মহাকর্ষ তত্ত্ব কথাটি শুনলেই সবার প্রথমে যার নাম মাথায় চলে আসে তিনি হলেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। নিউটনকে মহাকর্ষ তত্ত্বের জনক হিসেবে আমরা সকলেই জানি। তবে আমরা ভালো করে এটা অনেকেই জানি না যে, পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা ১৪০০ বছর আগেই উল্লেখ করা হয়েছে! আমরা হয়তো অনেকেই এটা শুনেছি বা জেনেছি, কিন্তু এ বিষয়ে আল-কুরআন নিয়ে হয়তো গবেষণা করে দেখিনি।
তবে চলুন আজ এ বিষয়টি নিয়ে একটি তাত্ত্বিক গবেষণা করার চেষ্টা করি। তাই আলোচ্য প্রবন্ধে আমরা পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা এবং নিউটনের ধারণা নিয়ে একটি তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো, ইন-শা-আল্লাহ।
প্রচলিত ঘটনায় বর্ণিত হয়েছে, ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দের কোন এক সময় নিউটন একটি আপেল গাছের তলায় বসে ছিলেন। হঠাৎ তার মাথার উপর একটি আপেল এসে পড়ল। তখন তার মাথায় চিন্তা আসলো, আপেলটি কেন নিচে পড়ল, উপরে না গিয়ে?
এরপর অনেক গবেষণা করে তিনি এই সৃষ্টিজগতের রহস্য উন্মােচন করলেন এবং আবিস্কার করলেন মহাকর্ষ বল। তার আবিস্কৃত সূত্রটি ছিল এমন-
“এ মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজ দিকে আকর্ষণ করে এবং এ আকর্ষণ বলের মান বস্তু কণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক, এদের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এ বল বস্তুদ্বয়ের কেন্দ্র সংযােজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।”
যদিও এই সুত্রে অনেক বিজ্ঞানভিত্তিক অঙ্ক রয়েছে। আমরা যদি অঙ্কের এ গভীরে নাও যাই, তবেও এটি স্পষ্টত যে মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরের দিকে আকর্ষণ করছে। কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা সম্পর্কে জানার আগে, আসুন আমরা বিজ্ঞানের গবেষণা ও ধারনা নিয়ে কিছুটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
আমরা নিউটনের সুত্র থেকে জানতে পেরেছি যে, মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা নিজের দিকে টানে বা আকর্ষণ করে। কিন্তু এমন নিশ্চয়তা দিয়ে এটি শতভাগ সঠিক তা কখনোই বলা ঠিক নয়। কেননা নিউটনের সুত্রে রয়েছে গানিতিক কিছু হিসেব, যা পৃথিবীর জন্য প্রযোজ্য হলেও ভিন্ন গ্যালাক্সি বা নক্ষত্রের পরিবারে তো প্রযোজ্য নাও হতে পারে!!
আমরা পৃথিবীতে বসবাস করি, আর পৃথিবী সৌরজগতের একটি গ্রহ মাত্র। কিন্তু আজও বিজ্ঞান এ সৌরজগতের গন্ডি অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি। তাহলে ভিন্ন কোন জগতে বা গ্যালাক্সিতে এই সুত্র প্রযোজ্য এটা নিউটন কিভাবে বলতে পারে? প্রকৃত অর্থে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে এটা নিতান্তই তার ধারনা মাত্র।
এককথায়, পৃথিবীর গাণিতিক হিসেব বা সুত্র দিয়ে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল গ্রহ-নক্ষত্রের পরিবারকে পরিমাপ অথবা যাচাই করার কোন যৌক্তিক আছে কি? আমাদের এ বিজ্ঞান তো সাইন্টিফিক প্রমাণ ছাড়া কিছুই বিশ্বাস করে না? গাণিতিক সুত্র বা অংকের মাধ্যমে অনেক অবাস্তব বিষয়কেও বাস্তবে প্রমাণ দেওয়া সম্ভব কিন্তু তা বস্তুত অবাস্তব কথা এটাই সঠিক। যেমন ধরুন, ০÷০= ২ এ উত্তর কি সঠিক? কিন্তু গাণিতিকসুত্রে তা সঠিক প্রমাণ করাও কঠিন কিছু নয়। র্থাৎ গাণিতিক হিসেবে দিয়ে অনেক অসত্য প্রমাণ করা যায়, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন হওয়া তাই অস্বাভাবিক কিছু নয়।
পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা নিয়ে যা উল্লেখ রয়েছে, সে বিষয়ে আমাদের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে বিজ্ঞানের গবেষণা নিয়ে আরো কিছু কনসেপ্ট ক্লিয়ার হওয়া প্রয়োজন। লক্ষ্য করুন, নিউটনের যুগ থেকে আজকের বিজ্ঞান অনেক অনেক বেশি উন্নত। তখনকার তুলনায় আজ বিজ্ঞান অনেক বেশি প্রমাণ ও আবিষ্কার করেছে।
তেমনি বর্তমান বিজ্ঞানের আবিষ্কার অনুযায়ী আমরা জানতে বা প্রমাণ পেরেছি, মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই যদি এ সম্প্রসারণ হতেই থাকে, তাহলে হয় মাধ্যাকর্ষণ বলের চেয়ে শক্তিশালী কোন বলের অস্তিত্ব রয়েছে, যা পরস্পরকে বিচ্ছিন্ন করছে। আর যদি তা না থেকে থাকে, তাহলে নিকটবর্তী অথবা দূরবর্তী মিল্কিওয়েতে মহাকর্ষ বা মাধ্যাকর্ষণ বল বলতে কিছু নেই। ফলে কেবলই তারা সম্প্রসারিত হয়ে যাচ্ছে।
যদিও আজ আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হলো পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা তুলে ধরা। কিন্তু নিউটনের গবেষণা নিয়ে কিছুটা তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করতেই হচ্ছে। কেননা বিজ্ঞানমহলে এ ধারণা নিউটনই প্রথম এনেছেন। তবে আমরা নিউটনের গাণিতিক হিসেবে যাচ্ছি না। কেননা সৌরজগতের গাণিতিক হিসেব আর অন্য মিল্কিওয়ে বা গ্যালাক্সি বা নক্ষত্র পরিবারের গাণিতিক হিসেব একই হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা যথাযথ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ব্যতিত দেওয়া সঠিক মনে করছি না। বলা যেতে পারে বৈজ্ঞানিক কল্পনা।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, অন্য গ্যালাক্সি বা মিল্কিওয়েতে যাই থাকুক না কেন, পৃথিবী তার কেন্দ্রের দিকে সকল বস্তুকণাকে আকর্ষণ করছে এটা নিয়ে কোনাে সন্দেহ বা সংশয় নেই। প্রকৃত অর্থে আইজ্যাক নিউটনের তত্ত্ব তাই বলে যা পৃথিবীর ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক। নিউটনের মৃত্যুর ৭১ বছর পর বৃটিশ বিজ্ঞানী হেনরি ক্যাভেনডিস ১৭৯৮ সালে নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব নিয়ে প্রথম গবেষণাগারে পরীক্ষা করেন।
তিনি প্রমান করেন, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে দুটি মেরু রয়েছে এবং এর বাইরে পৃথিবী শক্তিশালী চৌম্বকীয় বলয় তৈরি করে রেখেছে। এ স্থানটি বিদ্যুতায়িত এবং এ চৌম্বকীয় শক্তি সবকিছুকে টানছে। আর পৃথিবীর শক্ত ভাবে কেন্দ্র কক্ষপথে ও নিজ অক্ষের ওপর ঘূর্ণনের ফলে এই চৌম্বকীয় শক্তি অক্ষুন্ন থাকে। এজন্য কোনাে সময়ই এই চৌম্বকীয় শক্তি দুর্বল হয় না।
চিত্রেঃ পৃথিবীর চৌম্বক শক্তি
বর্তমান বিজ্ঞানও স্বীকার করছে পৃথিবীর কেন্দ্রে এ ধরনের চৌম্বকীয় শক্তি রয়েছে। কিন্তু ঠিক তেমনি হুবহু চাঁদের কেন্দ্রে নেই, নেই অনেক গ্রহ ও নক্ষত্রের কেন্দ্রে। তাই পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন অধিকাংশ গ্রহ-নক্ষত্র পৃথিবীর মতাে চৌম্বকীয় নয়। বরং সেসব গ্রহে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং নানাভাবে তারা আকর্ষণীয়। বস্তুত অধিকাংশ মহাজাগতিক গ্রহ, নক্ষত্রে স্বল্পমাত্রায় বা আদৌ কোনাে চৌম্বকীয় শক্তি নাও থাকতে পারে, যা অসম্ভব কিছু নয়।
[১] মহাকাশ নিয়ে পবিত্র কুরআনে অসংখ্য আয়াত নাজিল হয়েছে। পবিত্র কুরআনে এরকম মহাশক্তি বা বলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ তবে নিউটনের মহাকর্ষ বলের ধারণা শতভাগ শতভাগ সঠিক বলছি না বরং পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের কথাই পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারী রূপে!” [সূরা মুরসালাতঃ ২৫]
এই আয়াতে যে আরবি শব্দটি ব্যবহার হয়েছে তা হলো ‘কিফাতান’ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে, ধারনকারী, ধারক বা পাত্র। কিফাতান শব্দের মূল বা ধাতু হচ্ছে ‘কাফাতা‘ যার অর্থ হচ্ছে সংগ্রহ করা, একদিকে জড়াে করা অথবা একটার সাথে আরেকটিকে আলিঙ্গনাবদ্ধ করা। তাই এ থেকে স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে এই পৃথিবীকে সকল বস্তুকে একত্রিত করার সক্ষমতা দিয়েই সৃষ্টি হয়েছে।
সুতরাং পৃথিবীর কাছে গেলে সবকিছু একত্রিত হয় বা জড়াে হয়। আমরা পৃথিবীর এই বিশেষ ক্ষমতাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলতে পারি, পৃথিবীর ম্যাগনেটিক (চৌম্বক) ক্ষমতা এবং নিউটনের ভাষায় অভিকর্ষ বল।
[২] আমরা আগেই বলেছি, নিউটনের মহাকর্ষ বলের ধারণা সৌরজগতের জন্য প্রযোজ্য হলেও, তা অন্য নক্ষত্র পরিবার অথবা মিল্কিওয়ের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। তবে একেবারে মিথ্যে বলে উড়িয়েও দিতে পারি না, কেননা বিষয়টি শতভাগ এখনও প্রমাণিত হয়নি।
ধারনা করছি, নিউটন হয়তো এটিই বুঝিয়েছেন, যে মহাকাশে একটি বস্তু অন্য বস্তুর সাথে কোন অদৃশ্য বলে আবদ্ধ রয়েছে। তিনি যার নাম দিয়েছেন মহাকর্ষ বল বা শক্তি। আমরা পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা ঠিক এভাবে খুঁজতে পারি, যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-
“সাত আসমান আমি খুঁটিবিহীন ভাসমান অবস্থায় সৃষ্টি করেছি, যা তোমরা দেখছ।”[সুরা লুকমানঃ১০]
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে শূন্যের উপর এক টুকরা কাগজের অস্তিত্বও কল্পনা করা যায় না। সেখানে এত বিশাল মহাকাশ কিভাবে ভাসমান থাকতে পারে? এর জবাবে আল্লাহ তা’আলা স্বয়ং নিজেই পবিত্র কোরআনে বলেছেন-
“তাঁর নিদর্শনাবলি থেকে এটাও একটি, যে আসমান-জমিন কেবলমাত্র তাঁর আদেশের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে।”[সুরা রূম:২৫]
সুতরাং মহান আল্লাহর এই আদেশ কে আমরা মহাকর্ষ রূপক নাম দিতে পারি। অর্থাৎ আল্লাহর মহাকর্ষ নামক নিয়ম বা আদেশের ওপর মহাবিশ্ব দাঁড়িয়ে আছে। সতর্কতা মূলক বলতে চাই, এই আয়াতের প্রকৃত অর্থ আল্লাহ যা বুঝিয়েছেন আমরা তাই বিশ্বাস করি। তবে ব্যাখ্যাটি এমনও হতে পারে। যা আমরা ধারণা করেছি মাত্র।
[৩] অন্য দিকে আমরা বলেছি মহাবিশ্ব প্রতি নিয়ত প্রসস্থ হচ্ছে। যার একটি প্রমাণ হচ্ছে ১৯২৫ সালে বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ এডউইন হাবেল পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণের সাহায্যে বলেছেন, প্রতিটি ছায়াপথ অন্য ছায়াপথ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে এবং সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হওয়া এখন বৈজ্ঞানিক সত্য। তবে পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারনা এবং পাশাপাশি এই সম্প্রসারণের কথা স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। আল-কোরআনে মহাবিশ্বের প্রকৃতি সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি, আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী।” [সূরা যারিয়াত:৪৭]
