আজকে সামরিক বাহিনীতে চাকরি আর্টিকেলের শেষ পর্বে আলোচনা হবে ISSB নিয়ে। সামরিক বাহিনীর যেকোনো পরীক্ষার জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই ধাপেই নির্ধারিত হয় আপনি একজন অফিসার ক্যাডেট নির্বাচিত হবেন কিনা। এর আগে যারা এইচ.এস.সি পাশে সামরিক বাহিনীতে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরির সুযোগ (১ম পর্ব) আর্টিকেলটি পড়েন নাই, তারা লিংকে ক্লিক করে ১ম পর্ব পড়ে নিন। শুরুতেই এক নজরে ৩ বাহিনীর সিলেবাস দেখে নিন সবাই।
সামরিক বাহিনীতে চাকরি এর ক্ষেত্রে সিংহভাগ ক্যান্ডিডেটই বাদ পড়ে যায় আইএসএসবিতে। এটি মূলত চারদিনের একটি প্রক্রিয়া। প্রথম তিনদিনেই মূলত পরীক্ষাগুলো হয়ে থাকে। শেষদিনে রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অনেকের শেষদিনে দ্বিতীয়বার জিটিও ভাইবা নেওয়া হয়। অনেকের ডিপি ভাইবাও নেওয়া হতে পারে। মূলত, তাঁরা খুব ভালোমত পর্যবেক্ষণ করে বলেই নিশ্চিত হওযার জন্য নিঁখুত ভাবে পরীক্ষাগুলো করে থাকে। এক নজরে আইএসসবির চারদিনের কর্মপরিকল্পনা দেখে নেওয়া যাক।
সিলেবাস থেকে পরিস্কার যে প্রথম দিনেই সাধারণত আইকিউ ভিত্তিক পরীক্ষা গুলো হয়ে যায়। একটা কথা বলে রাখা দরকার, আইএসএসবির জন্য যাতায়াত, ৪ দিনের থাকা খাওয়া সমস্ত কিছু আইএসএসবি থেকে বহন করা হবে।
আপনাকে শুধু তাদের নির্দেশনা মত ড্রেস, শীতকাল হলে স্যুট টাই, গ্রাউন্ড টাস্কের জন্য এক্সেসরিজ, শেভিং কিট, মেয়েদের জন্য নির্ধারিত পোশাক এবং দরকারি ডকুমেন্টস নিয়ে যেতে হবে। আইএসএসবিতে অবশ্যই শেভ করে যেতে হবে।
এটা নিয়ম।অনেকে দাড়ি রাখতে পারেন।সেক্ষেত্রে হয়তো ইতস্তত করতে পারেন। কিন্তু,সামরিক বাহিনীতে ট্রেনিং এর সময় দাড়ি রাখা যায়না ট্রেনিং এ সমস্যা হয়।এজন্য,আপাতত কাটা লাগবেই।পরে যদি রাখেন,কোনো সমস্যা নাই।
প্রথমদিন সাধারণত সকাল ৭.৩০ এর মধ্যে আইএসএসবি বোর্ডে উপস্থিত হতে হয়। বোর্ডে ঢোকার পর বাইরের পৃথিবীর সাথে আপনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে,এমনকি পরিবারের সাথেও।কোনো রকম মোবাইল বা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
প্রথমদিন বোর্ডে যাওয়ার পর সবাইকে আইকিউ টেস্টে অংশ নিতে হবে। এটার দুইটা পার্ট। Verbal & Non verbal. আগে এই পরীক্ষাগুলো খাতায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে নেওয়া হতো। এখন প্রত্যেকের জন্য আলাদা ল্যাপটপ বরাদ্দ থাকে।ল্যাপটপের মাধ্যমে আইকিউ টেস্টের পরীক্ষা গুলো দিতে হয়।
ল্যাপটপ খুলতে না বলে কেউ খুলবেননা। খোলা মাত্রই সময় কাউন্ট করতে থাকবে। সাবধান এই ব্যপারে। আইকিউ টেস্টে পাশ না করলে পরের পরীক্ষাগুলো দিতে পারবেন না।রেজাল্ট একটু পর ই দিয়ে দিবে।যদি টিকে যান,পরের ধাপ পিপিডিটি তে অংশ নিতে পারবেন।
পিপিডিটিতে একটা ছবি দেখাবে, সেটার উপর ভিত্তি করে কন্সট্রাক্টিভ কিছু লিখতে হবে ইংরেজিতে। এটার দুইটা পার্ট।রাইটিং এবং ডিসকাশন। প্রথমে রাইটিং পার্ট,এর উপর ভিত্তি করে ডিসকাশন পার্ট।
এই বিষয়টিতে আইকিউ এর চেয়ে বেশি ক্যান্ডিডেট বাদ পড়ে। প্রচুর প্র্যাকটিস করে যেতে হবে। পিপিডিটি পাশ করতে না পারলে পরের কোনো পরীক্ষা দিতে পারবেন না আপনি। আর যদি পাশ করে যান, তাহলে অভিনন্দন। পরবর্তী ৪ দিন আপনি বোর্ডে অবস্থান করতে পারবেন!
