কীভাবে একটি সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব মানসম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হয় তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো। বর্তমানে ইন্টারনেটে লেখালেখির ক্ষেত্রে, প্রচুর প্রতিযোগিতার সম্মূখীন হতে হয়। আমরা যা লিখি না কেনো, সেটা যদি ইউনিক ও গঠনমূলক না হয়, তহালে পাঠক লেখাটি পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে ,কারন এই একই লেখা সে ইন্টারনেটে বহুবার পড়েছে।
তাই আমাদের লেখায় নিয়ে আসতে হবে নতুনত্ব। আর্টিকেল হতে হবে সার্চ ইঞ্জনি অপটিমাইজ। আর্টিকেলে ব্যবহার করতে হবে উপযুক্ত শব্দ, অর্থপূর্ণ বাক্য, আকর্ষণীয় টাইটেল ও যথোপযুক্ত কীওয়ার্ড। সেই সাথে আর্টিকেলটি হতে হবে ইউনিক ও পাঠক ফ্রেইন্ডলি। সুতরাং একটি মানসম্পন্ন সেরা আর্টিকেল লিখতে হলে এর পিছনে নির্দিষ্ট সময় বিনিয়োগ করতে হবে, রিসার্চ করতে হবে ও প্রচুর অনুশীলন করতে হবে।
চলুন তাহলে নিচের আর্টিকেলটি পড়ে কীভাবে একটি মানসম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হয় ও এসইও ফ্রেইন্ডলি আর্টিকের লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানবো। শুরু করার আগে যারা “আর্টিকেল রাইটিং কী? কীভাবে বাংলায় আর্টিকেল লিখে অনলাইনে আয় করবেন?” আর্টিকেলটি পড়েন নাই তারা লিংকে ক্লিক করে পড়ে নিতে পারেন।
কীভাবে একটি মানসম্পন্ন আর্টিকেল লিখতে হয়?
একটি মানসম্পন্ন সেরা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়বস্তু নিয়ে লিখতে চান বা লিখতে পারবেন সে সম্পর্কে আপনার কতটুকু ধারণা আছে, বিষয়বস্তুর উপর পর্যাপ্ত তথ্য আপনি কোথা থেকে নিবেন? এসইও আর্টিকেল লেখার নিয়ম কী? কীভাবে তথ্যগুলো আর্টিকেলে সাজিয়ে লিখবেন? এর জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
বর্তমানে আপনার নির্বাচিত বিষয়বস্তুর চাহিদা কেমন, ভবিষ্যতে এই বিষয়ের উপর আরও কোনো আর্টিকেল লেখার সুযোগ আছে কি না ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ব থেকেই পরিকল্পনা করে নেয়া উচিত।
রিসার্চ বা অনুসন্ধান করাঃ
যে বিষয়ে আপনার কোন ধারনা নেই সে বিষয় নিয়ে লেখা ঠিক হবে না। বিষয়বস্তুর উপর ভালো দক্ষতা অর্জন ও পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের জন্য আপনাকে প্রচুর সিসার্চ করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যে বিষয়বস্তুর উপর লিখতে চান, তার কী ওয়ার্ড লিখে গুগলে সার্চ দিন। দেখবেন ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গুগলে প্রচুর লেখা আছে, সেখান থেকে আপনি আইডিয়া নিয়ে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে লিখতে পারেন। কখনওই কোন ওয়েবসাইটের লেখা কপি করা ঠিক নয়, তাতে আপনার লেখাটি সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করবে না। প্রয়োজনে রি-রাইট করুন কিন্তু কোন কিছু হুবাহু কপি উচিৎ নয়। রিসার্চ ছাড়া কখনোই ভাল আর্টিকেল রাইটিং শিখতে পারবেন না। আপনার আর্টিকেলকে সমৃদ্ধ ও তথ্য বহুল করে পাঠকপ্রিয়তা অর্জনের জন্য প্রচুর তথ্য সংগ্রহ ও পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
আকর্ষণীয় শিরোনাম
