অ্যাশেস তরুন প্রজন্মের জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের উল্লেখযোগ্য গান গুলো হল – ছারপোকা, কেমন আছো, সতেরো পৃষ্ঠা, কী আর হবে, ধুলাবালি, তামাক পাতা। অ্যাশেস ব্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি বর্তমান সময়ের তরুন প্রজন্মের নিকট বেশ জনপ্রিয়। নিচে জুনায়েদ ইভানের ১০০টি জনপ্রিয় ও শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি দেয়া হল-
১. কখনো মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করো-না। তাহলে একদিন দেখবে, নিজেকে-বিশ্বাস করানোর মত এই পৃথিবীতে কাউকে পাশে খুঁজে পাবে না!
২. ভালোবাসার কোনো চুয়ান্ন একান্ন ধারা নেই, ভালোবাসা মুক্ত,ভালোবাসা থেকে যায়। আকাশ বদলায় না,বদলায় তো বিমান আর বিমানের যাত্রী।
৩. কালো মেঘ দেখলে অনেকের ভালো লাগে। কালো কাজল ভালো লাগে। কালো চোখ ভালো লাগে। শুধু কালো মানুষ দেখলেই আর ভালো লাগে না!
৪. একশ ভাগ সুখের জীবনে আপনি কখনোই সুখে থাকতে পারবেন না কেননা সেই জীবন স্বাভাবিক নয়, সমৃদ্ধ নয়, উন্নত নয়, উপভোগ্য নয় ।
৫. আপনি সব চাইতে বেশি প্রতারিত হবেন আপনার কাছের মানুষদের কাছ থেকে। আপনাকে সব চাইতে বেশি কষ্ট দেয়া মানুষের তালিকা করলে সেখানে শত্রুর না, কাছের মানুষদের নাম দেখতে পাবেন। শত্রু কখনো বিশ্বাস ঘাতক হয় না, বিশ্বাসঘাতকতা করে কেবল বিশ্বাসী মানুষরাই।
৬. জীবনের সব চাইতে বড় যে শত্রু তাকে কখনোই চেনা যায় না, সে থাকে সব থেকে কাছের বন্ধুর মত করে।
৭. এই পৃথিবীতে কেউই কারো জন্য অপরিহার্য নয়!
৮. পৃথিবীতে দুটি অনুভুতি কখনোই লিখে প্রকাশ করা যায় না- পাওয়ার অনুভূতি, হারানোর অনুভূতি!
৯. যত ঝড় তুফানই আসুক না কেন। তুমি হাসতে থাকলে নিয়তি কখনো তোমাকে কাদাতে পারবে না!
১০. বৃষ্টিতে আমি রোমন্টিক হই না কারণ বৃষ্টি হলেই ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়।
১১. প্রিয় আর্টসেল… আমি তার সপ্ন দেখার শব্দ পাই !
১২. পচে যাওয়া দুর্গন্ধময় ফুলের মর্যাদা যে দিতে জানে তাজা ফুলের সুবাস নেবার অধিকার সেই রাখে!!
১৩. আমি শুধু বাংলা বর্ণমালার প্রথম অক্ষর টা মুছে দিতে চাই তাহলেই আমার অসুখটা সুখ হয়ে যাবে।
১৪. মনের পাথরটা একটু সরিয়ে এবার না হয় আমার সাথে ক’টা দিন কাটিয়েই দেখো; কথা দিচ্ছি আষাঢ়ের শেষ রাতে আমারে ছেড়ে যেতে তোমার খুউউব কষ্ট হবে।
১৫. নিজেকে আবিষ্কার করার জন্য সব চাইতে ভালো সময় হল- যখন আপনি রয়েছেন একটি খারাপ সময়ে…
১৬. অনেক মানুষ আছে যারা জীবনে নানান ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে ও পাথরের মত শক্ত হয়ে থাকে। লোকে ধরেই নেয় যে; পাথরের কোন কষ্ট নেই অথচ পাথরের কষ্টটা’তো এখানেই!
১৭. যেখানে সবটাই আবর্জনা সেখানে কুড়াবার কিছু নেই, ফেলে দিতে হয় সব। একবার কঠিন হওয়া শিখে গেলে জীবনটা সহজ হয়ে যায়। আপনার জীবনের কাছে এই পৃথিবী, পৃথিবীর মানুষ এবং তাদের বেঁচে থাকার যুদ্ধ এবং ভালোবাসা সবই পাশ্ববর্তী চরিত্র।
১৮. ছেড়া স্যান্ডেল তালিপট্টি মেরে মাইল মাইল হাঁটা যায় কিন্তু বিশ্বাসে তালিপট্টি লাগিয়ে এক কদমও হাঁটা যায় না। ‘বিশ্বাস একবার ভাঙ্গলে আর জোড়া লাগে না ‘ ব্যাপারটা এরকম না হয়ে যদি এরকম হত – বিশ্বাস একবার জোড়া লাগলে আর ভাঙ্গে না !! ইসসশ !
