আমরা প্রতিনিয়ত যানবাহনে চলাফেরা করি। যানবাহন ছাড়া আমরা এক যায়গা থেকে অন্য যায়গায় দ্রুত যাতায়াত করতে পারি না। বিশেষ করে দূরপাল্লার কোথাও যেতে আমরা সাধারনত বাস, মিনিবাস অথবা মাইক্রোবাস ব্যাবহার করে থাকি। কারো কারো তো এই যান গুলোর নাম শুনলেই যাওয়ার ইচ্ছা শেষ হয়ে যায় কারন যাত্রাপথে বমি সমস্যা।
বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা ট্যুরে যাওয়ার সময় বেশি বিপাকে পড়েন। আর তাছাড়া যাদের এই সমস্যা থাকে তারা তো বাসের অন্য যাত্রীদের কাছে কিছুটা হলেও হেয় হয়ে থাকেন। আর সাথে নিজের ভ্রমনের আনন্দ তো মাটি। তাই আজ আমরা জানবো যাত্রাপথে বমি হওয়া কারন ও যাত্রাপথে বমি এড়াতে করণীয় কাজ সম্পর্কে-
এই সমস্যা টা হয় মূলত (motion sickness) বা গতি দূর্বলতার কারনে। এটা সবার থাকে না। তবে আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষের এই সমস্যা আছে। এটা পুরুষ কিংবা মহিলা উভয়ের-ই থাকতে পারে।
আমরা জানি আমাদের পৃথীবি সবসময় ঘূর্ণায়মান।কিন্তু আমরা যখন স্থির থাকি আমাদের সাপেক্ষে আমাদের চারপাশের ভৌতজগত স্থির। আবার একই ভাবে আমরা যখন গতিশীল, আমাদের সাপেক্ষে আমাদের চারপাশের জগত ও গতিশীল।
আরও পড়ুনঃ চুল পড়ার প্রধান কারন ও প্রতিকার
কিন্তু আমরা যখন যানবাহনের ভিতরে বসে থাকি তখন আমরা স্থির ভাবে বসে থাকলেও আমাদের চারপাশের জগত যানবাহনের সাপেক্ষে গতিশীল। ঠিক তখনই আমাদের মস্তিষ্ক একটা অপরিচিত পরিবেশে এসে পড়ে। আর এই পরিবর্তন আমাদের মস্তিষ্ক মানিয়ে নিতে পারে না।
ফলস্বরুপ আমাদের মাথাব্যাথা, মাথাঘোরা, বমি হওয়ার মত অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে কোনো ওষুধ ছাড়াই সামান্য কিছু ঘরোয়া জিনিস ব্যাবহার করেই এর সমাধান করা সম্ভব। আসুন নিচে সেগুলো দেখে নিই।
প্রথমেই বলে রাখি, যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তারা বাসে সবসময় জানালার পাশের সিটে বসার চেষ্টা করুন। কারন মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেলে এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যায়। বাসের সামনের দিকে বসার চেষ্টা করুন, তাতে বাসের দোলা টা কম অনুভব করবেন।
আদা একটি চমৎকার প্রাকৃতিক আ্যন্টি অক্সিডেন্ট।ভ্রমনের আগে মুখে সামান্য কাঁচা আদা রাখতে পারেন। এছাড়া লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন।
লেবুও বমি প্রতিরোধে মারাত্মক ভাবে কাজ করে। ভ্রমনের আগে সংগে লেবু অথবা লেবুর পাতা নিয়ে নিতে পারেন। আগুলো নাকের কাছে নিয়ে শুকলে বমি বমি ভাব অনেকটাই কেটে যাবে।
লবঙ্গ বমি প্রতিরোধে অতি কার্যকরী একটি উপাদান। ভ্রমনের সময় একটি দানা মুখে নিয়ে চিবোলে আর বমির সম্ভাবনা থাকবে না তবে খেয়াল রাখবেন এটা যেন গিলে ফেলবেন না। তাহলে গলা জ্বালা করতে পারে। এটা বমি প্রতিরোধে ভীষন কার্যকর।
আর তাছাড়া বাজারে ফার্মেসী তে বিভিন্ন বমির ওষুধ পাওয়া যায়, সেগুলোও সাতে নিলেও যাত্রাপথে বমি এড়ানো সম্ভব। তবে এত সহজে যখন প্রাকৃতিক ভাবে জিনিস টা করা সম্ভব, তাহলে আমরা ক্যেমিকেলে যাব কেন? আশা করি সকলেই বিষয় টা বুঝতে পেরেছেন। সকলে নিজের যত্ন নিন। নিজে ভাল থাকুন অপরকে ভাল রাখতে চেষ্টা করুন।
মন্তব্য লিখুন