নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ এর ডিসেম্বরের শেষে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা। নির্বাচনের পুরো অবয়ব এখনো পরিষ্কার নয়। রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দাবী-দাওয়া বা শর্ত নিয়ে বেশ সরব।
বিশেষ করে ভোটে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে অনেকের সংগে ইসির মতবিরোধ আছে। বৃহৎ দল বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং অতঃপর তাদের দ্বারা একটি নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কমিশন দাবী করেছে। এরপর ঐ নির্বাচন কমিশন এর অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা তারা বলছেন।
বিএনপি’র সংগে আরও দল আছে। কাজেই নির্বাচন হওয়া ও না-হওয়ার মধ্যে একটি বড় রকমের বিরোধ লক্ষ্যণীয়। নির্বাচন হতে এখনও অন্ততঃ বছর খানিক দেরী। সময় ঘনিয়ে এলে নানা দল-জোটের তৎপরতার মধ্যে দিয়ে বিষয়টার সমাধান আশা করা যায়। অতঃপর রাজনৈতিক দলগুলি যথারীতি তাদের হাওয়া মেশিন নিয়ে নিয়ে মাঠে নামবে।
নির্বাচন হবেনা -এমন কোন পরিস্থিতি দেশে নাই। যেভাবে হোক জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং একটি দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। সম্ভাবনা কম হলেও জোট সরকারের বিষয়টাকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিন্তু এরপর কী হবে তা অনিশ্চিত। অবশ্য ‘অনিশ্চিত’এর বদলে ‘নিশ্চিত’ও বলা যায়। কারণ সবার জানা যে অবস্থা যা আছে তা-ই থাকবে বা এর চেয়েও খারাপ হতে পারে তবে ভাল হবেনা।
এখন পর্যন্ত প্রতিবার পালা বদলের পর অবস্থা খারাপ হয়েছে। তা-ই বলা যায় খারাপ হওয়ার নিশ্চয়তা আছে। রাজনীতি এমন কোন গতি ধারণ করেনি বা এমন কোন পরিবেশ তৈরি করেনি যাতে মানে হতে পারে যে, পুর্বের অবস্থা আর ফিরে আসবেনা।
দৃশ্যমান সমস্যা ও এসবের পেছনের উৎসগুলির নির্মুলকরণ না হওয়াই খারাপের এরুপ পুনঃ প্রত্যাবর্তনের কারণ । কেন ভেতর ও বাহিরের সমস্যাগুলো নির্মুল হয়না সে আলোচনা অনেক দীর্ঘ, এখানে প্রাসংগিক নয়। তবে আপাততঃ এ কথা সঠিক যে এরুপ পরিবর্তন ছাড়া আগামীর সাধারণ নির্বাচন হবে অতীতের নির্বাচনগুলির মতই একটি গৎবাঁধা পুনরাবৃত্তি, একটি সনাতন ডামাডোল এবং প্রচুর অর্থ ও সময়ের অপচয়।
মৌলিক সমস্যাগুলিকে আওতায় আনতে বরাবরের র্ব্যথতা নির্বাচনকে জনস্বার্থের বাইরে রেখে স্রেফ জয়-পরাজয়ের একটি খেলায় পরিণত করেছে। পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আবারও সেই খেলা মানুষকে দেখতে হবে তারা এতে যতই অনিচ্ছুক হন।
প্রতিদিন ভোগ করতে হচ্ছে বিধায় দৃশ্যমান ব্যাধিগুলির বিষয়ে সবাই সম্যক অবগত। উপসর্গ অনেক তবে বর্তমানে বেশী দাপটে আছে মুল্যস্ফীতি। মাঝে মধ্যে মানুষকে দম ফেলার ফুরসৎ দিতে পণ্যমুল্য দু’এক টাকা কমে পরে আবার দৌড়ানো শুরু করে।
ডিম ও লোহা এর দুটি উদাহরণ। ডিমের দাম প্রতি হালি ৫০-৬০ টাকা থেকে নেমে আসে ৩৮-৪০ টাকায় ,এখন আবার গিয়ে ঠেকেছে ৪৪-৪৮ টাকায়। লোহার দর উঠেছিল টন প্রতি ৯২-৯৩ হাজার টাকা, পরে নেমে আসে ৮৮-৯০ হাজার টাকায়। এখন (১১/১১/২০২২) আবার গিয়ে ঠেকেছে ৯৪ হাজার টাকায়। প্রায় সব জিনিষেই অবস্থা এই রকম।
