সমগ্র পৃথিবী জুড়ে তিন ভাগ পানি আর মাত্র এক ভাগ স্থল, তাইতো পানিকে জয় করে যোগাযোগের তাগিদেই ঘটেছে আধুনিক জাহাজ এর সূত্রপাত। সমুদ্রকে জয় করার প্রয়াস যেন মানুষের কৌতুহল।
তাই কলম্বাস তার কৌতুহলী মনের উত্তর খুজতে পারি দিয়েছিল সমুদ্র, আবিষ্কার করেছিল অ্যামেরিকা, যা সম্ভব হয়েছিল এই তরীর মাধ্যমেই। মানুষের এক দেশ থেকে অন্যদেশ ও নিজেদের দেশের মধ্যে মালামাল পরিবহন ও যোগাযোগ স্থাপনের তরিকাই যেন জাহাজের উপর কেন্দ্র করে।
তাই মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সৃষ্টি করেছে নানা ধরনের সুবিশাল ও আধুনিক জাহাজ। কৌতুহলী মানুষের মন আজও উত্তর খুজে বেড়ায় কোন জাহাজের বিশালতা ও আধুনিকতা কত বেশি।
তারই ধারায় বিশ্বের নয়টি সুবিশাল ও আধুনিক জাহাজ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
পৃথিবীর অন্যতম সুবিশাল আধুনিক জাহাজ এর শীর্ষ দিকের তালিকায় রয়েছে এম এস ভ্যালে নামক এই জাহাজটি। এই সুবিশাল জাহাজটিকে তৈরী করেছে ভ্যালে নামক ব্রালিজিয়ান মাইনিং কোম্পানি।
Vale শব্দের অর্থ হলো উপত্যকা এম এস ভ্যালি যেন সমুদ্রের বুকে ভাসমান উপত্যকারই প্রমান। এই জাহাজ বহুল আলোচিত টাইটানিক এর চেয়েও কয়েকগুন বড় এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৮৭ ফুট অর্থাৎ ৩৬২ মিটার। আর চওড়ায় ২১৩ ফুট এবং ৯৯ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট।
গ্রোস টনেজ হিসাবে এর ওজন প্রায় ১৯৮৯৮০ টন। এই সুবিশাল জাহাজটি একসাথে প্রায় সাতটি র্কাগোসিপকে ধারন করতে পারে যার আয়তন ২১৯৯৮০ কিউবিক মিটার।
এটি অনেক বড় আকৃতির আকরিক বহন করতে পারে যার লোড ১১১৫০ টি ট্রাকের লোডের সমান, আকরিক টানায় পারদর্শি হওয়ায় এটি পরবর্তিতে অরি ব্রাজিল নামে পরিচিতি পায়। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক মডেলের দুইটি ডিজেল ইঞ্জিন যা ৩৯২৪০ অশ্ব ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।
এই ইঞ্জিনের ক্ষমতা ৭৮ রেভুলেশন পার মিনিট যাতে প্রতিদিন ৯৬.৭ টনের তেল জ্বালানি হিসেবে খরচ হয়। এটি সিঙ্গাপুর র্পোট কতৃক নিবন্ধনকৃত। এই সুবিশাল জাহাজের চলাচলের রুট ব্রাজিল থেকে চীন। যার স্পিড ১৫.৪ নটস বা ২৮.৫ কিলোমিটার পার ঘন্টা।
এটি ডেড ওয়েট টনেজ হিসাবে জাহাজ সহ ৪০২৩৪৭ টন লোড নিতে পারে এবং ৩৩ জন ক্রু বিশিষ্ট । এর লোড ধারন ক্ষমতা অনেক বেশি থাকায় চায়না র্পোট ৩০০০০০ টন এর বেশি লোড নিতে পারায় রুট পারমিট বাতিল করে বর্তমানে এটি টরেন্টো রুটে চলাচল করছে।
মানুষের কৌতুহলী মনে যদি প্রশ্ন জাগে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা আধুনিক জাহাজ এর কর্নধারকে নিঃসন্দেহে তা সমুদ্রের দৈত্য সিওয়াইজ জায়েন্ট। এটি জাপানের ইউকোসুকা কানাগাওয়াতে সুমিতমো হ্যাবি ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করেছে এবং ১৯৭৯ সালে লাঞ্চ করা হয়।
সমুদ্রের লম্বাকৃতির এই দৈত্যর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০৪ ফুট বা ৪৫৮ মিটার যা নিঃসন্দেহে নিউইয়র্কের এমপেরিয়ার বিল্ডিং, বুর্জ খলিফা, সিজ টাওয়ার, পেট্রোনাস টাওয়ার এর সমান। এটি ৮০ ফুট চওড়া ও ৯৭ ফুট গভীরতা বিশিষ্ট।
