আন্তঃক্যাডার বৈষম্য: সরকারি সেবা ও সুযোগে অসমতা

বাংলাদেশের জনপ্রশাসন কাঠামোতে ক্যাডার বৈষম্য

Inter-cadre discrimination

Inter-cadre discrimination

সিভিল সার্ভিস বা ক্যাডার সার্ভিস হল সরকারের একটি সেক্টরের জন্য একটি সম্মিলিত শব্দ যা প্রধানত নির্বাচিত না হয়ে নিয়োগ করা কর্মজীবন সিভিল সার্ভিস কর্মীদের দ্বারা গঠিত, যাদের প্রাতিষ্ঠানিক মেয়াদ সাধারণত রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন থেকে বেঁচে থাকে। একজন ক্যাডার কর্মকর্তা হলেন একজন ব্যক্তি যিনি সরকারী বিভাগ বা এজেন্সি দ্বারা সরকারী খাতের জন্য নিযুক্ত হন। ক্যাডার কর্মকর্তারা সরকারের জন্য কাজ করে এবং সরকারের কাছে জবাবদিহিতা করে, রাজনৈতিক দলের কাছে নয়।

মূলতঃ উপমহাদেশে সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলার কৃতিত্ব ব্রিটিশ সরকারের। ব্রিটিশ সরকার তার নিজস্ব প্রয়োজনেই গড়ে তুলেছিলো সিভিল সার্ভিস। এর পূর্বে রাজা ও নবাবদের আমলে গড়ে ওঠা প্রশাসনব্যবস্থা ছিলো সামন্ততান্ত্রিক। তবে পৃথীবিতে প্রথম চীনে ট্যাং রাজবংশের আমলে গড়ে ওঠে সিভিল সার্ভিস প্রথা।

এছাড়া অটোমান সুলতানদের প্রশাসনে আন্দেরুন স্কুলে রাজকর্মচারীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ রাজকর্মচারীদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে গড়ে তোলা হত। তবে, মোটের ওপর আধুনিক সিভিল সার্ভিস বা ক্যাডার সার্ভিস ধারনার সূত্রপাত ইউরোপীয় কলোনিয়াল শক্তিগুলোর হাতেই হয়। কলোনিয়াল আমলে গড়ে ওঠা সিভিল সার্ভিসের ধারাবাহিকতায়ই আজকে ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে গড়ে উঠেছে সিভিল সার্ভিস।

কলোনিয়াল আমলে সিভিল সার্ভিস একীভুত ছিলো না। একদিকে যেমন ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস ছিলো, অন্যদিকে তেমনি ইন্ডিয়ান এডুকেশন এবং ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিসও ছিলো। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিসে স্যার ডোনাল্ড রসের মত বিজ্ঞানীও কাজ করেছেন, যিনি পরে ম্যালেরিয়ার জীবানু আবিষ্কার করেছিলেন।

ইন্ডিয়ান এডুকেশন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কর্মজীবন শুরু করতেন বিভিন্ন সরকারী কলেজের প্রভাষক হিসেবে এবং কালক্রমে তারা বিভিন্ন দেশীয় রাজ্যের শিক্ষা বিভাগের প্রধান হতে শুরু করে ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরীর প্রধান গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরপর সিভিল সার্ভিস গড়ে উঠলেও একীভুত সিভিল সার্ভিস গড়ে ওঠে ১৯৮০ সালের ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস অনুযায়ী। ১৯৮০ সালের ১ সেপ্টেম্বর SRO 286 এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসেস (পুনর্গঠন) আদেশ ১৯৮০ জারি করা হয়। এই আদেশে প্রজাতন্ত্রের সিভিল সার্ভিসকে ১৪ টি সার্ভিস ক্যাডারে বিন্যস্ত করা হয়। পরে নানা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমানে ক্যাডারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮টি। প্রতিষ্ঠার সময় সকল ক্যাডারের কর্ম বিভাজন করে দেওয়া হয়েছিল। পরে, নানা বাস্তবতায় দু একটি ক্যাডার অন্য সকল ক্যাডারের ওপর বর্তমানে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিশেষ করে, প্রশাসন ক্যাডার নিজের ক্যাডারের সীমানা ছাপিয়ে অন্য সকল ক্যাডারের কর্মক্ষেত্র নিয়ন্ত্রন করছে। বর্তমানে সকল মন্ত্রনালয়ের সচিবগণ প্রশাসন ক্যাডার হতে আসেন। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দ প্রশাসন ক্যাডারের, অথচ প্রতিষ্ঠার সময় হয়তো এসব পদ ছিলো অন্য কোন ক্যাডারের। যেমন প্রাথমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডার হতে আসেন অথচ এই অধিদপ্তরের পদগুলো শিক্ষা ক্যাডারের শিডিউল পদ ছিলো।

