“জীবনে ভাগ্য একটা বড় ব্যাপার, জীবনের সাথে সব ফ্যাক্টরগুলো যোগ হয়। তার সাথে ভাগ্যটা গুন হয়, সব ফ্যাক্টরগুলোর যোগাফল যত কম আর বেশি হোক না কেনো, যদি ভাগ্যের মান হয় শূন্য তবে দিনশেষে সবকিছুই শূন্য হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ভাগ্যটাই মেনে নিতে হয়”
২৩শে আগষ্ট সকাল, বাড়িতে আসার কিছুক্ষন পর আয়াসের আব্বু বলল তাড়াতাড়ি গরু জবাই করতে চল, আয়াস আব্বুকে বলল তুমি যাও আমি আসতেছি।
এদিকে বড় ভাই ঘুমের জন্য প্রস্তুত প্রায়, তাকে বলেকয়ে পাঠালাম আব্বুর সাথে, যদিও আম্মু সহযোগিতায়। ভেবেছিল আয়াস না গিয়ে পারবে, কিন্তু বন্ধুর ফোন আয়াস না গিয়ে পারল না। আয়াসের পড়নে ছিল হলুদ টি-শার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার, চলে গেল সেভাবেই।
কিছুক্ষন পড় আয়াস দেখল, লম্বা কাজল কালো চুল সম্ভবত পারপেল কালালের পোশাক পরিহিত ফর্সা একটি মেয়ে, দেখা মাত্র-ই আয়াস চমকে গেল। পরিচয় জানার কৌতুহল থাকার পরও নিরব থেকেই বেশকিছু ক্ষন পর আয়াস চলে এল।
আয়াসের আব্বু ও বড় ভাইয়ের উপস্থিতি আয়াসের সব কৌতূহল নিঃশেষ করে দিয়েছে। অবশেষে আয়াসের যাওয়াই হলো না সেদিকে আর।
২৯শে আগষ্ট বিকাল, ঢাকা পৌঁছে ফেসবুকে ডুকে আয়াস দেখল একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, চিনতে না পেরে আয়াস রিকোয়েস্ট এক্সসেপ্ট করল না। পরবর্তীতে ইনবক্সে নক দিল, আয়াস রিপ্লাই দিল কে আপনি?
জবাবে সে বলল আমি আফ্রিন, আয়াস বলল আফ্রিন নামে কাইকে চিনি না আমি। এভাবে আয়াস আর আফ্রিনের কনভারসেশন শুরু হল, এমন বেশ কিছু দিন কথা চললো। আয়াস আর আফ্রিন তাদের সম্পর্কের একটা নাম দিল “বন্ধুর থেকেও বেশি কিছু”।
হঠাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এক সপ্তাহ আফ্রিনকে আর আয়াস খুজে পাচ্ছে না, ফেসবুক ডি-এক্টিভ। আয়াসের কিছুই ভাল লাগে না বারবার ম্যাসেনজার চেক করে।
কিছু দিন পর আফ্রিন আবার অনলাইনে আসলো, তখন আয়াস জানতে পারল আফ্রিনের বাবা ফোন নিয়ে গেছিল, এরপর প্রতিদিন-ই তাদের কথা হত।
কিন্তু আয়াস আফ্রিনকে বড্ড বেশি ভালোবাসলেও ফেসবুক আইডি ছাড়া আয়াসের কাছে অল্টার কোন যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। আর এভাবে চললো বেশ কিছু দিন।
মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করলে, আফ্রিন বলত সময় হলে আমিই ফোন দেব।
৪ নভেম্বর সকাল, আয়াসের সিমকার্ড ডি-এক্টবভেট হয়ে যায়, আয়াস সারাদিন অফলাইনে। আক্ষেপের বিষয় হলেও সত্যি আয়াসের নম্বরটাও ছিলনা আফ্রিনের কাছে ।
আয়াসকে না পেয়ে আফ্রিন আয়াসের প্রোফাইল থেকে পুরনো নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দেয় কিন্তু আয়াসকে পায়নি। কারন আয়াসের নম্বরটা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে কোম্পানি অন্য গ্রাহকের কাছে সেল করে দেয়।