এই জাহাজের গ্রোসটনেজ হিসাবে ওজন ২৬০৯৪১ টন এবং ডেড ওয়েট টনেজ হিসাবে জাহাজ সহ লোড বহন করতে পারে ৬৪৬৬৪২ টন যা ইতিহাসে বিরল। এর কর্মক্ষম ইঞ্জিন গুলো ৫০০০০ অশ্বক্ষমতা বিশিষ্ট যার গতিবেগ ১৬.৫ নটস বা ৩০.৬ কিলোমিটার পার ঘন্টা।
এটি মূলত তেলবাহী জাহাজ যার ইঞ্জিন গুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে Ljunstrom turbine টেকনোলজি। মালিকানার পরিবর্তনের আদলে বহুবার এর নামের পরিবর্তন হয়েছে প্রথমে সি ওয়াইজ জায়েন্ট, তারপর হ্যাপি জায়েন্ট, পরবর্তিতে জারে ভাইকিং, পরে নকনেভিস।
অবশেষে ইন্ডিয়ান কোম্পানির মালিকানায় নাম পায় মন্ট নামে।
টি আই ক্লাস সুপার ট্যাংকারস হলো Ultra large crude carriers এর অধীনে পৃথিবীর সুবিশাল ও আধুনিক তেলবাহী শ্রেনীর জাহাজ। টি আই এর অর্থ ট্যাংকারস ইন্টারন্যাশনাল। টি আই ক্লাস সুপার ট্যাংকারস এর প্রায় একই আকৃতির ৪ টি জাহাজ বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে।
টি আই আফ্রিকা, টি আই এসিয়া, টি আই ইউরোপ, টি আই ওশেনিয়া যেন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সমুদ্রের অবলীলায়। ডায়েও সিপ বিল্ডিং এন্ড মেরিন ইন্জিনিয়ারিং এর তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ কোরিয়ার অকোপো ডং এ ২০০৩ সালে এই জাহাজগুলো তৈরী করা হয়।
যা মূলত গ্রোস টনেজ হিসাবে ২৩৪০০৬ টন ওজন বিশিষ্ট। ডেড ওয়েট টনেজ হিসাবে সর্বোচ্চ ৪৪১৮৯৩ টন লোড ধারন করতে পারে।এই জাহাজগুলো লম্বায় প্রায় ১২৪৬ ফুট এবং ২২৩ ফুট চওড়া। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইঞ্জিন এর গতি প্রায় ১৬.৫ নটস।
এই জাহাজগুলোর রয়েছে অসাধারণ তেল ধারন ক্ষমতা যা প্রায় ৫০৩৪০৯৯০০ লিটার তেল ধারন করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ স্বপ্নের ভূবণ গ্রীনল্যান্ড এর আত্ম পরিচিতি
ওয়াসিস ক্লাস ক্রুজ সিপ হলো রয়েল ক্যারেবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক তৈরী সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জাহাজ। এই রয়েল ক্যারেবিয়ান কোম্পানির ৪ টি জাহাজ বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। ওয়াসিস অফ দ্য সিজ, অ্যালুর অফ দ্য সিজ, হারমনি অফ দ্য সিজ আর সিম্ফনি অব দ্য সিজ।
এই জাহাজগুলো বর্তমানে সর্বাধুনিক ও সুবিশাল যাত্রীবাহী জাহাজের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। অ্যালুর অফ দ্য সিজ ও সিম্ফনি অফ দ্য সিজ জাহাজদুটি ২০১০ ও ২০০৯ সালে ফিনল্যান্ডের এস টি কে ইউরোপ তু্রকো সিপইর্য়াড তৈরী করেছে।
এদের গ্রোস টন হিসাবে মোট ওজন ২২৭৭০০ টন। পানির রেখা থেকে জাহাজ দুইটির উচ্চতা ২৩৬ ফুট এবং মোট ৬২৯৬ জন যারী বহনে সক্ষম। এই গুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৮১ ফুট এবং ১৬ টি ডেক বিশিষ্ট। রয়েল ক্যারেবিয়ান কোম্পানির আরও একটি অত্যাধুনিক জাহাজ হারমনি অফ দ্য সিজ।
এই জাহাজটি তৈরী করতে খরচ হয়েছে ১.৩৫ বিলিয়ন ডলার। এটি ২৩০০ জন ক্রু বিশিষ্ট এবং সর্বোচ্চ ৬৭৮০ জন যাত্রী ধারন করতে পারে। পরবর্তিতে ২০১৮ সালে রয়েল ক্যরেবিয়ান এর সর্বশেষ আপডেট ও সমুদ্রের বুকে ভাসমান শহর স্বরুপ আধুনিক জাহাজ সিম্ফনি অফ দ্য সিজ।
