ইসলাম একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান । আল্লাহ এই জীবন বিধানকে আল-কোরআন এর মাধ্যমে পরিপূর্ণতা দান করেছেন । আল-কোরআনের মধ্যেই রয়েছে আমাদের জন্য প্রকৃত কল্যাণ। মুসলিম বিশ্বের সবাই আল-কোরআন এর প্রতিটি বানীকে মনে প্রানে বিশ্বাস করেন। আজ আমরা আল-কোরআন এর ১০০টি শিক্ষামূলক উপদেশ বা বানী সম্পর্কে জানবো-
১) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা অবশ্যই সত্যকে মিথ্যার সাথে একত্রিত করো না এবং সত্য জানা থাকলে তা গোপন করো না। (সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ৪২)
২) তোমরা নিজেরা সৎ কাজ করো এবং ওপরকে সৎ কাজের নির্দেশ দাও। (সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ৪৪)
৩) তোমরা পৃথিবীতে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ৬০)
৪) কারো মসজিদে যাওয়ার পথে তোমরা বাধা দিও না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ১১৪)
৫) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে, তোমরা কারো অন্ধভাবে অনুসরন করো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ১৭০)
৬) তোমরা অন্যায়ভাবে কারো অর্থ-সম্পদ দখল বা ভোগ কোরো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ১৮৮)
৭) আল্লাহ নিশ্চয় সীমা লঙ্ঘন কারীদের পছন্দ করেন না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ১৯০)
৮) তোমরা আল্লাহর নির্ধারিত পথে ব্যয় করো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ১৯৫)
৯) তোমরা এতিমদের জন্যে উত্তম ব্যবস্থা তৈরি করো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২২০)
১০) হে পুরুষগণ, তোমরা মেয়েদের পিরিয়ড এর সময় মিলন কোরো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২২২)
১১) শিশুকে ২ বছর এর বেশি বুকের দুধ খেতে দিও না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৩০)
১২) তোমরা সৎ গুনাবলী দেখে তারপর শাসক নির্বাচন কইরো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৪৭)
১৩) ধর্ম নিয়ে কারো সাথে বাড়াবাড়ি কোরো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৫৬)
১৪) তোমরা প্রতিদান এর আশা করে কারো সাহায্য কোরো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৬৪)
১৫) তোমরা অন্যের বিপদের সময় সহযোগিতা করো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৭৩)
১৬) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা অবশ্যই সুদ পরিহার করে চল। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৭৫)
১৭) ঋণ-অভাবগ্রস্থ মানুষের প্রতি সদয় হও। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৮০)
১৮) ঋণের হিসাব সঠিকভাবে লিখে রাখো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৮২)
১৯)তোমরা কারো আমানতের খিয়ানত কোরো না। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৮৩)
২০) তোমরা অন্যের দোষ খুঁজে বেড়িয়ো না বরং এই গুলা পরিহার করো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৮৩)
২১) তোমরা অবশ্যই সব নবী-রাসূলদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৮৫)
২২) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , অবশ্যই আল্লাহ প্রতিটি মানুষের চেষ্টা অনুযায়ী প্রতিদান দিয়ে থাকেন। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৮৬)
২৩) হে ঈমানদারগন, তোমার কারো সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কোরো না। (সুরাঃমায়েদা, আয়াতঃ১)
২৪) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে, তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেয়ো না বরং আল্লাহ তা পছন্দ করেন না। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ১০৩)