মুল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে মানুষও দৌড়াচ্ছেন পিছু পিছু, যতটা সম্ভব ভোগ কমিয়ে ; কমছে মানুষের পুষ্টি চিকিৎসা চলাফেরা সহ অন্যান্য খরচ,তবু বাজারকে নাগালে পাওয়া যাচ্ছেনা। মানুষ অবশ্য দৌড়ের মাধ্যেই আছে। অবস্থা ভেদে মাঝে মধ্যে এর কিছুটা কমবেশী হয়।
বাজারের উৎকট হিংস্র সাম্প্রতিক বিষয়। অনেক আগে হতে চলে আসছে দুর্নীতি লুটপাট ও দুর্বৃত্তায়নের আধিপত্য। মনে হচ্ছে এগুলি কোন সীমানা মানতে রাজী নয়, নিয়ন্ত্রণও করা যায়না। এছাড়াও অন্যান্য সামাজিক নৈরাজ্য ও প্রচুর ভোগাচ্ছে মানুষকে। মিডিয়া প্রতিদিন বিশদে জানাচ্ছে আমাদের সামাজিক অধঃপতন আর নৈতিক অবক্ষয়ের খবরগুলি। এরই একটা ফল কিনা জানিনা, নৈরাজ্য না-কমে কেবল বাড়ছে। বিশেষ করে খুন ধর্ষণ যেন ডাল ভাত। সামান্য ঘটনায় তুচ্ছ কারণে এসব ঘটছে। যেন বোঝাতে চাইছে বেশী বকবক করে বা আইনের ভয় দেখিয়ে লাভ হবেনা।
রুটিন অনুযায়ী বলা যাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না-আসার প্রধান কারণ নিয়ন্ত্রক মহলের ব্যর্থতা। আর নিয়ন্ত্রক মহলের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারা চেষ্টা করছেন, নিত্য নতুন আইন-বিধান তৈরি হচ্ছে কিন্তু দিন শেষে মনে হয় সমস্যার গোঁড়া বা উৎসটা তারা খুঁজে পাননি; কোথায় হাত দিলে কাজ হবে তা তাদের অজানা। এই রকম অবস্থার মধ্যে মাঝে মাঝে খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে হৈ-হৈ রৈ-রৈ আওয়াজ তুলে তারা বের হন।
আম জনতা টিভিতে দেখেন তেলের দোকান মনিহারী মরিচ-পেঁয়াজের দোকান নগরের গলি-ঘুপচিতে থাকা গুদাম হোটেল সবখানে অভিযানের সাঁড়াশি উপস্থিত। দেখে মনে হয় এবার একটা চুড়ান্ত ফয়সালা হবে, সব অনিয়ম দুর্নীতিকে কোরবানী দিয়ে তবে তারা ঘরে ফিরবেন। অল্প কিছুদিন যায়। এরপর দেখা যায় পরিস্থিতি আবার পুর্বের জায়গায় ফিরে এসেছে। তখন দ্বন্দ উপস্থিত হয় যে, নিয়ন্ত্রণের নামে আগুনে ঘি ঢালা হলো কি না বা কে কাকে কোরবানী দিল।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন -এ এসবের ছাপ পড়ে। বিশেষ করে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলি পরিস্থিতির সুযোগ নেয়; সমাধানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রোফাইল থেকে তারা নানা প্রতিশ্রুতি দেন, আশা দেন, তাদের গলার আওয়াজ বাড়ে; পুর্ববৎ বোঝানো হয় যে, এবার সত্যিকার অর্থেই পরিবর্তন আসতে চলেছে। অভাগা মানুষ বিগত বহু বছরের অভিজ্ঞতাকে দুরে সরিয়ে (এছাড়া হয়তঃ উপায়ও নাই) পুনরায় বিশ্বাস স্থাপন করেন; অতীতের সব প্রতারণা বিস্মৃত হন, ভগ্ন বিশ্বাস জোড়া লাগে। এ যেন বাংগালী চরিত্রের এক অপরিবর্তনীয় রসায়ন। বার বার ভুল করলেও মানুষের একটা প্রত্যাশা বরাবর থাকে যে, একটা পরিবর্তন হোক, এভাবে আর চলা যায়না।