আর্টিকেল পাঠকদের কাছে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে চাইলে এর জন্য অবশ্যই একটি যথোপযুক্ত শিরোনাম বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিরোনাম দেখে বেশিরভাগ পাঠকরা সিদ্ধান্ত নেয় সে আর্টিকেলটি পড়বে কিনা।
শিরোনাম যথাসম্ভব আকর্ষনীয় ও সুন্দর হতে হয় যা দেখে পাঠক ধারনা নিবে আর্টিকেলের লিংকে ক্লিক করবে কি করবে না। এসইও ফ্রেইন্ডলি শিরোনাম লেখার একটা নির্দিষ্ট নিয়মও আছে। শিরোনামটি অবশ্যই ৬-৯ শব্দের মধ্যে হলে ভালো হয় এবং শিরোনামের মধ্যে মূল কী-ওয়ার্ড যেন থাকে। শিরোনামের শুরুতে কীওয়ার্ড রাখতে পারলে আরও ভালো হয়।
শিরোনাম লেখার সময় একটু চিন্তা ভাবনা করে লেখা প্রয়োজন। আর্টিকেলের শিরোনামের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতে হবে কোনটি সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষনীয় হয়। যেভাবে লিখলে কী-ওয়ার্ড বেশি কার্যকর হয় সেভাবে লিখুন।
কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজ নির্বাচন
কীওয়ার্ড হচ্ছে একটি শব্দ বা দুই-তিনটি শব্দ মিলে একটি শব্দগুচ্ছ আধুনিক নিয়মে এটাকে আমরা কীওয়ার্ড ফ্রেইজও বলতে পারি। এই কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড ফ্রেইজ এর উপর ভিত্তি করেই আপনার সমস্ত আর্টিকেলটি লিখতে হয় এবং আর্টিকেলের সমস্ত উপাদান এই কীওয়ার্ড ফ্রেইজের সাথে কানেক্ট থাকবে।
সেরা মানের আর্টিকেল লেখার জন্য কি-ওয়ার্ড এর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসইও আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী, আর্টিকেলে আপনি যে প্রধান কীওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন সেটিকে আর্টিকেল এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সাাজাতে হয় যাকে কীওয়ার্ড ডেনসিটি বলে।
কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি হলো আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর ঘনত্ব। কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি ১%-২% এর বেশি না হওয়াই ভালো। অর্থাৎ প্রতি ১০০ ওয়ার্ড এর জন্য মিনিমাম ১ বার অথবা সর্বোচ্চ ২বার কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে আপনার আর্টিকেলটি সার্চে র্যাংকিং এ অনেক উপরে থাকবে। ৫-৬ দিন পর গুগল-এ সার্চ দিলে হয়তো প্রথম পৃষ্ঠায়ই পাওয়া যাবে। গুগল কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি ১%-১.৫% মধ্যে থাকলে বেশি গুরুত্ব দেয় এর বেশি হলে ওভার অপটিমাইজ হিসেবে ধরে যা আর্টিকেলের জন্য শুভ নয়। সুতরাং বুঝতে পারছেন এটির গুরুত্ব কত।
আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর ব্যবহারঃ
১। টাইটেলে ১ বার
২। প্রথম প্যারায় বা ভুমিকায় ১ -২ বার
৩। প্রতি ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে ১-২ বার বা ২০০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ বার
৪। উপসংহারে ১ বার
আর্টিকেল রাইটিং -এ বাক্যের ব্যবহারঃ
১। আর্টিকেল যথাসম্ভব সরল বাক্যে লেখা উচিৎ।
২। যৌগিক বাক্য ও জটিল বাক্য এড়িয়ে চলা ভালো।
৩। বাক্যের ওয়ার্ড সংখ্যা সর্বোচ্চ ২০।
৪। আর্টিকেল প্যারা করে লেখা, যাতে প্যারায় ১৫০ থেকে ২০০ ওয়ার্ড পর্যন্ত থাকে। কোন প্যারায় ৩০০ ওয়ার্ডের বেশি হলে ছোট করে সাব-টাইটেল দিলে ভালো হয়।
একই শব্দ দিয়ে বাক্য শুরু না করাঃ
একটানা বাক্যের শুরুতে একই শব্দের ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, একই শব্দটি দিয়ে একটানা বাক্য শুরু করলে পাঠক তার পড়ার ছন্দ হারিয়ে ফেলবে। ফলে সে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ না পড়ে বেরিয়ে যাবে। আমরা যদি নিচের উদাহরণটি লক্ষ করি তাহলে বিষয়টি আরো ক্লিয়ার হবে-
উদাহরণঃ “আমরা শহরে শপিং করতে গিয়েছিলাম নতুন কিছু পোশাক কিনতে। এবং তারপরে আমরা রাতের খাবার খেয়েছি। এবং তারপরে আমরা পার্কে বেড়াতে গেলাম। এবং তারপরে আমরা সিনেমা দেখতে গেলাম। তবে সিনেমাটি বিরক্তিকর ছিল। তবে আমাদের তখনও ভাল সময় কাটছিল। তবে আমরা ১১ টা বাজে বাড়িতে গেলাম। এবং তারপরে আমরা ঘুমাতে গেলাম।”
উপরের লেখাটিতে একই শব্দ বার বার ব্যবহারের কারনে পড়তে খুবই বিরক্তিকর লাগছে। তাই আমরা পরপর বাক্য একই শব্দ দিয়ে শুরু করা থেকে বিরত থাকবো।
সঠিক বানান ও ব্যাকরণঃ
সবসময় বানান সঠিক হচ্ছে কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন। লেখায় যদি প্রচুর ভুল বানান থাকে তাহলে পাঠক পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। যেকোনো লেখাতে ব্যাকরনের শুদ্ধ প্রয়োগ অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। যদিও বাংলা আর্টিকেল এর ব্যাকরণ গত তেমন একটা সমস্যা হয়না তারপরও সতর্ক হতে হবে।
ফিচার ইমেজঃ
আর্টিকেলে এর বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে যদি একটি ইমেজ যোগ করা হয়, তাহলে লেখাটি আরও বেশি প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় হবে। আমরা জানি একটি ছবি ১০০০ শব্দের সমান। বেশিরভাগ পাঠকই সুন্দর ছবি দেখে আর্টিকেল এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। যেকোন সুন্দর ও মানসম্পন্ন ছবির প্রতিকৃতি পাঠককে বিষয়টি সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে সাহায্য করে।
পরিসংখ্যান যোগঃ
আপনি যে বিষয়ে লিখবেন সে বিষয়ে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সেক্টর থেকে কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান যোগ করলে তা আরো বেশি তথ্যবহুল ও পাঠক প্রিয় হবে।
আর্টিকেলের ফিনিশিংঃ
প্রতিটি আর্টিকেলের সুন্দর একটি ফিনিশিং থাকে। এখানে আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর উপর লেখকের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে যা পাঠককে আর্টিকেলটি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা দিবে। এতে পাঠক আপনার অন্যান্য কন্টেন্ট গুলো পড়ার প্রতি আরও আকৃষ্ট হবে। কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার তাই শেষটাও ভাল করে শেষ করতে হবে।
তথ্য সূত্র লিখুনঃ
আর্টিকেলটি লেখার সময় যেসব জায়গা থেকে আইডিয়া নেয়া হয়েছে অবশ্যই সেসব ওয়েবসাইট, ব্লগ বা বই ইত্যাদির নাম তথ্যসূত্রে উল্লেখ থাকা একটি সেরা আর্টিকেল এর বৈশিষ্ট্য। একজন আদর্শ লেখকের নৈতিক দায়িত্ব, সেই সাথে কপিরাইট আইন থেকেও সেইভ থাকা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন একাডেমিক বই অথবা ই-বুক থেকে আইডিয়া নেয় হয়, সেক্ষত্রে অথরকে লেখার শেষে উপযুক্ত ক্রেডিট দেয়া উচিৎ।