রাতে যখন আয়াস অনলাইনে ডুকলো তখনই শুরু হল, হাজারো প্রশ্ন খুনসুটি আর অভিমান।
৬ নভেম্বর সকাল, সাড়ে ৮ টা কি পনে ৯টা অপরিচিত নম্বর থেকে কল, যদিও শুরুতে আয়াস চিনতে পারেনি, কিন্তু পরে চিনতে পেরে পরিচয় জানতে চাইলেও পরিচয় না দিয়েই অনেক কথা বলেছিল আফ্রিন, যদিও পরের দিন ও তার পরের দিন আসল পরিচয়ে অনেক কথা হয়েছিল তাদের।
১২ই নবেম্বর হঠাৎ আফ্রিন আয়াসের ফেসবুক পাসওয়ার্ড চেয়ে বসল, দিতে মিনিট পাচেক লেইট করল। কিছু সময় পর ফোন দিয়ে আফ্রিন জানতে চাইল এক বছরের পুরনো একটা কনভার্সেশন সম্পর্কে।
আয়াস যথাযথ জবাব দিলেও সেটা আফ্রিনের পছন্দ হয়নি, ফলে আফ্রিন বলল আমার পক্ষে আর রিলেশন কন্টিনিউ করা সম্ভব নয়, কিন্তু আয়াসের দুঃখ তাকে এর বিপরীতে একটা কথা বলারও সুযোগ দেয়নি।
১৩ নবেম্বর, ১১টা ১৯ মিনিটে আয়াসকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ব্লোক দিল আফ্রিন।
আয়াস বেশ কয়েকবার কল দিয়েছিল কিন্তু আফ্রিন বারবার কেটে দেয়। আয়াস আর কল দিলনা, কারন আয়াস কমিটেড ছিল আফ্রিনকে কখনও কল দিয়ে বিরক্ত করবেনা।
ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আফ্রিন আয়াসকে ফোন দেয়, অল্প সময় কথা হল। আয়াস ঢাকায় ছিল নিশ্চিত হয়ে আফ্রিন আর ফোন রিসিভ করলনা।
১লা জানুয়ারি আফ্রিন আয়াস কে উইস করল, আয়াস বলল একটা অনুরোধ ছিল প্রতিত্তোরে আফ্রিন বলল দুঃখতি।
৪ জানুয়ারি আয়াসের ফোনে একটা ম্যাসেজ আসল আমাকে আর ডিস্টার্ব করবেন না।
তারপর শুরু হল আয়াসের অনিশ্চিত অপেক্ষার পালা, যদিও অপেক্ষা ছিল অনিশ্চিত তবে আয়াসের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল দেড়িতে হলেও আফ্রিনের ভুল ভাংবেই। এই অনিশ্চিত স্বপ্ন নিয়ে আয়াসের বেশ কয়েক মাস কেটে গেল।
জুন মাস ঈদের ঠিক দুই তিনদিন আগে নতুন রিকোয়েস্ট পেল আয়াস। যদিও সেটা ফেইক আইডি ছিল, কথা হল বেশ কিছু সময় পরে আয়াস বুঝতে পারল এইটা আফ্রিনের নতুন আইডি ।
তারপরে তরিগড়ি করে আয়াস বাড়িতে আসলো উদ্দেশ্য একটাই, আয়াস যাকে না দেখে ভালবাসাল অনিশ্চিত অপেক্ষায় ছিল তাকে একটি বার দেখবে।
ঈদে দিন দুপুর টিপটিপ বৃষ্টি, আফ্রিন আয়াসকে বলল তার বাসার কাছে যেতে, কিছু দূরে যাওয়া মাত্র মুশলধারে বৃষ্টি, সিনেমাটিক স্টাইলে আফ্রিন ছাতা হাতে বের হলো সামনের উঠোনে, আয়াস তো বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে প্রথম বারের মত আফ্রিনকে দেখল।
কয়েক বার দেখা হল সে যাত্রায় তবে সরাসরি কোন কথা হয়নি। ঠিক দুদিন পরে আয়াস ঢাকায় ফিরে এলো, আয়াস চলে আসার পর ২৭ ঘন্টা আফ্রিন অফলাইনে ছিল মোবাইলে চার্জ না থাকার কারণে।
গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার পর হঠাৎ আফ্রিন বেশ অচেনা হয়ে গেল যদিও আজ পর্যন্ত কারণটা বলেনি আয়াসকে । আবার পুনরায় হারিয়ে গেল শুরু হলো আয়াসের অনিশ্চিত অপেক্ষা।
১৬ই আগষ্ট বিকেলে আয়াসের ফেইক আইডিতে ম্যাসেজ দিল বাড়িতে এসেছেন? এভাবেই একটু আধটু কথা, যদিও আফ্রিন আয়াসের সাথে কথা বলত তবে ভিন্ন পরিচয়ে।
অবশেষে ১২ই ডিসেম্বর আয়াসের ফেইক আইডিতে এসএমএস বাড়ি যাবেন কবে? ভুলক্রমে এসএমএস-টি লক্ষ না করায় পাল্টা এসএমএস ডিসেম্বরে যাবেন? এটিও ভুলক্রমে আয়াস লক্ষ করেনি।
তারপর ১৮ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১৩ মিনিট আফ্রিন বলল রিপ্লে দিতে কষ্ট হয়? ভালো, ভাব নেন? লাগবেনা আপনার উত্তর দেয়া, আমি যাব। ২০ ডিসেম্বর আফ্রিন আসল, বিকেলে আফ্রিন দরজার সামনে দাঁড়ানো আয়াসকে দেখা মাত্র ভিতরে চলে গেলা।
২১ ডিসেম্বর দুপুরবেলা ঠিক একইভাবে আফ্রিন আয়াসের চোখের আড়াল হয়ে গেল। হঠাৎ আফ্রিন বলল মাইসাকে সাথে নিয়ে বিকালে দেখা করতে পারবা? আয়াস মাইসাকে নিয়ে চলে গেল, বেশ কিছু সময় কথা হল ওদের ।
আফ্রিন তিনটি প্রশ্ন করেছিল আয়াসকে , (১) আমাকে কেমন লাগে? (২) আমি কি দেখতে অনেক সুন্দর? (৩) আমাকে বিয়ে করবে? পরের দিন বিকেলেও মাইসাকে সাথে নিয়ে ওরা দেখা করেছিল।
এ যাত্রায় ওদের শেষ দেখা হয়েছি ২৬ ডিসেম্বর ভিষণ কাকতালীয় ভাবে একেবারে মুখোমুখি, দুজনেই চমকে গিয়েছিল।
৩০ ডিসেম্বর আফ্রিন বললো, আমাকে আপনি ভালোবাইসেন না। এসএমএস টা পড়া মাত্র আয়াস থমকে গেল, তখন থেকেই আয়াস ভাবতে শুরু করল কি করবে কি বলবে, সময় গড়াচ্ছে আয়াসের ভাবনার গভীরতাও বাড়তেছে, ২৪ ঘন্টা ভেবে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে আফ্রিনকে ফাইনাল্লি জানিয়ে দিল ১লা জানুয়ারি।
দুটি বিষয় আসলো হয় ভালোবাসবা না-হয় চরম খারাপ হবো, এরপর ২রা জানুয়ারি আফ্রিন বলল যে আপনি খারাপ হন তা আমি কখও চাই না, আয়াস বলল তার মানে তুমি আমাকে ভালোবাসো।
আয়াস বলল নির্মম হলেও সত্যি লজিক দ্বারা আর যাই হোক ভালোবাসা নির্ণয় করা সঠিক হবেনা, তবে আমার বিশ্বাস তুমি আমাকে ভালোবাসো। এভাবে তাদের কিছু দিন কথা চললো তবে ১০ জানুয়ারি আফ্রিন ফেসবুক ডিএক্টিভ করে দেয়।
পরবর্তীতে যখন করোনার প্রকোপ দিনদিন বেড়ে চলছে তখন আফ্রিন পুনরায় ম্যাসেজ দিল আয়াসকে, তবে আয়াস লক্ষ করল আফ্রিনের সময় ভালে যাচ্ছে না।
হতাশা, অপূর্নতা,না পাওয়ার আক্ষেপ, একাকিত্ব এগুলোর সংমিশ্রণে আফ্রিন ভালো নেই, আয়াস বুঝতে পারল আফ্রিন চাইলেও তাকে ভালোবাসার কথা বলতে পারবেনা।
আয়াস এটাও বুঝতে পারল আফ্রিন তার কাছে আসে স্বস্তির সন্ধানে, তবে বাদ্য হয়ে তাকে ফিরে যেতে হয়। আয়াস আফ্রিন কে একটা ম্যাসেজ দিল, রিলেশন যখন শুরু হয় কিংবা বেশ কিছু দিন চলতে থাকে, তখন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার ভালোবাসা ফিংকে রং ধারণ করে।
