গেঁটেবাত খুব পরিচিত একটি সমস্যা। বৃদ্ধ মানুষের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। গেঁটেবাত হলে অস্থিসন্ধিতে প্রচণ্ড ব্যাথা হয় এবং অস্থিসন্ধি ফুলে যায়। বৃদ্ধাঙ্গুল সংলগ্ন অস্থিসন্ধিগুলো গেঁটেবাতের কারণে বেশি আক্রান্ত হয়।
রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে গেঁটেবাত হয়। বিভিন্ন প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যেমন মাংস, মাছ, সামুদ্রিক খাবার পিউরিন থাকে। বিভিন্ন মিষ্টি পানীয়তে প্রচুর পিউরিন থাকে। এই পিউরিন ভেঙ্গে ইউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। এটি শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
সাধারণত ইউরিক এসিড রক্তে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। কিডনির মাধ্যমে ইউরিক এসিড মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ ইউরিক এসিড তৈরি করে আর কিডনি খুব অল্প পরিমাণ অপসারণ করে তখন শরীরে ইউরিক এসিড বেশি জমা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ইউরিক এসিড কাঁটার মত স্ফটিক তৈরি করে অস্থিসন্ধির আশেপাশে এবং ব্যাথা ও প্রদাহ সৃষ্টি করে।
গেঁটেবাতের ব্যাথা সাধারণত রাত্রে বেশি হয় এবং হঠাৎ করে ব্যাথা দেখা দেয়।
অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যাথাঃ গেঁটেবাত বৃদ্ধাঙ্গুল সংলগ্ন অস্থিসন্ধিতে বেশি হয়।তাছাড়া এটি যেকোনো অস্থিসন্ধিতে হতে পারে। সাধারণত গোড়ালি,হাঁটু, কনুই, হাতের কব্জি এবং আঙ্গুল বেশি আক্রান্ত হয়।ব্যাথা শুরু হওয়ার চার থেকে বারো ঘন্টা খুব তীব্র ব্যাথা অনুভব হয়।
দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তিঃ ব্যাথা কমে যাওয়ার পর বিভিন্ন অস্থিসন্ধির আশেপাশে অস্বস্তি অনুভূত হয় এবং এটা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
নড়াচড়া করতে অসুবিধা হওয়াঃযত দিন যায় বাতের প্রকোপ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে এবং নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়।
যদি অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যাথা অনুভব হয় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা না করালে পরবর্তীকালে অনেক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সবাইকে স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস কি? কেন হয়? লক্ষণ ও চিকিৎসা
মন্তব্য লিখুন