আর্টিকেল রাইটিং কী? কীভাবে বাংলায় আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করবেন?

আর্টিকেল রাইটিং অনলাইন থেকে আয়ের জন্য একটি দারুন ও সম্ভাবনাময় মাধ্যম। আপনি যদি আন্তরিকভাবে ঘরে বসে আপনার সুবিধাজনক সময়ে কয়েক ঘন্টা কাজ করে অনলাইনে যথেষ্ট কার্যকরী এবং নির্ভরযোগ্য আয় করতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য!

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রায় সকল কাজই অনলাইন ভিত্তিক। ডিজিটাল মার্কেটিং জগৎ এখন কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল রাইটিং এর উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে একজন ভাল মানের আর্টিকেল রাইটারের ব্যপক চাহিদা রয়েছে।

সঠিকভাবে আর্টিকেল রাইটিং পদ্ধতি জানা থাকলে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন আপনিও। এখনো ক্যারিয়ার বলতে আমরা কি বুঝি? -ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এ্যাডভোকেট কিংবা বিসিএস ক্যাডার ইত্যাদি। এগুলোর যেকোন একটা না হতে পারলে, লাইফটাই যেন ব্যর্থ। সেই পুরোনো ধারনাকে আঁকড়ে ধরে আছি। অথচ এখন আমরা ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের যেকোন প্রতিভাকে সরাসরি অনলাইনে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছি। ফলে নিজেদের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে, ঘরে বসে ডিজিটাল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারি আমরা।

এখন ডিজিটাল ক্যারিয়ার কী হতে পারে? এর পরিধি ব্যপক; এটি হতে পরে ইউটিউবার, ব্লগার, ফ্রিল্যান্সার, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার, ইনফ্লুয়েন্সার, এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপার, আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটার, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, মোশন ভিডিও ক্রিয়েটর ইত্যাদি। আর কত? এখন সময় এসেছে আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধ ধারনা থেকে বেরিয়ে আসার। চলুন তাহলে শুরু করা যাক-

আর্টিকেল রাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং -এ ইংরেজি আর্টিকেল রাইটিং এর চাহিদা সেই অনলাইন জগতের শুরু থেকেই বিদ্যমান ছিল। বাংলায়ও এর মার্কেট লক্ষনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মানে আপনি বাংলা ভাষা জানলে চলমান কাজের পাশাপাশি “আর্টিকেল রাইটিং” শিখে পার্ট টাইম ফ্রিল্যান্সিং করে একটি চমৎকার ইনকাম করতে পারবেন।

আমরা প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু না কিছু লেখালেখি করি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই লেখালেখির অভ্যাসটা একটু গঠনমূলক ভাবে শিখলে চমৎকার একটি উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে।

বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য SEO ও পাঠক ফ্রেইন্ডলি আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে আইডিয়া থাকতে হবে। লেখায় থাকতে হবে বিনোদন, তথ্য ও শিক্ষা। লিখতে হবে বিশেষ ছন্দময় জাদুকরী কৌশলে। যা একজন অনলাইন পাঠককে সহজেই আকৃষ্ট করবে। চলুন তার আগে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নেয়া যাক-

আর্টিকেল রাইটিং কী?

কন্টেন্ট রাইটিং এর  একটি পার্ট আর্টিকেল রাইটিং। কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য আমরা কোন বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন অথবা অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যে লেখা বা টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ইমেইজ পড়ি ও দেখি সেগুলো হচ্ছে কনটেন্ট। কন্টেন্ট অনলাইন বা অফলাইন দুই ধরনের হতে পারে। অনলাইন কন্টেন্টগুলোকে ডিজিটাল কন্টেন্টও বলা হয়। ডিজিটাল কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে রয়েছে-

কথা হোক আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে? কোন নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে সাজিয়ে গুছিয়ে তথ্য বহুল কোনো টেক্স কনটেন্ট লেখার যাবতীয় কার্যক্রমকেই বলা হয় আর্টিকেল রাইটিং। এগুলো সাধারণত সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, অনলাইন নিউজপোর্টাল অথবা ব্লগে প্রকাশের উদ্দেশ্যে লেখা হয়।

আর্টিকেল ব্যপক অডিয়েন্সের জন্য লেখা হয়। এখানে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ ও শেষ অবধি ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এগুলো সাধারণত একটি আকর্ষণীয় বা বিনোদনমূলক পদ্ধতিতে লিখতে হয়। এটি ফরমাল বা ইনফরমাল উভয়ই হতে পারে। আর্টিকেলের মধ্যে বিভিন্ন মতামত এবং চিন্তা, সেইসাথে তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

কোথায় আর্টিকেল লিখবেন?