২৫) তোমাদের ভিতর এমন একটা দল তৈরি করো যারা ভালো কাজ করার কথা বলবে ,সৎ কাজের আদেশ করবে আর খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলবে। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ১০৪)
২৬) তোমরা সব সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করো। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ১৫৯)
২৭) সৃষ্টিজগতের ভিতর আল্লাহকে খোঁজার চেষ্টা করো। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ১৯১)
২৮) প্রতিটি নারী-পুরুষ তার কৃত-কর্মের ফল পাবেন। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ১৯৫)
২৯) যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে তাদের উত্তারাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদ তাদের কাছে বুঝিয়ে দাও। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ৭)
৩০) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে, উত্তারাধিকারসূত্রে পাওয়া সম্পদের মধ্য নারীদেরও অধিকার রয়েছে তাদেরকে তা বুঝিয়ে দাও। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৭)
৩১) তোমরা অনাথের সম্পদ নিজের করে নিও না। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ১০)
৩২) যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক আছে তাদেরকে তোমরা বিয়ে কোরো না। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ২৩)
৩৩) অন্যায় ভাবে কারো সম্পদ দখল কোরো না। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ২৯)
৩৪) তোমাদের ভিতর পরিবারের অভিভাবক এবং অর্থ ব্যয় করবে পুরুষরা। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৩৪)
৩৫) তোমরা সব সময় অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করো। (সুরাঃ নিসা, আয়াতঃ ৩৬)
৩৬) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে, নিজে কৃপণ হইয়ো না আর অপর কে এই শিক্ষা দিও না। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ৩৭)
৩৭) তোমরা একে অপরের সাথে হিংসুক আচারণ কোরো না। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ৫৪)
৩৮) মানুষের প্রতি সব সময় ন্যায় বিচার করবে। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ৫৮)
৩৯) তোমরা মানুষ হয়ে মানুষকে হত্যা কোরো না। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ৯২)
৪০) বিশ্বাসঘাতক দের পক্ষ নিয়ে অন্য কারো সাথে তর্ক কোরো না। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ১০২)
আরও পড়ুনঃ
৪১) তোমরা সত্যের উপর সব সময় অবিচল থেকো। (সুরাঃনিসা, আয়াতঃ১৩৫)
৪২) হে মুমিনগন ! তোমরা একে অপরের সাথে দেয়া কথা রক্ষা কোরো। (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ১)
৪৩) তোমরা সৎ কাজে একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা কোরো। (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ২)
৪৪) তোমরা পাপ এবং সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অপরের সহযোগিতা কোরো না। (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ২)
৪৫) হে মুমিনগন ! তোমরা আল্লাহর কাছে সাক্ষ্য দেয়ার ক্ষেত্রে সব সময় সত্যের উপর অটল থাকবে। (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ৮)
৪৬) কেউ যদি অপরাধ করে তাহলে তাকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিও । (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ৩৮)
৪৭) তোমরা পাপ কাজ এবং অবৈধ জিনিসের পিছনে সময় বা শ্রম ব্যয় কোরো না । (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ৬২)