১৯. মানুষটাকে চাইলে ভালোবাসা হারাতে হবে। আর ভালবাসা চাইলে’ মানুষটাকে হারাতে হবে।
২০. একজন ভুল মানুষ চলে যাবার অর্থ হল সঠিক মানুষটি আসার পথ তৈরী হয়েছে!
২১. তুমি যেদিন চলে গেলে উচ্চ রক্তচাপে প্রেসার বেড়ে গিয়েছিল ডাক্তার বাবু কীসব বলছিল- ইচ্ছে করছিল – জিভ টেনে ছিড়ে ফেলি! চোখ বন্ধ করলেই তোমার চোখ দুটো দেখতে পেতাম যে চোখ আমার জন্য একদিন কেঁদেছিল আজ বিদায় লগ্নে কাঁদাবার অধিকার সেই চোখের আছে।
২২. কেউ কারো জায়গা নিতে পারে না। একজনের শূন্যস্থান কখনো অন্যজন পূরণ করতে পারে না। শূন্যস্থানের নিচে যেমন দাগ (-)থাকে ; অন্তরেও থাকে!
২৩. একটা চার দেয়ালের ঘরে যদি কয়েকজন ব্যর্থ মানুষ একসাথে সময় কাটায় তাহলে সেখান থেকে একটা বিপ্লব ঘটে যাবার আশংকা থাকে। সফল মানুষ কখনো বিপ্লবের ডাক দেয় না। ঘাড়টা সোজা করার তাগিদ থেকে ব্যর্থরাই এক একজন সমাগত হয় কাল মার্কসের পতাকার নিচে!
২৪. এই শহরটাহ্ বড্ড বেঈমান’ এক্টা মানুষকে খেলার মতো খেলে মস্তিষ্ক মায়া ডুকিয়ে আলাদা হওয়া কথা ভেবে নেয়’এরা কিহ্ নিকৃষ্ট প্রাণী”!!-ভালো থাকতে না দেয়া মানুষ -“তাদের জন্য একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে অটল শুভ কামনা রইলো!
২৫. মুশকিলটা হল আপনি কঠিন আইনের ভয় দেখিয়ে সব কিছুর সমাধান করতে পারবেন না। এই যেমন, আত্মাহত্যার অপরাধ যদি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়,তাতে কার কি আসে যায় বলুন!!!
২৬. মস্তিষ্কের বামদিকে প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সে সুখ এবং দুঃখ একসাথে থাকে! আমরাই বরং এদের আলাদা করে দেখি..!!
২৭. তুমি কার্পেটের উপর সমুদ্র এঁকেছিলে; আমি গর্ধবের মত সেই সমুদ্রে জাহাজ ভাসিয়ে দিলাম!
২৮. অন্য কাউকে দেখতে বলছো?কপালের টিপ ঠিক আছে কিনা..মানুষ সরে যায় কপাল সরে যায়…ঠিপ ঠিক করে আর কি লাভ বলো…???
২৯. পৃথিবীর সবকিছু বেঈমানী করলেও “সময়” কখনো বেঈমানি করে না,সময় একদিন তোমাকে বুঝিয়ে দিবে “তুমি কাকে খুঁজতে গিয়ে কাকে হারিয়ে ফেলেছো, ভালোবাসা হারিয়ে ফেলো না। তুমি তোমার কাছে হয়তো কিছু না কিন্তুু তার কাছে তুমি অনেক দামি !
৩০. একদিন খাবার টেবিলে আচমকা মনে পড়বে আমাকে ;হাতধুয়ে উঠে যাবে, সেদিন আর খাওয়া হবে না।
৩১. সত্য কঠিন হতে পারে, নিষ্ঠুর হতে পারে, অন্যায় হতে পারে তবু বলে ফেললেই দেখবেন হালকা হয়ে গেছেন। তিতা ওষুধ যেমন পানির সাথে মিশিয়ে এক চুমকে খেয়ে ফেলতে হয় কঠিন সত্য সেরকম দম নিয়ে এক নিমিষে বলে ফেলতে হয়। দম ছাড়ার পর দেখবেন অর্ধেক হালকা হয়ে গেছেন।
৩২.অনেক টাকার আলো জ্বলে রেস্তোরায় জানতে ইচ্ছে করে কী থাকে আহা; ভিখারীর হাতে মাঝে মাঝে দেখা হয়ে যায়স্টেশনে এক গ্লাস পানি অথবা এক গ্লাস মরণ চোখে জল ঢেলে দাও!
৩৩. মানুষ চিনতে ভুল করলে লজ্জার কিছু নাই,কারন অমানুষ গুলো দেখতে অবিকল মানুষ এর মতই।
৩৪. আমরা প্রবেশ করি অনুমতি নিয়ে,আর বিদায় নেই অনুমতি ছাড়া।
৩৫. বোকা যখন বুঝতে পারে যে সে বোকামি করছে, তখন বোকামি থেকে উদ্ধার পাবার জন্য সে যে বুদ্ধি খুঁজে বের করে সেটা খুব বিপদজনক হয়। আদতে বোকা যখন বুদ্ধি খাটিয়ে কোন কাজ করে তখনই সে সব চাইতে বড় বোকামিটা করে।
৩৬. আমার ইচ্ছেরা-অনিচ্ছেরা আমার মত হয়নি!আমাকে বানানোর আগে কথা হয়নি,আমার খোদার সাথে!কথা হলে বলা যেতো, “আমি বকুল ভালোবাসি”!