আপনি চাইলে পত্রিকা, ম্যাগাজিন, অনলাইন নিউজপোর্টাল, পারসোনাল ব্লগ (নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট), বানিজ্যিক ব্লগ, ইত্যাদি  যে কোন প্লাটফর্মে লিখতে পারেন।

কিন্তু বিগিনার হিসেবে বড় কোন প্লাটফর্মে লেখার সুযোগ পাওয়া সহজ কাজ নয়। আবার নিজের ব্লগে লিখে শুরুতে আয়করা সম্ভব নয়। এছাড়াও নিজের ব্লগ তৈরি করতে গেলে প্রাথমি কিছু বাজেট প্রয়োজন। সেই সাথে ডোমেইন, হোস্টিং, এসইও এবং কন্টেন্ট পাবলিশিং সম্পর্কে বেশ ভালো ধারনা থাকতে হবে।

সবচেয়ে ভালো হলো প্রাথমিক ভাবে কোন ওয়েবসাইট বা কমার্শয়াল ব্লগ খুঁজে বের করা যারা বিগিনারদের সুযোগ দেয়। এই আর্টিকেলে  বিশেষ করে বিগিনারদের জন্য একটি অনলাইন প্লাটফর্মের উল্লেখ করা হয়েছে। যেটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কন্টেন্ট রাইটিং জব অফার করে থাকে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে নিয়মিত আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে পার্টটাইম আয় করছে।

ওয়েবসাইটির পজেটিভ দিক হলো আপনার লেখা তারা আপনার নামে, আপনার ছবি ও বায়োগ্রাফিসহ প্রকাশ করে। তারপর আবার লেখার জন্য আপনাকে সম্মানী প্রদান করবে। তবে এই ওয়েবসাইটের জন্য লেখা আর্টিকেল আপনি অন্যকোন ওয়েবসাইটে পুণঃরায় প্রকাশ করতে পারবেন না।

ওয়েবসাইটিতে কাজ শুরু করার আগে প্লেস্টোর থেকে Fr Wing (ফ্রিল্যান্সার উইং) নামে একটি অ্যাপস ইনস্টল করে নিতে হয়। অ্যাপটিতে আর্টিকেল রাইটিং সহ অনলাইনের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জব অফার রয়েছে। এটি শিক্ষানবীশদের জন্য খুবই সহায়ক একটি অ্যাপ। ইতোমধ্যেই ১০০০০ (দশ হাজার প্লাস) ইনস্টল হয়ে গেছে। অ্যাপটিতে সাবমিট করা আর্টিকেলগুলো Digibangla24.com অনলাইন ব্লগিং নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়।

অ্যাপটির প্লেস্টোর লিংক ও কীভাবে একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন এই লেখার শেষে তা দেয়া আছে।

কী পরিমান আয় করতে পারবেন?

আর্টিকেল রাইটিং -এ সম্মানীর পরিমান হলো শব্দ ভিত্তিক এবং কন্টেন্টের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে। যেমন- “আমি বাংলা আর্টিকেল রাইটিং শিখে আয় করতে চাই” এখানে ৮টি শব্দ বা ওয়ার্ড রয়েছে। আর্টিকেলের গুনগতমান বিবেচনা করে সাইটগুলো প্রতি ৩০০-১০০০+ ওয়ার্ডের আর্টিকেল এর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান পেমেন্ট দিয়ে থাকে।

লেখার শেষ অংশে পেমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া আছে। তবে আপনি চাইলে অনায়াসেই ৩০০০ টাকা থেকে ২০০০০+ টাকা বা তারও বেশি মাসে আয় করতে পারবেন।

তবে এখানে টাকা উপার্জনটা মূখ্য বিষয় নয়। আগে প্রয়োজন শেখা ও লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করা। আপনার দক্ষতা থাকলে ইনকাম এমনিতেই আসবে।

এখন প্রয়োজন হলো কি কি বিষয়ের উপর আর্টিকেল লেখা যাবে, লেখার জন্য কি কি বিষয় জানা লাগবে, লিখে কীভাবে সাবমিট করতে হবে সে সম্পর্কে জানা।

কী কী বিষয়ের উপর লিখবেন?

বিভিন্ন টপিকের উপর বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করা যায়। Fr Wing অ্যাপে আর্টিকেল লেখার জন্য টপিক বা বিষয়ের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। কিন্তু লেখার বিষয়বন্তু নির্বাচনের জন্য নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।

ক)  আপনার আগ্রহ কোন টপিকের উপর। যে টপিক সম্পর্কে কোন কিছু দেখতে পেলে জানা বা পড়ার জন্য আপনি উৎসাহ বোধ করেন। যেগুলি পড়তে, জানতে ও বুঝতে আপনার কোন ক্লান্তি আসে না। সেগুলোই আপনার পছন্দের টপিক বা বিষয়।

খ) শুধুমাত্র আপনার আগ্রহ বিবেচনা করাই যথেষ্ঠ নয়। অনলাইনে পাঠক কোন কোন বিষয় পড়তে বা জানতে বেশি আগ্রহী সে দিকেও নজর রাখতে হবে।

গ) আপনি যে পাঠক শ্রেণির কথা বিবেচনা করে লিখতে চাইছেন তাদের ভলিউম বা পরিধি কেমন। অর্থাৎ আপনার লেখা টপিকটি অনলাইন পাঠক দেখলে শতকরা কতজন পড়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবে। যারা পড়বে তারা কেন পড়বে? কোন শ্রেণি বেশি পড়বে তরুন-যুবসমাজ, উচ্চ-শিক্ষিত পাঠক শ্রেনি, শিক্ষক শ্রেণি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ কারা -বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

উর্পযুক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করার পর বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং জব সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে। পরিপূর্ণ ধারনা পেতে এখনই বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট রাইটিং যা ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য প্রয়োজন আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন।

এখন প্রশ্ন হলো আপনি কি বিষয়ের উপর লিখবেন? উদাহরণস্বরূপ- আপনি যদি শিক্ষক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ছাত্র-ছাত্রীদের যে বিষয়ে পড়ান ওইটাই আপনার বিষয়বস্তু হতে পারে। যেকোন বিষয় হোক না কেন গণিত, ইংরেজি, আইসিটি কিংবা ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা। লেখালেখির ক্ষেত্রে সকল বিষয়ের গুরুত্ব সমান।