৪৮) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে, তোমরা অবশ্যই যেকোনো ধরনের মাদকদ্রব্য পরিহার করে চল । (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ৯০)
৪৯) তোমরা অবশ্যই জুয়া খেলো না বরং তা শয়তান এর কাজ। (সুরাঃমায়িদা, আয়াতঃ৯০)
৫০) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমন কর এবং দেখো , যারা সত্য কে অস্বীকার করেছিলো তাদের কি অবস্থা হয়েছিল। (সুরাঃআন-আম, আয়াতঃ১১)
৫১) আধিক্য সবসময় সত্যের মানদন্ড নয়। (সুরাঃআন-আম, আয়াতঃ১১৬)
৫২) তোমরা সব সময় ওজন সঠিক করবে , কখনো কম দিবে না। (সুরাঃআন-আম, আয়াতঃ১৫২)
৫৩) মনে রাখবে অহংকার অবশ্যই পতনের মূল । (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ১৩)
৫৪) তোমরা অবশ্যই নামাযের সময় সুন্দর এবং পরিষ্কার কাপড় পরবে। (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ৩১)
৫৫) আল্লাহ নিশ্চয় কোনো অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ৩১)
৫৬) তোমরা ক্ষমা পরায়ণ সুলভ হও। (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ১৯৯)
৫৭) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা যুদ্ধের ময়দান থেকে তোমরা কখনও পলায়ন করবে না। (সুরাঃআন-ফাল, আয়াতঃ১৫)
৫৮) তোমাদের কাছে যারা নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে তাদেরকে তোমরা নিরাপত্তা দাও। (সুরাঃতওবা, আয়াতঃ৬)
৫৯) তোমাদের মধ্যে যারা সবসময় পবিত্র থাকে আল্লাহ তাদেরকে অধিক ভালবাসেন। (সুরাঃতওবা, আয়াতঃ১০৮)
৬০) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা তোমাদের প্রতিপালক হতে নিরাশ হয়ো না। (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ১৩)
৬১) তোমাদের মধ্যে যারা না বুঝে ভুল করে, পরে ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, আল্লাহ তার ভুল গুলো মাফ করে দেন। (সুরাঃনাহল, আয়াতঃ১১৯)
৬২) তোমরা তোমাদের দ্বীন ইসলাম প্রচারে কৌশলী সম্পন্ন হও। (সুরাঃনাহল, আয়াতঃ১২৫)
৬৩) তোমরা অবশ্যই মনে রাখবে যে , কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ১৫)
৬৪) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার সাথে সব সময় সৎ ও ভালো ব্যবহার কোরো। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ২৩)
৬৫) তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার সাথে কখনও মন্দ ব্যবহার করবে না। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ২৩)
৬৬) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা তোমাদের জীবনে সব সময় মধ্য-পন্থা অবলম্বন কোরো। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ২৯)
৬৭) তোমরা তোমাদের সন্তানকে হত্যা কোরো না। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ৩১)
৬৮) অবৈধ যৌনাচারে তোমরা লিপ্ত হয়ো না , এই কাজ থেকে দূরে থাকো। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ৩২)
৬৯) যে বিষয়ে তুমি জানো না ঐ বিষয় না জেনে তুমি তা অনুসরন কোরো না। (সুরাঃবনী-ইসরাইল, আয়াতঃ৩২)
৭০) তোমরা সব সময় একে অপরের সাথে নম্র ভাষায় কথা বলবে। (সুরাঃত্বহা, আয়াতঃ৪৪)
৭১) যে কাজের কোনো অর্থ নাই তা থেকে তোমরা বিরত থাকো। (সুরাঃমুমিনুন, আয়াতঃ৩)
৭২) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা কোনো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে। (সুরাঃনুর, আয়াতঃ২৭)
৭৩) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা অবশ্যই লজ্জা এবং শালীনতার সাথে চলাফেরা করবে। (সুরাঃনুর, আয়াতঃ২৭)
৭৪) বাবা-মায়ের ঘরে প্রবেশের পুর্বেও অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করবে। (সুরাঃনুর, আয়াতঃ৫৮)
