২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর, আফ্রিকার দেশ নাইজারে ওআইসির ৪৭ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সর্বসম্মতিক্রমে ওআইসির ১২তম মহাসচিব নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত হন আফ্রিকার দেশ চাদ এর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, হুসেইন ইব্রাহিম তাহা।
তিনি ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ওআইসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অর্থাৎ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি স্থলাভিষিক্ত হবেন, বর্তমান ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ বিন আল ওথাইমিনের।
ওআইসি হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থা। যার পুরো নাম ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা। এটি জাতিসংঘের পরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তঃদেশিয় সংগঠন।
১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে, এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সাল থেকে এর সক্রিয়তা স্পষ্টতা লাভ করে। এখন এর সদস্য সংখ্যা ৫৭ টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে গঠিত। এর সদর দপ্তর সৌদি আরব এর জেদ্দায় অবস্থিত। বাংলাদেশ ওআইসি এর সদস্য পদ লাভ করে ১৯৭৪ সালে।
ওআইসি মুসলিম বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংগঠন। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে ১৮০ কোটি এরও অধিক মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। বিভিন্ন মহাদেশ এ অবস্থান রত এ বিশাল মুসলিম জনগণ এর বিভিন্ন বিষয় দেখভাল করে থাকে এই সংস্থা। ইসলামি সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান, পারস্পরিক সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা বোধ ইত্যাদি বিষয় এ কাজ করে যাচ্ছে ওআইসি।
ওআইসি এর নীতিবাক্য হচ্ছে “মুসলমানদের স্বার্থরক্ষা ও অগ্রগতি ও মঙ্গল নিশ্চিতকরন“। ওআইসি এর নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারি হচ্ছেন একজন মহাসচিব।
এই সংগঠন এর সদস্য রাষ্ট্র গুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন নতুন মহাসচিব। মহাসচিব এর মেয়াদ পাঁচ বছর। সর্বোচ্চ দুই মেয়াদ এই পদে থাকা যায়।
চাদ মধ্য আফ্রিকা এর একটি দেশ। এই দেশের আবেচ শহরে, ১৯৫১ সালে হুসেইন ইব্রাহিম তাহা জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় নিজ দেশেই। পরবর্তীতে ফ্রান্সের প্যারিসে যান। সেখানে, ন্যাশনাল ওরিয়েন্টাল ল্যাংগুয়েজ ও সিভিলাইজেশ্যন ইন্সটিটিউট এ স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন। চাদ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭৯ সালে নিয়োগ পান উনি। পরবর্তীতে নিজ দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাইওয়ান, গ্রিস, ফ্রান্স, পর্তুগাল প্রভৃতি দেশে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ছবিঃ সংগৃহীত
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব, উইকিপিডিয়া
মন্তব্য লিখুন