অবসরে বই পড়া মস্তিস্কের জন্য খুবই উপকারী। কোয়ারান্টাইনের এই অবসরে পড়ে ফেলতে পারেন কিছু বই । অবসরে হোক আলোর দ্বার উন্মোচনের যাত্রা। তাছাড়া একটি ভাল বই আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। George R.R. Martin এর মাতে, “A reader lives a thousand lives before he dies . . . The man who never reads lives only one.”
বই পড়লে মানুষের স্ট্রেস কমে এবং চিন্তা ও বোধশক্তি বাড়ে। অবসরে বই পড়া একজন পাঠক বইকে তার অবসর বন্ধু বানিয়ে নিলে আপনার চিন্তাশীলতা বেড়ে যাবে। ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স গবেষণা করে পায় যে, ৬ মিনিট বই পড়লে মানুষের স্ট্রেস ৬৮ ভাগ কমে যায়। সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, ‘রুটি, মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়তমার নীল চোখ ঘোলা হয়ে যাবে, কিন্তু বই অনন্ত যৌবনা’। বই সর্বাপেক্ষা উত্তম বন্ধু। বই অনন্ত যৌবনা। হতাশা কাটিয়ে তুলতে পারে একটি প্রেরনামূলক বই ।
পৃথিবীতে চমৎকার অনেক বই রয়েছে। তবে এমন কিছু বই আছে যা না পড়লে মানুষের জীবনবোধ সম্পূর্ণ হয় না, চমৎকার অনেক তথ্য রয়ে যায় অজানা । আপনার বইয়ের শেলফ যত ভিন্ন রকম বই দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারবেন ততই বিচিত্র অভিজ্ঞতা আপনি অর্জন করতে পারবেন।
১) Rich Dad, Poor Dad লেখক – Robert Kiyosaki and Sharon Lechter.
২) প্রদোষে প্রাকৃতজন লেখক- শওকত আলী
৩) শেষের কবিতা লেখক- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪) গোরা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫) হাজার বছর ধরে লেখক- জহির রায়হান
৬) তেইশ নম্বর তৈলচিত্র লেখক- আলাউদ্দিন আল আজাদ
৭) অসমাপ্ত আত্মজীবনী লেখক- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৮) কড়ি দিয়ে কিনলাম লেখক- বিমল মিত্র
৯) ওদের জানিয়ে দাও লেখক- শাহরিয়ার কবির
১০) ন হন্যতে লেখক- মৈত্রেয়ী দেবী
১১) পার্থিব লেখক- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১২) দূরবীন লেখক- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
১৩) রাইফেল রোটি আওরাত লেখক- আনোয়ার পাশা
১৪) নন্দিত নরকে লেখক- হুমায়ূন আহমেদ
১৫) শঙ্খনীল কারাগার লেখক- হুমায়ূন আহমেদ
১৬) জোৎস্না ও জননীর গল্প লেখক- হুমায়ূন আহমেদ
১৭) মেমসাহেব লেখক- নিমাই ভট্টাচার্য
১৮) সূর্য দীঘল বাড়ি লেখক- আবু ইসহাক
১৯) আগুনপাখি লেখক- হাসান আজিজুল হক
২০) পদ্মা নদীর মাঝি লেখক – মানিক বন্দোপাধ্যায়
২১) পুতুল নাচের ইতিকথা লেখক — মানিক বন্দোপাধ্যায়
২২) শেষ বিকেলের মেয়ে লেখক- জহির রায়হান
২৩) তিথিডোর লেখক- বুদ্ধদেব বসু
২৪) হাজার চুরাশির মা লেখক- মহাশ্বেতা দেবী
২৫) উপনিবেশ লেখক- নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুনঃ ছোট গল্পঃ “প্রথম গুলি, প্রথম রক্ত, প্রথম শহীদ”
২৬) The Power of Habit লেখক -Charles Duhigg
২৭) The Art of the Good Life লেখক – Rolf Debelli
২৮) বদলে যান এখনি লেখক – তারিক হক
২৯) আর্ট অব ওয়ার – সান জু
৩০) রাজনৈতিক আদর্শ – বার্ট্রান্ড রাসেল
৩১) নারী – হুমায়ুন আজাদ
৩২) দ্য অ্যালকেমিস্ট – পাওলো কোয়েলহো
৩৩) এইসব দিনরাত্রি – হুমায়ূন আহমেদ
৩৪) আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর – আবুল মনসুর আহমদ
৩৫) বাংলাদেশ রক্তের ঋণ – এন্থনি মাসকারেনহাস
৩৬) ফেরা – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
৩৭) আমি বিজয় দেখেছি – এম আর আখতার মুকুল
৩৮) কালপুরুষ- সমরেশ মজুমদার
৩৯) সাতকাহন -সমরেশ মজুমদার
৪০) আদর্শ হিন্দু হোটেল- বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
৪১) বাদশাহ নামদার – হুমায়ূন আহমেদ
৪২) বরফ গলা নদী – জহির রায়হান
৪৩) একাত্তরের দিনগুলি – জাহানারা ইমাম
৪৪) ওঙ্কার – আহমেদ ছফা
৪৫) তেঁতুল বনে জোৎস্না – হুমায়ূন আহমেদ।
৪৬) Sapiens: A Brief History of Humankind – Yuval Noah Harari
৪৭) মৃত্যুক্ষুধা – কাজী নজরুল ইসলাম
৪৮) শবনম – সৈয়দ মুজতবা আলী
৪৯) সঞ্চয়িতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫০) চিলেকোঠার সেপাই – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
এটি একটি ছোট তালিকা মাত্র । বইপ্রেমীরা আরও অনেক বই দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন আপনার বইয়ের ভাণ্ডার। আপনার সাথে আপনার পাশে থাকা ছোট ভাই বোনকেও বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারেন তাহলে তারাও একদিন হবে বইপ্রেমী।
“The reading of all good books is like conversation with the finest (people) of the past centuries.” – Descartes
বই পড়ুন আনন্দের সাথে । জানাতে পারেন আপনার অবসরে পড়া সেরা বইয়ের নামটিও কমেন্টে।
সুন্দর হয়েছে আপু। কিন্তু “রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে… ” এই উক্তিটা উমর খৈয়ামের যতদূর জানি,মুজতবা আলীর না।
Fida , thank you for the information. বাণী চিরন্তনী নামক বইতে সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা ছিল, সম্ভবত উনি অনুবাদ করেছেন তাই । মূল লেখা ওমর খৈয়ামেরই।
ফিদা , Thanks for the information.
মুজতবা আলী অনুবাদ করেছেন, মূল লেখা ওমর খৈয়ামের । বানী চিরন্তনী নামক বইয়ে মুজতবা আলী লেখা আছে তাই এই বিভ্রান্তি ।
চমৎকার ❤❤
বাহ!