সুপ্রাচীনকাল থেকেই বহুল পরিচিত এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি উপাদান নিম। যার ভেষজ এবং আয়ুর্বেদিক গুণের বিকল্প নেই। নিম এমন একটি বৃক্ষ যার প্রতিটি অংশ অসম্ভব গুণের অধিকারী। নিমের পাতা, কান্ড, ছাল, বীজ, ডাল কিংবা শিকর, সবই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনো না কোনো প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
এটি একটি বহুবর্ষজীবী চির হরিৎ বৃক্ষ। নিম গাছ সাধারণত ক্রান্তীয়, আধা-ক্রান্তীয় বা উষ্ণ অঞ্চলে জন্মায়। সাধারণত মাটির পিএইস ৬.৫ -৮.৫ এবং বৃষ্টিপাত ১৮ -৪৬ ইঞ্চি ও ১২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা নিম গাছের জন্য উপযোগী।
বিভিন্ন অঞ্চলভেদে একে ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়।আকৃতিতে ৪০-৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়।এর কান্ড ২০-৩০ ইঞ্চি ব্যাস হতে পারে। ডালের চারদিকে ১০-১২ ইঞ্চি যৌগিক পত্র জন্মে। নিম পাতা করাতের মত বাকানো থাকে এবং ১০-১৭ টি করে কিনারা খাঁজকাটা পত্রক থাকে।পাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়।
নিমের ফুল দেখতে ছোট এবং রং সবুজাভ সাদা। নিম গাছে এক ধরনের ফল হয়।দেখতে আঙুর ফলের মতো এতে একটিমাত্র বিচি থাকে।জুন-জুলাই মাসে ফল পাকে এবং স্বাদে তেতো হয়। নিম গাছের যেমন গুণের শেষ নেই তেমনি নিম কাঠ ও সবার কাছে সমাদৃত। নিম কাঠ খুবই শক্ত এবং এর দ্বারা তৈরি আসবাবপত্র বহুকাল পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় থাকে।
নিম কাঠ কখন ও ঘুনে ধরে না। নিম গাছের পাতা দিয়ে এখন বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি করা হচ্ছে। বেদ এ নিমকে “সর্বরোগা নিবারনী” বলে ব্যাখ্যা করেছে। যার অর্থ এটি এমন একধরনের উপাদান যা সমস্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখতে এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রত্যেক বাড়িতেই এটি রোপণ করা হয়।
নিম গাছের বৈজ্ঞানিক নাম AZADIRACHTA INDICA ( আজাদীরচর ইন্ডিকা)। নিম Plantae জগতের Maliaceae পরিবারের সদস্য। এর গণ Azadirachta এবং প্রজাতি A.Indica.
নিম গাছের আদিনিবাস মায়নমার। কিন্ত এটি বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই দেখা যায়। এছাড়া দক্ষিন – পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকাতে এটি দেখা যায়।
প্রায় চার হাজার বছর ধরে নিমের বহুবিধ ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমের উৎপাদন ও প্রসারণকে উৎসাহিত এবং অন্যায়ভাবে নিমের নিধনকে প্রতিহত করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিমকে” একুশ শতকের বৃক্ষ” বলে ঘোষণা করছে। আসুন এখন নিমের বহুবিধ ব্যবহার এবং কিছু অষুধি গুনাগুণ জেনে নেই: আমদের প্রতিদিনকার জীবনে নিমের ব্যবহার এর জুড়ি নাই। ভেষজ কিংবা আয়ুর্বেদ প্রতিটি ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়।
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
সৌন্দার্য বা রুপচর্চায় ক্ষেত্রে প্রাচীনকাল থেকে নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমের পাতা পাটা, গুড়া ইত্যাদি ত্বক, চুল,মুখমণ্ডল এর রুপচর্চার কাজে ব্যবহৃত হয়। নিমপাতা বেটে ত্বকে ও চুলে লাগালে ত্বক কোমল ও নরম হয়। তাই সৌন্দর্য সচেতন মানুষরা যুগ যুগ ধরে এর ব্যবহার করে আসছে।
আগেই বলা হয়েছে যে নিমের গুণের জুড়ি নাই। ত্বকের ক্ষেত্রে নিমের বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে। ত্বকে যদি সাদা ছোপ ছোপ দাগ থাকে, তবে নিম তেল এর খুবই কার্যকর।