বেশি বেশি পড়ার অভ্যাস তৈরিঃ
যদি জিজ্ঞেস করা হয়, “কীভাবে একটি ভালো মানের আর্টিকেল লিখতে?” আমি বলবো বেশি বেশি পড়া। আমাদের পড়ার অভ্যাস নেই বললেই চলে। কিন্তু ভালো লেখার পূর্বশর্ত হলো আপনাকে বেশি বেশি পড়তে হবে। যে যত বেশি পড়বে সে তত ভাল লিখতে পারবে। কারন পড়লে ব্রেইন এর এনালাইটিক্যাল থিংকিং বৃদ্ধি পায়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা যা কিছু পড়ি তা শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। কিন্তু যেটা প্রয়োজন তা হলো বেশি বেশি শিক্ষামূলক আর্টিকেল, দৈনিক পত্রিকার কন্টেন্ট, সম্পাদকীয়, ইবুক ইত্যাদি পড়ার অভ্যাস করা। গবেষনায় দেখা যায়, যারা বেশি বেশ পড়ার অভ্যাস তাদের লেখাও অনেক বেশি মান সম্মত ও অর্থপূর্ণ।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও কমেন্টের অভ্যাস করাঃ
বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেলে বা সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে বা দৈনিক পত্রিকার কন্টেন্টে কমেন্ট করার অভ্যাস থাকা ভালো। কারন একটি সুন্দর গঠনমূলক কমেন্ট করতে গেলেও আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমরা অনায়াসেই দুই বা তিন, চার শব্দের কমেন্ট করতে পারি কিন্তু দুই তিন বাক্যের একটি কমেন্ট করতে গেলে লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্রেইনের এনালাইটিক্যাল থিংকিং বৃদ্ধি পাবে। তাই ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য বেশি বেশি গঠনমূলক কমেন্ট করার প্রাকটিস করা উচিৎ। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বা শিক্ষামূলক কোন বিষেয় আইডিয়া বা মতামত রেফারেন্সসহ টাইমলাইনে শেয়ার করার অভ্যাস করতে পারি।
সর্বশেষ, কীভাবে একটি সেরা আর্টিকেল লিখতে হয় এবং এসইও আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আমরা কিছু জানলাম। আর্টিকেল লেখা হলো একটা শিল্পের মতো। ফ্রিল্যান্সিং-এ অন্যান্য সেক্টরের মতো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রেও অধ্যাবসায়ের কোন বিকল্প নেই। কোন কিছুই সহজলভ্য নয়, সফলতার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকা ও দক্ষতা অর্জন করা আর দক্ষতা কখনও রাতিরাতি অর্জন করা সম্ভব নয় এর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ
ধন্যবাদ
Thanks
Very detailed and meaningful article.
Thank
অসাধারণ লিখেছেন, লেখাটি পড়ে উৎসাহিত হলাম। ধন্যবাদ।
লেখাটি মানসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য, উপকৃত হলাম এবং ভবিষ্যতে নিজের লেখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস জেনে নিলাম,
ধন্যবাদ।
উপরোক্ত লেখাগুলো খুবই উপকারী ছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আমাদের আর্টিকেলের সকল বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
লেখাগুলো পড়ে সফলতার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরটিকেলের এত সুন্দর ধারণা দিলেন
,যেনএখন নিজে বসে লিখেছি এমন মনে হচ্ছে 🙂
কারণ, পড়ায় খুব মনযোগ দিয়েছি যে তাই 🥰
ধন্যবাদ।