মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলো মানবজাতি। মানুষকে আল্লাহ তায়া’লা দিয়েছেন সকল সৃষ্টির চেয়ে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা। কিন্তু আজ সেই মানুষ অহংকার ও ব্যক্তি সার্থে নিজের সম্মান খুজে বেড়ায়। যা খুবই নিন্দিত পন্থা বা আচারন ছাড়া আর কিছু নয়। তাই আমাদের খুব ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত মানবজাতির প্রকৃত সম্মান সম্পর্কে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বিশ্বনবী (সা.) কি বলেছেন।
আজ আমরা পবিত্র কোরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে খুজে দেখার চেষ্টা করবো মানবজাতির প্রকৃত সম্মান কী বা কোথায়? ইনশাআল্লাহ।
আমরা অনেকেই মনে করি টাকা-পয়সা, ধন-দৌলত, ইত্যাদিতেই বুঝি মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা নিহিত। আবার কেউ কেউ মনে করি, ক্ষমতা ও রাজত্ব ইত্যাদিতে আমাদের প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা।
কিন্তু না, মানুষের প্রকৃত সম্মান কখনোই এসব কিছুতে থাকতে পারে না৷ জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদে এসকল সম্পদ হল আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত, যা আমাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷ তবে এসব কখনোই সম্মান বা মর্যাদার মাপকাঠি হতে পারে না।
আমরা যদি পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদিসের প্রমাণাদিতে চিন্তা-গবেষণা করি, তাহলে আমরা দেখতে পাই মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে প্রদত্ত সম্মান দুই ধরনের হতে পারে। যথা:-
মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা বর্ননায়, পবিত্র কুরআনে মানুষের সাধারণ সম্মানের কথা আল্লাহ তা’আলা নিজেই বলেছেন। মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন-
“আর আমি তাে আদম সন্তানদের সম্মানিত করেছি এবং আমি তাদেরকে স্থলে ও সমুদ্রে বাহন দিয়েছি এবং তাদেরকে দিয়েছি উত্তম রিযিক। আর আমি যা সৃষ্টি করেছি তাদের থেকে অনেকের ওপর আমরা তাদেরকে অনেক মর্যাদা দিয়েছি।” (সূরা আল-ইসরা: ৭০)
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আল্লামা ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন-
“এ আয়াতে মহান আল্লাহ সংবাদ দেন যে, তিনি আদম সন্তানদের সুন্দর ও নিখুঁত আকৃতিতে সৃষ্টি করার মাধ্যমে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব, সম্মান ও মহা মর্যাদা দিয়েছেন।
আল্লাহ তা’আলা মানবকে এমন আকৃতিতে তৈরি করেছেন, যার কোনাে তুলনা অন্য কোনাে মাখলুকের সাথে চলে না। আল্লাহ তা’আলা অন্য কোনাে মাখলুককে মানুষের মত জ্ঞান দেননি, দুনিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেন নি। একমাত্র মানবই জগতের পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
অর্থাৎ মানবজাতি তাদের দুপায়ের উপর দাঁড়িয়ে চলাচল করে, দুহাত দিয়ে খায়, কথা বলতে পারে ইত্যাদি। অথচ আমরা দেখতে পাই, মানুষ ছাড়া অন্যান্য জীবজন্তু চার পায়ের ওপর হাটে। এমনকি মানবজাতি ছাড়া অন্য কেউ হাতে তুলে খেতে পারে না বরং মুখ দিয়ে খায়। কিছু প্রানী মানুষের মত দুপায়ে হাটা ও হাতে তুলে খাবার খেলেও বুদ্ধি, জ্ঞান বিবেচনায় সর্বদাই মানবজাতি শ্রেষ্ঠ।
স্বয়ং মহান আল্লাহ তা’আলা মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন। এ জন্য তিনি মানবজাতিকে চোখ, কান ও হাত-পা দিয়েছেন। যে গুলাের মাধ্যমে তারা দেখতে ও শােনতে পায় এবং অন্তর দিয়ে বুঝতে ও অনুভব করতে পারে। তারা তাদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা উপকৃত হয়। যা সৃষ্টির অন্য সকল প্রানী থেকে সুন্দর ও বহুগুণে উন্নত।