প্রথমদিনে চাপ একটু বেশি থাকবে পরীক্ষার। এরপর যারা ৪ দিন থাকার টিকেট পেয়ে যাবেন,তাদের সবাইকে চেস্ট নম্বর দেওয়া হবে। এটা পিপিডিটির আগেও দিতে পারে। ঐখানে আপনার পরিচয় হবে চেস্ট নম্বর, সবাই সেটা ধরেই ডাকবে।
এরপর সিলেবাসে যে সাইকোলজি টেস্টগুলো উল্লেখ আছে,সেগুলা হবে। ভালো মত, কনফিডেন্টের সাথে সবগুলোয় অংশ নেওয়াটাই মুখ্য বিষয়। মনে রাখবেন, এটা বিসিএস পরীক্ষা না। আপনাকে সব পানতে হবে,এমন কোনো কথা নেই।
এসবের মাঝে আপনাকে সময় মত প্রতিবেলা বিনামূল্যে খাবার খেতে দেওয়া হবে। আইএসএসবির খাবার খুব মিস্ট্রিয়াস। আমি কিছু বলবো না এ ব্যপারে।নিজে যেদিন যাবেন, দেখবেন নিজেই।খাওয়ার সময় অফিসার স্টাইলে খেতে হবে। হাত ব্যবহার না করা ভালো।
আপনাকে নাস্তা হিসেবে সমুচা, চা খেতে দিবে প্রথমদিন। সমুচা খাওয়ার সময় গুড়া নিচে ফেলা যাবেনা, ভদ্রভাবে খেতে হবে। চা জোড়ে চুমুক দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন। খাবার ধীরে সুস্থে খাবেন। আইটেম গুলো মনে রাখার চেষ্টা করুন। ভাইবায় ধরতে পারে।
দ্বিতীয় দিন প্রায় সব ফিল্ড রিলেটেড টাস্ক। নির্ধারিত পোশাকে ফিল্ডে যেতে হবে। কিছু গ্রুপ টাস্ক, হাফ গ্রুপ টাস্ক দিবে। টাস্ক গুলো খুব কঠিন হবে এবং আপনি না শুধু, কেউই সলভ করতে পারবেনা। ব্যপার না। ঘাবড়ে যাবেন না একদম। আপনার প্রতিকূলতা মোকাবেলার ক্ষমতাটাই ওরা দেখবে। কনফিডেন্টের সাথে টাস্ক গুলো করার চেষ্টা করুন।
গ্রুপ ওয়ার্কের সময় জিটিও স্যার নিবিড়ভাবে আপনাকে পর্যবেক্ষণ করবেন।চেষ্টা করবেন, স্যারের দৃষ্টিতে ভালো থাকার। কর্মঠ,উদ্দ্যোমী দেখলে জিটিও স্যার ভালো মার্কস দেন। এইসব গ্রুপ টাস্কের মার্ক স্যারের হাতে, সুতরাং তাঁকে একদম বিরক্ত করা যাবেনা এবং বিনয়ী ব্যবহার করতে হবে।
দ্বিতীয় দিন (অনেকের ক্ষেত্রে তৃতীয় দিন) এসব কাজের মধ্যে আইএসএসবির ট্রাম্প কার্ড “DP Viva” অনুষ্ঠিত হবে। আপনাকে ফিল্ড থেকে ডেকে নেওয়া হবে আপনার ভাাইবার সময় আসলে। গোসল করে, পরিপাটি হয়ে, ফর্মাল ড্রেসে ভাইবায় উপস্থিত হতে হবে।
আইএসএসবিতে অনেকগুলো ভাইবা থাকলেও এই ভাইবাই আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। অনেকের ক্ষেত্রে ভাইবা ১০ মিনিট হয়, অনেকের ক্ষেত্রে দেড় ঘন্টাও হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ ভাইবা বোর্ডের অফিসারের সাথে আপনার ইন্টারএকশনের উপর ডিপেন্ড করবে।