মুল্যস্ফীতি দুর্বৃৃত্তায়ন ভীতিকর বদ্ধ পরিবেশের কারণে এবার মানুষের কষ্ট অনেক বেশী। তাই পরিবর্তনের প্রত্যাশাও আগের চেয়ে বেশী। রাজনীতিকেরা এসব বোঝেন, তাদের কারবার মানুষ নিয়ে। তাই তারাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন নতুন মডেলের প্রচারাভিযানে নামার। এখনি তার কিছু কিছু আভাষ পাওয়া যাচ্ছে।
স্বভাব বশে বাঙালী একটি বিস্মৃতি প্রবণ জাতি। কেবল কিছু মনোহর বচন, ভংগী আর জোরালো কণ্ঠস্বর তার জন্য বেশ কার্যকর। বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে মানুষ এসব দেখছেন। এখন উচিৎ দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাগুলি কাজে লাগান। ভোগান্তির অবসান ঘটাতে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো বর্তমান সময়ে একটি প্রধান দায়িত্ব। অতীতে যা-ই ঘটুক আর ভুলোমনা হওয়া চলবেনা।
সংকটগুলো মোটা দাগে দুই রকমের। এক শ্রেণীর সংকট মানুষকে সরাসরি সেঁক দেয়, ভোগায়। মানুষ তখন দোষ দেন বাজার ব্যবসায়ী দুর্নীতিবাজ কর্মচারী সহ নানা পক্ষকে। অন্যগুলির অবস্থান ভেতরে, কাঠামোর মধ্যে, বাইরে থেকে দেখা যায়না। তাই সাধারণ মানুষ এদের বিষয়ে তেমন কিছু বলেন না। ভেতরের আয়োজন গুলির কাজ বাহিরের আয়োজনগুলিকে নীতি-কাঠামোগত সহায়তা দেয়া যেন সেগুলি ভালভাবে চলতে পারে, হোঁচট না খায়।
এরাই আসল। আসল সংকট দুর হয়না বলে সমস্যা কোথাও কমেনা বরং বাড়ে কারণ ভেতরের উস্কানী ও সমর্থন অব্যাহত থাকে। যদি ভেতরের সমস্যাগুলো না থাকে তবে বাহিরের গুলোও সরবরাহ বন্ধ হয়ে থেমে যাবে। সমস্যা যে কেবল বাড়েছে তা-ই নয় মানুষ ক্রমে নতুন ধরণের সমস্যা ও বিপদের সংগে পরিচিত হচ্ছেন যেগুলি তাকে আগে মোকাবিলা করতে হয়নি।
নতুন সমস্যা আনছে নতুন রাজনৈতিক বচন ও কৌশল। এরুপ কিছু উক্তি হল ‘সমস্যাগুলি নতুন’, ‘নিরসনে কাজ চলছে’; কেউ বলেন তারা বিষয়গুলিকে ‘এড্রেস’ করছেন, কেউবা সমাধানের জন্য নানারকম মেয়াদের (স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী, দীর্ঘ মেযাদী) কথা বলেন, কেউ বলেন সবকিছু ‘নজরে’ থাকার কথা। আরো নানারকম নতুন নতুন কথা শোনা যায়, বোঝা যায় বেশ একটা সাংষ্কৃতিক পরিবর্তন হয়েছে। এগুলি পরিবেশন করা হয় বাস্তবতা অনুযায়ী।
অনেক শোনার পর মানুষ এখন এসব আর শোনেন না, হা-করে তাকিয়ে থেকে (যেহেতু তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় তাদের নাই) গলধঃকরণ করেন। শেষে দেখা যায় তোলপাড় ছাড়া অন্য কাজ হয়নি, অর্থ্যাৎ ‘এড্রেস’ ভুল এবং ‘নজর’ নষ্ট। সাধারণ বুদ্ধিতে বোঝা যায় সাপের দাঁত ভেংগে লাভ নেই, সেটা অল্পদিনে গজায়। দরকার ভেতরে থাকা বিষের থলিটা অপসারণ করা। তাহলেই বিষক্রিয়া বন্ধহবে। বিষ সঞ্চিত হতে না পারলে তার ক্রিয়াও আর ছড়াবে না। বিধায় এখন জরুরী হয়ে পড়েছে ভেতরের সকল ক্ষতিকর কাঠামোর অপাসারণ। এজন্য প্রয়োজন আগামী নির্বাচনের আগে মুক্তকণ্ঠে জোরালো আওয়াজ তোলা, এখনি সময়। সমাধানের নামে খেলা চলল অনেকদিন, আর কত।
ভেতরের সমস্যাগুলো জানা, ইদানীং বেশ আলোচনায় আছে। বারবার পালা বদলে কেবল অভিনেতা বদলায় পালার পরিবর্তন ঘটেনা। তাই অনেকের মনে ঠাঁই পেয়েছে উৎসে পরিবর্তনের কথা। এটা শুরু হয় এককেন্দ্রীকতা দিয়ে। এককেন্দ্রীকতার অবসান দরকার; এটা একেবারে ফরয হয়ে উঠেছে। তারও আগে দরকার জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়ন যার বর্তমান দশা অশ্বডিম্বের মত।