নিম তেল বানানোর প্রণালি – প্রথমে নিমপাতা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।এরপর পাতা শিলে পিষে বা ব্যালেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে এবং এর সাথে এ্যালোভেরার পেস্ট করে নিতে হবে। এখন চুলায় একটা প্যান দিয়ে তাতে নারিকেল তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে এক এক করে নিম পাতার পেস্ট ও এ্যালোভেরার পেস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন। ভিটামিন -ই ক্যাপসুল নিয়ে তা এর মধ্যে দিয়ে দিন এবং নেড়ে চেড়ে নিন। এরপর চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে যখন তেল ঠান্ডা হবে তখন ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন। তারপর এ তেল বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। এই তেল দিনে দু’ বার ব্যবহারে সাদা দাগ নিমেষেই উধাও হয়ে যাবে। এবং ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
ত্বকের ব্রণ সমস্যা দেখা দিলে নিমপাতার পেস্ট লাগালে উপশম হয়। ব্রণের কালো দাগ কিংবা যেকোনো দাগ সারাতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী।
তাছাড়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও এটি খুব উপকারী। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে নিমপাতা অতুলনীয় কাজ করে। তবে এর সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে। এট ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা লক্ষণীয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে অবশ্যই রোদ এরিয়ে চলতে হবে। ত্বকের চুলকানি দূর করতে নিমের ব্যবহার ফলপ্রদ।
এছাড়াও অনেকের আছে অকারণেই মাথার ত্বক অনেক বেশি চুলকায়, তারা নিমপাতার পেস্ট করে করে বা পাতার রস নিয়মিত মাথায় লাগালে চুলকানি কমে যায়। যাদের ত্বকে চুলকানি বা ইরিটেশন আছে তারা, নিমপাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে উপশন পাওয়া যায়। নিমপাতার বড়ি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিমপাতা বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে, পেস্ট করে নিয়ে তা ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রোদে শুকিয়ে এয়ারটাইট বক্সে করে বহুদিন সংরক্ষণ করা যায়।
বলা হয় সৌন্দর্যের লীলাভূমি চুল। চুলের উপর মানুষ চেহারার সৌন্দর্য নির্ভর করে। সেই চুলের যত্নে নিমের ব্যবহার অদ্বিতীয় ও অপরিসীম। কোমল, উজ্জ্বল এবং সুন্দর চুল কার না ভালো লাগে। চুলের খুশকি দূর করতে নিম অন্যান্য। নিমপাতা গরম জলে সিদ্ধ করে তা চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
তাছাড়া সপ্তাহে এক দিন নিমপাতার পেস্ট চুলের গোড়ায় লাগিয়ে একঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেললে, সুন্দর ও স্লিকি চুল পাওয়া যায়। নিমপাতার রস ও মধু একত্রে মিলিয়ে পেস্ট করে সপ্তাহে তিন দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে লাগালে চুল উজ্জ্বল ও ঝলমলে হবে। নিমপাতার রস, আমলকির রস ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে বেটে বা পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিলে ৫-৬ দিনে উপশম পাওয়া যায়। এছাড়া নিমপাতা গরম জলে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে খোস পাচড়া উধাও হয়ে যায়। এছাড়াও নিম পাতা সরিষার তেলে ভেজে সেই তেল আক্রান্ত স্থানে লাগালে ক্ষত শুকিয়ে যায়।
সুস্থ, সুন্দর ও ঝকঝকে দাঁত এর যত্নে নিম পাতার ডাল প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমপাতা ও ছালের গুড়া এবং নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হয় শক্ত, মজবুত। দাঁতের পচন, রক্তপাত, মাড়ির ব্যথা, দুর্গন্ধ এবং দাঁতের আক্রমণ রোধে নিমপাতার রস দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে নিলে এসব থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