আপনি যদি ছাত্র হন তাহলে আপনি যে বিষয়টি পড়তে বেশি ভালবাসেন। অথবা আপনারা যে বিষয়গুলো নিয়ে হ্যান্ডনোট তৈরি করেন। প্রাথমিকভাবে সে টপিকগুলো নিয়ে ছোট ছোট কন্টেন্ট লেখা চালিয়ে যেতে পারেন।

তাহলে আসুন আমরা Fr Wing অ্যাপের আর্টিকেল রাইটিং ক্যাটাগরিগুলো দেখে নেই-

ডিজিটাল ক্যারিয়ার

এফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাডসেন্স, আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং, ইউটিউব, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, আউটসোর্সিং, কলসেন্টার জবস ইত্যাদি বিষয় বা এর উপর টিউটোরিয়াল।

চাকরি বিষয়ক আর্টিকেল

চাকরির জন্য প্রস্তুতি, সিভি রাইটিং টিপস, কভার লেটার লেখার নিয়ম, ইন্টারভিউ টিপস, অনলাইনে চাকরি খোঁজার নিয়ম, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট, চাকরির খবর ইত্যাদি।

তথ্য ও প্রযুক্তি

আইটি টিপস এন্ড ট্রিকস, প্রযুক্তি তথ্য, স্মার্টফোন, অ্যাপস, সফটওয়্যার, সফটওয়্যার রিভিউ, গেইমস , গেইমস রিভিউ ইত্যাদি।

ধর্ম ও জীবন

ইসলামের আলোকে জীবন-যাবন সম্পর্কিত আর্টিকেল, বিভিন্ন গাইডলাইন, বিভিন্ন ধর্মীয় বক্তা, তাদের বায়োগ্রাফি, চলমান বিভিন্ন ইসলামিক নিউজ ইত্যাদি।

খেলাধুলা ক্যাটাগরি

ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস সহ সকল ধরনের খেলা, ক্রীড়া সেলিব্রেটিদের বায়োগ্রাফি, লাইফস্টাইল, ব্যক্তিগত জীবন, চলমান টুর্নামেন্ট, বিভিন্ন জনপ্রিয় ক্লাবের টুর্নামেন্ট ইত্যাদি।

স্বাস্থ্য ও সেবা

কোভিড-১৯, বিভিন্ন হেলথ টিপস- চুল পড়া, শরীর চর্চা, বিউটি টিপস, হেলথ প্রোডাক্ট রিভিউ, ডাক্তার চেম্বার, বিভিন্ন স্পেশালাইজড ডক্টর, হসপিটাল ইত্যাদি।

শিক্ষা সংক্রান্ত

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন টিপস, বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান, বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রস্তুতি, পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি, ক্যারিয়ার ইত্যাদি।

সাহিত্য ক্যাটাগরি

বিভিন্ন সাহিত্যিকের জানা-অজানা বিষয়, গ্রন্থ সমালোচনা বা বই রিভিউ, সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন সবাদ, অনুষ্ঠান, লেখকদের মতামত ইত্যাদি।

মোটিভেশন ক্যাটাগরি

মনিষীদের জীবনী, শিক্ষামূলক গল্প, শিক্ষনীয় বিখ্যাত উক্তি ইত্যাদি

উল্লেখিত ক্যাটাগরি ছাড়াও আরও অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে। যখন যেগুলোর কাজ পাবেন তখন তা নিয়ে লিখতে পারেন। যেমন- নির্দিষ্ট বিষয় (টেকনোলজি, লাইফ স্টাইল, খেলাধুলা, ভ্রমণ ইত্যাদি) নিয়ে আর্টিকেল রাইটিং, নিউজ রাইটিং, ফিচার রাইটিং, বিভিন্ন পন্যের রিভিউ কন্টেন্ট, অনুবাদক আর্টিকেল রাইটিং।

কীভাবে আর্টিকেল রাইটিং শিখবেন ?

একজন ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হতে হলে প্রথমেই আপনাকে ভালো ও দক্ষ পাঠক হতে হবে। রাইটিং শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রচুর পড়ার অভ্যাস তৈরি, গবেষণা আর লেখালেখির চর্চা করা।

গবেষনায় দেখা গেছে যাদের পড়ার অভ্যাস বেশি তাদের লেখা সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ইবুক, শিক্ষামূলক আর্টিকেল, দৈনিক পত্রিকার কন্টেন্ট, সম্পাদকীয়  ইত্যাদি পড়ার অভ্যাস করা।

আর্টিকেল রাইটার হতে হলে সাধারণত আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য কোন কোর্স করার প্রয়োজন হয় না। তারপরও অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ই-লার্নিং প্লাটফর্ম আছে যেগুলো কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর বিভিন্ন ফ্রি ও পেইড কোর্স অফার করে। কোর্স শেষে সনদও প্রদান করে।

আপনি চাইলে সে সকল প্লাটফর্ম থেকেও কোর্স করে নিতে পারেন। প্রাথমিক ভাবে আপনি এই আর্টিকেলের গাইডলাইনগুলো ফলো করলেও চলবে।

SEO ফ্রেইন্ডলি আর্টিকেল লিখবে যেভাবেঃ

বাংলা আর্টিকেল রাইটিং খুব কঠিন কিছু না। প্রথম প্রথম তিন-চারটি আর্টিকেল লিখতে কষ্ট হতে পারে। কিন্তু আর্টিকেল রাইটিং লিখার পদ্ধতি একবার আয়ত্ব করতে পারলে দিনে ৫-৭ টি আর্টিকেল লিখতে পারবেন। কারন সবগুলো গঠন এবং কৌশল প্রায় একই রকম।