একটা ব্যাপারে ভেবে দ্যাখো, অনেক দিন ধরে একটা সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া কারো কাছেই বোঝা মনে হয় না, কিন্তু যখনই পরিবার প্রেমিকার মাথায় ভালো ভবিষ্যৎ ভালো সুখ ডুকিয়ে দেয়, তখন প্রেমিকা হাজারো অজুহাতের জন্ম দিতে থাকে।
সম্পর্কটা আর ঠিক থাকে না, মুখের উপর বলে দিতে হয় আমার পক্ষে তোমার সাথে সম্পর্কটা রাখা সম্ভব হচ্ছে না আমি তোমাকে আর ভালোবাসতে পারবো না কিংবা ভালোবাসি না।
অথচ সেই তুমি-ই বলেছিলে পৃথিবীর সমস্ত সুখ মানেই আমি। এখন সেই তুমি-ই আমাকে রিফিউজ করেছো, তবে আমি বিচলিত হইনি।
বরং প্রতি রাতে দু ফোটা চোখের জল ঝরিয়ে নিজেকে স্বান্তনা দিব, প্রতিটি মানুষের ন্যায় তুমিও পারিবারিক স্বার্থ নিয়ে মগ্ন।
আফ্রিন ম্যাসেজের রিপ্লাই দিল ভালোবাসতে তো সবাই পারে তবে সবার ভাগ্যে মানুষটা থাকে না, আমি তাদেরই একজন।
আয়াস আফ্রিনকে বলল মাঝে মাঝে জীবনে এমন একজন মানুষ আসে, সে মানুষটা হয়তো অল্প সময়ের জন্য আসে, কিন্তু এই অল্প সময়ে সে আমার ভিতরের যে জায়গাটা দখল করে গেছে ঐ জায়গা অন্য কেউ পুরো জীবনেও দখল করে নিতে পারবে না।
সময় দিয়ে সব কিছু বিবেচনা করা যায় না, একটা মানুষের সাথে ৩০ বছর থাকলেও হয়ত তাকে একদম-ই জানা যায় না, আবার কারো সাথে ৩০ মিনিট থাকলেই অনেক কিছু জানা যায়। এখানে সময়টা মূখ্য নয়, মূখ্য হলো দুটি মানুষের বোঝাপড়াটা।
জীবনে ভাগ্য একটা বড় ব্যাপার, জীবনের সাথে সব ফ্যাক্টরগুলো যোগ হয়। তার সাথে ভাগ্যটা গুন হয়, সব ফ্যাক্টরগুলোর যোগাফল যত কম আর বেশি হোক না কেনো, যদি ভাগ্যের মান হয় শূন্য তবে দিনশেষে সবকিছুই শূন্য হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ভাগ্যটাই মেনে নিতে হয়।
সত্যিকারে ভালোবাসাও মাঝে মাঝে মিথ্যে হয়ে যায় ভাগ্যের দোষে, কারণ দিনশেষে জীবনটা জীবনই, এটা উপন্যাস, গল্প কিংবা সিনেমা নয়। এখানে একটা মানুষ অন্য একটা মানুষকে ভালোবাসলে হ্যাপি এন্ডিং বা স্যাড এন্ডিং কোনটাই হয় না।
কারন হ্যাপি এন্ডিং বা স্যাড এন্ডিং এর জন্য দুটি মানুষ মিলে গল্পটাকে আগাতে হয়, কিন্তু এখানে গল্পটা সামনেই আগায় না, কারণ দুজনের এক পৃষ্ঠাতে দেখা হলেও পরের পৃষ্ঠা গুলো সবই ফাকা।
কাউকে তীব্র ভাবে ভালোবাসলেই হয় না, আমি যাকে তীব্র ভাবে ভালোবাসি কিন্তু তার আর আমার মাঝে ভাগ্য নামের এক অদৃশ্য দেয়াল দাড়িয়ে আছে। সেই দেয়ালের প্রতিটি ইটের মাঝে হয়ত সামাজিক স্ট্যাটাস নয়তো পারিবারিক অসম্মতি কিংবা ভয়, অবিশ্বাস, তিক্ততা অথবা তীব্র ইগো লুকিয়ে আছে। তবুও ভালোবাসা মিথ্যে নয়।
আরও পড়ুনঃ প্রত্যাশিত মৃত্যু – মোঃ ইব্রাহিম হিমেল
এর ঠিক দুই দিন পর আফ্রিন আয়াস কে রিপ্লাই দিল…..