কোনো কিছু অনেক দিন সংরক্ষণ করতে গেলে দেখা যায় তাতে এক ধরনে ছত্রাক বাসা বেধেছে বা তাতে পোকা হয়েছে। তাই চাল, ডাল বা অন্য কিছু দীর্ঘদিন সংরক্ষণে নিমগাছের ডালসহ পাতা শুকিয়ে চাল, ডাল যে পাত্রে সংরক্ষণ করা হবে তার উপর রেখে দেওয়া হয়।এতে পোকা ও যেমন হয় না তেমনি কোনো ছত্রাক ও বাসা বাধতে পারে না।এবং সহজেই দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।
সকলেই কম -বেশি জানি যে, শিশুদের কৃমির আক্রমণ বেশি হয়। শিশুদের এ রোগ হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেট মাথায় চেয়ে বড় হয়ে যায়। খাবার খেতে চায় না।চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়।কৃমি নির্মূল করতে নিমের ভূমিকা অপরীসিম।নিম গাছের মূলের গুড়া তিনদিন সামান্য গরম জলে মিশিয়ে খাওয়ালে কৃমি নির্মূল হবে।
আমরা মাঝে মাঝে উকুনের কবলে পরে থাকি।এবং এ থেকে নিরাময় পাওয়া খুবই দুরুহ ব্যাপার হয়ে যায়।উকুন এর অসহ্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে নিম অদ্বিতীয়। নিমপাতার পেস্ট বানিয়ে নিয়ে তা মাথায় তালুতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং উকিনের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ান।উকুনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
নিমপাতা শিলে পিষে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে, শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে লাগিয়ে রাখুন।ক্ষত নিরাময়ে নিম জাদুর মত কাজ করে। তাই প্রাচীনকাল থেকে চিকিৎসার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়। এর এন্টিমাক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
চোখের চুলকানি হলে নিম পাতা গরম জলে ভিজিয়ে নিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে চোখে ঝাপটা দিলে কিছুটা উপশম হয়।
অনেকেই আছে কিছু খেলে পেটে হজম হয় না। পেটের নানা অসুখ দেখা দেয়। পাতলা পায়খানা হয়। তারা নিমপাতা রস করে পানির সাথে মিশিয়ে সকাল – বিকাল তিন দিন খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
অনেকে ই এই সমস্যা হয়।এধরণের সমস্যা খুবই পীড়াদায়ক।কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম ই যথেষ্ঠ।নিমপাতা নির্যাস নিয়ে তা ঠান্ডা পানি দিয়ে সেবন করলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলে।তাছাড়া নিয়মিত নিম পাতা খেলে এ সমস্যা দ্রুত দূর হয়।
পেটের চর্বি আমদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নস্ট করে।ফলে অনেকেই সৌন্দর্য বজায় রাখতে ওজন কমাতে চান।যারা ওজন কমাতে চান তাদের নিম ফলের জুস খেতে হবে। নিম ফুলের জুস মেটাবলিজম ভেঙে চর্বি কাটতে সাহায্য করে।এতে করে ওজন কমে যাবে।
ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন বুকে কফ জমে থাকা বা বুকে ব্যথা হলে, নিম পাতার রস সমান্য গরম জলে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।তবে যারা গর্ভবতী, তারা এটা পান করবেন না।
আগেই বলা হয়েছে নিম এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সমৃদ্ধ।তাই ভাইরাস চিকিৎসায় নিমের ব্যবহার আগে থেকেই প্রচলিত। চর্ম রোগ, চিকেন পক্স, হাম ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় নিম ব্যবহৃত হয়।
পোকামাকড় যেমন ভিমরুল ও অন্যান্য বিষাক্ত পোকামাকড় কামড় দিলে সেখানে নিম পাতার পেস্ট লাগালে দ্রুত ব্যথা কমে যায়।
অনেকেই আছে পায়ে বা হাতে একজিমা বা একসিরার সমস্যা হয়। এবং এ থেকে পরিত্রাণ প্রায় সমম্ভব।তারা নিম পাতা বেটে তার পেস্ট ফোড়া বা একজিমাতে লাগালে উপশম পাবেন।
চেহারার সৌন্দর্য নস্ট করতে একটি ব্রণ ই যথেস্ট।কিন্তু ব্রণ যদি হয় অগণিত? এবং তার থেকে হয় জ্বালা-পোড়া।তাদের জন্য সুখবর।নিম পাতার গুড়া ঠান্ডা জলে মিশিয়ে তা দিয়ে মুখ ধুয়ে নিম।এতে৷ ব্রণ যেমন দূর হবে তেমনি জ্বালা-পোড়াও কমবে।এছাড়াও নিম পাতার পেস্ট ব্রণ এ লাগালে তা থেজে মুক্তি পাওয়া যায়।
অ্যালার্জি আমাদের নিত্যদিনকার সমস্যা।নিম পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে গোসল করলে অ্যালার্জি নির্মূল হবে।
আমদের অনেকেই চুল অনেক সুন্দর কিন্তু সারাবছর প্রায় খুশকি সমস্যা হয়ে থাকে।এতে চুলের সৌন্দর্য যেমন হারায় তেমনই মাথার ত্বক চুলকায়।শীতকালে এই উপদ্রব আরও বেড়ে যায়।নিমের ব্যাকটেরিয়ানাশক ও ছত্রাকনাশক উপাদানের জন্য খুশকি দূরকরণে নিমের ব্যবহার কার্যকরী। নিমের পাতা গরম জলে ফুটিয়ে যখন পানি সবুজ হবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে।পরে এই পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিয়ে খুশকি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
জন্ডিসের চিকিৎসায় ও নিম ব্যবহৃত হয়।জন্ডিস হলে নিম পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।আরোগ্যে না হওয়া পর্যন্ত এটা সেবন করুন।
ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবেও নিম সমাদৃত। নিমের মধ্যে আছে গ্যাডোনিন।যা ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কানের ফোঁড়া চিকিৎসায় নিমের পাতার সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্যথা থেকে মুকি মেলে।
একটু বয়স হলেই শুনি বাতের ব্যথা হয়।এ থেকে সহযে পরিত্রাণ পেতে নিমের জুরি নাই।
নিমপাতা,বীজ ও বাকল এর জন্য ব্যবহার হয়। এছাড়া নিমের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।ডাক্তারা অনেক সময় রুগীকে নিম কাঠের খাটে শোয়ার পরমর্শ দেন।
ত্বকে কোনো প্রকার ফাঙ্গাল ইনফেকশন হলে নিমের ব্যবহার করুন।নিমের তেল বানিয়ে লাগানো যেতে পারে।এছাড়া নিম পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগালে ইনফেকশন সেরে যায়।
নিমপাতার রস নিয়মিত পান করলে রক্ত পরিষ্কার হয়।এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে হৃদপিণ্ড সচল রাখে।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নিম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম জাদুকরীভাবে কাজ করে। নিমের রস রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে।ফলে ডায়াবেটিস থেকে খুব সহজেই মুক্তি মেলে।
নিমের এর সাবান ঘরোয়া পদ্ধিতে তৈরি করে তা ব্যবহারে নানাবিধ উপকার হয়। নিমের সাবান দিয়ে গোসল করলে ত্বকে কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। ত্বক হয় কোমল ও মসৃণ। আরও বিভিন্ন রোগবালাই থেকে উপশম পাওয়া যায়।
নিমপাতা গরম জলে সিদ্ধ করে স্প্রে বোতল এ ভরে রেখে নিয়মিত ঘরে স্প্রে করলে ঘর জীবাণু মুক্ত হয়,আবার কোনো পোকামাকড় ও ঘরে বাসা বাধতে পারে না।
আগের দিনে মানুষ বাড়ির পরিবেশকে বিশুদ্ধ রাখতে প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে নিম গাছ লাগাতেন।নিম বিষাক্ত বাতাসকে নির্মল করে।এবং পরিবেশ করে নির্মল ও পরিচ্ছন্ন।
উপরের গুণাগুণ ছাড়াও নিমের আর ও অনেক অনেক ভেষজ ও আয়ুর্বেদ গুণাগুণ রয়েছে। তাই নিম গাছের নিধন কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। বাড়িতে একটি নিম গাছ লাগালে বাড়ির পরিবেশ যেমন ভালো থাকবে তেমনি দেহ ও মন থাকবে সুস্থ ও নির্মল। পাশাপাশি পরিবেশ এর ভারসাম্য রক্ষা হবে।
ছবিঃ সংগৃহীত
তথ্য সহায়তাঃ উইকিপিডিয়া এবং অনলাইন ব্লোগ ও নিউজ পোর্টাল
মন্তব্য লিখুন