যেমন, মানুষ এসব দ্বারা তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ কর্ম, ভালাে মন্দের বিচার করতে পারে। দুনিয়া ও পরকালের জন্য কোন কাজটি উপকারী ও কোনােটি ক্ষতিকর তা বিবেচনা একমাত্র মানুষ করতে পারে। এভাবে আল্লাহ তায়ালা মানুষ জাতিকে প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছেন।
মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা বর্ননায়, মানুষের বিশেষ সম্মানের কথাও মহান আল্লাহ তায়ালা বর্ননা করেছেন। আল্লাহ তা’আলা মানবজাতিকে দ্বীনের প্রতি হিদায়াত দেওয়া কাজ এবং মহান রাব্বুল আলামীনের আনুগত্যের তাওফীক লাভ করার মতো জ্ঞান দান করেছেন।
আর এটিই হলাে মানবজাতির প্রকৃত সম্মান, পরিপূর্ণ ইজ্জত ও দুনিয়াও আখিরাতের চিরস্থায়ী কল্যাণ লাভ। কেননা ইসলাম হলাে আল্লাহ তা’আলার একমাত্র মনােনীত ধর্ম। আর এই দ্বীন ইসলামই হলো মানুষের ইজ্জত-সম্মান এবং মান-মর্যাদার একমাত্র মাপকাঠি।
একথা তো দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে, যাবতীয় ইজ্জত কেবল মহান আল্লাহর জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য এবং মুমিন বান্দাদের জন্য। মহান আল্লাহর বড়ত্বের প্রতি বিশ্বাস, তাঁর মমত্বের প্রতি অনুগত হওয়া আমাদের প্রধান কাজ। তাই আল্লাহ তায়ালার আদেশ-নিষেধ মান্য করার মধ্যেই রয়েছে মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা।
মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মানার মধ্যেই মানবজাতির সম্মান যে নিহিত, সে কথার ঘােষণা দিয়ে পবিত্র কুরআনে বলেন-
“তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাজদাহ করে যা কিছু রয়েছে আসমানসমূহে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে, সুর্য, চন্দ্র, তারকারাজী, পর্বতমালা, বৃক্ষতা, জীবজন্তু ও মানুষের মধ্যে অনেকে। আবার অনেকের ওপর শাস্তি অবধারিত হয়ে আছে। আল্লাহ যাকে অপমানিত করেন, তার সম্মানদাতা কেউ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।” (সূরা হাজ্জ: ১৮) [সাজদাহ]*
সুতরাং তার সম্মান লাভের কোনো উপায় নেই, যাকে মহান আল্লাহ তা’আলার প্রতি ঈমান আনা ও বিশ্বাসের তাওফীক দেওয়া হয় নি এবং যে মহান রহমানের ইবাদতকে করনীয় মনে করেনি। সে প্রকৃত পক্ষে অপদস্থ ও অসম্মানিত। পরম করুনাময় মহান আল্লাহর পক্ষ হতে তার প্রতি কোনাে প্রকার সম্মান বা মর্যাদা প্রদর্শন করানো হবে না।
দুনিয়াতে মানবজাতির প্রকৃত সম্মান নিহিত থাকে তার ঈমান-আমল, কথা-কাজ ও বিশ্বাস অনুযায়ী ইজ্জত-সম্মান ও মর্যাদার উপর। যার মধ্যে যত বেশি ঈমান ও আমল থাকবে, সেই তত বেশি ইজ্জত, সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হবে। দ্বীন ইসলামকে বাদ দিয়ে, যে ব্যক্তি ইজ্জত-সম্মান তালাশ করে, তাকে অবশ্যই পদে পদে লাঞ্ছিত হতে হবে। ইসলামের বাহিরে গিয়ে কেউ কোনোদিন সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হতে পারে না।
সুতরাং দ্বীন ইসলামের বাহিরে গিয়ে যারা সম্মান চায়, তাকে কখনো কোনাে সম্মান দেওয়া হবে না। বরং তাকে পদেপদে অপমান করা হবে। দুনিয়াতে আপাত দৃষ্টিতে তাকে অনেক সময় ভালো দেখা গেলেও, প্রকৃত পক্ষে দুনিয়াতে সে অসুখী থাকে এবং আখিরাতে তার জন্য রয়েছে অপদস্তের চূড়ান্ত সীমারেখা।
লক্ষ্যনিয়- এখানে আমাদের একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রথম প্রকার সম্মান, আল্লাহর তা’আলার পক্ষ থেকে সবার জন্য হয়ে থাকে। আল্লাহ তা’আলা মানব সৃষ্টির সাথে তাদের যাবতীয় সাধারণ সকল বৈশিষ্ট্য গুলাে দিয়েই তৈরি করেছেন। এতে মানুষের কোনাে দখল নেই।
