ভারতের গুজরাটের সুরাতের দশম শ্রেণীর দুই কিশোরী মহাকাশ বিজ্ঞানী পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে একটি নতুন গ্রহাণু আবিষ্কার করেছে । তারা ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই টেলিস্কোপের সাহায্যে নতুন এই গ্রহানুর সন্ধান পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করে।
আমরা পৃথিবী নামক সৌরোজগৎ এর একটি গ্রহতে বসবাস করি । আর সৌরজগৎ এর কেন্দ্রে সূর্য অবস্থিত, পৃথিবী এই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এই পৃথিবী যেমন সূর্যের চারদিকে ঘোরে, তেমনি পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে এমন নতুন গ্রহাণু আবিষ্কার করেছে ভারতের গুজরাটের সুরাতের দুইজন কিশোরী। অভাবনীয় এই সাফল্যে অবদান রাখেন মাত্র দশম শ্রেণিতে পড়া দুই কিশোরী।
আরও পড়ুনঃ ট্রাম্পকে নিয়ে ভাতিজির লেখা বই- প্রথম দিনেই বাজিমাত
এইচএলভি-২৫১৪ নাম দেওয়া হয়েছে নতুন এই গ্রহানুর। কিশোরী দুইজন হচ্ছে বৈদেহী ভেকেরিয়া সজ্ঞয়ভাই ও রাধিকা লখানি প্রফুলভাই। তারা গুজরাটের পিপি সাভানী চৈতন্য বিদ্যা সংকুলে অধ্যয়নরত। তারা অল ইন্ডিয়া অ্যাসেরয়েড সার্চ ক্যাম্পেইন ২০২০ নামে একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান প্রোগ্রামে অংশ নেয় । প্রোগ্রামটি স্পেস ইন্ডিয়া পরিচালিত আন্তরর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসন্ধান সহযোগিতায় এবং টেক্সাসের হার্ডিন্স সিমন্স বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিচালিত হয়।
শিক্ষার্থীরা গ্রহানুটিতে উন্নত সফ্টওয়্যার এবং কৌশল ব্যবহার করেন। প্যান স্টার্সের একটি উন্নত টেলিস্কোপ ও ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে, সেই সাথে আর্ট সিসিডি ক্যামেরা ,উচ্চতর ক্ষেত্রে দর্শন এবং ছোট বস্তু দেখার ও ক্ষমতা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নাসা এবং জেট এর প্রবর্তিত বিভিন্ন প্রোগ্রামগুলির আওতায় গ্রহানুগুলির সন্ধান করেছিল তারা । এত অল্প বয়সে তাদের নতুন গ্রহাণু আবিষ্কার এর এই অভাবনীয় সাফল্য সত্যিই এক বিস্নয়কর ব্যাপার।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বব্যাপী রেমিটেন্স কমবে ২০ শতাংশ করোনার কারনে
পৃথিবীর জন্য একটি সম্ভাব্য বিপদ সংকেত নিয়ে আসে গ্রহাণু ও ধূমকেতুরা। প্রতি বছর এই ধরনের অগণিত গ্রহাণু ও ধূমকেতু আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা । প্রসঙ্গত, আইফেল টাওয়ারের চেয়ে ভারী একটি গ্রহাণু মধ্য রাশিয়ায় আছড়ে পড়েছিল ২০১৩ সালের দিকে। প্রায় এক হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছিল এই গ্রহানু আছড়ে পড়ার কারণে।
মন্তব্য লিখুন