৩৭. এ পৃথিবীতে মানুষকে হত্যা করার অপরাধে যত মানুষ শাস্তি পেয়েছে! তার চেয়েও বেশি পেয়েছে মানুষকে ভালবাসার অপরাধে!!
৩৮. সানগ্লাস লাগালাম, তোমাকে বলেছিলাম অনেক রোদ, আসলে চোখের নিচে গর্ত হয়েছে ছোট খালের মত!
৪০. আমি জানি এক একটা এগারো ডিজিটের সংখ্যার ভেতরে লুকিয়ে আছে এক একজন আধামরা মানুষের কালজয়ী উপন্যাস..!!
৪১. তোমার সাথে আমার পার্থক্যটা এখানেই যে ‘ তুমি আমাকে ভালবাসতে’ আর ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি’। কাউকে চিরদিনের জন্য ভালো না বাসলে আবার ভালোবাসা যায় নাকি? আমি তোমাকে ভালোবাসি; বাক্যটি চিরন্তন সত্য। পাস্ট না; প্রেজেন্ট ইন্ডেফিনেট টেনস!
৪২.যখন মনে না পড়াটা অভ্যাস হয়ে যায় তখন হঠাৎ একদিন মনে পড়ে যাবার মানে হল মানুষটাকে আপনি ভুলে গেছেন কিন্তু আপনি সেটা জানেন না।
৪৩.ভালোবাসলেই হয় না, ভালোবেসে যেতে হয়। প্রথমদিকের উপচে পড়া ভালোবাসা না, প্রতিদিন ভালোবেসে না গেলে ভালোবাসা একদিন সত্যি মরে যায়।
৪৪. ফিরে আসো যেখানে তোমায়, হারিয়ে হারিয়ে আমি, অন্ধকারে পুড়ে যায় এ মন, ফিরে আসো এই তোমাতে..!!
৪৫. সবাই তোমার সাথে বাণিজ্য করতে আসেনি।কেউ দুচোখে কাপড় বেঁধে অন্ধের মতো ভালোবাসতে এসেছে।তার সাথে বাণিজ্যে যেও নাহ! হিসেব করে ব্যবসা হয় ভালবাসা নাহ।
৪৬. যে আসবে না; তার কাছে না আসার অনেক গুলো যুক্তি থাকবে কিন্তু যে আসার সে কেবল ভালোবাসার জোরেই আসবে।
৪৭. ভালো কিছুর অভ্যাস থাকা ভালো,একমাত্র ভালোবাসা ব্যতীত!!
৪৮. কপালের যেখানটায় বসন্তের দাগ লেগেছিলো; সবাই চোখ ফিরিয়ে নিত ঘেন্নায়;সেখানটায় চুমু খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয়; ভালবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসেনি।
৪৯. তুমিও কী আমার মত একই গানের লাইনে গলা ছেড়ে কাঁদো!আমার মত বৃষ্টি হলে রাতে ছাতা ছাড়া হাঁটো!
৫০. নষ্ট করো না আমাকে, নষ্টরা কষ্ট পায়। কষ্টরাই আবার নষ্ট করবে তোমাকে।
৫১. ৫২ পৃষ্ঠার একটা কবিতার বই নিয়ে পড়তে বসছিলাম ১৭ পৃষ্ঠার পর আর পড়া হলো না- কী চেয়েছিলাম আমি কী পেয়েছি আমি, হিসেবটা বড়ই গড়মিল।
৫২. আপনি যদি কারো সাথে আপনার দূরত্ব বাড়াতে চান,তাহলে হয় তাকে সম্পূর্ণ জানার চেষ্টা করুন,আর না হয় নিজেকে তার কাছে সম্পূর্ণ প্রকাশ করে দিন’!
৫৩.মানুষ দুটো সময় চুপ থাকে, যখন তার কথা বলার মত কিছু থাকে না, আর যখন অনেক কথা থাকে কিন্তু সে বলতে পারে না।
৫৪. আমরা আসলে মানুষের কাছে হারি না, আমরা হারি আমাদের ইমোশনের কাছে।
৫৫. ঘৃণার ঘোর কাটিয়ে যাকে একবার ভালোবেসে ফেলবেন, তাকে আর কখনো চাইলেও বুকের তিন ইঞ্চি গভীর থেকে মুছে ফেলতেপারবেন না।
৫৬.পৃথিবী এক চমৎকার গ্রহ, এখানে আষাঢ়ের সন্ধ্যায় রেললাইনে বসে কেউ গল্প শুনালে হাজার বছর বাচতে ইচ্ছা করে!
