ভিটামিন হল অতি ক্ষুদ্র পুষ্টি কণা যা প্রধাণত অণুজীব এবং উদ্ভিদ তৈরী করে। এটি সাধারণত মানবদেহে তৈরী হয় না। ভিটামিন আমাদের কোন শক্তি প্রদান করে না। তাহলে Vitamin আমাদের কেন প্রায়োজন? আমরা কেন Vitamin যুক্ত খাবার খাব?
ক্রমাগত পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। পরিবেশ দূষণের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেহের কোষ। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ এবং মানসিক চাপের জন্য ও কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষের সঠিকভাবে ক্ষয়পূরণ এবং বৃদ্ধিসাধন করে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। অনেক মনে করেন যদি পৃথিবীতে দূষণ না থাকত তবে আর ভিটামিনের প্রয়োজন হত না।
কিন্তু দূষণ ছাড়া তো পৃথিবী কল্পনা করা যায় না, তাই ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা ও অস্বীকার করা যায় না। এছাড়াও অনেক শরীরবৃত্তীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন। যেমন-
- ভিটামিন কো-এনজাইম হিসেবে কাজ করে।
- Vitamin আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
- ভিটামিন -এ এবং ভিটামিন -ডি হরমোন হিসেবে কাজ করে। কোষের বৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- রক্ত জমাট বাধতে Vitamin প্রধান ভূমিকা পালন করে।
দ্র্যাবতার উপর ভিত্তি করে ভিটামিন দুই প্রকার
- চর্বিতে দ্রব্ণীয় ভিটামিন
- পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন
ভিটামিন- এ, ডি, ই, কে লিপিড বা চর্বিতে দ্রবণীয়। তাই এই ভিটামিনগুলো শরীরে সঞ্চিত থাকে বহুদিন এবং শরীর তার প্রয়োজন অনুযায়ী এটি কাজে লাগায়।
চর্বিতে দ্রবণীয় Vitamin সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এগুলো শরীরে বহুদিন ধরে জমা থেকে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
অপরদিকে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যেমন Vitamin-B এবং Vitamin-C শরীরে জমা থাকে না, এগুলো রেচন ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
এই কারণে যদি আমরা একদিন বেশি পরিমাণ Vitamin-B এবং Vitamin-C জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলি কোন লাভ হবে না। কারণ আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় Vitamin রেখে বাকিটা অপসারণ করে ফেলবে।
এজন্য আমাদের প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট পরিমাণ Vitamin-B এবং Vitamin-C যুক্ত খাবার খেতে হবে।
অনেক ভাবতে পারে যে প্রতিদিনের খাবারে এত ভিটামিনের সমতা কিভাবে রক্ষা করব। এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের আশেপাশের সুলভ সব খাবার থেকে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় Vitamin পেয়ে যেতে পারি।
অনেকেই জানি কোন খাবারে কোন Vitamin পাওয়া যায়। তারপরও সবার সুবিধার্থে Vitamin যুক্ত খাদ্য তালিকা জেনে নেই।
ভিটামিন-এ যুক্ত খাবারঃকলিজা, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, মাংস, হলুদ ও লাল ফল এবং সবুজ শাকসবজি।
Vitamin-B সমৃদ্ধ খাবারঃ
শীমজাতীয় সবজি, মুরগী, মাছ, সূর্যমুখীর বীজ, অপরিশোধিত শস্যকণা, ঢেঁকিছাটা চাল।
Vitamin-C সমৃদ্ধ খাবারঃ
ব্রকলি, মিষ্টি আলু, টমেটো, টক জাতীয় ফল, কাচা মরিচ।
Vitamin-D সমৃদ্ধ খাবারঃ
মাছের তেল, চর্বি যুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, বিভিন্ন শস্য, দুগ্ধজাত খাবার।
Vitamin-E সমৃদ্ধ খাবারঃ
ভেজিটেবল অয়েল, অপরিশোধিত শস্য, বাদাম, সবজি, ফল, মাছ।
Vitamin-E সমৃদ্ধ খাবারঃ
ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি।