আলী বানাত নামটি হয়তো আপনিও ভুলে গেছেন, না হয় প্রথম শুনছেন। কিন্তু আপনি যখন তাঁর মহানুভবতার গল্প ও জীবনে বিস্ময়কর সব অবদানের কথা জেনে যাবেন। আমার বিশ্বাস আপনিও আপনার জীবনকে নতুন ভাবে চিনতে শিখবেন। হয়তো এই নামটি তখন আপনার বিবেক ও চেতনায় চিরকাল অনুপ্রেরণার শক্তি হিসেবে অমর হয়ে থাকবে। চলুন তবে জেনে আসি কে এই বিখ্যাত আলী বানাত!
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে বসবাস করা একজন প্রয়াত মুসলিম ধনকুবের নাম আলী বানাত। তিনি ১৯৮৫ সালে ২৪ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া জন্মগ্রহন করেন। তবে তিনি ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে কেটেছে তার শৈশব ও কৈশোর কাল। পেশায় তিনি ছিলেন একজন ইলেক্ট্রশিয়ান ও নাম করা এক সিসিটিভি কোম্পানির মালিক । মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি নিজেকে একজন সফল তরুন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন ৷
আলী বানাত শুধু একজন সফল ব্যবসাহী ছিলেন না, ছিলেন একজন যুব উদ্যোক্তা ও সমাজসেবক। খুব অল্প সময়ে তিনি হয়ে যান একজন মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক । তিনি তার স্ত্রী এবং পরিবার নিয়ে সিডনীতে খুব বিলাসবহুল ও সুখী জীবন অতিবাহিত করছিলেন।
তিনি শুধু একজন ধনকুবই ছিলেন না, পাশাপাশি ছিলেন একজন শৌখিন প্রিয় মানুষ। তাঁর ব্যবহার্য প্রতিটা জিনিসপত্রে শৌখিন মনোভাবের আঁচ লক্ষনীয়। বিশ্ব বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের দামি দামি সব পণ্য তিনি ব্যবহার করতেন, পাশাপাশি সেগুলো সংগ্রহ করেও রাখতেন তিনি ।
আপনি অবাক হবেন তার ব্যবহার্য পন্যের দাম শুনলে। তার হাতে ব্যবহার করা এক একটি ব্রেসলেটের দাম প্রায় ৬০,০০০ মার্কিন ডলার। যার দাম বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। আলী বানাত তাঁর বাড়ির সামনে যে ফেরারি স্পাইডার গাড়িটির রাখতেন তার দাম ৬ লক্ষ মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি ৫ কোটি টাকা।
ছবিঃ আলী বানাতের স্পাইডার গাড়ী
আলী বানাত এর বিশেষ দুর্বলতা ছিল স্নিকার জুতোর প্রতি । তাঁর ব্যবহারিত জুতোগুলোর দাম বলে শেষ করা দুষ্কর। ‘গিফট উইথ ক্যান্সার’ শিরোনামে তার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তাঁর ড্রেসিং রুমের সাজসজ্জা এবং ব্যবহার্য সমস্ত শৌখিন জিনিসপত্র খুবই যত্ন সহকারে সাজানো রয়েছে। সারি সারি করে সাজানো জুতো, হ্যাট এবং লুইস ভিতনের সানগ্লাস। তিনি বিভিন্ন রকমের এবং ব্র্যান্ডের সব সানগ্লাস সংগ্রহ করতে খুব ভালবাসতেন।
তাঁর ব্যবহার্য একজোড়া জুতোর দাম ১,৩০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি প্রায় ১ লক্ষ টাকা। তাঁর একজোড়া স্যান্ডেলের দাম ৭০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ৬০ হাজার টাকা। অবাক হচ্ছেন তাই না! তাঁর সানগ্লাস ও প্রতি ক্যাপের দাম শুনলেও বিস্মিত হবেন। এগুলো সবই লুইস ভিতন ব্রান্ডের পন্য তাই মূল্যটা আমাদের আন্দাজের বাইরে বলাই বাহুল্য।