তাই এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি, পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা এবং অভিকর্ষ বল ও মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও বিজ্ঞানিদের এই সকল আবিস্কার আমাদের কাছে নব্য মনে হচ্ছে। কিন্তু পবিত্র কোরআনে এসব, আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই উল্লেখ করা হয়েছিল।
আমরা দেখেছি, পবিত্র কোরআনে প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে মহাকর্ষ বল ও পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের কথা উল্লেখ হয়েছে। স্যার আইজ্যাক নিউটন যে তত্ত্ব আল-কুরআন নাযিলের ১১০০ বছর পর আবিষ্কার করেছিলেন। আর এ কারণে তিনি বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর খেতাব জিতেছিলেন।
পবিত্র আল-কুরআনকে সূরা ইয়াসিনের ২ নং আয়াতে “বিজ্ঞানময় কুরআন” বলা হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা কোরআন শুধু ধর্মীয় গ্রন্থ হিসেবে পড়ে থাকি। তাই পবিত্র কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা সহ সহস্র বিজ্ঞানের আয়াত সম্পর্কে আমরা উদাসীন রয়েছি৷ আর আমরা নিজেরা তো এসব বিষয় নিয়ে গবেষণার সমান্য সময় মাত্র খুঁজে পাই না। বরং পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা যা জানিয়ে থাকে, আমরা সেই সুত্র ও অঙ্ক নিয়ে শিক্ষা জীবনে কাটিয়ে দিচ্ছি এবং পরিক্ষায় তা লিখে পাশ করে থাকি। এটাই কি তবে প্রকৃত শিক্ষা ও জ্ঞানীর পরিচয়?
নতুবা কুরআনে মহাকর্ষ বলের ধারণা সহ বিজ্ঞানের এ সকল আবিষ্কারে মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকতো৷ যা আমরা দেখতে পেয়েছিলাম ইসলামি স্বর্নযুগের সময়। কেননা মুসলিম জাতিকে মহান আল্লাহ দিয়েছেন সর্বোচ্চ বিজ্ঞানের কিতাব আল-কুরআনুল হাকিম। কিন্তু আজ আমরা গবেষণায় সবচেয়ে পিছিয়ে, কারণ আজ সেই কুরআনের বিজ্ঞানভিক্তিক গবেষকদের খুব অভাব।
আমরা জানি, পবিত্র আল-কুরআনে খুব সূক্ষ্মভাবে বিজ্ঞানের মৌলিক তথ্য বা তত্ত্বগুলো তুলে ধরা হয়েছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, আল-কুরআন বিজ্ঞানের কোনাে তত্ব বা ইঙ্গিতবাহী কোনো তথ্য বা উপাত্ত আজ পর্যন্ত গবেষণায় মিথ্যা বা ভুল প্রমাণিত করা সম্ভব হয়নি। আর কিভাবে ভুল প্রামণ করা সম্ভব, এটি তো মহান আল্লাহর বাণী। সুবহানআল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়া’লা আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুক এবং আমাদের সকলকে আল-কুরআনের বিজ্ঞানভিক্তিক সহিহ বুঝ দান করুক! আমিন।
[বিঃ দ্রঃ প্রবন্ধটির বিশ্লেষণ আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ও ধারণা। সুতরাং বিশ্লেষণটিতে দূর্বলতা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোন মানুষের চিন্তা বা গবেষণা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়]
তথ্য সহায়তাঃ
মন্তব্য লিখুন