আজকে আমরা সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব আর্টিকেল রাইটিং এর বেসিক বিষয়গুলো শিখবো। যেমন-

আর্টিকেলের বিষয়বস্তু নির্বাচন প্রক্রিয়াঃ

বাংলা আর্টিকেল রাইটিং শিখে আয় করতে হলে লেখা শুরুর আগে প্রধান কাজ হলো আপনি যে আর্টিকেলটি লিখতে যাচ্ছেন তার টপিক নির্বাচন করা।

যে বিষয়টি সম্পর্কে, আপনার ভালো জানাশোনা, অভিজ্ঞতা ও প্যাশন রয়েছে সেটিকে গুরুত্ব দিন।

যদি টপিক সম্পর্কিত জ্ঞান ভালো না থাকে তাহলে ভাল মানের আর্টিকেল লেখা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাব।

শুধু প্যাশনের দিকে নজর দিলেই হবে না। আপনি যে টপিক নিয়ে লিখতে যাচ্ছেন; সে টপিকের আর্টিকেল পড়ার মত অডিয়েন্স কারা। শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষিত না অশিক্ষিত কাদের জন্য আপনি লিখবেন সেটা আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করে রাখা উচিৎ। প্রতি ১০০ জন ইন্টারনেট ইউজার আটিকেলটি দেখলে কতজন পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করবে সেটাও ভাবতে হবে

সুতরাং সবকিছু বিবেচনায় রেখে আর্টিকেলের বিষয়বস্তু নির্বাচন করলে  লেখার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যাবে।লেখার বিষয়বস্তুর উপর আত্মবিশ্বাস থাকলে লেখা এমনিতেই ভালো হবে।

রিসার্চ বা অনুসন্ধান করবেন যেভাবে

যে বিষয়ে আপনার কোন ধারনা নেই সে বিষয় নিয়ে লিখতে যাবেন না। যে বিষয় নিয়ে লিখবেন সে বিষয়ের ওপর ভালো দক্ষতা অর্জন ও পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য আপনাকে প্রচুর রিসার্চ করতে হবে।

আপনার মনে রাখতে হবে যে বিষয়টি নিয়ে লিখতে যাচ্ছেন কোন না কোন লেখক সে বিষয়বস্তু সস্পর্কে আগে থেকেই লিখে রেখেছে। একই বিষয়ের উপর লিখতে হলে আর্টিকেলে নতুনত্ব নিয়ে আসতে হবে।

নির্বাচিত বিষয়ের উপর বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করতে পারেন বিভিন্ন উৎস থেকে। এক্ষেত্রে আপনি গুগল, ইবুক, বই, ম্যাগাজিন, বিশ্বাসযোগ্য বাংলা বা ইংরেজি অনলাইন মিডিয়া, উইকিপিডিয়া ইত্যাদির সহযোগিতা নিতে পারেন।

“আর্টিকেলে অনলাইনে অন্যের লেখা আর্টিকেল থেকে হুবাহু কপি করে কোন কিছু লেখা যাবে না। প্রয়োজনে আইডিয়া নিয়ে নিজের মত করে লিখতে হবে। আপনার লেখাটি অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। তাহলে গুগল সার্চে আমাদের লেখাটি অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে।”

রিসার্চ করার সময় পাঠক আর্টিকেলটি থেকে কী কী তথ্য জানতে চাইবে সেগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। আপনি পাঠক হলে ঐ বিষয়বস্তুর উপর কী কী তথ্য জানতে চাইতেন সেগুলো বিবেচনায় রেখেই মেইন মেইন পয়েন্টগুলো আইডেন্টিফাই করে নোট রাখতে হবে। পাঠকের প্রশ্নের উত্তর বা সমাধান কত সুন্দর ভাবে আর্টিকেলের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারবো সেটাই মুখ্য বিষয়।

সুতরাং রিসার্চ করার সয়ম সবকিছু বিবেচনায় রেখে আর্টিকেলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পয়েন্ট আউট করা উচিৎ। আপনার আর্টিকেলকে তথ্য সমৃদ্ধ করে পাঠকপ্রিয়তা অর্জনের জন্য গবেষণার কোন বিকল্প নাই। প্রথমেই আপনি যে বিষয় লিখতে চান সেটিকে গুগলে সার্চ দিন। গুগল আপনাকে এ বিষয়ে যথেষ্ট সহযোগিতা।

কীওয়ার্ড কী?

লেখা শুরু করার আগে রিসার্চের মাধ্যমে সঠিক একটি কী ওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। কী-ওয়ার্ড হচ্ছে একটি শব্দ বা দুই-তিনটি শব্দ মিলে একটি শব্দগুচ্ছ আধুনিক নিয়মে এটাকে কীওয়ার্ড ফ্রেইজও বলা হয়ে থাকে। এই কীওয়ার্ড ফ্রেইজ এর উপর ভিত্তি করেই সমস্ত আর্টিকেলটি লিখতে হবে। একটি আর্টিকেলে একাধিক কী ওয়ার্ড থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে একটি ফোকাস কীওয়ার্ড থাকে বাকিগুলো ফোকাস কীওয়ার্ডের সহায়ক কীওয়ার্ড হিসেবে কাজ করে।