আলী বানাত তাঁর জীবনে খুব বেশি সময় বিলাসবহুলতায় কাটাতে পারেন নি। ২০১৫ সালের কথা একদিন চা খাওয়ার সময় হঠাৎ তাঁর জিভ পূড়ে গিয়ে সেখানে ফোস্কা পরে যায়৷ প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন সামান্য ঔষধ খেলেই ব্যাথ্যা কিছুদিন পর এমনিতেই কমে যাবে। কিন্তু বহু দিন কেটে গেলেও তার জিভের ব্যাথা কমেনি। তারপর বহুবিধ চিন্তা করে ডাক্তারের কাছে গিয়ে শরীরের যাবতীয় সব চেকআপ করালেন।
কিন্তু ডাক্তারের এই রিপোর্ট শুনার জন্য তিনি একদমই প্রস্তুত ছিলেন না ৷ রিপোর্টে লেখা আসে “ফোর্থ স্টেইজ স্টেটিকুলার ক্যন্সার “। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডাক্তার তাকে জানিয়ে দিলেন , তাঁর হাতে সময় আছে আর মাত্র ৭মাস। কি করবে সে? এ রোগের তো কোনো প্রতিষেধক নেই৷ আর অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতো টাকা ও সম্পদ দিয়ে কি করবেন সে?
ছবিঃ ক্যান্সারে আক্রান্ত আলী বানাত হাসপাতালে
অনেক চিন্তা ভাবনার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন জীবনের মোড় ঘুরাবার। আর এভাবে যে তাঁর বেশি দিন চলা সম্ভব নয় তা বলাই বাহুল্য। রিপোর্টের পর ডাক্তারের কাছ থেকে শোনার পর সে বুঝতে পেরেছিল তাঁর মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে। এও বুঝতে পারছিলেন কোনো চিকিৎসায় তার আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব নয়৷
বলা বাহুল্য, ক্যান্সার ধরার পর তাঁর জীবনে আসে আমূল-পরিবর্তন। যে পর্যায়ে মানুষ এসে থেমে যায়, জীবনের আশা ছেড়ে দেয়৷ গুনতে থাকে মৃত্যু আসার প্রতিটা প্রহর। ঠিক সে পর্যায়ে এসে আলী বানাত অন্যরকম এক চমকপ্রদক পথ বেছে নিলেন। আলী বানাত বুঝতে পেরেছিলেন একটা ফেরারি স্পাইডারের চেয়ে আফ্রিকায় খালিগায়ে ঘুরে বেড়ানো একটি শিশুর জুতোর মূল্য বেশি৷
ওই সব অনাহারী শিশু মুখের হাসির মূল্য তাঁর এতোএতো সম্পদের চেয়ে অনেক বেশি। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁর সমস্ত সম্পদ তিনি দান করে দিবেন। সাথে সাথে তার সৌখিন সব জিনিসপত্র গুলো ধীরেধীরে বিক্রি করে দিবেন। তিনি পৃথিবীর সুবিধাবঞ্চিত মুসলিমদেকে সাহায্য করার লক্ষ্যে তাঁর সমস্ত অর্থ-সম্পদ দান করে দিয়েছিলেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তাঁর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়াকে সে আল্লাহর উপহার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
আলী বানাত এর একান্ত সাক্ষাৎকার ও বক্তব্যঃ
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ‘OnePath Network’ ইউটিউব চ্যানেল ক্যান্সার আক্রান্ত আলী বানাতের সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছিল। তাঁর সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও ধর্ম প্রচারক মোহাম্মদ হবলস।
ছবিঃ মোহাম্মদ হবলস ও আলী বানাত
যখন তাঁকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল, কেন তিনি ক্যান্সারকে আল্লাহর উপহার হিসেবে দেখছেন?
অশ্রুসিক্ত চোখে আলী বনাত মুচকি হেসে বলেন, “ক্যান্সার আমাকে পরিবর্তিত হবার সুযোগ দিয়েছে আমার চোখ খুলে দিয়েছে। ক্যান্সার না হলে হয়ত আমি জীবনটাকে এভাবে দেখতে পারতাম না। এমনকি জীবনে আরো ভুল পথে এগিয়ে যেতাম।”
মোঃ হবলস: ক্যান্সার কোন ব্যাপারে আপনার চোখ খুলে দিয়েছে?
বানাত: সব, চারপাশের ছোটবড় সবকিছু! এমনকি নিঃশ্বাস গ্রহণ করার জন্য যে বাতাস আছে, সেটিও এখন আমার কাছে অন্যরকম।
মোঃ হবলসঃ যেদিন আপনি প্রথম শুনলেন আপনার শরীরে ক্যান্সার হয়েছে, আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
আলী বানাত: আমার মনে হচ্ছিল, আমি আমার দামী ঘড়ি, গাড়ি, এমনকি জামাকাপড় এসব থেকে মুক্তি পেয়েছি। ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর এসব আমি বিদেশে গিয়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষদেরকে দান করে দিয়েছি। এই পৃথিবীর কোনো কিছু সাথে নিয়ে পৃথিবী থেকে আমি বিদায় নিতে চাই না আর নিতে পারবোও না।
মোঃ হবলস: আপনার বাড়ির সামনে দামী ফেরারি গাড়িটি দেখলে এখন আপনার কেমন লাগে?
বানাত: এসবের কোনো কিছুই আমার মনকে এখন আর নাড়া দেয় না।যখন আপনাকে কেউ বলবে আপনি চূড়ান্ত পর্যায়ের (৪র্থ) ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং আপনার এই জীবন আর বেশিদিন নেই, তখন আপনার দুনিয়াবি এসব জিনিস আর ভালো লাগবে না। কারণ তখন আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন, এসব মূল্যবান জিনিসপত্র থেকে আপনার আর কোনো লাভ নেই। পরপারে আপনি এসব কোনোকিছু সাথে নিয়ে যেতে পারবেন না। শুধু নিয়ে যেতে পারবেন আপনার কর্ম।
২০১৫ সালে, আলী বানাত এর শরীরে ক্যান্সার শনাক্ত হবার বছরই, তিনি বিশ্বের সুবিধাবঞ্চিত আসহায় মুসলিমদের সাহায্যার্থে ‘মুসলিম অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড (এমএটিডব্লিউ)’ নামে একটি দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এই দাতব্য সংস্থা ডোনেশন সংগ্রহ করেছে এবং প্রতি মুহূর্তেই এই ডোনেশনের পরিমাণ ক্রমে বাড়েই চলছে। যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিতে আসে (এমএটিডব্লিউ) সংস্থা তখন বাংলাদেশেও সাহায্য পাঠায় এবং এখনও সাহায্য করে যাচ্ছে।
ছবিঃ আফ্রিকায় আলী বানাত
“মুসলিম অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড” সংস্থার মাধ্যমে আফ্রিকা, টোগো, বুরকিনা ফাসো সহ পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশের হাজার হাজার দুস্থ মানুষের মানবসেবা করে গিয়েছেন। আফ্রিকার কয়েকটি দেশে আলী বানাত সশরীরে উপস্থিত থেকে গরীব-অসহায়দের জন্য কাজ করেছেন, এবং এই সংস্থায় দান করার জন্য ঘুরেঘুরে দাতা খুঁজেছেন। পাশাপাশি তাঁর দান করা অর্থ যেন সংস্থার কোনো প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত না হয় সেটি তিনি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে এই দাতব্য সংস্থাটি আফ্রিকায় ২০০ জন বিধবা নারী এবং ৬০০ এতিম বাচ্চার পুনর্বাসনের জন্য একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছে এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থার অনুদান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে হাসপাতাল সহ স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসা স্থাপন করার কাজ করছে।