৫৭. কিছু মানুষ কেবল স্মৃতিতেই সুন্দর !! কেবল স্মৃতিতেই !!
৫৮. এই পৃথিবীতে খাবারের অভাবে কেউ না খেয়ে থাকে না! মানুষ না খেয়ে থাকে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার অভাবে!
৫৯. আংশিক অবিশ্বাস সেটা, যেটা সন্দেহ করতেও সন্দেহ করে!! আর পুরোপুরি অবিশ্বাস সেটা যেটা আমি তোমাকে করি!
৬০. মায়াময় কিচ্ছু না, তোমাকে শুধু একটা শুদ্ধ মানুষ খুজে নিতে হবে!
৬১. প্রত্যেকটা পরিপাটী সংসার একদিন লন্ডভন্ড হয়ে যায় বুড়ো অথবা বুড়ি পাখিটার মৃত্যুতে কিংবা বাচ্চা পাখিটা যখন মা হবার আশায় উড়ে চলে যায় অন্য কোন পরিপাটী সংসারে !
৬২. যখন আমি মনে করেছিলাম আমার কোন স্বপ্ন নেই, তখন সেটা স্বপ্ন না থাকার অস্তিত্ব প্রমাণ করে না। সেটা নেহাত আমার ‘মনে করার’ ভুল ছিল।
৬৩. সব চাইতে কঠিন অভিনয়টা গাধারাই করে। সেটা হল, ভালোবেসেও ভালো না বাসা। আর সব চাইতে সহজ অভিনয়টা করে লম্পটেরা; ভালো না বেসেও ভালোবাসার অভিনয়।
৬৪. সব চাইতে আশ্চর্য বিষয় হল, একটা অসৎ মানুষের গরীব হয়ে থাকা।
৬৫. আপনি যদি কারো সাথে আপনার দূরত্ব বাড়াতে চান, তাহলে হয় তাকে সম্পূর্ণ জানার চেষ্টা করুন আর নাহয় নিজেকে তার কাছে সম্পূর্ণ প্রকাশ করে দিন।
৬৬. এই পৃথিবীতে খাবারের অভাবে কেউ না খেয়ে থাকে না। মানুষ না খেয়ে থাকে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসার অভাবে!
৬৮. তোমাকে আর নতুন করে পাবার কি আছে ! তুমি তো আছোই, এই নিশ্চিত বাক্যটি আমাকে, তোমাকে ভালোবাসতে দেয়নি
৬৯. কাউকে পরিপূর্ণ ভাবে পাওয়াটাই সব থেকে ভাল। সেটা সম্ভব না হলে পরিপূর্ণ ভাবে হারানোটাই ভাল।
৭০. তোমার রক্তে “ক্যান্সারের জীবানু’ পেলেও সারা জীবন একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখতে পারি। তবে প্রতারনার গন্ধ পেলে এক সেকেন্ডও নয়!
৭১. যে দিক থেকে ঝড় আসে বাবুই পাখি তার উল্টো দিকে বাসা বাঁধে। এতে করে লাভ কী হয় ? এত বড় একটা ঝড় উপেক্ষা করার সামর্থ্য কী এইটুকু বাসার আছে ? সেটা সোজা থাকুক আর উল্টো; উত্তাল সমুদ্রে সবই লন্ডভণ্ড হবে। তাহলে বাবুই পাখি এই কাজটা কেন করে ? কন্ডিশনাল প্রোবাবিলিটি বলে একটা ব্যাপার আছে। উল্টো দিকে বাসা বাঁধলেও সেটা ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে সেটার সম্ভাবনা কিছুটা কম থাকবে। আপনার টিকে থাকার জন্য একটা ছোট সম্ভাবনাকেও প্রকৃতি ছাড়তে চায় না। আপনি কেন ছেড়ে দেবেন নিজেকে ?
৭১. মিথ্যের চেয়ে বেশি ভয়ংকর হলো অর্ধেক সত্য।
৭২. সামান্য ‘সুন্দর’ কিংবা তার থেকে ব্রাইট ফিউচার অন্য কাউকে পেয়ে কোটি কোটি মানুষ প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যায় অথচ কেউ কেউ ঠিকই আছে… যারা রোড এক্সিডেন্টে দুটি পা হারিয়ে ফেলার পরেও আগলে রাখে কাছের মানুষটিকে…ইয়েস ডুড… এটাই প্রতিশ্রুতি…
৭৩. প্রতারক তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে ! এটা একটা আনন্দের বিষয় ! সারাজীবন অমানুষটা সাথে থাকলে কী ভয়াবহ ব্যাপার ঘটত চিন্তা করা যায় !!!