প্রশাসন ক্যাডারের এমন প্রভাব অন্য ক্যাডারগুলোর মাঝে যৌক্তিকভাবেই অসন্তোষ তৈরী করেছে। যেহেতু সকল মন্ত্রনালয় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই নিয়ন্ত্রন করেন, তাই সকল ক্যাডারের পদোন্নতি এবং উচ্চতর গ্রেড থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা এবং গবেষণা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করে প্রশাসন ক্যাডার। এর ফলে অন্য সবগুলো ক্যাডার বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না পদোন্নতি, রয়েছে বিভিন্ন সুযোগসুবিধার তারতম্য। অথচ প্রশাসন ক্যাডার কেবল যে শূন্য পদের চেয়ে বেশি পদোন্নতি নিচ্ছে তাই নয়, গাড়ী ক্রয়ের জন্য সুদমুক্ত ঋণ থেকে শুরু করে মোবাইল ভাতা পর্যন্ত তারা এমন কিছু সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন যা অন্য ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারাও পাচ্ছেন না।

পদোন্নতি এবং গ্রেড বৈষম্য

আগেই বলা হয়েছে যে প্রশাসন ক্যাডারের হাতেই যেহেতু সচিবালয়ের সিনিয়র পদগুলো থাকে, তাই প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতি অত্যন্ত দ্রুত হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্যাডারে গ্রেড ১ পদ নেই অথচ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১ নং গ্রেডের চেয়েও উচুতে সুপার গ্রেড পর্যন্ত যেতে পারেন। অথচ শিক্ষা ক্যাডারের সর্বোচ্চ গ্রেড ৪ যা অধ্যাপকগন পেয়ে থাকেন। ২০১৫ সালের পূর্বে ৫০% অধ্যাপকগন সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ৩য় গ্রেডে যেতেন।

কিন্তু ২০১৫ সালের পে স্কেলে সিলেকশন গ্রেড তুলে দেওয়ার ফলে এই সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যায়। ফলে, অধ্যাপকবৃন্দ ৪র্থ গ্রেডেই আটকে থাকছেন অথচ প্রশাসন ক্যাডারের জুনিয়র সহকর্মী চলে যাচ্ছেন উচ্চতর গ্রেডে। স্বাস্থ্য ক্যাডারের অনেক ডাক্তার তার নিয়োগকালীন যোগ্যতায় মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আজীবন মেডিকেল অফিসার পদেই জীবন শেষ করে দেয়।

শিডিউল পদ হাতছাড়া হওয়া

বহু পেশাসংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রশাসন ক্যাডারকে। সর্বশেষ, মাদ্রাসা অধিদপ্তরে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, কিছুদিন আগে দেশের কারিকুলাম প্রনয়নকারী সংস্থা এনসিটিবিতে একজন উপসচিবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো, পরে শিক্ষা ক্যাডারের প্রতিবাদের মুখে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পসমূহের পরিচালকদের একটি বিশাল অংশ আসেন প্রশাসন ক্যাডার হতে, অথচ এসব প্রকল্পে পেশাসংশ্লিষ্ট জ্ঞানের দরকার হয়।

আবাসন সুবিধা

যেখানে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা যোগদানের পরপরই জেলার সার্কিট হাউজ থেকে শুরু করে অন্যান্য ডরমিটরিতে আবাসন সুবিধা পায়, সেখানে অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এসব সুবিধার জন্য প্রচুর ভুগতে হয়। বিশেষ করে নারী কর্মকর্তাদের উপজেলায় পদায়ন হলে তাদের পক্ষে পরিবারসহ বসবাস করাটা খুব কঠিন হয়ে যায়। তাদের জন্য নিরাপত্তা একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।

মোবাইল কোর্ট

মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যাপারের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালে ভান্ডারিয়ায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা মন্তাজউদ্দিনকে প্রশাসন ক্যাডারের জুনিয়র কর্মকর্তা হয়রানি করে প্রশাসন ক্যাডারের জুনিয়র কর্মকর্তা আশরাফুল আলম। একই বছর লক্ষীপুরের সিভিল সার্জনও মোবাইল কোর্টের দ্বারা হয়রানির শিকার হন।

লোন সুবিধা

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বেশ কিছু লোন পান যা অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা পান না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা গাড়ী ক্রয় ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য লোন ও ভাতা পান। অথচ অন্যান্য ক্যাডারকে এমন লোন দেওয়া হয় না।

সরকারি ডাকবাংলো ব্যবহারের সুবিধা

বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে যে সরকারি/ব্যক্তিগত কাজে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ডাক বাংলো ব্যবহার করে। অথচ ডাক বাংলো সুবিধা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা পান না। মূলতঃ ডাকবাংলোগুলো থাকে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণে। এর ফলে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ছাড়া অনান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হন ডাকবাংলো ব্যবহার হতে।

উপসচিব পদ সংক্রান্ত বিতর্ক

উপসচিব পদ নিয়ে বিতর্ক আজকে নতুন নয়। মূলত এর সূত্রপাত সার্ভিসের শুরু থেকেই। ২০২৪ সালের ছাত্রজনতার গনঅভ্যুত্থানের পরপরই মূলত একটি গতিশীল ক্যাডার সার্ভিস গড়ার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে গঠিত হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