কতটা দিতে পেরেছো, কতটা পেরেছি,
হিসেব করিনা আর,
হিসেব করলে হয়তো আমি-ই হেরে যাব।
তুমি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছো, কিন্তু বিনিময়ে কিছু -ই দিতে পারিনি এটা হলো আমার অযোগ্যতা। যার জন্য হিসেব করার দুঃসাহসটাও করি না।
তুমি যে এত দিন পর্যন্ত আমাকে সহ্য করছো এজন্য কৃতজ্ঞ। আর তোমাকে যে পরিমাণ বিরক্ত করেছি তা মনে করলেও খারাপ লাগে, হয়ত তুমি বলেই কোন বিরূপ প্রভাব পড়ে নি আমার উপর।
অনেক বড় বড় অন্যায় আমি তোমার সাথে করেছি, ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যেভাবেই হোক না কেন? আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও।
এরপর বেশ কিছুদিন আয়াস আর আফ্রিনের কথা হয় নি। হটাৎ আফ্রিন জানতে পারল করোনার মধ্যে আয়াস ঢাকা যাবে কিন্তু আফ্রিন যেতে দিবে না , এদিকে আয়াসের যেতেই হবে, এনিয়ে বেশ জগড়াও হয়েছে ওদের।
৩ জুলাই আফ্রিন ফাইনাল্লি জানতে চাইল তুমি ঢাকা যাবে? আয়াস বলল হ্যাঁ আমার যেতে হবে। পরক্ষণেই আফ্রিন বলল…
“থাম তুই, আই হেট ইউ, একটা কথাও বলবিনা, আমার বোঝা হয়ে গেছে, তোর মত ছেলেরা এমনই হয়, আর কোন দিন যদি তোরে ম্যাসেজ দেই তবে বলিশ, যা তুই যেখানে খুশি সেখানে যা, তুই যেখানে থাকবি তার আসেপাশেও আমি যাব না, তোর চেহারা আমি দেখতে চাই না, আই হেই ইউ।”
আয়াস এগুলা দেখে বোকার মত মত ফ্যাল ফ্যাল করে মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকল কোন রিপ্লাই দিল না। পরের দিন সকালে আফ্রিন বলল আমার কথাটা একটু শুনলে কি এমন হয়?
ঢাকা না গেলে হয় না? প্লিজ এমন কইরো না। স্যরি, অনেক গুলো সরি, কাল রাতের ব্যবহারের জন্য। আয়াস বলো কখনও আমি এমন ব্যবহার করছি প্লিজ প্লিজ রাগ করো না। এভাবে কয়েক দিন পর আয়াস আর আফ্রিনকে খুজে পায় না, এভাবে চলল বেশকিছু দিন।
হঠাৎ একটা এসএমএস আসল আয়াসের ফোনে “আমার মোবাইল বাবা নিয়ে গেছে আনেক জামেলা হইছে”।
চলমান…………… (লোডশেডিং ভালবাসা পার্ট -২)
মন্তব্য লিখুন