আপনার ভাইবা দশ মিনিটে শেষ মানে এটা না যে আপনার চান্স হলো না আর। ভাইবা তাড়াতাড়ি শেষের অর্থ ডেপুটি প্রেসিডেন্ট আপনাকে অল্প সময়েই জাজ করে ফেলেছেন। আর একটা কথা, ডিপি ভাইবার সময় কোনো রকম মিথ্যা বলবেন না। মাথায় রাখবেন, আপনার যত বছর বয়স চলছে, তত বছর ঐ অফিসার চাকরিই করেছেন। সুতরাং আপনাকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে আরও ভালো বুঝতে পারবে।
মিথ্যা বললে বা আংশিক সত্য বললে ধরে ফেলা তাঁর কাছে পানির মত সহজ। ডিপি ভাইবায় সাবলীল থাকুন। রুমে ঢোকার আগে সবাই ভয় থাকে। ঢোকার পর সবার ধারণা পাল্টে যায়। আপনার সাথে ডিপি স্যার বন্ধুর মত আচরণ করবে, ড্রিংকস বা চা অফার করবে।
তারপর কথা বলতে বলতে কখন যে আপনার ভিতরের কথা টেনে বের করে আনবে,আপনি টের ও পাবেন না। আপনার ফেসবুক একাউন্ট তার ঘাটা হয়ে যাবে। আপনি ফেসবুকে সারাদিন কি করেন,সেগুলার আইডিয় সে নিয়ে বসে থাকবে। আপনার পার্সোনাল অনেক কিছু জিজ্ঞেস করবে স্যার। সিগারেট খাও কিনা, সেক্স করছো কিনা এই সব প্রশ্ন খুব কমন। সিগারেট খেলে মিথ্যা বলবেন না। সামরিক বাহিনীতে এই ব্যপারটা কখনো নেগেটিভ ভাবে নেয়না।
আপনি জেনে অবাক হবেন নৌবাহিনীতে শিপে চাকরি করলে সিগারেট কেনার জন্য ভাতা দেওয়া হয়। সুতরাং যেটা সত্যি, সেটাই বলুন। একটাই কথা, Be loyal. অফিসার যা যা প্রশ্ন করবেন, সুন্দর মত উত্তর দিলেই ব্যাস, টেনশন ফ্রি। আর ডিপি ভাইবায় অফিসারের টেবিল থেকে আপনার চেয়ার অনেক দূরে থাকবে। সেজন্য সোজা হয়ে, ভদ্রভাবে বসতে হবে।
আই কন্টাক্ট রাখতে হবে। আর অযথা শরীর নড়ানো চলবে না। আর রুমে ঢোকার সময় সাধারণ ভাইবার ম্যানারগুলো ফলো করবেন।আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যে ভাষায় প্রশ্ন করবে, সে ভাষাতেই উত্তর দিবেন।ডিপি ভাইবায় মোটামোটি ঠিক হয়ে যায় আপনি গ্রীন কার্ড পাবেন নাকি পাবেন না। সুতরাং,খুব সাবধান।
কার্ডের বিষয়টা ক্লিয়ার করি প্রসঙ্গক্রমে চলে আসলো যখন। রেজাল্টের দিন সবাইকে মোট তিন ধরণের কার্ডের মধ্যে যেকোনো একটা দেওয়া হবে। যারা ফাইনালি টিকে যাবে, তাঁরা পাবে গ্রীন কার্ড। যাদের সব ঠিক আছে শুধু ফিজিক্যাল টেস্ট গুলো খারাপ হয়, আরেকবার সুযোগ দেওয়া হবে তাদের এবং তারা পাবে ইয়োলো কার্ড।
বাদ বাকি যারা অনুত্তীর্ণ হবে, তারা রেড কার্ড পাবে।গ্ রীন কার্ড কয়জন পাবে, এর কোনো নির্দিষ্ট হিসাব নেই। এমন ও বোর্ডের রেকর্ড আছে, যেখানে একজনও গ্রীন কার্ড পায়নি। গ্রীন কার্ড পেতে হলে আপনার স্ট্যান্ডার্ড তাঁদের মন মত হওয়া চাই, অফিসার সুলভ আচরণ, পারফরম্যান্স হওয়া চাই।
