বিংশ শতাব্দির শেষ ভাগের উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিল গেটস একটি কিংবদন্তি নাম। ৮০ দশকে শুরু করা তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আজ পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। তার উদ্দ্যোগটি ব্যাবসায়িক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের জীবন-যাপনের ধরন পরিবর্তন করে দিয়েছে।
১৯৭৫ সালে হাবার্ড এর ছোট একটি রুম থেকে জন্ম নেয়া এই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ফরচুন ম্যাগাজিনের করা ৫০০ সফল প্রতিষ্ঠানের তালিকায় শীর্ষ ৩০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। একই সাথে এই ব্যাবসায়ীক সাফল্য প্রায় ১১৪ (২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী) বিলিয়ন ডলারের সম্পদ গড়ার মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যাক্তি বিল হিসেবে গেটসকে পরিচিতি দিয়েছে। একটি ছোট রুম থেকে যাত্রা শুরু করে কিভাবে তিনি ছড়িয়ে পড়েছেন সারা বিশ্বে চলুন জেনে নেয়া যাক-
আর্টিকেলে যা থাকছেঃ
১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবর সিয়াটলে জন্মগ্রহন করেন উইলিয়াম হেনরি বিল গেটস। তিনি বিল গেটস নামে সমাধিক পরিচিত। তার পিতার নাম উইলিয়াম হেন্রী গেটস সিনিয়র, যিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী। মাতার নাম মেরি ম্যাক্সয়েল গেটস। গেটসের ক্রিস্টিয়েন নামে এক বড় বোন আর লিব্বি নামের এক ছোট বোন আছে।
বিল গেটস পৃথিবীর অন্যতম একজন প্রভাবশালী প্রযুক্তিবিদ। কম্পিউটার জগতের অন্যান্য উদ্ভাবকদের চেয়ে বিল গেটস শিশু বয়সেই একটু বেশী সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। তিনি শৈশবে লেকসাইট স্কুল নামে একটি নামিদামী প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের তৎকালীন কম্পিউটারের সাথে পরিচিত হবার যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হতো। তিনি ১৯৭৩ সালে লেকসাইট স্কুল থেকে পাশ করেন। স্যাট পরীক্ষায় তিনি ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৯০ নম্বর পেয়ে সবাইকে অবাক করে দেন।
গেটস খুব দ্রুতই নতুন শেখা এই কম্পিউটার সিস্টেমের প্রেমে পড়ে যান। এবং ঘন্টার পড় ঘন্টা সময় দিতেন ব্যাসিক ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং শেখার পেছনে।
১৯৭০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে পল এলেন এর সাথে ব্যাবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেন। তারা একসাথে রাস্তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের জন্য একটি সফটওয়্যার অবিস্কার করেন। এবং এটি ২০ হাজার ডলারে বিক্রি করেন।
এরপর গেটস এবং এলেন তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান শুরু করার জন্য মনস্থির করেন। কিন্তু গেটস এবং তার মা-বাবা স্কুলের গন্ডি পার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চান। মূলত গেটস এর বাবা-মা তাকে একজন আইনজীবী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি ১৯৭৩ এর শরতে হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু কলেজের একাডেমিক পড়াশুনা তার কাছে দূর্বোদ্ধ লাগতে শুরু করে। ফলে তিনি উচ্চ শিক্ষার প্রতি ধীরে ধীরে আগ্রহ হারাতে থাকেন। ফলে কলেজ শেষ না করেই একাডেমিক পড়াশুনা বন্ধ করে দেন।