এটির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ২৩৮ ফুট। এই সুবিশাল তরীর মোট যাত্রী বহন সক্ষমতা ৬৬৮০ জন আর ২২০০ জন ক্রু সার্বক্ষনিক নিযুক্ত রয়েছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ডিজেল ইঞ্জিন যার গতি প্রায় ২২ নটস বা ৪১ কিলোমিটার পার ঘন্টা।
এই সর্বাধুনিক জাহাজগুলো যেন সপ্নের শহরের মতো, রয়েছে মানুষের গতানুগতিক সকল ধরনের চাহিদা পূরনের আধুনিক ব্যবস্থা।
সুইমিংপুল, থিয়েটার, সিনেমাহল, র্সাফিং, হিল ট্রাকিং,সেন্ট্রাল পার্ক, শপিংমল,প্যারাসুটিং ও সাইন্স ল্যাব বিখ্যাত অনেক রেস্টুরেন্ট নানা রঙের আচ্ছাদনের চাদরে আবৃত এই জাহাজগুলো। তাছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তির জি পি এস সিস্টেম এতে ব্যবহৃত হয়েছে।
ইমা মর্শক হলো ট্রিপল ই ক্লাসের অর্ন্তভুক্ত পৃথিবীর সর্বাধুনিক কনটেইনার সিপ। এই সুবিশাল আধুনিক জাহাজ টিকে ডেনমার্কের ওডেনসে স্টিল সিপইর্য়াড কোম্পানি ২০০৬ সালে তৈরী করে। এর বর্তমান মালিক মোলার মার্শক। এটি ডেনমার্ক এর পোর্ট অফ রেজিস্ট্রির আওতায়।
গ্রোস টনেজ হিসাবে এর ওজন ১৭০৭৯৪ টন এবং ডেড ওয়েট টনেজ হিসাবে মাল বহন করতে পারে ১৫৬৯০৭ টন। এটি লম্বায় প্রায় ১৩০২ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এবং বিমের দৈর্ঘ্য ১৮৪ ফুট। এতে পাঁচটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ডিজেল ইঞ্জিন বিদ্যমান যা ১১১ মেগাওয়াট শক্তির বিদুৎ উৎপাদন করে।
এটি সর্বোচ্চ ১৪ টনের কনটেইনার লোড করতে পারে যাতে প্রায় ১৮০০০ এর অধিক কনটেইনার নেওয়া যায়। এর ধারন ক্ষমতা ১৫০১১ টি ই ইউ এর অধিক।
এর গতিবেগ ঘন্টায় ২৫.৫ নটিক্যাল পার মাইল ও ৪৭.২ কিলোমিটার পার ঘন্টা। এই জাহাজে ৩০ টি কেবিন আর ১৩ জন ক্র্রু বিদ্যমান।
নিউক্লিয়ার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের সর্বপ্রথম তৈরীকৃত জাহাজের নাম নিউক্লিয়ার আইসব্রেকার। এটি রাশিয়ার ফেডারেশনের মালিকানাধিন ব্লাকটিক সিপিইর্য়াড কোম্পানি তৈরী করেন এবং ১৯৮৯ সালে লাঞ্চ করা হয়।
এর ওজন প্রায় ২৩০০০টনের মতো এবং ৪৮৬ ফুট লম্বা ও বিমের দৈর্ঘ্য ৯৮ ফুট। এর দুইটি নিউক্লিয়ার রিয়্যাকটর (৫৪২ মেগাওয়াট) এবং দুইটি টার্বোজেনারেটর ( ৫৫২ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এবং ১৮৯ জন ক্রু বিশিষ্ট।
এই জাহাজটি সাধারণত উত্তর সমুদ্র রুটের আর্কটিক অঞ্চলে অর্থাৎ উত্তর সাইবেরিয়ার দিকে বেশি চলাচল করে। এই জাহাজের ইন্সটলেশন পদ্ধতি অনেক ব্যয়বহুল এবং নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপাদিত তাই এর চলার ধরন অনেক শক্তি প্রবন।
শীতকালীন সময়ে উত্তর সমুদ্র রুটে বরফের পুরুত্ব থাকে প্রায় ৪ ফুট থেকে ৭ ফুট। তাছাড়া ও আর্কটিক মহাসাগরে বরফের পুরুত্ব প্রায় ৮.২ ফুট পর্যন্ত বিদ্যমান।
আচ্শর্য্যজনক হলেও চমকপ্রদ নিউক্লিয়ার শক্তিপ্রবন এই জাহাজ প্রায় ৭-৮ ফুট বরফ কেটে দশ নটিক্যাল পার মাইল বা ১৯ কিলোমিটার পার ঘন্টা
বেগে চলতে পারে। বরফবিহীন সাধারন পানিতে এর বেগ ২১ নটস বা ৩৯ কিলোমিটার পার ঘন্টা।
পৃথিবীর সর্বপ্রথম সৌরচালিত জাহাজ বহুল আলোচিত এম এস টুরানর প্লানেট সোলার। এই ভিন্নতর সৌরচালিত জাহাজটি র্জামানির ক্যানিয়েরিয়াল ইয়াচবাউ ফেডারেশন তৈরী করেছে। এই জাহাজটি তৈরী করার মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ দূষন ও জ্বালানির অপচয় সম্পর্কে সচেতন করা।
