বলা হয়ে থাকে, পৃথিবীতে যতোজন মানুষ আছেন মানুষের ধরনও ততো রকমের। অর্থাৎ প্রতিজন মানুষই তার আচার-আচরণ, চিন্তা-ভাবনা এবং কর্মকাণ্ড দ্বারা অন্যদের চেয়ে আলাদা। সত্যিকার অর্থে কেউ কারো মতো নন। মনোবিজ্ঞানীগণ মানব প্রকৃতির বিভিন্ন ধরন নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং বড়দাগে মানুষের মানসিক দিককে শ্রেণিবিন্যস্ত করতে চেয়েছেন। একে ‘ট্রেইটস’ বলা হয়। এই ট্রেইটসের মধ্যে তিনটি ট্রেইটসকে মনোবিদরা মানুষের মানসিক দিকের সবচেয়ে ‘কালো বৈশিষ্ট্য’ বা ‘ডার্ক ট্রেইটস’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই তিনটি হচ্ছে সাইকোপ্যাথি, ম্যাকিয়াভেলিয়ানিজম এবং নার্সিসিজম। আজকে আমরা জানবো নার্সিসিজম নিয়ে। পুরোটা পড়ার পরে আপনি কতোটা নার্সিসিস্ট তা মিলিয়ে নিতে ভুলবেন না।
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
নার্সিসিজম বলতে এমন এক ধরনের মানসিক অবস্থাকে বোঝানো হয় যেখানে কোনো ব্যক্তি নিজের প্রতি নিজেই মুগ্ধ হয়ে থাকেন। একজন নার্সিসিস্ট মানুষ নিজের চেহারা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই মুগ্ধ হয়ে থাকেন এবং সন্তুষ্টি অনুভব করেন।এই প্রবৃত্তি সব মানুষের মধ্যেই কম-বেশি থেকে থাকে। তবে চরম মাত্রায় যারা নার্সিসিস্ট তাদের আত্মপ্রেম বা স্বমুগ্ধতা এতোটাই বেশি থাকে যে, অন্যকারো কোনোকিছুই তাদের ভালো লাগে না। এদের অনেকে অন্যদের সহ্যও করতে পারেন না। অনেক সময়ে আত্মপ্রেমে বিভোর হয়ে ভয়ংকর অপরাধমূলক কোনো কাজও ঘটিয়ে ফেলতে পারেন।
নার্সিসিজম নিয়ে আলোচনা করতে গেলে শুরুতেই গ্রীকপুরাণে বর্ণিত নার্সিসাসের কথা বলতে হবে। মূলত এই নার্সিসাসের নাম থেকেই নার্সিসিজম শব্দের উদ্ভব। গ্রীকপুরাণ থেকে জানা যায়, স্বর্গের রাণী হেরাকে কথায়-গল্পে মাতিয়ে রাখতেন তাঁর আজ্ঞাবহ প্রকৃতি দেবী ইকো। হেরা ইকোর এইসব গল্পে সবসময় বিভোর হয়ে থাকতেন।
এসময় তার স্বামী দেবরাজ জিউস প্রমোদে মত্ত হতেন পাহাড়ে, জঙ্গলে থাকা অন্য দেবীদের সাথে। এক সময় স্বামীর এই কীর্তির কথা হেরা জানতে পারলেন এবং তার সব রাগ গিয়ে পড়লো ইকোর উপর৷ কারণ ইকোর গল্প শোনাতেই তিনি সব সময় ব্যস্ত থাকতেন, যার কারণে জিউস অন্য দেবীদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ পেতেন।
ক্রোধান্বিত হেরা তখন ইকোর কথা বলার ক্ষমতা কেড়ে নিলেন। ইকো আর কথা বলতে পারতেন না। তিনি শুধু অন্যের কথার শেষটুকু প্রতিধ্বনিত করতে পারতেন। বলে রাখা ভালো এই ইকো’র নাম থেকেই ইংরেজি Echo শব্দের সৃষ্টি যার অর্থ প্রতিধ্বনি। তো ইকো হেরা’র প্রাসাদ থেকে পরিত্যক্তা হয়ে বনে বনে ঘুরছিলেন।
এমন একদিনে নদী-দেবতা কিফিসস-এর ছেলে নার্সিসাস হরিণ শিকারে বেরিয়েছেন। নার্সিসাস অতি সুদর্শন পুরুষ ছিলেন। তিনি দেখতে এতোই রূপবান ছিলেন যে, তার আশেপাশের প্রায় সব নারীই তার প্রেমে পড়তেন। কিন্তু তিনি কাউকেই তেমন পাত্তা দিতেন না, নিজের মতো চলে যেতেন পাশ কাটিয়ে। নারীরা যতোই তার মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুক না কেন, নার্সিসাস কারো দিকেই ফিরে তাকাতেন না।