এই কমিশন প্রস্তাব করে যে বিদ্যমান ব্যবস্থায় প্রজাতন্ত্রের উপসচিব পদে ৭৫% কোটা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য সংরক্ষনের যে ব্যবস্থা আছে, তা পরিবর্তন করে ৫০% এ নামিয়ে আনা হোক এবং বাকী ৫০% উপসচিব অন্যান্য ক্যাডার হতে নিয়োগ দেওয়া হোক । প্রশাসন ক্যাডার এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে উপসচিব পদকে তাদের লাইন পদ দাবী করে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো উপসচিব পদ মূলত প্রশাসন ক্যাডারের শিডিউল পদ হয় ২০২৪ সালে। ১৯৮০ সালের কম্পোজিশন রুলসে এই পদটি প্রশাসন ক্যাডারের শিডিউল পদ ছিলো না। এমনকি ১৯৯০ সালে তৎকালীন সংস্থাপন সচিব জনাব কে এম রাব্বানী এবং ১৯৯২ সালে তৎকালীন সংস্থাপন সচিব জনাব হাসিনুর রহমান স্বাক্ষরিত দুটো প্রজ্ঞাপনে উপসচিব পদকে সরকারের পদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বাতিল

যে সুপারিশটি বিসিএস স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ভেতর তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে সেটি হলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডার বাতিলের সুপারিশ। কর্মকর্তাদের সংখ্যার দিক দিয়ে বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বড় ক্যাডার। কমিশনের পরিকল্পনা, পিএসসি থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন যেমন আলাদা হয়েছে, একই রকমভাবে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডারকে আলাদা করা। বিশেষায়িত হিসেবে এ দুটি বিভাগে প্রয়োজনে বেতন বাড়ানো হতে পারে বলেও মনে করে সংস্কার কমিশন।

সুপারিশটি গনমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর থেকেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। ইতোমধ্যেই বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার এসোসিয়েশন এবং হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন এ ব্যাপারে তাঁদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে এমন যে কোন পরিকল্পনার ব্যাপারে উক্ত দুই ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কথাটি ব্যক্ত করেছে।

এছাড়াও, এ সুপারিশ জানাজানির পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আপত্তি জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন বিসিএস শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারের অনেক কর্মকর্তা। এমনকি প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাবেক সচিব জনাব আবদুল আউয়াল মজুমদার তার ফেসবুক পোস্টে বলেন যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার সার্ভিস হতে বাদ দেওয়া ঠিক হবে না।

ক্যাডার বৈষম্যের ফলাফলঃ

আন্তক্যাডার বৈষম্য কোনভাবেই সামগ্রিকভাবে দেশ ও জনপ্রশাসনের জন্য মঙ্গলজনক নয়। ২০১৫ সালের পে স্কেলে সিলেকশন গ্রেড বাতিল করার কারনে বিভিন্ন ক্যাডার কাম্য পদোন্নতি হতে বঞ্চিত হয়। কারন সিলেকশন গ্রেড মূলতঃ উচ্চতর গ্রেডে যাওয়ার সুযোগ করে দিত।কিন্তু সিলেকশন গ্রেড বাতিল হবার পর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মত বহু ক্যাডারে উচ্চতর পদে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

তৎকালীন ২৬ ক্যাডারের প্রবল প্রতিবাদের মুখে বৈষম্য নিরসন কমিটি গঠিত হলেও পরবর্তীতে সামগ্রিক কোন সমাধান তো হয়ই নাই, বরং ক্ষেত্রবিশেষে বৈষম্য বেড়েছে। এসব কারনে জনপ্রশাসনে ২৫ ক্যাডারের ভেতর ক্ষোভ বাড়ছে। যদিও মাঠ প্রশাসনে এডমিন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কাজ সমন্বয় করা, কিন্তু ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা মনে করছেন যে প্রশাসন ক্যাডার খবরদারি করছে। এতে বিভিন্ন সময়ে অযাচিত পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে যা সরকারি কর্মকান্ডকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রশাসন ক্যাডারের বিরুদ্ধে ২৫ টি ক্যাডারেরই এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে তাঁদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেছেন। এর ফলে সরকারি কাজে ঐক্য ও সংহতির স্থলে বিশৃংখলা প্রকট হয়ে উঠছে। আবার সাম্প্রতিককালে ডাক্তার ও প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল বিষয়ে অধ্যয়নরতদের ভেতর নিজ বিষয় সংশ্লিষ্ট ক্যাডার বাদ দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার ঝোঁক দেখা যাচ্ছে মূলতঃ প্রশাসন ক্যাডারের সাথে পেশাজীবি ক্যাডারের সুযোগসুবিধার তারতম্যের জন্যই।

২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জাতির জীবনে নতুন আশা নিয়ে এসেছে। ২৫ টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা আর কোন ক্যাডার বৈষম্য চান না। সকল বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটি একটি কার্যকর প্রস্তাব দেবে এবং সে অনুযায়ী কাম্য সংস্কার হবে-সেটিই সবার প্রত্যাশা।

রেফারেন্সঃ

Exit mobile version