৭৪. একদল মানুষ নিজেরাই কষ্ট তৈরি করে এটা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি পৃথিবীতে একদল মানুষের জন্মই হয়েছে কষ্ট পাবার জন্য। কেউ যখন বলবে তার মন খারাপ তখন তাকে বক্তৃতা দেবার চেষ্টা করবেন না। সে আপনার কাছে জ্ঞান নেবার জন্য আসেনি… জ্ঞানের দরকার হলে সে বই কিনে পড়ত। আপনি তাকে মন খারাপ না হবার যে তথ্য জ্ঞান দিচ্ছেন ; এই তথ্য জ্ঞান আপনি নিজে জানার পরেও কী মাঝে মাঝে আপনার মন খারাপ হয় না ?? মানুষের মন জয় করতে চান ? তাহলে বলুন কম , শুনুন বেশি।
৭৫. তুমি একটা মানুষকে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালোবাসার অধিকার রাখো যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তাকে একশো ভাগ বিশ্বাস কর। একশো ভাগ বিশ্বাসের ভেতরে যদি এক ভাগ অবিশ্বাস ঢুকে পড়ে তাহলে সেটা একশো ভাগ অবিশ্বাস হয়ে যায়। এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানির ভেতরে এক ফোঁটা নোংরা পানি মেশালে যেরকম গ্লাসের সব পানি নোংরা হয়ে যায়; অনেকটা সেরকম।
৭৬. আমি কতটা ভালো আছি ? এ প্রশ্নের জবাব যদি আমি খুঁজতে যাই তাহলে উওরটা কি হবে ? আমি ভালো আছি এ কথা সবাই বলে। কিন্তু সবাই কি ভালো থাকে ? প্রায় প্রতিটা মানুষই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে প্রিয় মানুষটির সাথে সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়নের মধ্য দিয়ে যায় ।
৭৭. দুনিয়া একটা নাট্য মঞ্চ…….!!! এই নাট্য মঞ্চে সবাই কে অভিনয় করে চলতে হয় কখনো হাসি কখনো কান্না…!! সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পর মেনে নিতে হয় আমার হারানোর কিছুই ছিলো না বলে,,!!কাঁদো কাঁদো মন নিয়েও নাট্যশালায়ে হাসতে হয়,,!!
৭৮. সে বড় অভিমানী। কেউ চলে গেলে তাকে ফেরাবে না। একা একা কস্ট পাবে। না খেয়ে থাকবে। তার না খাবার সংবাদ শুনে সে কষ্ট পাবে। এতে এক ধরনের আনন্দ আছে। সে হাত কাটবে। প্রিয় জিনিস ছুঁড়ে ফেলে দিবে। বিসর্জন হল। বিসর্জনে এক ধরনের আনন্দ আছে। আপনি তাকে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে সে হাসি দিয়ে বলবে ভালো আছি। সে বুঝতে দেবে না, সে ভালো নেই। কষ্ট প্রকাশ করলে কষ্ট কমতে শুরু করে। সে কমতে দেবে না। এতেও এক ধরনের তৃপ্ততা আছে ।
৭৯. যেখান থেকে তুমি জম্ননিয়েছো, তার আগে অনেক কোটি বছর ছিলো তুমি ছিলে না, এবং যেখান থেকে তুমি বিদায় নিবে তারপরে, আরো অনেক কোটি বছর থাকবে তুমি থাকবে না ।
৮০. `সাধারণত বড়লোকের মেয়ে গুলো সুন্দর হয় ; কেননা মেয়ের বাবার টাকা বেশি এবং শুধু মাএ এই যোগ্যতায় তিনি মেয়ের সুন্দরি মা কে বিয়ে করেছিলেন ! ক্লিয়ার ?”
৮১. আপনার সমস্যা আপনারই সমস্যা ; অন্য কারো না । আহত যোদ্ধা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, সৈন্য শিবিরে সে এক প্রকার বোঝা !!
৮২.পাঁচশো কোটি বছর বয়সের পুরো পৃথিবীটা ৫১,০১,০০,৫০০ কিলোমিটারের একটা গোরস্থান !! আমরা সবাই এই গোরস্থানের অমীমাংসিত অংশ !!
৮৩. পৃথিবীতে দু ধরনের মানুষ আছে । একদল ভালোবাসে বেশি প্রকাশ করে কম । আরেকদল প্রকাশ করে বেশি, ভালোবাসে কম ।
৮৪. বিয়ে করে গর্ধবের মত এক সাথে থাকার চাইতে বেশি রোমাঞ্চকর হলো- ডির্বোস দিয়ে একসাথে থাকা । এরা ভালোবাসে অথচ একসাথে থাকতে চায় না । অথবা একসাথে থাকতে চায় কিন্তু ভালোবাসে না । বড় জটিল এই সমীকরন !!