এটি বানাতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। ২০১০ সালে এই জাহাজটিকে সার্ভিসের আওতায় আনা হয়। এটি ৮৫ টন ওজন বিশিষ্ট। এটি লম্বায় ৩১ মিটার বা প্রায় ১০২ ফুট আর প্রস্থে প্রায় ১৫ বা প্রায় ৫০ ফুট মিটারের মতো।
এতে প্যারাম্যাগনেট সাইক্রোনাস মটর রয়েছে যা ঘন্টায় প্রায় ২৬০০ বার ঘুড়ে। এতে ৪ জন ক্রু রয়েছে এবং সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৪ নটিক্যাল মাইল বা ২৬ কিলোমিটার পার ঘন্টা আর ৭.৫ নটিক্যাল মাইল ক্রুজ গতি বিদ্যমান।
এম ভি ব্লু র্মালিন জাহাজের বিশেষত্ব যেন একটু আলাদাই এই জাহাজকে মূলত ব্যাবহার করা হয় নষ্ট বা ডুবন্ত জহাজকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা নেওয়া করার জন্য।
নেদারল্যান্ডের ডকওয়াইচ সিপিং এর তত্বাবধানে র্মালিন ক্লাসের এই ভিন্নতর জাহাজটিকে তৈরী করা হয় এবং ১৯৯৯ সালে জহাজটিকে লাঞ্চ করা হয়। CSBC কর্পোরেশন কতৃক তৈরীকৃত এই জাহাজটি ডিজাইন করা হয় মূলত আধাডোবা পদ্ধতিতে।
এর পাটাতনের ছিদ্র দিয়ে পানি চলাচল করে এবং পুনরায় পানি অপসারণ করলে জাহাজটি ভেসে ওঠে। এটি লম্বায় প্রায় ৭৩৮ ফুট এবং ২০৭ ফুট চওড়া। গ্রোস টনেজ হিসাবে এর মোট ওজন ৫১৮২১ টন আর ডেড ওয়েট ওজন লোড সহ ৭৬০৬১ টন।
এতে রয়েছে অত্যাধুনিক মানের ডিজেল ইঞ্জিন যা ১৭১৬০ অশ্ব ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এই জাহাজে মোট ৩৮ টি কেবিন ও ৬০ ক্রু নিয়োজিত রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহি জাহাজের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে এই সুবিশাল জাহাজটি। স্টিফেন পায়েন এর নেতৃত্বে ব্রিটিশ নৌ আর্কিটেক্টদের একটি দল এটির ডিজাইন করে এবং ফ্রান্সের চানটির্য়াস ডি এল আলাটান্টিক র্নিমান করেন।
২০০৩ সালে এটিকে লাঞ্চ করা হয় এবং ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথ কর্তৃক এই জাহাজটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নামকরণ করা হয়। এটি মূলত ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে অ্যামেরিকার নিউওর্য়াক রুটে চলাচল করে।
জাহাজটি বার্ষিক ওয়াল্ড ক্রুজ সহ ক্রুজিং এর জন্যও ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজের নির্মান কাজে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৮৭ মিলিয়ন উএস ডলার। এটি লম্বায় প্রায় ১১৩২ ফুট আর পানির রেখা থেকে উচ্চতা প্রায় ২৩৬ ফুট।
গ্রোস টনেজ হিসাবে এর ওজন প্রায় ১৪৯২১৫ টন। এতে রয়েছে চারটি অত্যাধুনিক পদ্ধতির ডিসেল ইঞ্জিন যা ( ৬৭২০০ k.w) ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। যার গতি প্রায় ৩০ নটস বা ৫৬ কিলোমিটার পার ঘন্টা।
এটি সর্বোচ্চ ২৬২০ জন যাত্রী বহন করতে পারে এবং ১৮ টি ডেক বিদ্যমান। এই জাহাজের ১২৫৩ জন অফিসার ও ক্রু নিয়োজিত রয়েছে।
এতে রয়েছে প্রায় ১৫ টি রেস্তোরাঁ ও বার, পাচঁটি সুইমিংপুল, একটি ক্যাসিনো,একটি বলরুম, একটি থিয়েটার এবং সমুদ্রের প্রথম প্লানেটারিয়াম বিদ্যমান।
মন্তব্য লিখুন