ইকো বনের মধ্যে নার্সিসাসকে দেখে তার প্রেমে পড়লেন। কিন্তু হেরার সেই অভিশাপের কারণে ইকো কখনো নিজে থেকে কোনো কথা বলতে পারতেন না, তিনি শুধু অন্যের কথার শেষ অংশটুকুরই পুনরাবৃত্তি করতে পারতেন। ফলে সে নার্সিসাসকে মনের কথা জানাতেই পারছিলেন না! তো নার্সিসাস যখন বন অতিক্রম করছিলেন, ইকো তখন আঁড়ালে ছিলেন।
নার্সিসাস গভীর বনে কারো উপস্থিতি আঁচ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, “কেউ এখানে আছে?” ইকো আনন্দিত স্বরে প্রতিধ্বনি করলেন, “আছে, আছে”। ইকো গাছের আঁড়ালে লুকিয়ে থাকায় নার্সিসাস তাকে দেখতে পেলেন না, তাই আহ্বান করলেন, “কে, বাইরে এসো!” ইকো এতে উৎফুল্ল হয়ে উত্তর দিলেন, “এসো! এসো!”।
গাছের পেছন থেকে বেরিয়ে এলেন ইকো, দুহাত বাড়িয়ে দিলেন তার প্রিয়তম নার্সিসাসের দিকে। কিন্তু হায়! আত্মমুগ্ধ নার্সিসাস মুখ ফিরিয়ে নিলেন ইকোর কাছ থেকেও। তিনি বললেন, “আমি বরং মরে যাবো, তারপরে তোমাকে ক্ষমতা দেবো আমার ওপর। আগে নয়।” ইকো এবারও নার্সিসাসের কথার পুনরাবৃত্তি করতে লাগলেন।
কিন্তু ততক্ষণে নার্সিসাস চলে গেছেন সেই স্থান ছেড়ে। এরপর ইকো দুঃখে-শোকে-লজ্জায় নিজেকে লুকিয়ে ফেললেন একটি গুহায়। নার্সিসাসের প্রেমপ্রত্যাখ্যাত, অপমানিত এক প্রণয়াকাঙ্ক্ষী নারীর প্রার্থনা শুনে, ন্যায়পরায়ণ ক্রোধের দেবী নেমেসিস নার্সিসাসের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিলেন। “যে অন্যকে ভালোবাসে না, সে নিজেকে ভালোবাসুক”- এই ছিল তার সিদ্ধান্ত।
একদিন জলপান করতে গিয়ে নার্সিসাস একটি ঝিলের জলে ঝুঁকে পড়েন, জলের মাঝে তারই চোখ পড়ে ফুটে ওঠা তার প্রতিবিম্বের প্রতি। অভিশাপের কারণে মুহূর্তেই নিজের প্রেমে পড়েন নার্সিসাস। দিন ফুরিয়ে রাত এলো, আবার রাত ফুরিয়ে দিন৷
কিন্তু নার্সিসাস সেখান থেকে সরতে পারলেন না। মুগ্ধ নয়নে নিজেই নিজেকে প্রেমময় চোখে অপলক দেখতে লাগলেন। এভাবে নিজেকে দেখতে দেখতে একদিন তার মৃত্যু হয়। নার্সিসাসের এই গল্পের সাথে মিল রেখেই মনোবিজ্ঞানীরা আত্মপ্রেমে বিভোর মানসিক ধরনের নাম দিয়েছেন নার্সিসিজম।
নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা, নিজের আত্মবিশ্বাস এবং অবস্থানে খুশি থাকা, নিজেকে ভালোবাসা সহজ হিসেবে মোটেও খারাপ কিছু নয়। কিন্তু আত্মমুগ্ধতার চরমমাত্রাকে মনোরোগ হিসেবে দেখা হয়। এই রোগের কেতাবি নাম ‘নার্সিসিস্টিক পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার’ বা NPD।
বাংলায় বলা যেতে পারে ‘অতি আত্মপ্রেম জনিত ব্যক্তিক আচরণ বিচ্যুতি’। তবে ক্ষতিহীন আত্মপ্রেম বা আত্মমুগ্ধতার মাত্রা যতোই বেশি হোক না কেনো তাকে সরাসরি রোগ হিসেবে সনাক্ত করা ঠিক নয়। তবে সেটাও নার্সিসিজম, ফ্রয়েড যার নাম দিয়েছেন প্রাইমারি নার্সিসিজম। একে এখন হ্যালদি নার্সিসিজমও বলা হয়ে থাকে।
ধরা যাক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত এমন কোনো মেয়ের কথা যিনি প্রচুর সেলফি তোলেন এবং তা অন্যদের সাথে শেয়ার করেন। নিঃসন্দেহে তিনি নার্সিসিস্ট কিন্তু তা প্রাথমিক পর্যায়ের এবং ক্ষতিহীন।
এবার চিন্তা করুন এমন একজন শিক্ষার্থীর কথা যে তার হাতের লেখা নিয়ে অতি মাত্রায় গর্বিত এবং সন্তুষ্ট। এখন কোনো একজন শিক্ষককে ভাবুন, যিনি তাকে জানালেন যে তার হাতের লেখা ভালো না এবং সমালোচনা করলেন। এতে সেই শিক্ষার্থী ঐ শিক্ষকের সাথে ভয়ংকরভাবে ঝগড়া শুরু করলেন; সব রকমভাবে ক্ষেপে গেলেন তার উপর। এটা NPD।
