সরকার আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না বলে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২০ উদযাপন দিবসে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডঃ দিপু মনি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনা সভার আয়োজন করে। উক্ত সভায় প্রধান অতিধির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে পরিমাণ শিক্ষার্থী অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করছে, চাকরির বাজারে সে পরিমাণ অনার্স ও মাস্টার্স এর চাহিদা রয়েছে কিনা তা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
তাদের অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। কোনও রকমের টেকনিক্যাল শিক্ষা না থাকায় তারা বেকার থেকে যাচ্ছেন।
আর এই রকমের শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। আর এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন
আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে অবস্থান করছি। এর আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবের কোনও সুযোগ আমরা নিতে পারিনি। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাই বলে জানিয়েছেন ডঃ দিপু মনি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে পরিবর্তিত শ্রমবাজারে চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি ও দক্ষতার সমন্বয় ঘটিয়ে আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
দক্ষ মানবসম্পদের চেয়ে কোনও সম্পদই বড় নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে যুব সমাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে সেই সাথে শিল্পের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে’।
দেশ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে শ্রমবাজারের পূর্বাভাস দেওয়া, কারিকুলাম যুগোপযোগীকরণ, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান মানোন্নয়ন, ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল গঠনসহ ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়র্ক প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
কারিগরি শিক্ষায় দেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ শতাংশ হয়েছে। ২০০৯ সালে যা ছিল মাত্র এক শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনলাইন আলোচনা সভায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিসহ সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস-২০২০ এর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল—‘Skills for Resilient Youth’ (স্কিলফর রেসিলিয়েন্ট ইয়ুথ)।
তথ্যসূত্রঃ কালেরকণ্ঠ ছবিঃ সংগৃহীত
মন্তব্য লিখুন