বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স কমবে ২০ শতাংশ করোনার কারনে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিইউ রিসার্চ সেন্টার। তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বব্যাংক ও গুগলের তথ্যের ওপর নির্ভর করে এই পূর্বাভাস দেয। যেখানে ২০১৯ সারে রেমিটেন্স ছিল ৭১৪ বিলিয়ন ডলার তা কমে ২০২০ সনে আনুমানিক ৫৭৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
রেমিটেন্স প্রেরণকারী প্রধান দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউন চলায়, চাকরি হারানো কারনে বাংলাদেশেও রেমিটেন্স কমবে বলে বিশ্লেষকদের এমনই দাবী। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে আসতে পারে পবে তারা ধারনা করেছেন। যেহেতু বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স কমবে সুতরাং বাংলাদেশের রেমিটেন্সও কমবে। বাংলাদেশের রেমিটেন্স কমে যাওয়া প্রভাব জনগন ও অর্থনীতির ওপর পড়বে বলে জানিয়েছেন, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি আরো বলেন, করোনার আগে বাংলাদেশে অনেক ভালো রেমিটেন্স এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী শ্রমিকদের দেশে ফিরে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের উচিত যে সব দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, যাতে আর কোনো শ্রমিককে তারা ফেরত না পাঠায়। এছাড়াও তিনি বলেন, দেশে ফিরে আসা শ্রমিকদের নিজ নিজ অভিজ্ঞ ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। এতে সামগ্রিক উৎপাদন, রপ্তানি ও ঘাটতি দূর হবে।
আরও পড়ুনঃ হংকংয়ের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে ব্রিটেনের নাগরিকত্ব- হংকং জাতীয় নিরাপত্তা আইন
পিইউ রিসার্চ সেন্টার এর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৮ সালে যে ১০টি দেশের প্রবাসীরাপাঠিয়েছিল করোনার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় গড়ে ১০ দিন পর পর সেই দেশগুলোর শ্রমিকদের চলাফেরা অনেক বেশি হ্রাস পেয়েছে।
৬১ শতাংশ রেমিটেন্স যে ১০ টি দেশের প্রবাসীরা ২০১৮ সনে পাঠিয়েছিল। করেনার প্রাদুর্ভাবে অন্যান্য দেশের তুলনায় গড়ে ১০ দিন পর পর সেই দেশগুলোর শ্রমিকদের চলাফেরা অনেক বেশি হ্রাস পেয়েছে বলে পিইউ রিসার্চ সেন্টার এর গবেষনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশগুলোর মধ্যে কাজ কমে গেছে-
ভারত, চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন্স, মিশর, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি ও ভিয়েতনাম। রেমিটেন্স গ্রহণকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ১১তম বাংলাদেশ।
তথ্যসূত্রঃ বিডি প্রতিদিন
মন্তব্য লিখুন