বিল গেটস এবং বন্ধু এলেন এম.আই.টির এ্যালটার কম্পিউটার সিস্টেমের জন্য সফটওয়্যার তৈরি শুরু করেন। ১৯৭৫সালে দুই বন্ধু যৌথ অংশিদারিত্বে মাইক্রো-কম্পিউটার এবং সফটওয়্যারের প্রতিষ্ঠান ‘মাইক্রোসফট’ প্রতিষ্ঠা করেন।
মাইক্রোসফট এর শুরুর দিকের যাত্রা তেমন একটা মসৃন ছিল না। যদিও মাইক্রোসফট এ্যালটার কম্পিউটারের জন্য তৈরি করা বেসিক সফটওয়্যার প্রোগ্রাম থেকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ এবং স্বত্ত্ব পেত কিন্তু এটা চুক্তি ভিত্তিক ছিল না। সেসময় এ্যালটার কম্পিউটারে বেসিক ব্যাবহারকারীদের মধ্যে কেবল ১০ শতাংশ মানুষ টাকা দিত।
ধীরে ধীরে মাইক্রোসফট নামে এই কম্পিউটার সফটওয়্যারটি কম্পিউটার প্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলে অনেকেই তাদের পাওয়া ফ্রি মার্কেট কপিকে নতুন করে তৈরি করে বিনামূল্যে বাজারজাত করে।
বিল গেটস এই বিষয়টিতে খুশি ছিলেন না। তিনি লাইসেন্স পলিসি আনার পরিকল্পনা করলেন। কিন্তু সেই সময় বেশির ভাগ কম্পিউটার প্রেমী মানুষ এটির জন্য অর্থ দিতে রাজি ছিলেন না। তারা বিনামূল্যে সফটওয়্যার পেতে অগ্রহী। কেননা তারা বিনামূল্যে সফটওয়্যর পেলে যে কারো সাথে এটি শেয়ার করতে পারবেন।
বিলগেটস একটু ভিন্ন ভাবে চিন্তা করলেন। তিনি দেখলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি সফটওয়্যারগুলো বিনামূল্যে দিলে চুরি হবার আশংকা থাকে। ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে গেটস সকল কম্পিউটার প্রেমীদের কাছে একটি খোলা চিঠি লেখেন। এখানে তিনি বলেন, “বিনামূল্যে সফটওয়্যার বিতরন ও ব্যবহার ভালো ভালো নতুন সফটওয়্যার তৈরীতে অনুৎসাহিত করে। কেননা এর ফলে ডেভেলপারদেরে শুধু শুধু সময় অপচয় হয়। পাশাপাশি নতুন সফটওয়্যার তৈরীতে তাদের আগ্রহ কমে যায়।”
তার এই খোলা চিঠিটি খুব একটি সারা ফেলতে পারে নি। কিন্তু গেটস তার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে একটি অদ্ভত সংস্কৃতির বলয় ভাঙ্গতে চাইলেন। এম.আই.টি.এস এর প্রেসিডেন্ট এড রবার্টস এর সাথে বিল গেটসের একটি বিদ্ধেষপূর্ন সম্পর্ক ছিল। এই বিদ্ধেষপূর্ন সম্পর্কের মূল কারন ছিল সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট ব্যাবসা পরিচালনা।
রবার্টের কাছে গেটস ছিলেন খুব বিরক্তিকর একজন ব্যাক্তি। ১৯৭৭ সালে রবার্ট এম.আই.টি.এস কে অন্য একটি কম্পিউটার কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন। এবং জর্জিয়াতে একটি মেডিকেল কলেজে যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ডাক্তারি পেশা শুরু করেন।
গেটস ও এলেন, এ্যালটার এর জন্য তৈরি করা সফটওয়্যারের স্বত্ত্ব ধরে রাখতে এম.আই.টি.এস এর নতুন মালিককে আইনত অভিযুক্ত করেন। মাইক্রোসফট অন্যান্য কম্পিউটার কোম্পানির জন্য পৃথক পৃথক ফরমেটে সফটওয়্যার বানানো শুরু করে।
১৯৭৯ সালে গেটস তার কোম্পানিকে ওয়াশিংটনে বেলভিউতে স্থানান্তরিত করেন। গেটস আনন্দের সাথে প্যাসিফিক নর্থ ওয়েস্ট এর বাড়িতে ফেরেন এবং কাজে পুরো মনোনিবেশ করেন। অপারেশন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ও মার্কেটিং সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই ২৫ জন তরুন কর্মচারী সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব গুরুত্বের সাথে পালন করেন।