তৃতীয় দিনে কিছু ছোট খাটো পরীক্ষা হবে। এর মাঝে ফিল্ডে GTO Viva নামের আরেকটি ভাইবা হবে। GTO স্যার সেই ভাইবা নিবেন। এই ভাইবাটা খুব অদ্ভূত। আপনি টাস্ক কম্প্লিট করছেন, তার মধ্যে ভাইবা হতে পারে।
আমার এক বন্ধু জিটিও স্যারের সাথে করিডোর ধরে গল্প করতে করতে হেঁটে যাচ্ছিলো। পরে স্যারকে যেয়ে বললো স্যার, আমার তো জিটিও ভাইবা নেওয়া হয়নি। তখন স্যার তাকে বললো- “ঐ যে করিডোর দিয়ে হাঁটার সময় তোমার সাথে আমার গল্প হলো না? ঐটায় ভাইবা ছিল।” বুঝতেই পারছেন, আচমকা এই ভাইবা হবে কোনো নোটিশ বা প্রস্তুতি ছাড়াই। এর জন্য ফর্মাল ড্রেস আপের দরকার নেই কোনো।
আর ভাইবায় কি জিজ্ঞেস করবে, কেউ জানেনা। অনেকের ই নাম, পরিবারের ইতিহাস শুনে, কিছুক্ষণ গল্প করে বলে দেয় ভাইবা শেষ। আবার অনেকের কঠিন কঠিন প্রশ্ন আসবে, অপমান করবে স্যার ইচ্ছা করে। তারা শুধু দেখবে আপনার বিহেভ, পরিস্থিতি হ্যান্ডল করার ক্ষমতা।
একটা বাস্তব উদাহরণ দেই। ডিপি ভাইবায় আমার এক ফ্রেন্ডকে জিজ্ঞেস করেছিলো, “তোমার পছন্দের কাজ কি অবসর সময়ে?” সে বলেছিলো কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করা। বেচারার কপালে দুঃখ ছিল কারণ ডিপি স্যার ফিজিক্সের স্টুডেন্ট ছিল। একের পর কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রশ্ন করে গিয়েছে আর তাকে অপমান করে গিয়েছে।
সুতরাং সিম্পল উত্তর দিন। অবসর সময়ে আপনি টিভি দেখেন। সত্যটা বলুন। টিভিতে কি চ্যানেল দেখেন, সেটাও সত্যি বলুন। মিথ্যা বলবেন তো নিজের জালে নিজেই ফাঁসবেন। তাঁরা মহামানব চায়না, জাস্ট ভদ্র, ইন্টেলিজেন্ট একজনকে চায়।
ফিজিক্যাল এবিলিটি টেস্ট নামে কিছু পরীক্ষা হবে তৃতীয়দিন। এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটায় খারাপ করলে ইয়োলো কার্ড দেয় এবং পরবর্তীতে আবার টেস্ট গুলো দেওয়ার মাধ্যমে গ্রীন কার্ড পাওয়ার সুযোগ থাকে। ফিজিক্যাল এবিলিটি টেস্টে যে পরীক্ষা গুলো নেওয়া হয়-
প্রত্যেকটা টেস্টের আইটেম অফিসার খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিবে। টেনশনের কিছু নেই। অফিসার হতে গেলে শারীরিক দক্ষতাও লাগে। ট্রেনিং এর জন্য উপযুক্ত কিনা, এটা যাচাই এর জন্যই মূলত এই টেস্ট গুলো করা হয়।