সহজভাবে বলতে গেলে, মানুষ ইন্টারনেটে যা লিখে সার্চ করে তাই কীওয়ার্ড।

ধরুন, আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করতে চান কিন্তু আপানি জানেন না কীভাবে করতে হয়? আপনি গুগলে বা অন্য যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে How to make money online লিখে সার্চ দিলেন।

এখানে How to make money online সম্পূর্ণটাই একটি কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজ। অথবা কেউ যদি কোন নির্দিষ্ট স্মার্টফোন সম্পর্কে জানতে চায়, সে গুগলে Samsung Galaxy S20 বা OnePlus 9 Pro লিখে সার্চ দিলো। এখানে Samsung Galaxy S20 ও OnePlus 9 Pro হলো কিওয়ার্ড।

কীওয়ার্ড যেভাবে কাজ করে

কীওয়ার্ড কীভাবে কাজ করে জেনে রাখা উচিত। আপনি যদি OnePlus 9 Pro স্মার্টফোন নিয়ে একটি রিভিউ আর্টিকেল লিখেন। সেক্ষেত্রে স্মার্টফোনটির যাবতীয় ফিচারসহ বিভিন্ন পজেটিভ নেগেটিভ দিক, মূল্য ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।

আর্টিকেলটির ফোকাস কীওয়ার্ড হবে OnePlus 9 Pro এবং এই কীওয়ার্ডকে কেন্দ্র করেই স্মার্ট ফোনটির যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করাই আপনার প্রধান কাজ।

এখন গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো OnePlus 9 Pro কীওয়ার্ড ফ্রেইজের যতগুলো আর্টিকেল ইন্টারনেটে রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেটার ও ইউনিক আর্টিকেল গুলোকে সার্চ র‌্যাংকিং এ প্রাধান্য দিবে।

ফলে কোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যদি OnePlus 9 Pro লিখে গুগলে সার্চ দেয় সার্চ র‌্যাংকিং এ এগিয়ে থাকা আর্টিকেল গুলোকে গুগল প্রথম পেইজে তুলে ধরবে।

কীওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব

কীওয়ার্ডকে ফোকাস করে আর্টিকেল লিখলে আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাংকিং -এ টপে থাকে। সুতরাং ভিজিটর ও আর্টিকেল রাইটার উভয়ের জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চের গুরুত্ব অনেক।

আর্টিকেলের জন্য এসইও ফ্রেইন্ডলি কীওয়ার্ড নির্বাচন করার প্রক্রিয়াকে বলে কীওয়ার্ড রিসার্চ।

অনলাইনে লেখক ও পাঠক উভয়ের মধ্যে কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজ একটি সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে। একজন রাইটার কীওয়ার্ড নির্বাচনের মাধ্যমে আর্টিকেলটি সাজিয়ে গুছিয়ে লিখে অন্য দিকে একজন পাঠক সেই কীওয়ার্ড দিয়েই গুগলে সার্চ করছে। সুতরাং পাঠক ও লেখক উভয়ের ক্ষেত্রেই কীওয়ার্ড  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলা বা ইংরেজি যেকোন আর্টিকেল লিখে আয় করার জন্য ফ্রি কিওয়ার্ড রিসার্চ প্রক্রিয়া সম্পর্কে লেখকের জানা প্রয়োজন। এ সম্পর্কে ইউটিউবে “How to research keyword for article” লিখে সার্চ দিলে এর শত শত টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে।

আর্টিকেলে কীওয়ার্ডের ব্যবহার

রিসার্চ থেকে প্রাপ্ত কীওয়ার্ডকে আর্টিকেলে যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আর্টিকেলে কীওয়ার্ডের ঘনত্বকে বলা হয় কীওয়ার্ড ডেনসিটি  অর্থাৎ কীওয়ার্ডটি আর্টিকেলে কতবার ব্যবহার করা হয়েছে তার শতকরা হার।

ধরুন, OnePlus 9 Pro স্মার্টফোনটি নিয়ে একটি ১০০০ ওয়ার্ডের  আর্টিকেল লিখলেন। এই আর্টিকেলটির কীওয়ার্ড হলো “OnePlus 9 Pro”। এখন আপনি যদি আর্টিকেলটিতে ১০০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ডটি অর্থাৎ “OnePlus 9 Pro” ১০ বার ব্যবহার করেন তাহলে আর্টিকেলটির কীওয়ার্ড ডেনসিটি হলো ১%।

আর্টিকেলের কিওয়ার্ড ডেনসিটি ১-১.৫% রাখা ভালো এবং কীওয়ার্ড আর্টিকেলে যথাযথ স্থানে ব্যবহার করা উচিত। যেমনঃ টাইটেলে ১ বার, আর্টিকেলের ইন্ট্রো বা প্রথম প্যারায় ১ -২ বার, ভিতরে প্রতি ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে ১-২ বার বা ২০০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ বার এবং আর্টিকেলের শেষ প্যারায় উপসংহার বা মন্তব্যে ১ বার।

কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজ নির্বাচনের কাজ হলো একটি আকর্ষনীয় টাইটেল বা শিরোনাম দেওয়া। অবশ্যই সেটা যেন হয় কী ওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজকে কেন্দ্রীক। চলুন শুরু করা যাক কীভাবে আমরা আর্টিকেল লিখবো-

বাংলা আর্টিকেল রাইটিং বেসিক স্ট্রাকচার

বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন, আর্টিকেল রাইটিং, বাংলা আর্টিকেল রাইটিং টিপস