নার্সিসিস্ট ব্যক্তিদের আচরণগত এমন কতগুলো দিক রয়েছে যা দ্বারা খুব সহজে প্রাথমিকভাবে তাদের চিহ্নিত করা যায়। সেসব হচ্ছে-
নিশ্চই এখন আপনি আপনার সেসব পরিচিত মানুষদের কথা ভাবছেন যাদের মধ্যে উপরোক্ত আচরণের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। শুধু অন্যেরটা ভাববেন না। আপনি নিজে কতটুকু নার্সিসিস্ট তাও মিলিয়ে নিতে পারেন।
এবার আমরা আলাদা আলাদা করে বেশ কয়েক ধরনের নার্সিসিজম নিয়ে আলোচনা করবো। এগুলো জানার পর আপনি আপনার পরিচিতদের আত্মপ্রেমের ধরন সম্পর্কে আরো বেশি পরিষ্কার হবেন।
আমাদের আশেপাশে এমন প্রচুর নার্সিসিস্ট রয়েছেন যাদের আচরণ দ্বারা তাদের চিহ্নিত করা একটু কঠিন। এরা সবার সাথেই মেশেন, সামাজিকতা রক্ষা করে চলাচল করেন। এদেরকে বলা হয় গুপ্ত আত্মপ্রেমিক।
সাধারণ যে বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে সচারাচর দেখা যায় তা হচ্ছে বাকপটুতা। সুন্দর করে কথা বলে খুব সহজে এরা আশেপাশের মানুষদেরকে মুগ্ধ করে ফেলেন। এবং এই দক্ষতার দ্বারা নিজের মতামত দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারেন। এর ফলে এরা নিজের বিশ্বাস থেকে একচুলও না-সরে অন্যদের উপর তা চাপিয়ে দেন।
মানুষকে তাদের প্রশংসা করতে একরকম বাধ্য করেন। আর সেটা না পাওয়া পর্যন্ত কথার দ্বারা তারা বিভিন্ন রকম চেষ্টা চালিয়ে যান। অন্যের সাফল্যে তারা খুব বেশি বাক্য ব্যয় করেন না। এদের মধ্যে ঈর্ষাবোধ প্রকট হয়। কিন্তু যেহেতু তারা নিজেকে লুকিয়ে রাখতে জানেন তাই সেসব গোপনই থেকে যায়। এরা নিজেদের ব্যর্থতাকে সমাজ বা ব্যবস্থার উপর চাপিয়ে দেন।
আপনার এমন কোনো বন্ধু বা পরিচিতের কথা ভাবুন যার কাছে আপনি আপনার কোনো সফলতার কথা বললেন। অমনি সে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তার নিজের এমনই কোনো সফলতার গল্প আপনাকে শুনিয়ে দিলেন। ধরেন, নোবেল পুরস্কার প্রদানের পর কেউ যুক্তি দিয়ে বোঝালেন যে উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তিনিও একটা নোবেল পেতেন।
আগেই বলা হয়েছে সব ধরনের নার্সিসিস্ট ক্ষতিকারক নয়; বরং নার্সিসিজমের কিছু কিছু ধরন অন্যের উপকার বয়ে আনে এরকম নার্সিসিস্টদের বলা হয় এক্সিবিশনিস্ট। অন্যরা কী ভাবলেন এটা নিয়ে এদের কোনো মাথাব্যথাই থাকে না। এরা উৎসাহের সাথেই নিঃসংকোচে নিজের আত্মপ্রচার করে থাকেন। এদের মধ্যে আলোচনায় থাকার চেষ্টাটা খুব লক্ষণীয়।
এদের অনেকেই খুব ভালো ভালো কাজ করেন অন্য মানুষের জন্য। কিন্তু উদ্দেশ্যটা থাকে নিজেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে সবার কাছে উপস্থাপন করা। ওদিকে দেখা যায়, খুব কাছের মানুষেরা এদের দ্বারা কোনো উপকার পান না। তারা এমন একটা চেহারা নিয়ে চলেন যে, তারা যেনো পুরো পৃথিবীটাকে বাঁচাতে প্রতিদিন নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আর সবার উচিত তাদের নিরন্তর ধন্যবাদ দেওয়া।
আমাদের পরিচিতদের মধ্যে এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যারা এক্সিবিশনিস্ট। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অনেক ধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে এমন অনেককেই খুজে পাবেন যাদের দ্বারা নিঃসন্দেহে অন্যের উপকার হচ্ছে। কিন্তু সেই বিষয়ে প্রচারেরও কোনো কমতি যাদের নেই বরং একটু বেশিই।
