ে তার সহপাঠীদের সাথে ইংরেজিতে আলোচনা করতে পারে, তার বন্ধু, বান্ধবী বা পরিবারের কাউকে ইংরেজিতে শুভেচ্ছা জানাতে পারে। এতে করে তার ইংরেজিতে কথা বলার সাহস বাড়বে এবং ধীরে ধীরে সে সাবলীল হয়ে উঠবে এবং ইংরেজিতে কথা বলায় সাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। এতে তার ইংরেজি নিয়ে ভয় দূর হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে বই পড়তে হবে, বিভিন্ন ইংরেজি লেখকের বই, ইংরেজি সংবাদপত্র, বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল পড়তে হবে যাতে করে তার ইংরেজি ভাষা আরও সমৃদ্ধ হবে।
তাই ইংরেজি নিয়ে ভীতির কোন কারন নেই, চাইলেই খুব ভালভাবেই ইংরেজি ভাষাকে নিজের আয়ত্তে আনা সম্ভব। তাই মন থেকে ইংরেজি ভয় দূর করে, কৌশলগত উপায়ে আগ্রহ সহকারে ইংরেজি পড়তে হবে, শিখতে হবে, জানতে হবে।
Nice it’s realistic and valuable
Description😍.
মা তোকে কি বলে আশির্বাদ করবো। তুই আমাদের গর্ব।
তোর লেখার মধ্যে অনেক সুন্দর তথ্য ও পরামর্শ আছে যা সত্যিকার অর্থেই একজন শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে পার। এভাবে সুন্দর সুন্দর লেখা লিখতে থাক। সব সময় তোর প্রতি আমার ভালোবাসা ও আশির্বাদ রইলো।
ধন্যবাদ
সুন্দর, তথ্যবহুল লেখা আপু।
ধন্যবাদ, আপু। আসলে আমি ছোটোবেলা থেকে ইংরেজি অনেক ভয় পাই। কিন্তু আপনার এই লেখা পড়ে মোটিভেশন পেলাম।