১) টাইটেল বা শিরোনাম

২) আর্টিকেল ইন্ট্রো বা ভূমিকা

৩) মূল লেখার বর্ণনা

৪) ফিনিশিং প্যারা বা উপসংহার

১) টাইটেল বা শিরোনামঃ

আর্টিকেলের যে বিষয়টিতে আমরা প্রথমে মনোযোগ দেই তা হলো টাইটেল। টাইটেল বা শিরোনামের উপর ভিত্তি করেই পাঠক সিদ্ধান্ত নেয়; সে আর্টিকেলটি পড়বে কিনা। শিরোনাম যথাসম্ভব আকর্ষণীয় ও সুন্দর হতে হবে।

এসইও ফ্রেইন্ডলি শিরোনাম লেখার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। শিরোনামটি অবশ্যই আপনাকে ৬-৯ শব্দের মধ্যে হতে হবে। এবং এই শব্দগুলোর মধ্যে কী-ওয়ার্ডটিও থাকতে হবে। এবং সেটা টাইটেলের প্রথমে রাখতে পারলে আরও ভালো হয়।

নিচে কিছু উদাহরণ দেয়া হলো-

ক) টাইটেল– “লিওনেল মেসি ফুটবল যাদুকরের জানা অজানা তথ্য” কী-ওয়ার্ড– লিওনেল মেসি

খ) টাইটেল– “বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন -ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার” কী-ওয়ার্ড– বাংলা আর্টিকেল

গ) টাইটেল-“শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না আর সরকার-শিক্ষামন্ত্রী” কী-ওয়ার্ড– শিক্ষিত বেকার

ঘ) টাইটেল-“যে ৫টি বিউটি পণ্য স্বামী-স্ত্রী উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন” কী-ওয়ার্ড– বিউটি পণ্য

ঙ) টাইটেল-“ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ও আমাদের প্রাইভেসি: কিছু গোপন সত্য” কী-ওয়ার্ড– ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার প্রাইভেসি

শিরোনাম বা টাইটেল লেখার সময় একটু চিন্তা ভাবনা করে লিখতে হবে। একই টাইটেলে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখেন কোনটি ভালো হয়। সঠিক কী-ওয়ার্ড কোনটিতে বেশি কার্যকর সেই টাইটেলটি বাছাই করুন। এখন বলুন তো নীচের কোন টাইটেলটি রিডারকে বেশী আকৃষ্ট করবে?

লিওনেল মেসির জীবনী

লিওনেল মেসি ফুটবল যাদুকরের জানা অজানা তথ্য

ফুটবলার লিওনেল মেসির বায়োগ্রাফি

লিওনেল মেসি ফুটবল যাদুকরের জানা অজানা তথ্য” এই টাইটেলটার দিকে পাঠক বেশী আকৃষ্ট হবে। সুতরাং টাইটেলে ভেরিয়েশন আনা এবং শব্দ চয়ন করাও একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

শিরোনাম লেখার চমকপ্রদ সব কৌশল শিখতে Fr Wing অ্যাপের “ফ্রিল্যান্স অনলাইন সাংবাদিকতা কোর্স” টি করে নিতে পারেন সম্পূণ ফ্রিতে।

২) আর্টিকেলের ইন্ট্রো বা ভূমিকা

শিরোনামের পর আর্টিকেলের সুন্দর একটা ইন্ট্রো বা ভূমিকা ৪/৫ লাইনের মধ্যে লিখতে হবে। ইন্ট্রোতে আপনি স্বল্প কথায় এমন কিছু লিখবেন যা পাঠক কে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী করে তুলে।

অর্থাৎ সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে পাঠক কি মেসেজ নিয়ে ফিরবে তার সারমর্ম ৪/৫ লাইনে থাকবে। ভূমিকার মধ্যে আর্টিকেলে কী-ওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজটি যেন অবশ্যই থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে

৩) মূল লেখার বর্ণনা

আর্টিকেলের মূলবিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা সংযোজন করতে হবে এ অংশে। তবে তা অবশ্যই কয়েকটি অনুচ্ছেদের মধ্যে। তবে অপ্রাসঙ্গিক অথবা অপ্রয়োজনীয় কথা দিয়ে আর্টেকেলটি অযথাই বড় করবেন না।

এতে পাঠক তার পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। পাঠকের আরও বেশি দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য প্রতিটি অনুচ্ছেদের জন্য একটি নামকরন করুন। এসইও এর নিয়ম হলো কোন অনুচ্ছেদ যদি ৩০০ শব্দের বেশি হয় তাহলে উক্ত অনুচ্ছেদের একটি আলাদা টাইটেল যুক্ত করুন।

অনুচ্ছেদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন

অনুচ্ছেদের এক অংশের সাথে আরেক অংশের সংযোগ স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনুচ্ছেদের মধ্যে সংযোগ মূলক কিছু কথা লিখুন যাতে পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখা যায়।

ছবি সংযোজন

কথায় আছে, একটি ছবি হাজারো শব্দের সমান। আটিকেলের বিষয়বস্তু রিলেটেড ছবি সংযুক্ত করুন যেন আপনার লেখা আর্টিকেলটি আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। যেকোন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেতে ছবি অনেক সহযোগিতা করে। ভিজিটর লেখাটি পড়তে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

