ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেলদের মধ্যে বর্তমানে রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandanna) সর্বাধিক জনপ্রিয়। তিনি সাধারনত তেলেগু ও কন্নড় চলচ্চিত্রে কাজ করেন। কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিস এবং মিডিয়ার নিকট তিনি ”কর্ণাটক ক্রাশ” নামে পরিচিত। খুব শর্ট টাইমে জনপ্রিয়তা পাওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে রশ্মিকা অন্যতম, যিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি ছবিতে এক বিলিয়ন রুপি আয় করেন। তিনি তেলেগু ও কন্নড় সিনেমা জগতে সর্বাধিক পারিশ্রমিকের একজন চিত্র নায়িকা।
রশ্মিকার চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক হয় ২০১৬ সালে কিরিক পার্টি নামক ছবির মাধ্যমে। ঠিক পরের বছরই তিনি যে দুইটি বানিজ্যিক ছবিতে অভিনয় করেন, তাহলো চমক ও অঞ্জানী পুত্র। এরপর তিনি একের পর এক সুপারহিট ও বানিজ্যিক সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত বানিজ্যক সফল চলচ্চিত্রগুলো হল- কিরিক পার্টি (২০১৬), অঞ্জানী পুত্র (২০১৭), চমক (২০১৭), চলো (২০১৮), গীতা গোবিন্দম (২০১৮), যাজমানা (২০১৯), সেরিলেরু নেকাভারু (২০২০) এবং ভীষ্ম (২০২০)। অভিনয় জগতে তার ধারাবাহিক সফলতা তাকে দক্ষিন ভারতীয় সিনেমা জগতে সর্বাধিক ডিমান্ডাবেল চিত্র নায়িকা হিসেবে গড়ে তুলেছে।
রশ্মিকা মন্দানা সুমন ও মদন মন্দানার বড় মেয়ে। তিনি ১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল কর্ণাটকের বিরাজপেতে জন্মগ্রহন করেন। তিনি কোদাগুতে কুরগ পাবলিক স্কুল (সিওপিএস) থেকে মাধ্যমিকের পড়ুশুনা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি মাইসুর ইনস্টিটিউট অফ কমার্স এন্ড আর্টস থেকে প্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কোর্স করেন। তিনি তিনটি বিষয় মনোবিজ্ঞান, সাংবাদিকতা এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এমএস রামাইয়া কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য কলেজ থেকে। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও মডেলিং এর কাজ করেছেন।
আরও পড়্নঃ নিধি আগারওয়াল একজন ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
রশ্মিকা কিরিক পার্টি চলচ্চিত্রটি তৈরির সময় অভিনেতা রক্ষিত শেঠির সাথে ডেটিং শুরু করেন এবং রক্ষিত সাথে তার বাগদান সম্পন্ন হয় ২০১৭ সালের ৩ জুলাই তার জন্মস্থান বিরাজপেতে একিট পারিবারিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু তাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিন স্থায়িত্ব হয় নাই। এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পারস্পাকিরভাবে সামঞ্জস্যতার অভাবে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
তিনি কন্নড় ভাষায় ২০১৬ সালে কিরিক পার্টি, ২০১৭ সালে চমক ও অজ্ঞানী পুত্র এবং ২০২০ সালে পগারু (ডাবিং চলছে) সিনেমায় অভিনয় করেন। তার অভিনীত তেলেগু ছবিগুলো হলো- গীতা গোবিন্দম, দেবদাস, যাজমানা, ডিয়ার কমরেড, সারিলেরু নিকেভ্যারু, ভীষ্ম, পুষ্প (নির্মানাধীন)। এছাড়াও ২০২০সালে সুলতান সিনেমার মাধ্যমে তার তামিল চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়।
রশ্মিকা এখন পর্যন্ত মোট ১৩ বিভিন্ন পুরুস্কারের জন্য মনোনয়ন পান এবং ৮ টিতে বিজয়ী হন। তার বিজয়ী পুরস্কারগুলো হলো- শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দক্ষিণ, লাভ লাভিকে পাঠক পছন্দ পুরস্কার, জি কন্নড় হেমমেয়া কন্নদাথি পুরস্কার, ফিল্মিবিট পুরস্কার, জি সিনে পুরস্কার, শ্রী কালা সাদু তেলুগু পুরস্কার, জেএফডব্লিউ পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (সমালোচক দ্বারা নির্বাচিত), বিহাইন্ডউডস স্বর্ণ পদক (সমালোচক দ্বারা নির্বাচিত) ইত্যাদি।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া ও ছবিঃ সংগৃহীত
মন্তব্য লিখুন