ইউটিউবে টেস্টগুলো ভিডিও পাওয়া যাবে খোঁজাখুঁজি করলে। আর আইএসএসবি গাইডের কথা তো আগের পর্বে বলছিই। প্রিজম বা ফাইটার্স কোনো একটা কিনে পড়াশোনা করা যেতে পারে এই ব্যপারে।
ঐ দিন ই প্লানিং টেস্ট নেওয়া হবে। ঐ সময় একটা সমস্যার মডেল দেওয়া থাকবে, সমাধান বের করতে হবে। যে টিম লিডার হবে, তার কাছে একটা স্টিক থাকবে। জিটিও স্যারকে পুরা প্লান লিডারকেই বুঝিয়ে দিতে হবে।
সুতরাং স্টিক টা নিতে পারলে ভালো। ডিসকাশনের সময় চুপ থাকা যাবেনা। অন্যের কথায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে সুন্দরভাবে নিজের বক্তব্যের ফ্লোর নিতে হবে। চুপ থাকলে পয়েন্ট অনেক কমে যাবে। আবার বেশি লাফানো যাবেনা। ধীন স্থির থাকার চেষ্টা করবেন।
চতুর্থ অর্থাৎ শেষদিন সেরকম কোনো টেস্ট নাই।সারাদিন শুয়ে বসেই কাটাতে হয়। ক্যান্টিনে যাবেন, যা খুশি খাবেন, ঘুরবেন। চেষ্টা করবেন স্মোকিং না করার। করলেও আড়ালে গিয়ে।টিভি দেখবেন, বিভিন্ন গেমস আছে খেলবেন।
চাইলে পছন্দের মুভি দেখবেন। সে সুযোগ ও আছে। যাদের ভাইবা আবার নেওয়া দরকার, আবার নেওয়া হতে পারে। সাধারণত বিকেলের দিকে রেজাল্ট দিয়ে দেয়।
সিলেক্টেড হলে কাঙ্ক্ষিত গ্রীন কার্ড মিলে যাবে। খুব সৌভাগ্যবান, যোগ্য প্রার্থীরাই এই গ্রীন কার্ডের সুযোগ পাবে। এরপর ফাইনাল মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই আপনি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মানের অফিসার ক্যাডেট ট্রেনিং এর সুবর্ণ সুযোগ লাভ করবেন।
এই ছিল মোটামোটি বিস্তারিত। আপনারা ইউটিউব, ইন্টারনেটে এই বিষয়গুলো নিয়ে ভিডিও পাবেন। পরিপূর্ণ একটা লেখার মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সংক্ষেপে পুরা বিষয়টার একটা চিত্র তুলে ধরলাম। আশা করি যারা সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের মাধ্যমে দেশ সেবার মহান ব্রত গ্রহণ করতে চান, তাদের কিছুটা হলেও উপকারে আসবে। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। শেষ করছি তিন বাহিনীর তিনটি শ্লোগান দিয়ে।
সেনাবাহিনীঃ “সমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, সর্বত্র আমরা দেশের তরে”
নৌ বাহিনীঃ “শান্তিতে, সংগ্রামে, সমুদ্রে দুর্জয়“
বিমান বাহিনীঃ “বাংলার আকাশ রাখিবো মুক্ত”
আরও পড়ুনঃ এইচ.এস.সি পাশে সামরিক বাহিনীতে প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরির সুযোগ (পর্ব-১)
ছবিঃ সংগৃহীত
মন্তব্য লিখুন