৮৬. জন্মের দশ মিনিট আগে কোথায় ছিলে তুমি ? কী ছিল তোমার ? এমন কিছু তুমি সাথে করে নিয়ে আসোনি যেটা তুমি পৃথিবীতে এসে হারিয়েছো। যাই পাচ্ছো সবই বোনাস। উপভোগ করো এবং খোদার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো ।
৮৭. অনেকেই আছে যাদের মোবাইলে একটা সংযোগ বিচ্ছিন্ন নাম্বার থাকে । যে নাম্বারে ফোন করে মানুষটাকে পাওয়া যায় না। অনেক মাস পর অনেক বছর পর কোন কোন রাতে ডায়াল করা হয় । তবুও একটা ক্ষীণ আশা । এই বুঝি ` হ্যালো ‘ কন্ঠটি বেঝে উঠবে ।
৮৮. একটা মানুষ কতটা সময় থাকবে, সেটার একটা নির্দিষ্ট সীমারেখা আছে….. কিন্তু সে মানুষটার প্রতি তোমার অনুভূতি কতদিন থাকবে, সেটার কোন ঠিক নাই !! মানুষ চলে যায়,মানুষ মরে যায়, অনুভূতিরা মরে না……. অনুভূতিদের কোন EXPIRY DATE থাকে না !
৮৯. আমাকে মৃত্যু শিখাতে এসো না, আমার জন্মই হয়েছে কবরে । সবাই নেশায় ডুবে আছে, ঠিক একদিন ঘোর কাটবে মৃত্যুর আগের দিন হলেও !
৯০. যখন কেউ জেনে যাবে আপনাকে তার যতখানি প্রয়োজন, তার চাইতেও তাকে আপনার বেশি প্রয়োজন, তখনি সে আপনাকে অবহেলা করতে শুরু করবে । অবহেলার অশ্রু দু ধরনের হয় । একটি হলো ‘অভিমান’ অভিমানি ‘অপমান’ ।
৯১. শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মৃত্যু হলেও, চোখের কোনো মৃত্যু নেই !! তাকালেই দেখবে লাশটা তাকিয়ে আছে!! একদম চিরচেনা পরিচিত সেই তাকানোর ভঙ্গিটা !
৯২. এই পৃথিবীতে অনেক মানুষই আছে, ধৈর্য নিয়ে স্বার্থহীন কথা শোনার, কোন মানুষ নেই !
৯৩. প্রিয় মানুষ বলেও আসলে কিছু নেই !
ব্যাপারটা ক্ষেত্র বিশেষ ।
আজকে যে মানুষটিকে খুব,
কাছের বলে মনে হচ্ছে ;
মানুষটার সাথে পরিচয় না হলে !
এমনটা হতো না ।
আপনার জম্ন লেবানন কিংবা
জাপানে হলে,
অবশ্যই আপনি সেই দেশের
কোন মানুষকে ভালোবসতেন !
৯৪. আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ডশ এর বাসায় এসে এক মহিলা অবাক হয়ে বললেন ”আপনার ঘরে দেখছি একটাও ফুলদানি নেই। আমি ভেবেছিলাম, আপনি এত বড় একজন লেখক; আপনি নিশ্চয়ই ফুল ভালোবাসেন। তাই আপনার বাসায় ফুলদানিতে বাগানের তাজা, সুন্দর ফুল শোভা পাবে। ’বার্নার্ডশ এর জবাব ছিল ‘‘ আমি বাচ্চা ছেলেমেয়েদেরকেও ভালোবাসি। তার অর্থ এই নয় যে, আমি তাদের মাথা কেটে নিয়ে এসে ঘরে সাজিয়ে রাখব।”
৯৫. ফাঁসিতে যাবার আগে আসামী যখন শেষ বারের মত কাছের মানুষদের সাথে কথা বলার সুযোগ পায়, তখন কী কথা হয় তাদের মাঝে? এক জীবনের স্মৃতির হিসেব এই কটা মিনিটে চুকিয়ে দেয়া কী যায় ? কাছের মানুষটিকে বলা শেষ কথাটি বোধহয় ‘’ ভালো থাকবে’’ দিয়ে শেষ হয়। প্রতিউত্তরে মানুষটিও বোধহয় বলে, তুমিও ভালো থাকবে। কেমন ভয়ংকর না ব্যাপারটা ?একজন মৃত্যুপথযাত্রীকে আপনি ভালো থাকতে বলছেন। তিনিও জবাব দিলেন, আচ্ছা। পরক্ষনেই নিজের জবাবটা চিন্তা করে কেমন যেন ভীত হয়ে গেলেন। আদতে কোথায় থাকবে , কেমন থাকবে- কে জানে !
৯৬. এমন একটা সময় আসে যখন তোমার চারপাশ খুব পাথর হয়ে যাবে চেনা মুখ অচেনা হয়ে যাবে সারাজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষ গুলো তোমাকে পাশ কাটিয়ে চলবে,,!!আর কিছু মানুষ খুব দুঃখ প্রকাশ করবে আর তুমি বুক উচিয়ে দীঘ নিঃশাস ফেলবে তখন তোমার মেরুদণ্ড শীতল হয়ে যাবে!! এটাই স্বাভাবিক বিপদের সময় কাছের মানুষেরা এমন দূরে চলে যাবে দুরবীণ দিয়ে ও দেখতে পাবে না!! সব কিছু মেনে নাও একটি কোরআনের আয়াত ভেবে যা তোমার প্রভু বলেছেন নিঃশ্চয় কষ্টের পরে স্বতি আছে!!