৭৫) তোমরা পৃথীবিতে নম্রতার সাথে চলাফেরা কোরো। (সুরাঃফোরকান, আয়াতঃ৬৩)
৭৬) তোমরা মানুষের প্রতি মানুষের উপর অনুগ্রহ প্রদান করে থাকো। (সুরাঃকাসাস, আয়াতঃ৭৭)
৭৭) তোমাদের জীবনে যতই সংকটময় অবস্থা আসুক না কেনো আল্লাহর দেয়া পথে সব সময় অটল থাকবে। (সুরাঃফোরকান, আয়াতঃ৮৭)
৭৮) তোমরা জেনে রাখো যে ,সমকামিতা অবশ্যই জঘন্যতম অপরাধ। (সুরাঃআনকাবুত, আয়াতঃ২৯)
৭৯) তোমরা মানুষের সৎ কাজে আদেশ কোরো আর মন্দ কাজে নিষেধ কোরো। (সুরাঃলোকমান, আয়াতঃ১৭)
৮০) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , অহংকারের আশ্রয় নিয়ে কাউকে ছোট করে দেখো না এবং পৃথীবিতে উদ্ধত পূর্ণ আচরন কোরো না। (সুরাঃলোকমান, আয়াতঃ১৮)
৮১) তোমরা অবশ্যই সংযতভাবে চলাচল করো এবং তোমরা কন্ঠস্বর নিচু রাখো। (সুরাঃলোকমান, আয়াতঃ১৯)
৮২) নারীরা অবশ্যই শালীনভাবে চলাচল করবে বরং নিজেকে প্রদর্শন করে বাইরে বের হবে না । (সুরাঃআহযাব, আয়াতঃ৩৩)
৮৩) তোমরা কখনও নিরাশ হয়ো না বরং তুমি যত বড় গুনাহই করো না কেন আল্লাহ ক্ষমা করবেন। (সুরাঃঝুমার, আয়াতঃ৫৩)
৮৪) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট অভিমুখী হও এবং তাঁর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করো। (সুরাঃঝুমার, আয়াতঃ৫৪)
৮৫) তোমরা সব সময় মন্দের বিপরীতে ভালো কাজ করো। (সুরাঃহা-মিম সিজদাহ, আয়াতঃ৩৪)
৮৬) হে মুমিনগণ , তোমরা একে অপরের সাথে পরামর্শ করে কাজ করবে। (সুরাঃশুরা, আয়াতঃ৩৮)
৮৭) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , আল্লাহ সব সময় আপস পছন্দ করেন কারণ মুমিনরা একে অপরের ভাই ভাই । (সুরাঃহুজরাত, আয়াতঃ১০)
৮৮) হে মুমিনগণ, তোমরা একে অপরের কখনো উপহাস কোরো না। (সুরাঃহুজরাত, আয়াতঃ১১)
৮৯) তোমরা একে অপরের উপর সন্দেহ কোরো না বরং কিছু সন্দেহ করলেও গুনাহ হয়। (সুরাঃহুজরাত, আয়াতঃ১২)
৯০) তোমরা কারো অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় তার দোষ ,ভুল নিয়ে আলোচনা কোরো না। (সুরাঃহুজরাত, আয়াতঃ১২)
৯১) আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তি অধিক সম্মানীত যে আল্লাহকে অধিক ভয় করে। (সুরাঃহুজরাত, আয়াতঃ১৩)
৯২) তোমাদের নিকট উপস্থিত অতিথিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। (সুরাঃজারিয়াত, আয়াতঃ২৪-২৭)
৯৩) তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে এবং দাতব্যকাজে অর্থ ব্যয় করে তাদের জন্যে রয়েছে মহাপুরষ্কার। (সুরাঃহাদিদ, আয়াতঃ৭)
৯৪) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , বৈরাগ্যবাদ মানুষের সৃষ্টি বরং এটা আল্লাহর দেয়া বিধান না। (সুরাঃহাদিদ, আয়াতঃ২৭)
৯৫) তোমাদের মধ্যে যারা আলেম তাঁদের মর্যাদা আল্লাহ দান করেছেন। (সুরাঃমুজাদালা, আয়াতঃ৫৮)
৯৬) তোমাদের মধ্যে যারা অমুসলিম তাদের সঙ্গেও উত্তম আচরন করো। (সুরাঃমুমতাহিনা, আয়াতঃ৮)
৯৭) তোমরা যারা মানুষের অভাবে ঋণ দাও তাদের জন্যে রয়েছে উত্তম পুরস্কার। (সুরাঃতালাক, আয়াতঃ১৭)
৯৮) হে ঈমানদারগন , তোমরা তাহাজ্জুদের নামায পড়। (সুরাঃমুজাম্মিল, আয়াতঃ২০)
৯৯) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে , তোমরা ভিক্ষুককে ধমক দিও না। (সুরাঃদুহা, আয়াতঃ১০)
১০০) আল-কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে যে, আল্লাহ এক-অদ্বিতীয়, তিনি অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তাঁকেও কেউ জন্ম দেইনি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই । (সুরাঃইখলাস)
আল-কোরআনের এই বাণী উপদেশ গুলো যদি আমরা আমাদের জীবনে প্রয়োগ ঘটাতে পারি, তাইলে আমাদের জীবন হবে কোরআনের আলোয় আলোকিত। তাই আমরা যতটুকু পারি আল-কোরআনের মাধ্যমে জীবন-যাপন করার চেষ্টা করব ।
মাশাআল্লাহ গারদাশ❤❤❤
[email protected]