যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হয়ে উঠুন ই-কমার্স নির্ভর

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট

একটা সময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এসব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলোনা। কিন্তু,সময়ের পরিক্রমায় আমরা এসবের সাথে অভ্যস্ত হয়েছি, এসবের উপর অতি মাত্রায় নির্ভরশীল ও হয়ে গিয়েছি। ই-কমার্স অনেক আগে থেকেই পশ্চিমা বিশ্বের জনগণের জীবনের সাথে জড়িয়ে গেলেও এখনো বাংলাদেশের বড় একটা অংশ ই-কমার্সের উপর নির্ভরশীল নয়।

এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ই-কমার্স যেখানে দ্রুত বর্ধনশীলতা লাভ করছে,সেখানে আমাদের দেশ রয়েছে বেশ পিছিয়ে।কথা বলবো আজকে ই-কমার্সের বিস্তারিত নিয়ে এবং জনপ্রিয় কিছু দেশী ই-কমার্স নিয়ে।

ই-কমার্স অনেক বিস্তৃত অর্থ বহন করে। Wikipedia এর তথ্য মতে, ” ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) এর মাধ্যমে বাণিজ্য কাজ পরিচালনা করে। এছাড়াও মোবাইল কমার্স, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ও অন্যান্য আরো কিছু মাধ্যম ব্যবহৃত হয়।”

বাংলাদেশে প্রথম ই-কমার্স ৯০ এর দশকেই আসে মুন্সিজি ডট কম এর হাত ধরে। কিন্তু, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট , ইন্টারনেটের নিম্ন গতি, ডিভাইসের অপ্রতুলতা সহ নানা বিষয় বিবেচনায় ২১ শতকের শুরুর দিকে ই-কমার্স মাথা তুলে দাড়াতে পারেনি।

বাংলাদেশে দারাজকে প্রথম ব্যবসাসফল ই-কমার্স বলা যায়। ২০১২ সালে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে দারাজ প্রবেশ করে। এবছর দারাজের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে। সে উপলক্ষ্যে ৬ টাকায় তারা অনেক চমকপ্রদ অফার দিয়েছিলো ৬ টাকা ডিল ট্যাগটি প্রচার করে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে ইভ্যালি বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করে নিয়েছে।

বর্তমানে ই-কমার্সের সবচেয়ে বড় মার্কেটটা ইভ্যালিই ধরে রেখেছে। এছাড়া আজকের ডিল, পিকাবো, রকমারি ইত্যাদি অনেক ধরণের ই-কমার্স রয়েছে। প্রত্যেকটি ই-কমার্স সাইট নিয়ে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট

Daraz

www.daraz.com তাদের ওয়েবসাইট। এছাড়া, প্লেস্টোরে তাদের এন্ড্রয়েড অ্যাপ ও রয়েছে। ইউজারদের বেশিরভাগই অ্যাপের মাধ্যমে দারাজ ই-কমার্স সাইট ব্যবহার করে থাকে।দারাজে রেগুলার ফ্ল্যাশ সেল চলে। এর মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য অনেক প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়।

এছাড়া দারাজের নিজস্ব শপ “দারাজ মল” রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রোডাক্ট অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি সহ পাওয়া যায়। দারাজে কোনো কিছু অর্ডার করা খুব সহজ।

অ্যাপে ঢুকে আপনার চাহিদামত পণ্য সার্চ করে কিনতে পারবেন। কার্টে যোগ করে রেখে দিতে পারবেন যদি একাধিক পণ্য কিনতে চান। গ্রোসারি যেকোনো আইটেমের জন্য রয়েছে ডেলিভারি চার্জে ছাড়।

এছাড়া সুপার ফাস্ট ডেলিভারির জন্য দারাজ বিখ্যাত। তাদের আরেকটি চমকপ্রদ দিক হলো তারা আন্তর্জাতিক মানের কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনার কোনো ধরণের সমস্যা হওয়া মাত্র আপনি সরাসরি দারাজ এজেন্টের সাথে চ্যাটিং এর মাধ্যমে সমাধান করতে পারবেন।

আপনার পছন্দের পণ্যটি কেনার সময় সেলারের সাথে চ্যাটিং এর মাধ্যমে পণ্যটির গুণগত মান যাচাই করার সুযোগ থাকে। দারাজের ডেলিভারি সিস্টেম ও অনেক উঁচু মানের।

তারা চেষ্টা করে ভালো কুরিয়ার এর মাধ্যমে পণ্য আপনার হাতে পৌঁছে দিতে। প্যাকেজিং এর সময় দারাজ কোনো রকম কার্পণ্য করেনা। কোনো প্রোডাক্ট ভুল আসলে বা নষ্ট হলে থাকছে ৭ দিনের মধ্যে রিটার্ন দেওয়ার সুবিধা।

রিটার্ন পলিসির আওতায় আপনি আপনার টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন এবং সেই টাকা ব্যবহার করতে পারবেন দারাজের যেকোনো পণ্য কেনার জন্য।

এছাড়া দারাজে বিভন্ন দামের গিফট কার্ড কেনার সুুবিধা রয়েছে। যেসব ব্যবহার করেও আপনি পণ্য কিনতে পারবেন। বিভিন্ন শপের সেলাররা মাঝে মধ্যে কুপন কোড দিয়ে থাকেন।

সেগুলা ব্যবহার করে পণ্যের দাম অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলতে পারেন। পেমেন্ট সিস্টেমে রয়েছে সব ধরণের ব্যবস্থা। আপনি চাইলে “ক্যাশ অন ডেলিভারি” নিতে পারেন অর্থ্যাৎ পণ্য হাতে পেয়ে পেমেন্টের সুযোগ থাকছে।

এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে,মাস্টার কার্ড, ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের সুযোগ ও থাকছে। বিভিন্ন ক্যাম্পেনের অংশ হিসেবে রয়েছে ক্যাশব্যাকের ও সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়া বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে জিতে নিতে পারেন ফ্রি গিফট সামগ্রী।

Evaly

ইভ্যালি বর্তমান সময়ের সেরা ই-কমার্স সাইট। তাদের একটা বদনাম রয়েছে, দীর্ঘ সময় টাকা আটকে রাখার। কিন্তু অল্প টাকায় তারা বেশ কিছু প্রোডাক্ট সরবরাহ করে থাকে।

সাইক্লোন অফার নামের একটি ব্যবস্থায় সৌভাগ্যবানদের বিভিন্ন অফার, ক্যাশ ব্যাক, ছাড় ইত্যাদি দেওয়া হয়ে থাকে।

এখানেও আছে দারাজের মত গিফট কার্ড কেনার সুযোগ। সেগুলা ব্যবহার করে বিভিন্ন সমমূল্যের প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। তাদের মার্কেটপ্লেসে যাবতীয় প্রোডাক্ট অফিসিয়াল।

তারা বিভিন্ন ব্রান্ডের পণ্য অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি সহ বিক্রি করে থাকে।তবে দারাজের মত তাদের শক্তিশালি কাস্টমার সার্ভিস ব্যবস্থা নেই।নেই যেকোনো মূল্যের প্রোডাক্ট কেনার সুযোগ।

সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার প্রোডাক্ট কেনার ব্যপারে বাধ্য বাধকতা রয়েছে। অনেকেই তাদের কাস্টমার সার্ভিস নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন। বিশাল গ্রাহকের চাপ সামাল দেওয়ার কারণে গ্রাহকের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া সম্ভব হয়না তাদের পক্ষে।

সম্প্রতি ইভ্যালির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছেন কাস্টমার সার্ভিসে প্রচুর জনবল নিয়োগের মাধ্যমে ভোগান্তি নিরসনের ব্যপারে তিনি নজরদারি করবেন।

এখানেও আপনি আপনার দৈনন্দিন যাবতীয় প্রয়োজনীয় বাসা বাড়ির দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স আইটেম, স্মার্ট গ্যাজেট, প্রসাধনী সামগ্রী সবই পেয়ে যাবেন। তাদের এন্ড্রয়েড অ্যাপ প্লেস্টোরে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

Pickaboo

বাংলাদেশে ই-কমার্সের পথ চলায় সাইলেন্ট কিলার হিসেবে পিকাবো ২০১৬ সালের মে মাস থেকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। সিলভার ওয়াটার টেকনোলজিস এই ই-কমার্স সাইটটি প্রতিষ্ঠা করে। পিকাবো মূলত ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রীর বৃহৎ ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেস হলেও নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই আপনি তাদের কাছে পেয়ে যাবেন।

ঢাকার ভিতরে ৩-৫ কার্য দিবসে তারা ডেলিভারি দিয়ে থাকে।অন্য সব ই-কমার্সের মত তাদের ও রয়েছে “ক্যাশ অন ডেলিভারি” সুবিধা। এছাড়া ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড দিয় পেমেন্টের সুযোগ ও তারা রেখেছে।

বিভিন্ন পণ্যে মাসিক কিস্তি ভিত্তিক সুবিধাও তারা দিয়ে থাকে। গ্রাহকদের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দেওয়ায় তারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ভারতেও তাঁদের সার্ভিস রয়েছে।

Ajkerdeal

এই সাইটটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতার হাত ধরে। প্রথম থেকে ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা এই ই-কমার্সের ব্রান্ড এম্বাসডর হিসেবে কাজ করেছেন।

ঢাকার মধ্যে ডেলিভারি চার্জ এডভান্স পেমেন্টেের মাধ্যমে নেয়ার সুযোগ আছে। এছাড়া ক্যাশ অন ডেলিভারিও নিতে পারবেন।আজকের ডিলে পণ্য কেনা,সেল করার ঝামেলা খুব কম।সরাসরি সেলারের সাথে কল করেও কথা বলার সুযোগ থাকে।

পেমেন্ট মেথোডে বিকাশ, মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড ছাড়াও i-pay, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিবিবিএল নেক্সাস ইত্যাদি মাধ্যমেও তারা পেমেন্ট নিয়ে থাকে।

Bagdoom

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা আরেকটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট হল Bagdoom। প্রথেম এটি Akhoni.com নামে যাত্রা শুরু করে। ২০১০ প্রথম ই-কমার্স ওয়েবসাইট হিসাবে Bagdoom.com বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বাগডুমে প্রথমে শুধু লাইফস্টাইল পণ্য পাওয়া গেলেও এখন প্রায় সব ধরনের পণ্যই পাওয়া যায়। মান-সন্মত ই-কমার্স সাইট হিসেবে এটি বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছে।

তাছাড়া বাগডুমের Same Day Delivery নামে সেবা আছে যার মাধ্যমে আপনি ঢাকার কিছু এলাকায় যেদিন পণ্য অর্ডার করবেন সেদিনই পণ্য পাবেন। তবে দিনে দিনে পণ্য পেতে হলে আপনাকে 1.00PM এর আগে অর্ডার করতে হবে বলে জানিয়েছে বাগডুম কতৃপক্ষ।

পেমেন্ট মেথডঃ

বাগডুমে লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল উভয় ব্র্যান্ড এর প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার পছন্দের পণ্যটি বাগডুম থেকে নিশ্চিন্তে অর্ডার করে নিতে পারেন।

Rokomari

বাংলাদেশের ব্যতিক্রমধর্মী একটি ই-কমার্স রকমারি ডট কম। রকমারি ডট কম ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে রকামারি ডট কমে শুধু বই বিক্রি করা হতো।

বর্তমানে বই এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের টিউটোরিয়াল, বিজ্ঞান বক্স ও বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক পণ্যও বিক্রি করা হয়। ভালো পণ্য ও সেবার প্রদানের মাধ্যমে রকমারি ডট কম বাংলাদেশের সেরা ই-কমার্স ওয়েবসাইটগুলোর তালিকায় নাম তুলে নিয়েছে।

এটি অন্যরকম ডট কমের একটি সাইট যেটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোচিং সেন্টার “উদ্ভাস” এর প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান সোহাগ কর্তৃক পরিচালিত।

রকমারি ডট কম বাংলাদেশের প্রথম এবং অন্যতম সেরা বইয়ের অনলাইন শপ। সাহিত্য থেকে শুরু করে প্রযুক্তি পর্যন্ত সব ধরণের বই-ই পাওয়া যায় এই অনলাইন বুক স্টোরে।

ওয়েবসাইটের কালেকশনে রয়েছে বিপুল পরিমানে বই যা আপনার যে কোনও ধরণের বইয়ের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। আপনি যদি বই পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে আপনার পছন্দের বইটি রকমারি ডট কম এর মাধ্যমে অর্ডার করে নিতে পারেন। বিদেশি দুষ্প্রাপ্য বইগুলো কেনার সবচেয়ে সহজতম উপায় এই সাইটটি।

পেমেন্ট মেথডঃ

বিশেষায়িত কিছু ই-কমার্স সাইট

Pathao, Uber, FoodPanda, Pathao Food ইত্যাদি বিশেষায়িত কিছু ই-কমার্স নির্ধারিত সামগ্রীকে লক্ষ্য রেখে বানানো। ফুড পান্ডা, উবার রাইটস,পাঠাও ফুড ইত্যাদি সাইট খাবার হোম ডেলিভারির কাজ করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ Xiaomi POCO X2 one of the best budget স্মার্টফোন

আপনার লোকেশন অনুসারে কাছের রেস্টুরেন্ট থেকে আপনার পছন্দের খাবার ঘরে পৌঁছে দিতে এসকল সাইট এবং ডেলিভারি ম্যানরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

এছাড়া উবার,পাঠাও, ওভাই এর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি বাইক, গাড়ি, সিএনজি ভাড়া করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে পারবেন।

ই-কমার্স এর সুবিধাসমূহ

-আপনি খুব সহজেই অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে পণ্য অর্ডার দিতে পারবেন।বাইরে যাওয়ার ভোগান্তি নেই।

-সময় অপচয় রোধ হয়।আপনি আপনার মূল্যবান সময় বাঁচাতে পারবেন ই-কমার্স ব্যবহার করে।

-দরদামের ঝামেলা নেই।নকল পণ্য পাওয়ার ভোগান্তি কম।ভোগান্তির শিকার হলেও রয়েছে প্রোডাক্ট রিটার্ন দেওয়ার সুযোগ এবং টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ।

-বিভিন্ন অফার লুফে নিতে পারলে অল্প দামে বিভিন্ন জিনিস কেনার সুযোগ পাওয়া যায়।

-ই-কমার্স সাইটগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে নিত্য নতুন পণ্যের আপডেট দাম সহজেই জানতে পারবেন।

-আপনার পছন্দ, সার্চ হিস্ট্রি অনুসারে আপনার পছন্দের সামগ্রীগুলো হোম পেজে চলে আসবে।কষ্ট করে খুঁজে বের করার ভোগান্তি নেই।

-অনেক মানুষের কাহের ক্ষেত্র তৈরী করদে ই-কমার্স ভূমিকা রাখে।বেকারতাব নিরসনে জাতীয় পর্যায়ে সরাসরি ভূমিকা রাখে ই-কমার্স।

-সর্বোপরি, একজন স্মার্ট মানুষ হিসেবে সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন।

ই-কমার্স এর অসুবিধা সমূহ

-গ্রাহকরা অনেক সময় অসাধু সেলারেে জন্য প্রতারণার মুখোমুখি হয়।এতে আর্থিক ক্ষতির চেয়ে ভোগান্তিই বেশি হয়।

-অনেক সময় ডেলিভারি ম্যান এর অসাবধনতা কিংবা কুরিয়ারের অসতর্কতায় পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

-পণ্য রিসিভ করা সহজ হলেও রিটার্ন করা সমস্যা।তবে,রিটার্নের ঘটনা হাতে গোণা কয়েকজনের সাথে ঘটে।সাধারণত হয়না।

-পেমেন্টের পর টাকা ওদের কাছেই কুক্ষীগত রয়ে যায়। ক্যাশ ব্যাক বা রিটার্ন করা টাকা ওদের নিজস্ব একাউন্টে জমা থাকবে। আপনি তাদের সাইটে ব্যবহার করতে পারবেন, বাইরে ব্যবহার করতে পারবেননা।

-ইন্টারনেটের অপ্রতুলতা আমাদের দেশে ই-কমার্সের জন্য বড় বাধা। ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় সবাই না থাকায় দেশের বড় অংশ এর গ্রাহক সুবিধা হতে বঞ্চিত।

-ই-কমার্স সাইট চালানোর জন্য কম্পিউটার বা এন্ড্রয়েড মোবাইল প্রয়োজন। দেশের সবার সাধ্যের মধ্যে এসবের দাম না থাকায় ই-কমার্স এখনো তাদের দরজায় পৌঁছাদে পারেনি।

ই-কমার্স মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের নাগরিকরা সুবিধা ভোগ করে আসছে। তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তি কমছে একই সাথে গ্রাহক, ক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতাদের ও ফিজিক্যাল কোনো শপের প্রয়োজন পড়েনা।

ই-কমার্সভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে। মানুষ ডিজিটালাইজ হচ্ছে, সেই সাথে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থা ডিজিটালাইজ হবে- এটাই তো স্বাভাবিক।

এই স্বাভাবিকতার হাত ধরেই আমাদের প্রজন্মের উচিত ই-কমার্স নির্ভর হওয়া।নিয়মিত ক্রেতাদের সাড়া পেলে ই-কমার্স সেক্টরে বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবিক অর্থেই অর্জিত হবে।

ছবিঃ সংগৃহীত

Exit mobile version