৯৭. মানুষগুলো একদিন হাওয়া হয়ে যাবে, মানুষগুলো একদিন নাই হয়ে যাবে, মানুষগুলো একদিন ছাই হয়ে যাবে! মানুষগুলো একদিন হবে অমানুষ, অমানুষগুলো সব হয়ে যাবে ফানুস, মানুষগুলো একদিন উড়বে আকাশে, উড়তে উড়তে মাটিতে ডুববে!
৯৮. তোমাকে পেয়েছি। চিনেছি। দেখেছি। তোমাকে পাই নি। চিনি না এখন। দেখিনা বহুদিন। তোমাকে ভালোবাসি। ভালোবাসি না। একটু ভালোবাসি আর একটু ঘৃণা করি তোমাকে। আমি বোধহয় তোমাকে অর্ধেক পেয়েছি। আর অর্ধেক আমাকে ! হ্যাঁ অর্ধেক ! সম্পূর্ণ একটা মানুষ কোথায় পাবে বল ? পরিসংখ্যান বলে, প্রত্যেকটা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ভাবে চারটা মানুষ থাকে এবং পরোক্ষ ভাবে ছয় জন।
১। তাকে পাবার আগে তুমি যার ছিলে,
২। তোমাকে পাবার আগে সে যার ছিল।
৩। তুমি যার ছিলে সে এখন যার কাছে আছে
৪। তোমার কাছে আসার আগে মানুষটা যার কাছে ছিল সেই মানুষটা এখন যার কাছে আছে !
আমি বোধহয় তোমাকে অর্ধেক পেয়েছি। আর অর্ধেক আমাকে ! হ্যাঁ অর্ধেক ! তোমার বাকি অর্ধেকটা যাকে দিয়েছো, আমার বাকি অর্ধেকটা যে পেয়েছে… তাদের দুজনের মনেও কী অর্ধেক না পাওয়ার অশান্তি ?
আমাদের মতই ? সব ছারখার লাগে রাতে ?
হায়রে পিথাগোরসের সূত্র !! আমি শালা বেহায়ার মত আজো ভালোবাসি।
৯৯. তোমার সাথে আমার পার্থক্যটা এখানেই যে ‘ তুমি আমাকে ভালবাসতে’ আর ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি’। কাউকে চিরদিনের জন্য ভালো না বাসলে আবার ভালোবাসা যায় নাকি? আমি তোমাকে ভালোবাসি; বাক্যটি চিরন্তন সত্য। পাস্ট না; প্রেজেন্ট ইন্ডেফিনেট টেনস!
১০০. আচ্ছা… মনোবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মানুষ চেনার কোন উপায় কী আছে ? সিগারেটখোর এক টান দিয়ে ধোঁয়া অর্ধেক গলায় রেখেই বলে দিতে পারবে,এটি ড্যাম সিগারেট ছিল। তারা’খোর আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারবে,এই তারাটি কয়েকশো বছর পর মারা যাবে। দীর্ঘদিন তামাক খেলে সিগারেট চেনা যায়।আকাশের দিকে তাকালে নক্ষত্র চেনা যায়;ত্রিশ বছর মার্বেল আকৃতির দুটি চোখের দিকে তাকাবার পরও মানুষটাকে চেনা যায় না।
১০১. ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। এদেশের মানুষ এক সময় মাটিতে বসে ভাত খেত। তারপর পিঁড়িতে বসে। পিঁড়ি থেকে পাটি… সব শেষে টেবিল। আমাদের পূর্বপুরুষেরা আইরন করা জামা গায়ে দিয়ে ঘুরে বেড়াত না। একান্ত দরকার হলে জামা বালিশের নিচে রেখে ঘুমিয়ে যেত।
এতেই নাকি কাজ হয়। যাদের ঘরে আলনা ছিল সেটা সামনের ঘরে রাখা হত। সেখানে সব জামা কাপড় ভাজ করে রাখার নিয়ম। সামনের ঘরে অনেক মানুষ আসে। তাদের জানা দরকার এই ঘরে অনেক জামা কাপড় আছে।
এক সময় এল ফ্রিজ। প্রথম দিকে সেটাও ড্রয়িং রুমে রাখা হত। মেহমান এলেই পানি বের করা টাস্কি দেখানোর মত অবস্থা। বাবার কাছ থেকে শুনলাম আমাদের গ্রামে প্রথম রেডিও আনে বাবলু ভাইএর বাবা। দশ গ্রামে আর কারো কাছে রেডিও নেই।
দূর গা থেকে মানুষ ছুটে আসত রেডিও শোনার জন্য। এই টুকু এক যন্ত্রে ঢাকার মানুষের কথা কিভাবে আসে? কোনদিক দিয়ে আসে? অনেকের ধারণা এটা কোন মানুষের কথা না। রেডিওতে জিন কথা বলে!