এ্যাপেল, ইনটেল ও আই.বি.এম এর মত কোম্পানিগুলো যখন উন্নতির দিকে যাচ্ছে বিল গেটস তখন মাইক্রোসফট সফটওয়্যার এ্যাপ্লিকেশনের বিভিন্ন সমস্যার দিকে নিয়মিত নজর রাখতেন। এ কাজে মাঝে মাঝে তিনি তার মাকেও সাথে নিতেন। কারন, তার মায়ের সাথে আই.বি.এম সহ বিভিন্ন কোম্পানিতে ভালো যোগাযোগ ছিল। মায়ের পরিচয়ের সুবাদে বিল গেটস আই.বি.এম এর সি.ই.ও র সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান।
১৯৮০ সালে আই.বি.এম যখন তাদের ব্যাক্তিগত কোম্পানি পরিচালনার জন্য সফটওয়্যার খুজছিল। মাইক্রোসফট এই সুযোগটি পেয়ে যায়। এসময় বিল গেটস আই.বি.এম এর কম্পিউটারের সাথে মিল রেখে একটি অপরেটিং সিস্টেম কেনেন। গেটস এই নতুন কেনা অপরেটিং সিস্টেমকে আই.বি.এম এর পি.সি র সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন এবং সফল হন।
৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এ কাজটি করেন তিনি। অন্যদিকে তার তৈরি সফটওয়্যারের জন্য তিনি একই মূল্যের অর্থ পান। আই.বি.এম এই সফটওয়্যারের সোর্স কোড কিনতে চায়, যা তাদের অপরেটিং সিস্টেম সম্পর্কে অবগত করবে। গেটস বিক্রিতে আপত্তি জানান এবং আই.বি.এম এর কাছে বিক্রি করা সফটওয়্যারের প্রতিটি কপির জন্যে আলাদা আলাদা লাইসেন্স ফি দাবি করেন।
এর ফলে মাইক্রোসফট তাদের সফটওয়্যারের লাইসেন্স পায়। তারা এটিকে নাম দেয় এম.এস-ডস। ১৯৭৯-১৯৮১ সালের মধ্যে মাইক্রোসফট এর ব্যাবসা বিপুল ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কর্মীর সংখ্যা ২৫ থেকে ১২৮ এ চলে যায়। আয় ২.৫ মিলিয়ন থেকে ১৬ মিলিয়ন ডলারে পৌছায়।
মাইক্রোসফটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির ফলে স্টিভ জবস এর এ্যাপেলের সাথে প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে গেটস হুমকির সম্মুখিন হন। যদিও এ্যাপেল ও মাইক্রোসফট শুরুর দিকে অনেক উদ্ভাবনে যৌথ ভাবে কাজ করে ছিল। ১৯৮১ সালে এ্যাপেল একটি সফটওয়্যার তৈরির জন্যে মাইক্রোসফটকে আমন্ত্রন জানান। এই কাজ করার অভিজ্ঞতা মাইক্রোসফটকে উইন্ডোস অপরেটিং সিস্টেমের বিপুল পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে।
তারা মাউস ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ইন্টারফেস এর মাধ্যমে লেখা ও ছবি পর্দায় দেখাতে সক্ষম হয়। বিল গেটস বুঝতে পারলেন এই ধরনের কাজ এম.এস-ডস কে সবার সামনে জাহির করতে পারবে। তিনি ধারনা করলেন ম্যাক ইন্টার সিস্টেমের এর তুলনায় ভালো গ্রাফিক্স দিতে পারলে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকা সহজ হবে। এ কারনে গেটস একটি বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন করেন এবং সেখানে মাইক্রোসফটের উচ্চতর গ্রাফিক্স এর ব্যাপারে সবাইকে জানান। এটার নাম দেন মাইক্রোসফট। এবং এম.এস-ডস সিস্টেমে তৈরি সকল সফটওয়্যার এতে চলবে বলে আশ্বস্থ করেন।
মূলত এটি একটি ভূয়া ঘোষনা ছিল। কারন সে মূহুর্তে মাইক্রোসফট এর এমন কোন প্রোগ্রাম প্রক্রিয়াধীন ছিল না। কিন্তু এই ঘোষনার কারনে বাজারে ৩০% কম্পিউটার এম.এস-ডস সিস্টেমের অধীনে চলে যায়। এবং তারা অপরেটিং সিস্টেম পরিবর্তন না করে মাইক্রোসফট এর সফটওয়্যারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
যেহেতু সবাই অপরেটিং সিস্টেম পরিবর্তন করছে না তাই ভিসিক অব ডেবলপের পরিকল্পনা চলে। কিন্তু ডেভলপাররা এ প্রোগ্রাম এর কোড নিয়ে কাজ করতে চায় না। যার ফলে ১৯৮৫ সালে ভিসিক নিয়ে উদ্দিপনা কমে যায়। ঠিক সে বছরই ঘোষনার দুই বছর পর মাইক্রোসফট বাজারে উইন্ডোস নিয়ে আসে। সে সময় মাইক্রোসফট এর কোন প্রতিদ্ধন্ধি ছিল না।