জনগণের প্রকৃত ক্ষমতায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন আছে। দেশে গণক্ষমতার একটি নতুন কাঠামো দরকার যেখানে যুক্ত হয়ে জনগণ রাষ্ট্রের ব্যাপারে সরাসরি ভুমিকা রাখার সুযোগ পাবেন। এই কাঠামো হতে পারে গণপরিষদ। সংবিধান সংশোধন করে গণপরিষদকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে বিধান তৈরি করা দরকার।
সংবিধানের কিছু বিধি-বিধান পরিবর্তন করে একেন্দ্রীকতাকে সমাধিস্থ করা জরুরী। সংবিধানের মাধ্যমে সুকৌশলে মানুষকে দুরে সরানো হয়েছে , এটা তারা বুঝতেও পারেননা। কাগজে-কলমে অনেকগুলি সাংবিধানিক সংস্থা আছে বর্তমান লেজেগোবরে অবস্থার কারণে যেগুলি ঠিকমত কাজ করতে পারেনা।
বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আরও বেশকিছু সাংবিধানিক স্বাধীন সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন। প্রতিক্রিয়াশীলতা এমনভাবে আঁকড়ে ধরে আছে যে ছাড়াতে গেলে শরীর ক্ষতবিক্ষত হবার যোগাড় হবে। এককেন্দ্রীকতার ভুতকে সাধারণ করে তুলতে প্রায়শঃ নানা কথা শোনা যা যেমনঃ এখানে হস্তক্ষেপ করা হবেনা, ওখানে বাধা দেয় হবেনা, ওরা সাবলীলভাবে চলে, তারা পুর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে -ইত্যাদি। ভেতরে কিছু আছে বলেই বাহিরে এভাবে কিছু বলার প্রয়োজন হয়। কারা কতখানি স্বাধীনতা ভোগ করবে বা করতে পারবে তা সংবিধানই নির্ধারণ করবে, বাইরের কারো গলাবাজীর দরকার হবেনা।
বিষয়টাকে খাটো করে রাখা হয়েছে বলেই এখন নানা সময় নানা কথা বলে কভারেজ দিতে হচ্ছে। এসবে হস্তক্ষেপ না করার কথা,স্বাধীনভাবে চলতে দেবার কথা। বিষয়গুলো সংবিধানে আরো সুনির্দিষ্ট ও সুনিরুপিত হওয়া দরকার যাতে কাউকে গলাবাজী করে ঘাটতিটুকু পুষিয়ে দিতে না হয়। যদি সবখানে নাক ঢুকানো থাকে তবে আলাদা করে আর নাক গলানোর প্রয়োজন পড়েনা। তখন কে কতটা স্বাধীনতা ভোগ করে কেবল বড় গলায় কেবল তার ফিরিস্তি দিলেই চলে। মানুষ এসব বোঝেন।
নতুন কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হবার আগে প্রয়োজন খোলামেলা আলোচনার। এখানেও সমস্যা -বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে। রাজনীতি এ আলোচনার পাশ ঘেঁষেনা, তার ভাত পুরোটাই মারা যাবে। প্রচলিত প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থার দানাপানি পুষ্ট উচ্চমার্গের একটি শ্রেণীর সহায়তায় কিছু ঢেউ তোলার ব্যবস্থা হয় যা জনগণকে স্পর্শ করেন। এরপর যারা বাইরে আছেন তাঁদের এগিয়ে আসা দরকার।
[ বিঃ দ্রঃ প্রায়ত মোঃ মমতাজ হাসান, ডিজিবাংলা টোয়েটিফোর এর নিয়মিত রাইটার, লেখাটি ১১/১১/২০২২খ্রীঃ তারিখে সাবমিট করেছিলেন। তিনি ০১/০১/২০২৩ খ্রিঃ মৃত্যুবরণ করেন। আমরা সেই সময়ে লেখাটি প্রকাশ করতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মহান আল্লাহ পাক তাঁকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন প্রার্থনা করছি।তার আরও দুইটি লেখা আমাদের কাছে জমা আছে যা পরবর্তীতে পাবলিশ করা হবে। ]
[email protected]