আর যখন আদর্শিক কেউ প্রথম প্রকার সম্মান লাভ করে ধন্য হয়ে যায়, যা তাকে চিন্তা করতে বাধ্য করে। ফলে সে দ্বিতীয় প্রকার সম্মান ও মর্যাদাও অর্জন করে ফেলে। কেননা মানবজাতির প্রকৃত সম্মান হলো দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ বিশেষ সম্মান। যা তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতে এনে দিবে সফলতা৷
তাই মহান আল্লাহ তা’আলা যাকে ধন-সম্পদ, টাকা পয়সা, শক্তি, সামর্থ্য ও সুস্থতা দিয়েছেন। তার কর্তব্য হলাে, সে যেন তার প্রচেষ্টাকে আল্লাহ তা’আলার ইবাদতে নিয়ােজিত করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। এতেই আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির প্রকৃত সম্মান নিহিত রেখেছেন দুনিয়ায় ও আখিরাতে।
আর যদি সে তার কর্তব্য সঠিক ভাবে পালনের প্রচেষ্টা না করে,তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাকে কিয়ামতের দিন, ঐসব নিয়ামত গুলোর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবেন। ফলে সে হবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত।
কোন পথে মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা এবং কোন পথে লাঞ্ছনা এ সম্পর্কে ইমাম মুসলিম (রহ.) স্বীয় কিতাবে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণনা করেন। সাহাবীগণ রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করল, আমরা আমাদের প্রভুকে কিয়ামতের দিনে দেখতে পাব কি?
তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা.) তাদের কে বললেন–
“পরিষ্কার আকাশে যখন কোনাে মেঘের আবরণ না থাকে, তখন কি তােমাদের সূর্য দেখতে কোনাে কষ্ট হয়? তারা বলল, না। তিনি আরও বললেন পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তােমাদের কষ্ট হয়? তারা বলল, না। তখন তিনি বললেন, পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে তােমাদের যেমন কোনাে প্রকার কষ্ট হয় না, অনুরুপভাবে কিয়ামতে দিন আল্লাহকে দেখতেও তােমাদের কোনাে প্রকার কষ্ট হবে না।
কিয়ামতের দিন বান্দা মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করলে, আল্লাহ তায়া’লা তাকে ডেকে বলবে- বলতাে দেখি, আমি কি তােমাকে সম্মান দেইনি, তােমাকে ক্ষমতা দেই নি, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করি নি, তােমাদের জন্য উট ও ঘােড়াকে অনুগত করিনি এবং আমি কি তােমাদের স্বাধীনতা দেই নি?
তখন বান্দা বলবে, অবশ্যই, তুমি আমাদের যাবতীয় বিষয়গুলাের ব্যাপারে ক্ষমতা দিয়েছ! তাহলে তােমরা কি এ কথা বিশ্বাস করতে যে, একদিন তােমাকে আমার সাথে সাক্ষাত করতে হবে? তখন সে বলবে, না ! আল্লাহ তা’আলা তখন বলবেন, আজকের দিন আমি তােমাকে ভুলে যাব, যেমনটি তুমি আমাকে দুনিয়াতে ভুলে গিয়েছিলে!!
তারপর আল্লাহ তায়া’লা অপর এক বান্দার প্রতি লক্ষ্য করে বলবেন- বলতাে দেখি আমি কি তােমাকে সম্মান দেই নি, ক্ষমতা দেই নি, তােমাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করি নি, তােমাদের জন্য উট ও ঘােড়াকে অনুগত করি নি এবং আমি কি তােমাদের স্বাধীনতা দেই নি?
তখন সে বান্দা বলবে, অবশ্যই, তুমি আমাদের জন্য যাবতীয় বিষয়গুলাে ব্যাপারে ক্ষমতা দিয়েছ! তােমরা কি একথা বিশ্বাস করতে যে, একদিন তােমাকে আমার সাথে সাক্ষাত করতে হবে? তখন সে বলবে, না! তখন আল্লাহ তা’আল বলবে, আজকের দিন আমি তােমাকে ভুলে যাব, যেমনটি তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছিলে!!
