A good face is the best letter of recommendation.অর্থাৎ পেহেলে দর্শনদারী ফের গুণ বিচারী, রাণী এলিজাবেথের এই উক্তিটি জগৎ বিখ্যাত। নেহাৎ মিথ্যে বলেননি তিনি।
একটি সুন্দর মুখ সবক্ষেত্রেই সাফল্যের দ্বার উন্মোচিত করে। কিন্তু সৌন্দর্য বলতে শুধু গৌরবর্ণ বোঝায় না। স্বাস্থ্যকর ত্বকই সৌন্দর্যের স্বরূপ।
Beauty comes from inside কথাটি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। ভেতর থেকে যদি ত্বক স্বাস্থ্যবান না হয় বাইরে থেকে সুন্দর দেখাবে কিভাবে! শরীরের ভিতরের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে পুষ্টিকর খাবার।
এই রকম একটি পুষ্টিকর খাবার আমাদের রান্নাঘরেই আছে যা আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেই খাবারটি হল মুগ ডাল। মুগডাল বাঙ্গালির অতি পরিচিত খাবার।
মুগডালের বৈজ্ঞানিক নাম Vigna Radiata. মুগডালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার (আশঁ)। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন -সি এবং ভিটামিন -কে। মুগডালে প্রচুর পরিমানে ফলিক এসিড রয়েছে, ফলিক এসিড প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আমরা সাধারণত রান্না করা মুগডাল খেয়ে থাকি। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কাচা মুগডাল অনেক বেশি উপকারী।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৪ টেবিল চামচ অঙ্কুরিত মুগডাল সাতদিন খেলে আপনি নিজেই আপনার ত্বকের পরিবর্তন দেখা শুরু করবেন।ভালো ফলাফলের জন্য নিয়মিত খেতে হবে। এটি আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুল এবং শরীরের জন্য উপকারী।
প্রথমে মুগডাল ৭-৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানি ছেঁকে একটি পাতলা কাপড়ে ২৪ ঘন্টা রেখে দিলে মুগডালের অঙ্কুরিত হবে। আর এই অঙ্কুরিত মুগডাল সকালে সাতদিন খালি পেটে নিয়মিত খান আর দেখুন ম্যাজিক!
এছাড়া মুগডাল ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
২ টেবিল চামচ মুগডালের গুড়ো, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস,পরিমাণ মত পানি দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে।মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মুগডালের গুড়ো হলুদের সাথে মিশিয়ে শুধু ব্রণের উপর লাগিয়ে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মুগডালের গুড়ো, ডিমের কুসুম ১টি, লেবুর রস এবং টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। ১ ঘন্টা পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মুগডালের গুড়ো, গোলাপ জল,আ্যপেল সিডার ভিনেগার পেস্ট কমপক্ষে আধাঘন্টা রাখতে হবে। আধাঘন্টা পরে হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ভিটামিন আমাদের কোন শক্তি প্রদান করে না
মন্তব্য লিখুন