৪) ফিনিশিং প্যারা বা উপসংহার

এটি আর্টিকেলের সর্বশেষ অংশ। এই অংশে আপনার চূড়ান্ত মতামত, মন্তব্য, পরামর্শ উপস্থাপন করুন। পাঠকদের কিছু কাজ দিয়ে দিন যেমন-কমেন্ট, শেয়ার আর্টিকেল, সাবসক্রাইব নিউজলেটার, ডাউনলোড অ্যাপস, পেইজ ভিজিট ও অন্যান্য।

তবে মনে রাখতে হবে, উপসংহারে যেন, কী-ওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজটি আরেক বার আসে।

তথ্য সূত্র উল্লেখ করুনঃ

আপনি আর্টিকেলটি লেখার জন্য যেসব জায়গা থেকে আইডিয়া নিয়েছেন অবশ্যই সেসব ওয়েবসাইট, ব্লগ, বই ইত্যাদি এর নাম তথ্যসূত্রে উল্লেখ করবেন। এটা আপনার নৈতিক দায়িত্ব সেই সাথে কপিরাইট আইন থেকেও সেইভ থাকবেন।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ছাত্ররা বিভিন্ন একাডেমিক বই অথবা ই-বুক থেকে আইডিয়া নেয়, সেক্ষত্রে অথরকে লেখার শেষে উপযুক্ত ক্রেডিট দিতে হবে।

এতক্ষন আমরা আর্টিকেল লেখার একটা বেসিক আইডিয়া পেলাম। পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য, আর্টিকেলের প্রতিটি ধাপেই, সুন্দর ও আকর্ষণীয় তথ্য দিয়ে আর্টিকেলকে অর্থবহ করে তুলতে হবে। আর্টিকেল এমনভাবে লিখুন, “যেন আপনি পাঠকের সাথে সরাসরি কথা বলছেন”। একজন লেখক হিসেবে নয়, পাঠকের দৃষ্টিকোণ বিচার-বিশ্লেষন করে তবেই লিখুন।

এসইও ফ্রেইন্ডলি আর্টিকেলের গুরুত্ব

এসইও ফেইন্ডলি কন্টেন্ট অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ন। আপনি যতই যত ভালো লেখেন কোন লাভ নেই। আপনার আর্টিকেলটি যদি সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব না হয়, তাহলে তা সাগরের তলদেশেই পড়ে থাকবে। সার্চ ইঞ্জিন থেকে কোন ইউনিক ভিজিটর পাবেন না।

সেক্ষেত্রে আপনি মহাজ্ঞানী কিংবা অক্সফোর্ড এর ছাত্র বা শিক্ষক হলেও কোন লাভ নেই, বাক্যটি হয়ত আপনার ভালো লাগে নি। কিন্তু এটাই বাস্তব, গুগল বোট তার নিজস্ব নিয়ম বা অ্যালগরিদম মেনে চলে।

আপনাকে গুগল বোটের নিয়ম বা অ্যালগরিদম ফলো করতে হবে। তাই আপনার লেখা আর্টিকেলটি যেন সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।

শুরুর দিকে এতকিছু মাথায় না নিলেও হবে। শুধু নিচের নিয়ম অনুযায়ী লিখলেই চলবে। আপনি চাইলে খুব সহজেই একটি আর্টিকেল লিখে ফেলতে পারেন। কিন্তু এসইও ফ্রেইন্ডলি একটি ভাল মানের আর্টিকেল লিখতে গেলে আপনাকে অবশ্যই রিসার্চ করতে হবে। ইন্টারনেটে অনেক ডাটাবেজ ঘাটাঘাটি করতে হবে।

আবার কপি পেস্ট করে গুগল বোট কে ফাকি দেয়ার চেষ্টা করবেন না। এড়িয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। আপনার লেখা আর্টিকেলটি গুগল এর ব্ল্যাকলিস্টে পড়লে, ওই আর্টিকেল আপনি ওয়েবসাইট থেকে পড়তে পারবেন কিন্তু সার্চ করে কেউ পাবে না।

তাই অন্যের লেখা কপি পেস্ট করে কিংবা অন্যের বই থেকে লেখা হুবাহু আপনার নামে চালিয়ে দিবেন এরকম কিছু মাথায় থাকলে, আপনার আর্টিকেল রাইটিং নিয়ে আর সামনে না আগানোই ভালো।

ভাল মানের  আর্টিকেল রাইটার এর করনীয়

একজন ভাল মানের বাংলা আর্টিকেল রাইটার হতে হলে আপনার নিচের বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে-

আর্টিকেল রাইটিং শিখে কি পরিমান আয় করবেন ?

আজকে যে ওয়েবসাইটটির সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেব, সেটি হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজের অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি প্রচুর পরিমানে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার জব অফার পাবেন। এছাড়াও অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করে আয়ের সুযোগ পাবেন।

প্রতিটি ৩০০ থেকে ১৫০০+ ওয়ার্ডের আর্টিকেলের জন্য প্রায় ৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে থাকে। সেটা নির্ভর করবে আপনার আর্টিকেল রাইটিং এর গুনগত মানের উপর।

শুধু তাই নয়, এরপর আপনার লেখা আর্টিকেলটি যদি ১০০০ ইউনিক ভিউ হয় তাহলে স্টার আর্টিকেল নামে লিপিবদ্ধ হবে। এক্ষেত্রে আপনি পাবেন স্টার রিওয়ার্ডস ও বোনাস, এভাবে করে ভিউয়ের উপর আপনি রিওয়ার্ডস ও বোনাস পেতে থাকবেন।