…… আমি এমন গল্পও শুনছি যে , সেই সময় অনেকেরই বাসায় পড়ার মত একটা মাত্র লুঙ্গী ছিল… তারা সেই লুঙ্গীর মাঝখানে কেচি দিয়ে কেটে দু ভাগ করে ফেলত…
এতে একটা লুঙ্গীই দুইটা হয়ে যেত !! হাফ প্যান্টের মত হাফ লুঙ্গী… এ দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের পূর্বপুরুষ ছিল – কৃষক অথবা জেলে। আমার দাদা ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক। একি সাথে তার একটি নৌকা ছিল। তিনি সময়ে অসময়ে শখ করে নৌকা বাইতেন। আমার বাবার একটা বাইক ছিল। তিনি সময়ে অসময়ে বাইকে করে ভার্সিটি যেতেন। আমি হলাম তৃতীয় পুরুষ। আমি সময় অসময়ে গাড়ি নিয়ে বের হই।
নৌকা থেকে বাইক… বাইক থেকে গাড়ি। এই হল বাংলাদেশের সামগ্রিক অবস্থা। এক সময় সবার অবস্থা প্রায় কাছাকাছি ছিল। সেদিনেরই কোন এক চাষার ছেলে হয়ত আজকে মন্ত্রী হয়েছে। চাষার বন্ধুর ছেলে হয়ত চাষাই রয়ে গেছে। পার্থক্য শুধু এখানে।
তবুও একজন মানুষ হতে অন্য একজন মানুষ কত ভিন্ন। প্রত্যেকেই তো বড় হয়েছে কাজলা দিদির গান শুনে…তবুও কাজলা দিদি জানে না তার শিশুরা একদিন বড় হয়ে কত বদলে যায়।
এই ব্যাপারটি শুধু মানুষের ভেতরেই আছে। পশুদের ভেতরে ধনী গরীব নেই। জাতে ভেদাভেদ নেই। তারা মেধাবী না তবে কোন রকমের কুসংস্কারেও বিশ্বাস করে না… এই দিক থেকে চিন্তা করলে তারা মানুষ থেকে অনেক উন্নত।
পাখি এবং পশুরাই প্রকৃত অর্থে প্রগতিশীল…আচ্ছা রাস্তায় যেসব মানুষ ঘুমায় কেন ঘুমায়? তাদেরকি কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমানোর ইচ্ছে হয় না? ঘুম থেকে উঠে এক কাপ বেডটি!
আপনি কী আপনার জীবনে কখনো খিদের কষ্ট পেয়েছেন ? আপনি রমজানে রোজা রেখেছেন ; দুপুরে পেট কিলবিল করে বিছানায় শুয়ে ছিলেন… সেটা খিদের কস্ট না… কেননা আপনি জানেন সন্ধায় ঠিক ঠাক আপনার জন্য ইফতার অপেক্ষা করছে… ক্ষুদার মূল কষ্ট ক্ষুদা না… মূল কষ্ট হল কখন সে খাবে কীভাবে খাবে সেটা তার জানা নেই…
… টাকার মূল্য এখন কমে গেছে… এক সময় এক টাকা নিয়ে লোকাল বাসে হাতাহাতি হত… এখন ভাংতি না থাকলে চা ওয়ালা নিজেই ছয় টাকার চা পাঁচ টাকা রাখে… পকেট থেকে এক টাকার পয়সা পরে গেলে অনেকেই কষ্ট করে উঠিয়ে ড্রয়ারে জমা করে না..এক টাকার পাত্তা নাই… কষ্টে পোষাবে না..
অনাদারে পরে থাকা ভাংতি পয়সা গুলো কাজে লাগালে কেমন হয় ? একটা মাটির ব্যাংক ? অথবা কিছু একটা… যে পয়সা গুলো কখনো আপনার মনোযোগ পায় নি; তারা অনেক গুলো এক সাথে হলে হয়ত মাস তিনেক পর এক ফুল বিক্রেতার জীবন বদলে দিবে… কিছু না হোক অন্তত কোঁকড়া চুল ওয়ালা কোন বৃদ্ধকে এক বেলা ভাত খাওয়াতে পারবেন…
ধন্যবাদ
🖤🖤
জুনায়েদ ইভান ভাই ভালোবাসার মানুষ
ুনাইস
অসুস্থ মস্তিষ্কের ডাক্তার জুনায়েদ ইভান ভাই 🙂
ভালোবাসা থাকবে ওনার প্রতি 🖤
অসুস্থ মস্তিষ্কের ডাক্তার জুনায়েদ ইভান ভাই 🙂
ভালোবাসা থাকবে ওনার প্রতি 🖤
Love This
Love you vai
ভালোবাসার ভাই জুনাইদ ইভান ভাই যার জন্য হাজার ও ডিপ্রেশন থাকা মানুষ গুলো বেচে আছে তার মধ্যে আমি একজন
সে ভালবাসি বলেও ফুলের মত ঝরে গিয়েছে।
মাঝে মাঝেই ভাবি যে আমরা কাকে বিশ্বাস করি শুধু আল্লাহকে বিশ্বাস করব
Love you Brother🥀