কিছু আত্মপ্রেমিক বা নার্সিসিস্ট রয়েছেন যারা নিজের প্রবৃত্তির কারণে অন্যের সরাসরি কোনো ক্ষতি করে ফেলেন। এদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক তারাই হলেন টক্সিক নার্সিসিস্ট। এরা সব সময় অন্যের মনোযোগ চান। এরা সব সময় নিজের গুরুত্ব এবং অপরের কাছে সময় চান। সময় না দিলে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং মাঝে মাঝে অন্যের ক্ষতি করে বসেন।
অন্যকে আঘাত বা কষ্ট দেবার পরে তাদের একটুও অনুশোচনা হয় না। এমনকি অল্প পরিচিত বা খুব বেশি কাছের নয় এমন মানুষের সঙ্গেও তারা এ ধরনের ব্যবহার করতে পারেন। টক্সিক নার্সিসিস্টরা অন্যকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে পারেন।
এছাড়াও এরা চুরি করতে পারেন, ডাকাতি করতে পারেন, কিংবা খুনও করতে পারেন। নিজের কৃতকর্মের জন্য এরা কখনো আত্মগ্লানিতে ভোগেন না। এরা নিজেকে অন্যের কাছে খুব বেশি আঁড়ালও করেন না।
সেক্সুয়্যাল নার্সিসিজ্ম বলতে নিজের যৌনতা কিংবা প্রেমিক-সত্তার সক্ষমতাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে কল্পনা করার প্রবণতাকে বুঝায়। অনেককে দেখা যায়, পরিচিত আড্ডায় নিজের প্রেম বা যৌনতার আখ্যান দিয়ে নিজেকে সব সময় জাহির করেন।
সাধারণত ছেলেদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এ ধরণের নার্সিসিস্টরা প্রেমকে যৌনতার প্রাপ্তি দিয়ে বিচার করতে পছন্দ করেন। ফলে এরা সত্যিকারের আত্মিক সম্পর্কের চর্চার ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। নানাবিধ যৌন বিকার, নারীর উপর যৌন-নির্যাতন, পারিবারিক নির্যাতনের কারণ হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই সেক্সুয়াল নার্সিসিজ্ম দায়ী বলে ধরা হয়।
খ্যাতনামা মনোবিজ্ঞানী এ্যলিস মিলার নতুন এক ধরনের নার্সিসিজম নিয়ে আলোচনা করেছেন যা সাম্প্রতিক সময়ের এক ভয়াবহ ব্যাধি। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘নার্কাস্টিক এ্যবিউজ’ যা দ্বারা শিশুদের উপর বাবা-মা কর্তৃক একধরণের মানসিক নির্যাতনকে বোঝানো হয়।
এ্যলিসের ভাষায় এ ধরণের বাবা-মা হলেন ‘নার্সিসিস্টিক প্যারেন্ট্স‘- যারা অল্প বয়ষ্ক সন্তানের স্বতঃস্ফূর্ত ইচ্ছের বিকাশকে রুদ্ধ করে নিজেদের সম্মান বৃদ্ধির প্রয়োজনে, নিজেদের অপূর্ণ ইচ্ছেকে সন্তানের ভেতর বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে যেকোন চেষ্টায় পিছপা হননা।
মূলত, বাবা-মা তাদের নিজেদের রচিত ভবিষ্যৎ রূপরেখা সন্তানের উপর চাপিয়ে দেন—যা এক ধরণের নিষ্ঠুরতা। আজকাল সন্তানকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর এক অদম্য ইচ্ছে নিয়ে, বাবা-মা সন্তানের জন্মের পর থেকেই ঝাপিয়ে পড়েন। শিশুটির ব্যক্তিগত চিন্তা গড়ে ওঠার পূর্বেই তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবার বোঝা। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন আচরণের কারণে অতিদ্রুত সন্তানের সাথে মা-বাবা’র দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়।
ছবিঃ সংগৃহীত
References:
1. www.mayoclinic.org
2. www.verywellmind.com
3. www.healthline.com
4. www.psychologytoday.com
5. en.m.wikipedia.org
মন্তব্য লিখুন