এই তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে যেখানে মোবাইল ফোন ছাড়া সকাল থেকে রাত পার করা যায় না সেখানে মোবাইল ফোনের অবদান বা অপরিহার্যতা নিয়ে আলোচলা করার অপেক্ষা রাখেনা। মোবাইল ফোন আমাদের সুখ ও স্বাছ্যন্দের পরিধিকে বৃহৎ থেকে ক্রমে ক্রমে বৃহত্তর করে দিয়েছে এ কথা অনস্বীকার্য ।
মোবাইল শব্দের অর্থ ভ্রাম্যমান বা স্থানান্তরযোগ্য । মোবাইল ফোন বা তারবিহীন ফোন রাতারাতি আসেনি এর পিছনে শত বছরের শত মানুষের পরিশ্রমের দাগ জড়ানো । ১৮৭৬ সালের অ্যালেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন আবিষ্কারের পর অনেক প্রশ্ন , অনুসন্ধান , পরিশ্রমের রূপই আজকের এই তারবিহীন মোবাইল ফোন বা মুঠোফোন ।
যাই হোক এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আসা যাক । প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত বিশ্বের প্রভাব কিছুকাল পরে হলেও এসেছে বাংলাদেশে। ৯০ এর দশকে গুটিকয়েক মানুষ পেজার যন্ত্র কোমরে বেঁধে হাঁটতেন । এরপরে ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে উপমহাদেশের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মোবাইল ফোনের লাইসেন্স পায় বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স দেয়া হয় এশিয়া মহাদেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর হাচিনসন ও তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিটিএল (বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড) কে । এরপরে যদিও নানাবিধ কারনে তারা তাদের মোবাইল ফোনের লাইসেন্স বিক্রি করে দেয় ।
তখন লাইসেন্সটি কিনে নেয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ লিমিটেড (সিটিসেল) । সিটিসেলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন কোম্পানি তৈরির উদ্যোগ নেয় সিটিসেল । একদম শুরুর দিকে কেবলমাত্র রাজধানী ঢাকাকে এই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয় । এরপরে বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামও এর আওতাভুক্ত হয় ।
এরপরে ১৯৯৬ সালে সেবা , একটেল , গ্রামীন লাইসেন্স পায় এবং তারা বানিজ্যিক ভাবে তাদের সার্ভিস শুরু করে । এরপরে এদের মাধ্যমেই সারা দেশ মোবাইল নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয় ।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৬ টি মোবাইল ফোন অপারেটর বা মোবাইল ফোন কোম্পানি রয়েছে । এগুলো হল-
এই ছয়টি অপারেটর এর মধ্যে কেবলমাত্র টেলিটক দেশীয় মোবাইল ফোন অপারেটর । রবি অপারেটর এর পূর্ব নাম একটেল । বাংলালিংক পূর্বের সেবাওয়ার্ল্ডকে কিনে নেয় । এয়ারটেল পূর্বের ওয়ারিদকে কিনে নেয়।
আরও পড়ুনঃ Xiaomi POCO X2 one of the best budget স্মার্টফোন
বাংলাদেশের মোবাইল নম্বরের কান্ট্রি কোড +৮৮০১********* । প্রত্যেকটি মোবাইল ফোন কোম্পানির আবার আলাদা আলাদা কোড রয়েছে –
এখন বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ষোল কোটি , যা শুনতে বিষ্ময়কর হলেও সত্যি। এবং এ সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। প্রযুক্তির ছোয়া পৌঁছে গেছে প্রতিটি মানুষের হাতে হাতে। গত পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালের জিডিপিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ২ শতাংশ।
অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ💯