মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা এর কারন ও প্রতিকার

মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা এর কারন ও প্রতিকার

মাইগ্রেন এক ধরণের নিউরোলজিকাল সমস্যা। এটি হঠাৎ করে শুরু হয়ে পরে এটি পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২০-৩০ বছর বয়সে এই ব্যাথা দেখা দিতে পারে। বিশ্বের ১১ শতাংশ মানুষ এ মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথায় ভোগেন।

মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করে এবং মাথা ব্যাথার শুরুতে  বহিরাবরণের ধমনি গুলা স্ফিত হয়ে যায়। তবে এ ব্যাথা পুরুষের থেকে মহিলাদের বেশী হয়ে থাকে।

মাইগ্রেনজনিত ব্যাথার কারণসমূহ:

১. এটি বংশগত বা অজ্ঞাত কারণে হতে পারে।

২. অতিরিক্ত ভ্রমণ,ব্যায়াম,অনিদ্রা ও অনেকক্ষন টিভি দেখার জন্য হতে পারে।

৩. জন্মবিরতিকরণ ওষধের জন্য হতে পারে।

৪. চা, কফি, পনির অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে এ মাইগ্রেনের ব্যাথা হতে পারে।

৫. অতিরিক্ত মোবাইলে কথা বলার জন্য হতে পারে।

৬. নারীদের মাসিকের সময় এ ব্যাথা হতে পারে।

মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা এর লক্ষণসমূহ:

১. মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব হতে পারে।

২. দৃষ্টি বিভ্রম হতে পারে।

৩. এ ব্যাথা কখনও কখনও চোয়ালেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৪. এ ব্যাথা মাথার যে কোন জায়গা দিয়ে শুরু হতে পারে।

৫. চোখের পিছনে ব্যাথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে।

৬. অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় এ ব্যাথা বাড়তে পারে।

আরও পড়ুনঃ

কিডনির সুস্থতা -কিডনি সুস্থ রাখতে যা যা করণীয়

অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কি কেন লক্ষণ ও প্রতিকার

গেঁটেবাত কি? কেন হয়? উপসর্গ ও প্রতিকার

প্রতিকার:

১. অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।

২. কোলাহল পূর্ন পরিবেশে বেশিকক্ষণ না থাকা।

৩. অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার, টিভি,মোবাইল না দেখা।

৪. মাইগ্রনের ব্যাথা শুরু হলে মাথায় ঠান্ডা কাপড় পেচিয়ে রাখা।

৫. প্রচুর পরিমানে পানি পান করা।

৬. প্রতিদিন নিদির্ষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া।

৭. ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।কারণ শরীরে ভিটামিন বি২ এর পরিমান বেশী হলে মাইগ্রেনের ব্যাথা কম,থাকে।

৮. নিয়মিত আদা চা খাওয়া।

৯. মেন্থল তেল ব্যবহার করা।মেন্থল তেলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাথা নাশক উপাদান থাকে।ব্যাথা শুরু হলে তেল হাতের তালুতে নিয়ে মাথাও ঘাড়ের পেছনে আলতো করে মালিশ  করুন। ব্যাথার তীব্রতা কমবে।

১০. আপেল, কলা, চিনাবাদাম, পেয়াজ, টমেটো, দই, দুধ ও টক জাতীয় খাবার না খাওয়া। এ গুলো মাইগ্রেনের ব্যাথা বৃদ্ধি করে।তবে ব্যক্তি বিশেষে আলাদা ও হতে পারে।

১১. নিয়মিত হলুদ,সবুজ,ও কমলা রঙের শাকসবজি খেতে হবে।

১২. বেশী বেশী করে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।কারণ ভিটামিন ডি মাইগ্রেনের ব্যাথা কমাতে অনেকাংশেই কাজ করে।

মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা একটি তীব্র যন্ত্রনাদায়ক ব্যাথা। এটি একবার শুরু হলে ৩-৪ দিন ও স্থায়ী হতে পারে। সম্প্রতি সেফালালজিয়া জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা বলেছেন, শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হলে প্রায় এক তৃতীশাংশ রোগী মাইগ্রেন ও ক্লাস্টার হেডএইক থেকে মুক্তি পেতে পারে।

এছাড়া আমরা সকলেই জানি মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা থেকে চিরতরে মুক্তি  পাওয়া কখনই সম্ভব না এবং এ ব্যাথা কেন হয় এর কোন সঠিক কারণও এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।

তাই আমাদের সকলেও উচিত মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যাথা প্রতিকারের নিয়মগুলো মেনে চলা এবং যতটা সম্ভব চিন্তামুক্ত থাকা।

তথ্যসূত্রঃ অনলাইন

Exit mobile version