আলী বানাত যতদিন বেঁচে ছিলেন, সশরীরে থেকে এবং নিজের মাধ্যমে “মুসলিম অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ডের কার্যক্রম” পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করার পরে ‘গো ফান্ড মি’ নামক একটি অনুদান সংগ্রাহক সংস্থা এই কাজগুলো আজও অব্যাহত রেখেছে ।
তাঁর রেখে যাওয়া ৩টি প্রজেক্টের জন্য তার ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সংগ্রহ করার লক্ষ্যে তিন-চতুর্থাংশ অনুদান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে প্রতিদিন নতুন নতুন অনুদান এই সংস্থায় জামা পড়ছে। ইতোমধ্যে তারা আফ্রিকার বিধবা এবং এতিমদের জন্য একটি আদর্শ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সেখানে হাসপাতাল,স্কুল এবং মসজিদ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ।
তবে আলী বানাত তার সল্পদীর্ঘ ব্যবসায়ী জীবনে বিভিন্ন সময়ে অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন, বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশেছেন, অনেকের সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। আর জীবনের শেষ সময়ে যখন তিনি হাসপাতালে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিলেন। তখন এই মানুষগুলো, বন্ধুগুলো ভালোবাসার টানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে তাঁকে দেখে গিয়েছেন। আলী বানাতের জীবনে এই ভালবাসাই তাঁর আসল প্রাপ্তি এবং আল্লাহর দয়া ও রহমত বলে তিনি মনে করেন।
আলী বানাত মৃত্যুর পূর্বে শেষ ভিডিও ক্লিপটিতে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন,
“আপনারা জীবনে মানুষের জন্য কিছু করার একটি লক্ষ্য, পরিকল্পনা এবং প্রজেক্ট ঠিক করে নিন। নিজে করতে না পারলে অন্যেদের প্রজেক্টে দান বা সাহায্য করুন। কারণ কাল হাশরের ময়দানে এসব দানই আপনার পক্ষে কথা বলবে। আমার যখন ক্যান্সার হয়, আমি বিছানায় শুয়ে একাএকা কান্না করতাম এবং আল্লাহর সাহায্য কামনা করতাম ।
মহান আল্লাহ তায়ালা জীবনে আমাকে এমন কিছু মানুষকে এনে দিয়েছিল, যাদের কে নিয়ে আমি কখনো কল্পনাও করিনি। আর এখন তাদের ভালবাসা নিয়েই আমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি। আলী বানাতের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা একজন-দুইজন-তিনজন যে কয়জনকে পারেন, দয়া করে সাহায্য করুন। শেষ বিচারের দিন তারাই আপনাকে সাহায্য করবে ।”
ডাক্তার তাকে ৭ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছিল। তবে আলী বানাত আল্লাহর রহমত, মানুষের ভালোবাসার টানে প্রায় ৩ বছর বেঁচে ছিলেন। মাত্র তিন বছরে তাঁর অবদান, অনুপ্রেরণায়, ভালোবাসায় হয়তো আফ্রিকার খালি গায়ে ঘুরে বেড়ানো পথ শিশুগুলো এবং বিধবা অসহায় নারীরা কিছুটা হলেও আনন্দে তাদের বাকিটা জীবন কাটাতে পারবে।
তিনি ২০১৮ সালে ২৯ মে অস্ট্রেলিয়ার, সিডনিতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় তিনি মৃত্যুরবন করেন৷ তখন পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের সময় তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। আর পাশে দাড়ালো স্বজনের চোখ দিয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু গড়াচ্ছিল।
আলী বানাত চলে গেছে তাকে কি! তাঁর কর্মের মাধ্যম তিনি শত শত বছর পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ
ছবিঃ সংগৃহীত
তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া
Masallah
good job.