১৯৮৬ সালে মাইক্রোসফট পুজি বাজারে প্রবেশ করে। এবং এক একটি শেয়ার ২১ ডলারে বিক্রি করে। এটি কোম্পানির ৪৫% শেয়ার ধরে রাখে এবং বিল গেটস ৩১ বছর বয়সে মিলিয়নিয়ার হয়ে যান। ১৯৯৪ সালের ১লা জানুয়ারী বিল গেটস মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার মেলিন্ডাকে বিয়ে করেন।
মেলিন্ডার প্রভাবেই বিল গেটস চ্যারিটি ওয়ার্কে যুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে পুজি বাজারে মাইক্রোসফট এর শেয়ারের দাম প্রায় ৮ গুন বেড়ে যায়। এর ফলে বিল গেটস ১০১ ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হয়ে যান।
২০০০ সালে স্ত্রী মেলিন্ডাকে নিয়ে মেলিন্ডাগেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতেই এটি ২৮ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডিং পায়। এবছরেই গেটস মাইক্রোসফট এর নিবিড় তদারকি শুরু করেন। তিনি তার বন্ধু স্টিভ বেলমার্ক কে মাইক্রোসফট এর সি.ই.ও নিযুক্ত করেন।
গেটস তার দক্ষতার কারনে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রির প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট থেকে কর্পোরেট স্ট্রাটেজি দেখেছেন। তারপর তিনি একটি প্রোফাইল তৈরির মাধ্যমে জানতে চেয়েছেন কোন কাজ কিভাবে সম্ভব। এই গুনের কারনে তিনি ১৯৯০ ও ২০০০ সালে মাইক্রোসফট চালাতে গিয়ে কিছু ভূল করলেও তা পুষিয়ে নেন।
তিনি এখন বিশ্বের অন্যতম সম্পদশালী ব্যাক্তি। উচ্চাভিলাসী আর দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হওয়ার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি। তার বার্ষিক সম্পত্তির পরিমান $১১৩.৬ বিলিয়ন। (আগস্ট ২০২০)
ন্যাশনাল মেডেল অব টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ১৯৯২
নিজ চেষ্টায় অর্জিত এ বিপুল সম্পদ সন্তানদের জন্য রেখে যাবেন না বিল গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস। গেটস দম্পত্তি বিল এন্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ব্যাক্তি। ব্যাক্তিগত সম্পদ মূলত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই ব্যয় করা হয়।
২০১২ সালে বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ১৯০ কোটি ডলার দান করে এ দম্পত্তি। বিশ্বব্যাপি মানুষকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করা সহ জন্ম নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে দাতব্য সংস্থা হিসেবে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন পরিচালিত।
গেটস পরিবার গত কয়েক বছরে প্রায় ২৮০০ কোটি ডলার দাতব্য কাজে ব্যয় করেছেন। গেটস দম্পত্তির মতে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বিপুল ধন-সম্পদ রেখে যাওয়ার কোন অর্থ হয় না। এটি তাদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে।
ধনসম্পদ নিজের মতো করে পথ চলতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বর্তমানে গেটস দম্পত্তির বড় মেয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ বর্ষের ছাত্রী। ছেলে ও ছোট মেয়ে এখন স্কুলে পড়ছে। বাবা-মায়ের সাথে তারা সিয়াটলে থাকে।
গেটস এর সম্পদ দাতব্য কাজে দানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাদের তিন সন্তান। বাবা মায়ের এমন মহৎ সিদ্ধান্তে কারনে তারা গর্বিত। বিশ্বের অসংখ্য মানুষকে পরম দারিদ্র থেকে মুক্ত করতে সম্পদ দানের পক্ষে তারা।
ছবিঃ সংগৃহীত
তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া
খুবই খুব ভালো হয়েছে। অনুপ্রেরণা মূলত জীবনী