তারপর আল্লাহ তা’আলা তৃতীয় এক লোকের সাক্ষাতকার নিবে এবং তাকেও অনুরূপ প্রশ্ন করা হবে, তখন সে উত্তরে বলবে, হে আমার রব! আমি তােমার প্রতি বিশ্বাস করছি, তােমার অবতীর্ণ কিতাব ও প্রেরিত রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি, সালাত আদায় করছি, রােজা রেখেছি ও দান খয়রাত করেছি।
এরপর যথাসম্ভব সে আল্লাহর উত্তম প্রসংশা করবে। তখন আল্লাহ বলবেন, তােমাকে ধন্যবাদ জানানাে হলাে৷ এরপর তাকে বলা হবে, তােমার বিপক্ষে কি সাক্ষ্য উপস্থিত করব? এ কথা শােনে লােকটি চিন্তায় পড়ে যাবে, কে তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে?
তখন আল্লাহ তাআলা তার মুখে তালা দিয়ে দেবেন। (মুখে সে আর কোনাে কথা বলতে পারবে না) আর তার উরু, গােশত ও হাড়গুলাে কে বলা হবে, তােমরা কথা বল, তখন তারা তার বিপক্ষে কথা বলবে, তার উরু, গােশত ও হাড়গুলাে তার কর্ম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে থাকবে।
আর এ সব আল্লাহ তা’আলা এ জন্য করবেন, যাতে সে নিজেকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে পারে। আর এ লােকটি হলাে, মুনাফেক। আল্লাহ তা’আলা এ লােকটির ওপরই ক্ষুব্ধ এবং কিয়ামতের দিন তার ওপর অধিক ক্ষুব্ধ হবেন।” (সহিহ মুসলিম)
এই হাদিস দ্বারা এটা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার বান্দাদের যাকে , সুস্থতা, ধন-সম্পদ, ঘর-বাড়ী, টাকা-পয়সা ইত্যাদি নিয়ামত দিয়েছেন, সে সম্পর্কে তাকে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবেন৷
কারণ, আল্লাহ তা’আলা-তাে এ সব নিআমতের মধ্যেই মানবজাতির প্রকৃত সম্মান নিহিত রেখেছিলেন। যে তার সঠিক ব্যবহার করলো দুনিয়া ও পরকালে সে লাভোবান হয়ে গেল। নতুবা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হবে।
উক্ত হাদিসে একটি বিষয় লক্ষ্য করুন, প্রথম দুই ব্যক্তিকে আল্লাহ তায়ালা তৃতীয় ব্যক্তির মতো কঠোরতা দেখান নি ৷ বরং মুনাফিকতার জন্য তৃতীয় লোকটির প্রতি বেশি কঠোরতা দেখিয়েছেন। তাই আমাদের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, আমরা যেন কিয়ামতে মুনাফিকের কাতারে পরে না যাই৷
মহান আল্লাহ তায়া’লা মানবজাতির প্রকৃত সম্মান খুজে নিতে বলেছেন, আমাদের কে দেওয়া তাঁর অগণিত অমূল্য নিয়ামত থেকে ৷ তাই দুনিয়াতে মানবজাতিকে অনেক নিয়ামত এজন্য দেওয়া হয়েছে, যেন মানুষ তা আল্লাহর বন্দেগীতে কাজে লাগায় এবং আল্লাহর রাহে তা ব্যয় করে।
কিন্তু যদি যে আল্লাহকে ভুলে যায়, মুনাফিকতা অবলম্বন করে, অন্যায় কাজ করে, আল্লাহর সাথে নাফরমানী করে অথবা অন্য কোনাে বিপথে কাজে লাগায়। তাহলে কিয়ামতের দিন তাকে অবশ্যই এসকল নিয়ামতের হিসেব দিতে হবে।
সুতরাং আমাদের অর্থ, প্রাচুর্যে, সম্পদশালী হওয়ার মাঝে সম্মান ও মর্যাদা খোজা উচিত নয়। বরং এ সকল সম্পদ এবং আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতের সঠিক ব্যবহারের মধ্যেই মানবজাতির প্রকৃত সম্মান ও মর্যাদা নিহিত রয়েছে ৷ তাই সম্পদ ও প্রাচুর্যের মধ্যে নয়, আপনাকে দেওয়া আল্লাহর অগণিত নিয়ামতের মধ্যে আপনার সম্মান ও মর্যাদা খুজে নিতে হয়ে। তবেই আপনি হবেন সফলকাম।
* সূরা হাজ্জ:১৮ নং আয়াতটি সিজদাহ্ আয়াত। তাই কেউ পাঠ করে থাকলে, তার উপর আল্লাহকে একটি সিজদাহ্ দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায়।
ছবি সংগ্রহীত
Very nice writing .
Very nice writing.