আর্টিকেলের ভিউয়ের উপর আর্টিকেলটি স্টার, টু-স্টার এভাবে করে সেভেন-স্টার পর্যন্ত প্রমোশন পদবী পাবেন। প্রতিটি স্টেপেই রয়েছে পৃথক পৃথক রিওয়ার্ডস ও বোনাস। আর্টিকেলের ভিউ বাড়ানোর জন্য, “কীভাবে আর্টিকেলের জন্য ভিজিটর পাবেন?” অংশটি ভালভাবে পড়ুন।

বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার বেসিক  পরিসংখ্যান

এখন আপনি যদি দিনে দুইটি করে আর্টিকেল লিখেন তাহলে মাসে আপনার লেখা আর্টিকেল হবে ৬০টি । আপনি যদি শুরুতে প্রতিটি আর্টিকেলের জন্য গড়ে ৫০ টাকা পান তাহলে মাসে আসে ৬০*৫০= ৩০০০ টাকা। আর যদি গড়ে ২০০ টাকা করে পান তাহলে প্রতি মাসে আসে ১২০০০ হাজার টাকা। দিনে তিনটি করে লিখতে পারলে মাসে আসে ১৮০০০ টাকা। এখন আপনি ৩০০০ টাকা আয় করবেন না ৩০০০০ টাকা আয় করবেন সেটা নির্ভর করছে আপনার উপর।

তবে কখনোই অন্যের লেখা কপি করবেন না। কপি চেকার  বা প্লেগারিজম চেকারে ধরা খেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার মোট উপার্জন পেন্ডিং হয়ে যেতে পারে। সাপোর্ট টিম আপনার ফান্ড আটকিয়ে দিবে।

কীভাবে বাংলা আর্টিকেলের জন্য ভিজিটর পাবেন?

বাংলা আর্টিকেল রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার ক্ষেত্রে আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেইন্ডলি হওয়া জরুরী। ভিজিটর পাওয়ার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি আর্টকেলে দুই ধরনের এসইও হয়। অনপেইজ এসইও এবং অফপেইজ এসইও।

অনপেইজ এসইও এর একটি গাইডলাইন বা স্ট্রাকচার উপরে দেয়া আছে। আপতত উপরের নিয়ম মেনে আর্টিকেল লিখলে চলবে। এছাড়াও অনপেইজ এসইও এর জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের সাপোর্ট টিম রয়েছে।

অফপেইজ এসইও এর জন্য আর্টিকেলটি পাবলিস্ট হওয়ার পর আপনি আপনার টাইমলাইনে শেয়ার করবেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আর্টিকেলের বিষয়বস্তু রিলেটেড অনেক গ্রুপ রয়েছে সেখানে শেয়ার করবেন।

বিভিন্ন চ্যাটিং অ্যাপস- মেসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটস অ্যাপস ইত্যাদিতে আর্টিকেলটির লিংক বন্ধুদেরকে পাঠাবেন। এসইও এর অনেক টেকনিক রয়েছে এই আর্টিকেলে সাথে থাকলে সেগুলো বিভিন্ন সময়ে পেয়ে যাবেন।

সুবিধা হলো এই সাইটে আপনাকে কোন কাজ বিট করতে হবে না। কাজটি করে সাবমিট করলেই হলো। রেজিস্ট্রেশন করার সাথে সাথে আপনি সাইন আপ বোনাস পাবেন। সেই সাথে কাউকে আর্টিকেল লিখে আর্নিং এর জন্য রেফার করলেও রেফারেল কমিশন পাবেন। এছাড়াও আরও অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তাহলে চলুন কাজ শুরু করার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করে  প্লেস্টোর থেকে অ্যাপটি ইনস্টল নিন।

অ্যাপস ইনস্টল লিংক:

ফ্রিল্যান্সার উইং (Fr Wing) অ্যাপ

প্লেস্টোর থেকে ইনস্টল করে রেজিস্ট্রেশন করুন। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নিচের ভিডিওটি ফলো করুন:

পরবর্তী যাবতীয় ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত শিক্ষামূলক ও ইনফরমেটিভ আর্টিকেল পাওয়ার জন্য Facebook Page ফেসবুক পেইজ এবং Facebook Group সাথে যুক্ত থাকুন।

আরও পড়ুনঃ

Exit mobile version

Fatal error: Uncaught TypeError: fclose(): Argument #1 ($stream) must be of type resource, false given in /home/digilshq/public_html/wp-content/plugins/wp-super-cache/wp-cache-phase2.php:2381 Stack trace: #0 /home/digilshq/public_html/wp-content/plugins/wp-super-cache/wp-cache-phase2.php(2381): fclose(false) #1 /home/digilshq/public_html/wp-content/plugins/wp-super-cache/wp-cache-phase2.php(2141): wp_cache_get_ob('<!DOCTYPE html>...') #2 [internal function]: wp_cache_ob_callback('<!DOCTYPE html>...', 9) #3 /home/digilshq/public_html/wp-includes/functions.php(5464): ob_end_flush() #4 /home/digilshq/public_html/wp-includes/class-wp-hook.php(324): wp_ob_end_flush_all('') #5 /home/digilshq/public_html/wp-includes/class-wp-hook.php(348): WP_Hook->apply_filters('', Array) #6 /home/digilshq/public_html/wp-includes/plugin.php(517): WP_Hook->do_action(Array) #7 /home/digilshq/public_html/wp-includes/load.php(1279): do_action('shutdown') #8 [internal function]: shutdown_action_hook() #9 {main} thrown in /home/digilshq/public_html/wp-content/plugins/wp-super-cache/wp-cache-phase2.php on line 2381